*বসন্ত নয় অবহেলা* ---দর্পণ কবির বসন্ত নয়, আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিলো অবহেলা ভেবেছিলাম, অনেকগুলো বর্ষা শেষে শরতের উষ্ণতা মিশে এলো বুঝি বসন্ত! দরজা খুলে দেখি আমাকে ভালোবেসে এসেছে অবহেলা মধ্য দুপুরের তির্যক রোদের মতো অনেকটা নির্লজ্জভাবে আমাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম আমার দীনদশায় কারো করুণা বা আর্তিব পেখম ছড়িয়ে আছে কি না ছিলো না বৃষ্টিহীন জনপদে খড়খড়ে রোদ যেমন দস্যুর মতো অদমনীয় তেমনি অবহেলাও আমাকে আগলে রেখেছিলো নির্মোহ নিঃসংকোচিত আমি অবহেলাকে পেছনে ফেলে একবার ভোঁ-দৌড় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম তখন দেখি আমার সামনে কলহাস্যে দাঁড়িয়েছে উপেক্ষা উপেক্ষার সঙ্গেও একবার কানামাছি খেলে এগিয়ে গিয়েছিলাম তোমাদের কোলাহল মুখর আনন্দ সভায় কি মিলেছিলো? ঠোঁট উল্টানো ভৎসনা আর অভিশপ্ত অনূঢ়ার মতো এক তাল অবজ্ঞা তাও সয়ে গিয়েছিলো একটা সময় ধরেই নিয়েছিলাম আমার কোনো কালেই হবে না রাবেন্দ্রিক প্রেম তোমাদের জয়গানে করতালিতে নতজানু থেকেছিলো আমার চাপা আক্ষেপ লজ্জা বুঝে গিয়েছিলাম জীবনানন্দময় স্বপ্ন আমাকে ছোঁবে না জয়নুলের রঙ নিয়ে কল্পনার বেসাতি হারানো দিনের গানের ঐন্দ্রালিক তন্ময়তা বা ফুল, পাখি, নদীর কাব্যালাপে কারা মশগুল হলো, এ নিয়ে কৌতূহল দেখাবার দুঃসাহস আমি দেখাইনি কখনো এত কিছু নেই জেনেও নজরুলের মতো বিদ্রোহী হবো, সেই অমিত শক্তিও আমার ছিলো না মেনে নেয়ার বিনয়টুকু ছাড়া আসলে আমার কিছুই ছিলো না শুধু ছিলো অবহেলা, উপেক্ষা আর অবজ্ঞা হ্যাঁ, একবার তুমি বা তোমরা যেন দয়া করে বাঁকা চোখে তাকিয়েছিলে আমার দিকে তাচ্ছিল্য নয়, একটু মায়াই যেন ছিলো হতে পারে কাঁপা আবেগও মিশ্রিত ছিলো তোমার দৃষ্টিতে ওইটুকুই আমার যা পাওয়া আমি ঝড়ে যাওয়া পাতা, তুমি ছিলে আকস্মিক দমকা হাওয়া তারপরও অবহেলার চাদর ছাড়িয়ে উপেক্ষার দেয়াল ডিঙিয়ে ও অবজ্ঞার লাল দাগ মুছে জীবনের কোনো সীমারেখা ভাঙতে পারিনি আমি এ কথা জানে শুধু অন্তর্যামী অনেক স্বপ্নপ্রবণ হয়ে একবার ভেবেছিলাম এই অবহেলা তুষারপাতের মুখচ্ছবি, উপেক্ষা কাচের দেওয়াল, অবজ্ঞা কুচকুচে অন্ধকার এর কিছুই থাকবে না একটি বসন্তের ফুঁৎকারে একটি ঝলমলে পোশাক গায়ে চড়িয়ে হাতের মুঠোয় বসন্ত নিয়ে অন্তত একটি সন্ধ্যাকে উজ্জ্বল করে নেবো এমন ভাবাবেগও ছিলো আকাশের কার্নিশে লেপ্টে থাকা পেঁজা মেঘের মতো ঐ মেঘ কখনো বৃষ্টি হয়ে নামেনি তোমার বা তোমাদের নাগরিক কোলাহল কখনো থামেনি অর্ধেক জীবন ফেলে এসে দেখি অনেক কিছু বদলে গেছে সেকি! কোথায় হারালো কৈশোরের দিনলিপি বিপন্ন করা অবহেলা স্বপ্নকে অবদমনের স্বরলিপিতে আটকে ফেলা উপেক্ষা আর তারুণ্যকে ম্রিয়মাণ করে রাখার অবজ্ঞা ওরা আমাকে চোখ রাঙাতে পারে না ঠিক, তবে এখনো পোড় খাওয়া দিন বড্ড রঙিন আমি আজ সমুদ্র জলে হাত রেখে বলে দিতে পারি কোন ঢেউয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে তোমাদের গোপন অশ্রুকণা আকাশ পানে তাকিয়ে বুঝতে পারি কার দীর্ঘশ্বাসে ঝড়ে পড়ছে নক্ষত্র এমনকি তুমি যে সম্রাজ্ঞীর বেশের আড়ালের মিহিন কষ্ট চেপে হয়েছো লাবণ্যময় পাষাণ, পাথর এটাও দেখতে পাই অন্তরদৃষ্টি দিয়ে আমি জানি, দীর্ঘশ্বাসে ভরা এ আখ্যান যদি পেতো কবিতার রূপ, সেই অবহেলা হতো বসন্ত স্বরুপ।
বসন্ত নয় আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিল অবহেলা। ভেবেছিলাম অনেকগুলো বর্ষা শেষে শরতের উষ্ণতা মিশিয়ে এলো বুঝি বসন্ত! দরজা খুলে দেখি আমাকে ভালোবেসে এসেছে অবহেলা। মধ্য দুপুরে তীর্যক রোদের মত অনেকটা নির্লজ্জের মত আমাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা। আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম আমার দীন দশায় কারো করুণা বা আর্তিব পেখম ছড়িয়ে আছে কী না! ছিলো না। বৃষ্টিহীন জনপদে খড়খড়ে রোদ যেমন দস্যুর মত অদমনীয় তেমনি অবহেলাও আমাকে আগলে রেখেছিল নির্মোহ নিঃসঙ্কোচিত। আমি অবহেলাকে পিছনে ফেলে একবার ভো-দৌড় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম। তখন দেখি আমার সামনে কলহাস্যে দাঁড়িয়েছে উপেক্ষা। উপেক্ষার সঙ্গেও একবার কানামাছি খেলে এগিয়ে গিয়েছিলাম তোমাদের কোলাহল মুখর আনন্দ সভায়। কী মিলেছিলো? ঠোঁট উলটানো ভৎসনা আর অভিশপ্ত অনূঢ়ার মত একতাল অবঙ্গা। তাও শয়ে গিয়েছিলাম একটা সময়। হ্যাঁ একবার তুমি বা তোমরা যেন দয়া করে বাঁকা চোখে তাকিয়েছিলে আমার দিকে। তাচ্ছিল্য নয় একটু মায়াই যেন ছিল, হতে পারে কাঁপা আবেগ ও মিশ্রিত ছিল তোমার দৃষ্টিতে। ওইটুকুই আমার যা পাওয়া। আমি ঝরে যাওয়া পাতা, তুমি ছিলে আকষ্মিক দমকা হাওয়া। তারপর ও অবহেলার চাদর ছাড়িয়ে উপেক্ষার দেয়াল ডিঙ্গিয়ে ও অবহেলার লাল দাগ মুছে জীবনের কোনো সীমারেখা ভাঙ্গতে পারিনি আমি। একথা জানে শুধু অন্তর্যামী।
প্রতিদিন যতোবারই তোমার কথা মনে পড়ে, ততোবারই এই কবিতাটা দুচোখ বন্ধ করে হৃদয় দিয়ে শুনি। দিনে কতোবার শুনি তা গুনে রাখি না। আর মনে করিয়ে দেয় তোমার অবহেলা আর উপেক্ষা।
যখনই মনে হয়,বাঙলায় রুচিবোধের মূল্য যে সমাজ রূপী হাটে আকাশচুম্বী,...... সেখানে আপনার মতো শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে যখন, মাটির সিকির মূল্যে এমন উপহার, দিতে দেখি....ভালো লাগে। অসাধারণ স্যার❤
আজ ৪ বছর ধরে কবিতাটি শুনছি, প্রতিবারই নতুন করে আবিষ্কার করতে পারি, একবারও মনে হয়নি পুরনো,,,, সৌমিত্র চট্রোপাধ্যায় যেদিন চলে গেলেন কত কাঁদলাম, মনে হচ্ছিল মানুষটা কতকিছু দিয়ে গেলে, যদি পারতাম একটাবার তাকে প্রণাম করতে, 🙏
বসন্ত নয়, আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিলো অবহেলা ভেবেছিলাম অনেক গুলো বর্ষা শেষে শরৎ এর উষ্ণতা মিশে এ এলো বুঝি বসন্ত দরজা খুলে দেখি আমাকে ভালোবেসে এসেছে অবহেলা মধ্য দুপুরের তির্যক রোদের মতো অনেকটা নির্লজ্জ ভাবে আমাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম আমার দীনদশায় কারো করুণা বা আর্তিব পেখম ছড়িয়ে আছে কিনা ছিলো না বৃষ্টিহীন জনপদে খড়খড়ে রোদ যেমন দস্যুর মতো অদমনীয় তেমনি অবহেলাও আমাকে আগলে রেখেছিলো নির্মোহ নিঃসংকোচিত আমি অবহেলাকে পেছনে ফেলে একবার ভো দৌড় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম তখন দেখি আমার সামনে কলহাস্যে দাঁড়িয়েছে উপেক্ষা উপেক্ষার সঙ্গেও একবার কানামাছি খেলে এগিয়ে গিয়েছিলাম তোমাদের কোলাহল মুখর আনন্দ সভায় কি মিলেছিলো? ঠোট উল্টানো ভৎসনা আর অভিশপ্ত অনূঢ়ার মতো এক তাল অবজ্ঞা তাও সয়ে গিয়েছিলো একটা সময় ধরেই নিয়েছিলাম আমার কোনো কালেই হবে না রাবেন্দ্রিক প্রেম তোমাদের জয় গানে করতালিতে নতজানু থেকেছিলো আমার চাপা আক্ষেপ লজ্জা বুঝে গিয়েছিলাম জীবনানন্দময় স্বপ্ন আমাকে ছোঁবে না জয়নুলের রঙ নিয়ে কল্পনার বেসাতি হারানো দিনের গানের ঐন্দ্রালিক তন্ময়তা বা ফুল পাখি নদীর কাব্য আলাপে কারা মশগুল হলো এ নিয়ে কৌতূহল দেখাবার দুঃসাহস আমি দেখাইনি কখনো এত কিছু নেই জেনেও নজরুল এর মতো বিদ্রোহী হবো সেই অমিত শত্রুও আমার ছিলো না মেনে নেয়ার বিনয়টুকু ছাড়া আসলে আমার কিছুই ছিলো না শুধু ছিলো অবহেলা, উপেক্ষা আর অবজ্ঞা হ্যাঁ একবার তুমি বা তোমরা যেন দয়া করে বাকা চোখে তাকিয়েছিলে আমার দিকে তাচ্ছিল্য নয় একটু মায়াই যেন ছিলো হতে পারে কাপা আবেগও মিশ্রিত ছিলো তোমার দৃষ্টিতে ওইটুকুই আমার যা পাওয়া আমি ঝড়ে যাওয়া পাতা, তুমি ছিলে আকর্ষিক দমকা হাওয়া তারপরও অবহেলার চাদর ছাড়িয়ে উপেক্ষার দেয়াল ডিঙিয়ে ও অবজ্ঞার লাল দাগ মুছে জীবনের কোনো সীমারেখা ভাঙতে পারিনি আমি এ কথা জানে শুধু অন্তর্যামী অনেক স্বপ্ন প্রবণ হয়ে একবার ভেবেছিলাম, এই অবহেলা তুষারপাতের মুখচ্ছবি, উপেক্ষার কাচের দেয়াল, অবজ্ঞা কুচকুচে অন্ধকার এর কিছুই থাকবেনা একটি বসন্তের ফুঁৎকারে একটি ঝলমলে পোশাক গায়ে চড়িয়ে হাতের মুঠোয় বসন্ত নিয়ে অন্তত একটি সন্ধ্যাকে উজ্জ্বল করে নেবো এমন ভাবাবেগ ছিলো আকাশের কার্নিশে ল্যাপ্টে থাকা প্যাঁচা মেঘের মতো ঐ মেঘ কখনো বৃষ্টি হয়ে নামেনি তোমার বা তোমাদের নাগরিক কোলাহল কখনো থামেনি অর্ধেক জীবন ফেলে এসে দেখি অনেক কিছু বদলে গেছে সেকি! কোথায় হারালো কৌশোরের দিনলিপি? বিপন্ন করা অবহেলা স্বপ্নকে অবদমনের সরলিপিতে আটকে ফেলা উপেক্ষা আর তারুণ্যকে ম্রিয়মাণ করে রাখার অবজ্ঞা ওরা আমাকে চোখ রাঙাতে পারে না ঠিক তবে এখনো পোড়খাওয়া দিন বড্ড রঙিন আমি আজ সমুদ্র জলে হাত রেখে বলে দিতে পারি, কোন ঢেউ এ ভেসে বেড়াচ্ছে তোমাদের গোপন অশ্রুখানা আকাশ পাণে তাকিয়ে বুঝতে পারি, কার দীর্ঘশ্বাসে ঝড়ে পড়ছে নক্ষত্র এমনকি তুমি যে সম্রাজ্ঞীর বেশের আড়ালে মিহিন কষ্ট চেপে হয়েছো লাবণ্যময় পাষাণ, পাথর এটাও দেখতে পাই অন্তর দৃষ্টি দিয়ে আমি জানি দীর্ঘশ্বাসে ভরা এ আখ্যান যদি পেতো কবিতার রূপ সে অবহেলা হতো বসন্ত সরূপ
শুধুমাত্র বাংলাদেশী বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত হিসেবে জন্মে নিজেকে নিয়ে অনেক অনেক গর্ব করি । এই কবিতা যেন সৌমিত্র দাদা ঠিক আমাকে নিয়েই লিখেছেন। প্রতিটি বাঙ্গালী তরুন নিজেকে কখনো কালবেলায় কখনো হুমায়ুনের হিমুতে কখনো সৌমিত্রের কবিতায় খুজে পাই। এই জন্য বলি আমরা জাতটাই আলাদা , আমাদের ভাষা আবেগ বুঝার সৌভাগ্য কম অবাঙ্গালীরই হয়েছে ।
অজস্র বার শুনছি এই কবিতাটা। বারবার শুধু শুনতেই ইচ্ছে করে। সত্যিই ভগবান যেন হাজার বছর বেঁচে রাখেন এমন মানুষগুলোকে। কবিকে এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জানিনা আমার বয়সে উনাকে আর কে কে পছন্দ করেন,, তবে প্রথম প্রাক্তন সিনেমায় উনার কবিতা আবৃতি শুনে উনার আবৃত্তির প্রেমে পড়ে গেছি,,, অসম্ভব ভালো লাগে আমার!!🥰🥰 প্রাক্তন এর পর থেকে ইউ টিউব এ উনার কবিতা আবৃত্তি খুজে বেরাই,আর মুগ্ধ হয়ে শুনি,, আমার বয়স এখন উনিশ,, যখন ক্লাস নাইন এ ছিলাম তখন কবিতা আবৃত্তি করতাম ভালো লাগতো,এটা সেটা করতে করতে হারিয়ে গেছে আবৃত্তি করা টা কিন্তু এখনো আবৃত্তি শুনলে সাথে সাথে ঠোঁট মেলাই,নিজেকে হারিয়ে ফেলি,,, এখন চেষ্টা করি উনার মতো করে বাস্তবিকতা নিয়ে ভালোবেসে,নিজেকে সপে দিয়ে আবৃত্তি করতে😍😍 জানিনা কতটুকু পারবো!! (পাঞ্জেরী, সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ) ও হ্যা,পাঞ্জেরী কবিতার কথা বলিনি,এটা আমার নাম
..জীবন এক বহতা নদী.. জীবনের আরো এক বছর কমে গেলো কিছু পুরনো স্মৃতি পিছনে রয়ে গেলো কিছু মনের আশা মনেই থেকে গেলো। কিছু না চেয়েই পেয়ে গেলাম কিছু মনের অজান্তে ছেড়ে চলে আসলাম কিছু নতুন পেয়ে গেলাম কিছু পুরনো ভুলে গেলাম। কেউ চলে গেলো, আবার কেউ নতুন করে আসলো। কেউ আমার সাথে অভিমান করলো কেউ আবার পাশে রয়ে সান্ত্বনা দিলো। কেউ রাগ করলো, কেউ আবার মাঝেমাঝে খুশি হলো। কেউ আমায় ভুলেই গেলো, মনের ঘরে কবর দিলো কেউ আবার মনের ঘরে রেখে দিলো। কেউ আমার জন্য অপেক্ষায় না হয় আমি কারো জন্যে রইলাম আশায় আশায়। আমি কখনওবা সুখী আবার কখনওবা দুঃখী। আমি কখনো শান্ত, আবার কখনো অশান্ত। কখনো হাটছি কিছু ভুলের সাথে আবার সময় সুযোগ বুজে সঠিক পথে। কখনো আমি অসুস্থ, আবার কখনো সুস্থ। এভাবেই চলে যায় জীবন থেকে দিন রয়ে যায় নিজের ভেতর নিজের কিছু চির চেনা ঋণ কথোপকথন হয় প্রতিদিন। ভুল গুলো ভুলে যেও, ঠিক গুলো মনে রেখে দিও। সুখ শান্তি ভালবাসায় ভরে থাকুক আমাদের সবার জীবন এই প্রার্থনা সবসময়ের। ভালবাসা রইলো অফুরন্ত। হ্নদয়ে রেখে দেবেন অনন্ত। ১/১/২০২০ জানি না কতদিন এই কথাগুলো কতজন শুনবেন। আজ প্রথম আমি শুনলাম। যে যতদিন শুনবেন ততদিন ভালবাসা অবিরাম। বাংলাদেশ, সিলেট।
তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় নাতো কভু আমরা অবোধ,অন্ধ মায়ায় তাইতো কাঁদি প্রভু"----স্মৃতির সরনী আলোকিত করে বাংলা সংস্কৃতির এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলো অম্লান আছে,থাকবে🙏🙏
বসন্ত নয়, আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিলো অবহেলা ভেবেছিলাম, অনেকগুলো বর্ষা শেষে শরতের উষ্ণতা মিশে এলো বুঝি বসন্ত! দরজা খুলে দেখি আমাকে ভালোবেসে এসেছে অবহেলা মধ্য দুপুরের তির্যক রোদের মতো অনেকটা নির্লজ্জভাবে আমাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম আমার দীনদশায় কারো করুণা বা আর্তিব পেখম ছড়িয়ে আছে কি না ছিলো না বৃষ্টিহীন জনপদে খড়খড়ে রোদ যেমন দস্যুর মতো অদমনীয় তেমনি অবহেলাও আমাকে আগলে রেখেছিলো নির্মোহ নিঃসংকোচিত আমি অবহেলাকে পেছনে ফেলে একবার ভোঁ-দৌড় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম তখন দেখি আমার সামনে কলহাস্যে দাঁড়িয়েছে উপেক্ষা উপেক্ষার সঙ্গেও একবার কানামাছি খেলে এগিয়ে গিয়েছিলাম তোমাদের কোলাহল মুখর আনন্দ সভায় কি মিলেছিলো? ঠোঁট উল্টানো ভৎসনা আর অভিশপ্ত অনূঢ়ার মতো এক তাল অবজ্ঞা তাও সয়ে গিয়েছিলো একটা সময় ধরেই নিয়েছিলাম আমার কোনো কালেই হবে না রাবেন্দ্রিক প্রেম তোমাদের জয়গানে করতালিতে নতজানু থেকেছিলো আমার চাপা আক্ষেপ লজ্জা বুঝে গিয়েছিলাম জীবনানন্দময় স্বপ্ন আমাকে ছোঁবে না জয়নুলের রঙ নিয়ে কল্পনার বেসাতি হারানো দিনের গানের ঐন্দ্রালিক তন্ময়তা বা ফুল, পাখি, নদীর কাব্যালাপে কারা মশগুল হলো, এ নিয়ে কৌতূহল দেখাবার দুঃসাহস আমি দেখাইনি কখনো এত কিছু নেই জেনেও নজরুলের মতো বিদ্রোহী হবো, সেই অমিত শক্তিও আমার ছিলো না মেনে নেয়ার বিনয়টুকু ছাড়া আসলে আমার কিছুই ছিলো না শুধু ছিলো অবহেলা, উপেক্ষা আর অবজ্ঞা হ্যাঁ, একবার তুমি বা তোমরা যেন দয়া করে বাঁকা চোখে তাকিয়েছিলে আমার দিকে তাচ্ছিল্য নয়, একটু মায়াই যেন ছিলো হতে পারে কাঁপা আবেগও মিশ্রিত ছিলো তোমার দৃষ্টিতে ওইটুকুই আমার যা পাওয়া আমি ঝড়ে যাওয়া পাতা, তুমি ছিলে আকস্মিক দমকা হাওয়া তারপরও অবহেলার চাদর ছাড়িয়ে উপেক্ষার দেয়াল ডিঙিয়ে ও অবজ্ঞার লাল দাগ মুছে জীবনের কোনো সীমারেখা ভাঙতে পারিনি আমি এ কথা জানে শুধু অন্তর্যামী অনেক স্বপ্নপ্রবণ হয়ে একবার ভেবেছিলাম এই অবহেলা তুষারপাতের মুখচ্ছবি, উপেক্ষা কাচের দেওয়াল, অবজ্ঞা কুচকুচে অন্ধকার এর কিছুই থাকবে না একটি বসন্তের ফুঁৎকারে একটি ঝলমলে পোশাক গায়ে চড়িয়ে হাতের মুঠোয় বসন্ত নিয়ে অন্তত একটি সন্ধ্যাকে উজ্জ্বল করে নেবো এমন ভাবাবেগও ছিলো আকাশের কার্নিশে লেপ্টে থাকা পেঁজা মেঘের মতো ঐ মেঘ কখনো বৃষ্টি হয়ে নামেনি তোমার বা তোমাদের নাগরিক কোলাহল কখনো থামেনি অর্ধেক জীবন ফেলে এসে দেখি অনেক কিছু বদলে গেছে সেকি! কোথায় হারালো কৈশোরের দিনলিপি বিপন্ন করা অবহেলা স্বপ্নকে অবদমনের স্বরলিপিতে আটকে ফেলা উপেক্ষা আর তারুণ্যকে ম্রিয়মাণ করে রাখার অবজ্ঞা ওরা আমাকে চোখ রাঙাতে পারে না ঠিক, তবে এখনো পোড় খাওয়া দিন বড্ড রঙিন আমি আজ সমুদ্র জলে হাত রেখে বলে দিতে পারি কোন ঢেউয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে তোমাদের গোপন অশ্রুকণা আকাশ পানে তাকিয়ে বুঝতে পারি কার দীর্ঘশ্বাসে ঝড়ে পড়ছে নক্ষত্র এমনকি তুমি যে সম্রাজ্ঞীর বেশের আড়ালের মিহিন কষ্ট চেপে হয়েছো লাবণ্যময় পাষাণ, পাথর এটাও দেখতে পাই অন্তরদৃষ্টি দিয়ে আমি জানি, দীর্ঘশ্বাসে ভরা এ আখ্যান যদি পেতো কবিতার রূপ সেই অবহেলা হতো বসন্ত স্বরুপ
**বসন্ত নয় অবহেলা* - দর্পণ কবীর বসন্ত নয়, আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিলো অবহেলা ভেবেছিলাম, অনেকগুলো বর্ষা শেষে শরতের উষ্ণতা মিশে এলো বুঝি বসন্ত। দরজা খুলে দেখি আমাকে ভালোবেসে এসেছে অবহেলা, মধ্য দুপুরের তির্যক রোদের মতো অনেকটা নির্লজ্জভাবে আমাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা, আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম আমার দীনদশায় কারো করুণা বা আর্তিব পেখম ছড়িয়ে আছে কি না, ছিলো না। বৃষ্টিহীন জনপদে খড়খড়ে রোদ যেমন দস্যুর মতো অদমনীয় তেমনি অবহেলাও আমাকে আগলে রেখেছিলো নির্মোহ নিঃসংকোচিত, আমি অবহেলাকে পেছনে ফেলে একবার ভোঁ-দৌড় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম তখন দেখি আমার সামনে কলহাস্যে দাঁড়িয়েছে উপেক্ষা, উপেক্ষার সঙ্গেও একবার কানামাছি খেলে এগিয়ে গিয়েছিলাম তোমাদের কোলাহল মুখর আনন্দ সভায়, কি মিলেছিলো? ঠোঁট উল্টানো ভৎসনা আর অভিশপ্ত অনূঢ়ার মতো এক তাল অবজ্ঞা, তাও সয়ে গিয়েছিলো একটা সময় ধরেই নিয়েছিলাম আমার কোনো কালেই হবে না রাবেন্দ্রিক প্রেম, তোমাদের জয়গানে করতালিতে নতজানু থেকেছিলো আমার চাপা আক্ষেপ লজ্জা। বুঝে গিয়েছিলাম জীবনানন্দময় স্বপ্ন আমাকে ছোঁবে না জয়নুলের রঙ নিয়ে কল্পনার বেসাতি হারানো দিনের গানের ঐন্দ্রালিক তন্ময়তা বা ফুল, পাখি, নদীর কাব্যালাপে কারা মশগুল হলো, এ নিয়ে কৌতূহল দেখাবার দুঃসাহস আমি দেখাইনি কখনো। এত কিছু নেই জেনেও নজরুলের মতো বিদ্রোহী হবো সেই অমিত শক্তিও আমার ছিলো না, মেনে নেয়ার বিনয়টুকু ছাড়া আসলে আমার কিছুই ছিলো না, শুধু ছিলো অবহেলা, উপেক্ষা আর অবজ্ঞা। হ্যাঁ, একবার তুমি বা তোমরা যেন দয়া করে বাঁকা চোখে তাকিয়েছিলে আমার দিকে, তাচ্ছিল্য নয়, একটু মায়াই যেন ছিলো হতে পারে কাঁপা আবেগও মিশ্রিত ছিলো তোমার দৃষ্টিতে ওইটুকুই আমার যা পাওয়া, আমি ঝরে যাওয়া পাতা তুমি ছিলে আকস্মিক দমকা হাওয়া, তারপরও অবহেলার চাদর ছাড়িয়ে উপেক্ষার দেয়াল ডিঙিয়ে ও অবজ্ঞার লাল দাগ মুছে জীবনের কোনো সীমারেখা ভাঙতে পারিনি আমি, এ কথা জানে শুধু অন্তর্যামী অনেক স্বপ্নপ্রবণ হয়ে একবার ভেবেছিলাম এই অবহেলা তুষারপাতের মুখচ্ছবি উপেক্ষা কাঁচের দেওয়াল অবজ্ঞা কুচকুচে অন্ধকার এর কিছুই থাকবে না একটি বসন্তের ফুঁৎকারে। একটি ঝলমলে পোশাক গায়ে চড়িয়ে হাতের মুঠোয় বসন্ত নিয়ে অন্তত একটি সন্ধ্যাকে উজ্জ্বল করে নেবো, এমন ভাবাবেগও ছিলো আকাশের কার্নিশে লেপ্টে থাকা পেঁজা মেঘের মতো, ঐ মেঘ কখনো বৃষ্টি হয়ে নামেনি তোমার বা তোমাদের নাগরিক কোলাহল কখনো থামেনি, অর্ধেক জীবন ফেলে এসে দেখি অনেক কিছু বদলে গেছে সেকি ! কোথায় হারালো কৈশোরের দিনলিপি বিপন্ন করা অবহেলা স্বপ্নকে অবদমনের স্বরলিপিতে আটকে ফেলা উপেক্ষা আর তারুণ্যকে ম্রিয়মাণ করে রাখার অবজ্ঞা। ওরা আমাকে চোখ রাঙাতে পারে না ঠিক তবে এখনো পোড় খাওয়া দিন বড্ড রঙিন, আমি আজ সমুদ্র জলে হাত রেখে বলে দিতে পারি কোন ঢেউয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে তোমাদের গোপন অশ্রুকণা, আকাশ পানে তাকিয়ে বুঝতে পারি কার দীর্ঘশ্বাসে ঝরে পড়ছে নক্ষত্র, এমনকি তুমি যে সম্রাজ্ঞীর বেশের আড়ালে মিহিন কষ্ট চেপে হয়েছো লাবণ্যময় পাষাণ, পাথর এটাও দেখতে পাই অন্তরদৃষ্টি দিয়ে। আমি জানি, দীর্ঘশ্বাসে ভরা এ আখ্যান যদি পেতো কবিতার রূপ সেই অবহেলা হতো বসন্ত স্বরুপ।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একটি ভালোবাসার নাম। তার উচ্চারিতো প্রতিটা শব্দ, কবিতার মতো মনে হয়।
th-cam.com/video/TuNyOG2V394/w-d-xo.html
একদম❤
উনার কবিতায় প্রক্রিত ভাব প্রকাশ পায়
Sottiii ami bimohito...
ঠিক
*বসন্ত নয় অবহেলা*
---দর্পণ কবির
বসন্ত নয়, আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিলো অবহেলা
ভেবেছিলাম, অনেকগুলো বর্ষা শেষে শরতের উষ্ণতা মিশে এলো বুঝি বসন্ত!
দরজা খুলে দেখি আমাকে ভালোবেসে এসেছে অবহেলা
মধ্য দুপুরের তির্যক রোদের মতো
অনেকটা নির্লজ্জভাবে আমাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা
আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম
আমার দীনদশায় কারো করুণা বা আর্তিব পেখম ছড়িয়ে আছে কি না
ছিলো না
বৃষ্টিহীন জনপদে খড়খড়ে রোদ যেমন দস্যুর মতো অদমনীয়
তেমনি অবহেলাও আমাকে আগলে রেখেছিলো নির্মোহ নিঃসংকোচিত
আমি অবহেলাকে পেছনে ফেলে একবার ভোঁ-দৌড় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম
তখন দেখি আমার সামনে কলহাস্যে দাঁড়িয়েছে উপেক্ষা
উপেক্ষার সঙ্গেও একবার কানামাছি খেলে এগিয়ে গিয়েছিলাম তোমাদের কোলাহল মুখর আনন্দ সভায়
কি মিলেছিলো?
ঠোঁট উল্টানো ভৎসনা আর অভিশপ্ত অনূঢ়ার মতো এক তাল অবজ্ঞা
তাও সয়ে গিয়েছিলো একটা সময়
ধরেই নিয়েছিলাম আমার কোনো কালেই হবে না রাবেন্দ্রিক প্রেম
তোমাদের জয়গানে করতালিতে নতজানু থেকেছিলো আমার চাপা আক্ষেপ লজ্জা
বুঝে গিয়েছিলাম জীবনানন্দময় স্বপ্ন আমাকে ছোঁবে না
জয়নুলের রঙ নিয়ে কল্পনার বেসাতি
হারানো দিনের গানের ঐন্দ্রালিক তন্ময়তা
বা ফুল, পাখি, নদীর কাব্যালাপে কারা মশগুল হলো, এ নিয়ে কৌতূহল দেখাবার দুঃসাহস আমি দেখাইনি কখনো
এত কিছু নেই জেনেও নজরুলের মতো বিদ্রোহী হবো, সেই অমিত শক্তিও আমার ছিলো না
মেনে নেয়ার বিনয়টুকু ছাড়া আসলে আমার কিছুই ছিলো না
শুধু ছিলো অবহেলা, উপেক্ষা আর অবজ্ঞা
হ্যাঁ, একবার তুমি বা তোমরা যেন দয়া করে বাঁকা চোখে তাকিয়েছিলে আমার দিকে
তাচ্ছিল্য নয়, একটু মায়াই যেন ছিলো
হতে পারে কাঁপা আবেগও মিশ্রিত ছিলো তোমার দৃষ্টিতে
ওইটুকুই আমার যা পাওয়া
আমি ঝড়ে যাওয়া পাতা, তুমি ছিলে আকস্মিক দমকা হাওয়া
তারপরও অবহেলার চাদর ছাড়িয়ে
উপেক্ষার দেয়াল ডিঙিয়ে
ও অবজ্ঞার লাল দাগ মুছে জীবনের কোনো সীমারেখা ভাঙতে পারিনি আমি
এ কথা জানে শুধু অন্তর্যামী
অনেক স্বপ্নপ্রবণ হয়ে একবার ভেবেছিলাম
এই অবহেলা তুষারপাতের মুখচ্ছবি, উপেক্ষা কাচের দেওয়াল, অবজ্ঞা কুচকুচে অন্ধকার
এর কিছুই থাকবে না একটি বসন্তের ফুঁৎকারে
একটি ঝলমলে পোশাক গায়ে চড়িয়ে হাতের মুঠোয় বসন্ত নিয়ে অন্তত একটি সন্ধ্যাকে উজ্জ্বল করে নেবো
এমন ভাবাবেগও ছিলো আকাশের কার্নিশে লেপ্টে থাকা পেঁজা মেঘের মতো
ঐ মেঘ কখনো বৃষ্টি হয়ে নামেনি
তোমার বা তোমাদের নাগরিক কোলাহল কখনো থামেনি
অর্ধেক জীবন ফেলে এসে দেখি অনেক কিছু বদলে গেছে
সেকি!
কোথায় হারালো কৈশোরের দিনলিপি বিপন্ন করা অবহেলা
স্বপ্নকে অবদমনের স্বরলিপিতে আটকে ফেলা উপেক্ষা
আর তারুণ্যকে ম্রিয়মাণ করে রাখার অবজ্ঞা
ওরা আমাকে চোখ রাঙাতে পারে না ঠিক, তবে এখনো পোড় খাওয়া দিন বড্ড রঙিন
আমি আজ সমুদ্র জলে হাত রেখে বলে দিতে পারি
কোন ঢেউয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে তোমাদের গোপন অশ্রুকণা
আকাশ পানে তাকিয়ে বুঝতে পারি কার দীর্ঘশ্বাসে ঝড়ে পড়ছে নক্ষত্র
এমনকি তুমি যে সম্রাজ্ঞীর বেশের আড়ালের মিহিন কষ্ট চেপে হয়েছো লাবণ্যময় পাষাণ, পাথর
এটাও দেখতে পাই অন্তরদৃষ্টি দিয়ে
আমি জানি, দীর্ঘশ্বাসে ভরা এ আখ্যান যদি পেতো কবিতার রূপ,
সেই অবহেলা হতো বসন্ত স্বরুপ।
ধন্যবাদ
🥺
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ বন্ধু
অসাধারণ
বসন্ত নয় আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিল অবহেলা।
ভেবেছিলাম অনেকগুলো বর্ষা শেষে শরতের উষ্ণতা মিশিয়ে এলো বুঝি বসন্ত!
দরজা খুলে দেখি আমাকে ভালোবেসে এসেছে অবহেলা।
মধ্য দুপুরে তীর্যক রোদের মত অনেকটা নির্লজ্জের মত আমাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা।
আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম আমার দীন দশায় কারো করুণা বা আর্তিব পেখম ছড়িয়ে আছে কী না!
ছিলো না।
বৃষ্টিহীন জনপদে খড়খড়ে রোদ যেমন দস্যুর মত অদমনীয়
তেমনি অবহেলাও আমাকে আগলে রেখেছিল নির্মোহ নিঃসঙ্কোচিত।
আমি অবহেলাকে পিছনে ফেলে একবার ভো-দৌড় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম।
তখন দেখি আমার সামনে কলহাস্যে দাঁড়িয়েছে উপেক্ষা।
উপেক্ষার সঙ্গেও একবার কানামাছি খেলে এগিয়ে গিয়েছিলাম তোমাদের কোলাহল মুখর আনন্দ সভায়।
কী মিলেছিলো?
ঠোঁট উলটানো ভৎসনা আর অভিশপ্ত অনূঢ়ার মত একতাল অবঙ্গা।
তাও শয়ে গিয়েছিলাম একটা সময়।
হ্যাঁ একবার তুমি বা তোমরা যেন দয়া করে বাঁকা চোখে তাকিয়েছিলে আমার দিকে।
তাচ্ছিল্য নয় একটু মায়াই যেন ছিল,
হতে পারে কাঁপা আবেগ ও মিশ্রিত ছিল তোমার দৃষ্টিতে।
ওইটুকুই আমার যা পাওয়া।
আমি ঝরে যাওয়া পাতা,
তুমি ছিলে আকষ্মিক দমকা হাওয়া।
তারপর ও অবহেলার চাদর ছাড়িয়ে উপেক্ষার দেয়াল ডিঙ্গিয়ে ও অবহেলার লাল দাগ মুছে জীবনের কোনো সীমারেখা ভাঙ্গতে পারিনি আমি।
একথা জানে শুধু অন্তর্যামী।
th-cam.com/video/TuNyOG2V394/w-d-xo.html
দিলেন যখন পুরোচা দিতেন। মাঝখানে অনেকটা নেই। শেষের দিকে বেশ খানিকটা নেই। যা দিয়েছেন, তাতে একটা শব্দে আর প্রচুর বানানে ভুল আছে। তবুও ধন্যবাদ।
Asif Hossin hoss
লেখক কে একটু বলবেন?
সব ভাষা যেন হাড়ে ফেলিছি...
কিছুই করার নাই আমার শুধু মেনে নেওয়া ছারা
এখন অনেক গভীর রাত। প্রতিটি শব্দ এসে যেন কানে কান পেতে মিশে যাচ্ছে। মনে হয় জীবনের হুবহু উচ্চারণ।
ভালবাসা আর পরম শ্রদ্ধার অপর নাম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
অসাধারণ..
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর কন্ঠে কবিতা যেন ছবি হয়ে ফুটে উঠে....
Asadharan
প্রতিদিন যতোবারই তোমার কথা মনে পড়ে, ততোবারই এই কবিতাটা দুচোখ বন্ধ করে হৃদয় দিয়ে শুনি। দিনে কতোবার শুনি তা গুনে রাখি না।
আর মনে করিয়ে দেয় তোমার অবহেলা আর উপেক্ষা।
যখনই মনে হয়,বাঙলায় রুচিবোধের মূল্য যে সমাজ রূপী হাটে আকাশচুম্বী,...... সেখানে আপনার মতো শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে যখন, মাটির সিকির মূল্যে এমন উপহার, দিতে দেখি....ভালো লাগে।
অসাধারণ স্যার❤
অদ্বিতীয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি আছের আমাদের অন্তরে বাহিরে। বাংলাদেশের ভালবাসা।
সৌমিত্র স্যার আজ আপনি যেখানেই থাকুন না কেন আপনার সুমধুর কন্ঠ স্বর প্রত্যেক আবৃত্তিপ্রেমীদের কাছে আজীবন বেঁচে থাকবেন 🙏
আর অবহেলা আপনাকে কখনোই ছোবে না,.......😥
ওপারে ভাল থাকবেন প্রিয় বাচিকশিল্পী ❤️
😥😥
🥲🥲🥲🥲🥲🥲
আজ ৪ বছর ধরে কবিতাটি শুনছি, প্রতিবারই নতুন করে আবিষ্কার করতে পারি, একবারও মনে হয়নি পুরনো,,,, সৌমিত্র চট্রোপাধ্যায় যেদিন চলে গেলেন কত কাঁদলাম, মনে হচ্ছিল মানুষটা কতকিছু দিয়ে গেলে, যদি পারতাম একটাবার তাকে প্রণাম করতে, 🙏
বসন্ত নয়,
আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিলো অবহেলা
ভেবেছিলাম অনেক গুলো বর্ষা শেষে
শরৎ এর উষ্ণতা মিশে এ এলো বুঝি বসন্ত
দরজা খুলে দেখি আমাকে ভালোবেসে এসেছে অবহেলা
মধ্য দুপুরের তির্যক রোদের মতো
অনেকটা নির্লজ্জ ভাবে আমাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা
আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম
আমার দীনদশায় কারো করুণা বা আর্তিব পেখম ছড়িয়ে আছে কিনা
ছিলো না
বৃষ্টিহীন জনপদে খড়খড়ে রোদ যেমন দস্যুর মতো অদমনীয়
তেমনি অবহেলাও আমাকে আগলে রেখেছিলো নির্মোহ নিঃসংকোচিত
আমি অবহেলাকে পেছনে ফেলে একবার ভো দৌড় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম
তখন দেখি আমার সামনে কলহাস্যে দাঁড়িয়েছে উপেক্ষা
উপেক্ষার সঙ্গেও একবার কানামাছি খেলে এগিয়ে গিয়েছিলাম
তোমাদের কোলাহল মুখর আনন্দ সভায়
কি মিলেছিলো?
ঠোট উল্টানো ভৎসনা আর অভিশপ্ত অনূঢ়ার মতো এক তাল অবজ্ঞা
তাও সয়ে গিয়েছিলো একটা সময়
ধরেই নিয়েছিলাম আমার কোনো কালেই হবে না রাবেন্দ্রিক প্রেম
তোমাদের জয় গানে করতালিতে নতজানু থেকেছিলো আমার চাপা আক্ষেপ লজ্জা
বুঝে গিয়েছিলাম জীবনানন্দময় স্বপ্ন আমাকে ছোঁবে না
জয়নুলের রঙ নিয়ে কল্পনার বেসাতি
হারানো দিনের গানের ঐন্দ্রালিক তন্ময়তা বা
ফুল পাখি নদীর কাব্য আলাপে কারা মশগুল হলো
এ নিয়ে কৌতূহল দেখাবার দুঃসাহস আমি দেখাইনি কখনো
এত কিছু নেই জেনেও নজরুল এর মতো
বিদ্রোহী হবো সেই অমিত শত্রুও আমার ছিলো না
মেনে নেয়ার বিনয়টুকু ছাড়া আসলে আমার কিছুই ছিলো না
শুধু ছিলো অবহেলা, উপেক্ষা আর অবজ্ঞা
হ্যাঁ একবার তুমি বা তোমরা যেন দয়া করে বাকা চোখে তাকিয়েছিলে আমার দিকে
তাচ্ছিল্য নয় একটু মায়াই যেন ছিলো
হতে পারে কাপা আবেগও মিশ্রিত ছিলো তোমার দৃষ্টিতে
ওইটুকুই আমার যা পাওয়া
আমি ঝড়ে যাওয়া পাতা,
তুমি ছিলে আকর্ষিক দমকা হাওয়া
তারপরও অবহেলার চাদর ছাড়িয়ে উপেক্ষার
দেয়াল ডিঙিয়ে ও অবজ্ঞার লাল দাগ মুছে
জীবনের কোনো সীমারেখা ভাঙতে পারিনি আমি
এ কথা জানে শুধু অন্তর্যামী
অনেক স্বপ্ন প্রবণ হয়ে একবার ভেবেছিলাম,
এই অবহেলা তুষারপাতের মুখচ্ছবি,
উপেক্ষার কাচের দেয়াল, অবজ্ঞা কুচকুচে অন্ধকার
এর কিছুই থাকবেনা একটি বসন্তের ফুঁৎকারে
একটি ঝলমলে পোশাক গায়ে চড়িয়ে হাতের মুঠোয়
বসন্ত নিয়ে অন্তত একটি সন্ধ্যাকে উজ্জ্বল করে নেবো
এমন ভাবাবেগ ছিলো আকাশের কার্নিশে ল্যাপ্টে থাকা প্যাঁচা মেঘের মতো
ঐ মেঘ কখনো বৃষ্টি হয়ে নামেনি
তোমার বা তোমাদের নাগরিক কোলাহল কখনো থামেনি
অর্ধেক জীবন ফেলে এসে দেখি
অনেক কিছু বদলে গেছে
সেকি! কোথায় হারালো কৌশোরের দিনলিপি?
বিপন্ন করা অবহেলা স্বপ্নকে অবদমনের সরলিপিতে আটকে ফেলা
উপেক্ষা আর তারুণ্যকে ম্রিয়মাণ করে রাখার অবজ্ঞা
ওরা আমাকে চোখ রাঙাতে পারে না ঠিক
তবে এখনো পোড়খাওয়া দিন বড্ড রঙিন
আমি আজ সমুদ্র জলে হাত রেখে বলে দিতে পারি,
কোন ঢেউ এ ভেসে বেড়াচ্ছে তোমাদের গোপন অশ্রুখানা
আকাশ পাণে তাকিয়ে বুঝতে পারি,
কার দীর্ঘশ্বাসে ঝড়ে পড়ছে নক্ষত্র
এমনকি তুমি যে সম্রাজ্ঞীর বেশের আড়ালে
মিহিন কষ্ট চেপে হয়েছো লাবণ্যময় পাষাণ, পাথর
এটাও দেখতে পাই অন্তর দৃষ্টি দিয়ে
আমি জানি দীর্ঘশ্বাসে ভরা এ আখ্যান যদি
পেতো কবিতার রূপ সে অবহেলা হতো বসন্ত সরূপ
♥♥
বেধে রেখে লাভ নেই,উড়তে দিয়ে দেখো.....
দিনের শেষে ফিরি যদি তখন আকড়ে রেখো...
পিকু
Thanks
Dhonnobad...🙂
এত সুন্দর, এত ছুঁয়ে যায় যে কবি দর্পন কবিরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। সাথে আবৃত্তিকার❤
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর কবিতা মাঝ পথে ছাড়া যায়না. অপূর্ব,
সৌমিত্র সাহেব, আপনার নিদারুণ বচনভঙ্গি ভুলে যাবার সাধ্য নেই বাংলা ভাষার। ❤️
সৌমিএ স্যার এই কবিতাটিতে যেন নিজেকে খুঁজে পেলাম।আপনার গলায় কবিতা শুনতে খুব ভালো লাগে । দারুণ লাগে ।
স্বর্গীয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আবৃত্তি আমাদের মন ভরিয়ে তোলে অসাধারণ বাচন ভঙ্গি।
আপনি অন্তত কাল বাঙালির হৃদয়ে থাকবেন...🙏🙏
শুধুমাত্র বাংলাদেশী বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত হিসেবে জন্মে নিজেকে নিয়ে অনেক অনেক গর্ব করি । এই কবিতা যেন সৌমিত্র দাদা ঠিক আমাকে নিয়েই লিখেছেন। প্রতিটি বাঙ্গালী তরুন নিজেকে কখনো কালবেলায় কখনো হুমায়ুনের হিমুতে কখনো সৌমিত্রের কবিতায় খুজে পাই। এই জন্য বলি আমরা জাতটাই আলাদা , আমাদের ভাষা আবেগ বুঝার সৌভাগ্য কম অবাঙ্গালীরই হয়েছে ।
ছোট্ট একটি সংশোধনঃ কবিতাটি কবি দর্পণ কবির লিখেছেন।
অজস্র বার শুনছি এই কবিতাটা। বারবার শুধু শুনতেই ইচ্ছে করে। সত্যিই ভগবান যেন হাজার বছর বেঁচে রাখেন এমন মানুষগুলোকে। কবিকে এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা
আহা
কি আবৃত্তি, কোথায় যেনো হাড়িয়ে গেছি কিছুক্ষণের জন্য ।
শতবার শুনার পরেও মন ভরে না কেন? আসলে জীবনটাই অবহেলা... জীবনের সাথে মিলে যায়। তাই ত যখন খারাপ লাগে এই কবিতাটি শুনি ....
Kotha gulo vison jibontu..Amr jhuli vora ache sudhu tumer obohela,obogga r upekkha....!
এই কবিতা আবৃত্তিটি সব চেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার.. আরও একটি মেহেদী পাতার রং..!
প্রতিটি শব্দ যেন মনের গভীর ক্ষতগুলিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল...... সত্যি এতো বসন্ত নয় অবহেলা.. 🙂
Km CH cu CI boo boo NL ml
CHe TV
অসাধারণ আবৃতি । ভালো থাকবেন অপারে।
অসম্ভব সুন্দর , অসাধারণ শৈলী আর মিষ্টি গলা তোমার . তুমি অন্যন্য . আগ্রহী হয়ে রইলাম পরবর্তী কবিতার জন্যে
জানিনা আমার বয়সে উনাকে আর কে কে পছন্দ করেন,, তবে প্রথম প্রাক্তন সিনেমায় উনার কবিতা আবৃতি শুনে উনার আবৃত্তির প্রেমে পড়ে গেছি,,,
অসম্ভব ভালো লাগে আমার!!🥰🥰
প্রাক্তন এর পর থেকে ইউ টিউব এ উনার কবিতা আবৃত্তি খুজে বেরাই,আর মুগ্ধ হয়ে শুনি,,
আমার বয়স এখন উনিশ,, যখন ক্লাস নাইন এ ছিলাম তখন কবিতা আবৃত্তি করতাম ভালো লাগতো,এটা সেটা করতে করতে হারিয়ে গেছে আবৃত্তি করা টা কিন্তু এখনো আবৃত্তি শুনলে সাথে সাথে ঠোঁট মেলাই,নিজেকে হারিয়ে ফেলি,,,
এখন চেষ্টা করি উনার মতো করে বাস্তবিকতা নিয়ে ভালোবেসে,নিজেকে সপে দিয়ে আবৃত্তি করতে😍😍
জানিনা কতটুকু পারবো!!
(পাঞ্জেরী, সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ)
ও হ্যা,পাঞ্জেরী কবিতার কথা বলিনি,এটা আমার নাম
একে একে পৃথিবী থেকে কিংবদন্তীদের বিদায় হচ্ছে,,,,,আমরা হারাচ্ছি মহাকালের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের😟
কবিতার সুর মূর্ছনায় মিষ্টি উচ্চারণের
ভাবাবেগে আমি কল্পনার মহা সমুদ্রে এক
স্বপ্নীল বাসর গড়েছি। সেখানে একান্তই
শুধুই তোমার আমার পদচারণা ❤️❤️❤️
শতবার শুনেছি। মনে হচ্ছে দর্পন কবির সৌমিত্র দার জন্য কবিতাটি লিখেছিল।কবি ও আবৃত্তিকারের অসম্ভব সম্মিলন।❤
NELOY BISWAS sotti tai
অপুরুপ সুন্দর যুগল বন্দি।
ধন্যবাদ, আপনাকে। ভাল লাগল।
@@darpankabir9824 অসামান্য লেখনী আপনার। আর আবৃত্তিকার সম্বন্ধে কিছু বলার নেই, রেখে গেলেন আমাদের অপূরণীয় দৈন্যের মধ্যে
..জীবন এক বহতা নদী..
জীবনের আরো এক বছর কমে গেলো
কিছু পুরনো স্মৃতি পিছনে রয়ে গেলো
কিছু মনের আশা মনেই থেকে গেলো।
কিছু না চেয়েই পেয়ে গেলাম
কিছু মনের অজান্তে ছেড়ে চলে আসলাম
কিছু নতুন পেয়ে গেলাম
কিছু পুরনো ভুলে গেলাম।
কেউ চলে গেলো, আবার কেউ নতুন করে আসলো।
কেউ আমার সাথে অভিমান করলো
কেউ আবার পাশে রয়ে সান্ত্বনা দিলো।
কেউ রাগ করলো, কেউ আবার মাঝেমাঝে খুশি হলো।
কেউ আমায় ভুলেই গেলো, মনের ঘরে কবর দিলো
কেউ আবার মনের ঘরে রেখে দিলো।
কেউ আমার জন্য অপেক্ষায়
না হয় আমি কারো জন্যে রইলাম আশায় আশায়।
আমি কখনওবা সুখী
আবার কখনওবা দুঃখী।
আমি কখনো শান্ত, আবার কখনো অশান্ত।
কখনো হাটছি কিছু ভুলের সাথে
আবার সময় সুযোগ বুজে সঠিক পথে।
কখনো আমি অসুস্থ, আবার কখনো সুস্থ।
এভাবেই চলে যায় জীবন থেকে দিন
রয়ে যায় নিজের ভেতর নিজের কিছু চির চেনা ঋণ
কথোপকথন হয় প্রতিদিন।
ভুল গুলো ভুলে যেও, ঠিক গুলো মনে রেখে দিও।
সুখ শান্তি ভালবাসায় ভরে থাকুক আমাদের সবার জীবন এই প্রার্থনা সবসময়ের।
ভালবাসা রইলো অফুরন্ত।
হ্নদয়ে রেখে দেবেন অনন্ত।
১/১/২০২০ জানি না কতদিন এই কথাগুলো কতজন শুনবেন। আজ
প্রথম আমি শুনলাম।
যে যতদিন শুনবেন ততদিন ভালবাসা অবিরাম।
বাংলাদেশ, সিলেট।
😭
@@mdriazahmed4922 🌹🌹🌹🌹🌹🌹
Dada apnar kotha gulao to onk sundhor
Amr monta onk vhalo hoye geche 🙏
Khub valo laglo apnar SRODDHA nibedon er ei lekhata..from INDIA, KOLKATA
এমন কণ্ঠস্বর প্রতিভার অধিকারী বাঙালি জাতি আর কখনো পাবে কিনা জানিনা
শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে বলছি প্রাণের লেখা মধুর আবৃত্তি , অসাধারণ ।
প্রশংসনীয় উচ্চারণ ভঙ্গি!! এই বয়সে শব্দের মাঝেও এত দরদ সত্যি ভাবায় যায় না৷
আমি মুগ্ধ!!
তুমি এভাবে চলে যেতে পারো না
আমাদের সবার প্রিয় "অপু"...🙏
th-cam.com/video/RooqntDR20I/w-d-xo.html
অভিভূত হয়ে গেলাম। এতো সুন্দর করে ও বলা যায়।
এই লোকটাকে আমি কতটা ভালোবাসি,লোকটা কি জানবে❤
❤️❤️
Uttam Kumar amake jatota na bishmito korechilo tar chey hajar gun beshi akorshon korechilen tini. Shawmitro chilen amar kache maha nayak.. chirokal thabe..
Jodi legend bole kichu hoi tahole seta soumitra chattopadhyay ❤️
তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় নাতো কভু
আমরা অবোধ,অন্ধ মায়ায় তাইতো কাঁদি প্রভু"----স্মৃতির সরনী আলোকিত করে বাংলা সংস্কৃতির এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলো অম্লান আছে,থাকবে🙏🙏
এত ভালো লাগে কেনো? যত শুনি ততোই ভালো লাগে লাগে
শিল্পীর মৃত্যু হয় না,তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে আজীবন অমর হয়ে থাকেন গুণমুগ্ধদের মধ্যে🙏🙏
th-cam.com/video/RooqntDR20I/w-d-xo.html
Wonderful personality,great voice, perfect benguli pronunciation....I don't miss his reciting poem ... Thanks sir.
অসম্ভব ভালো লাগে সৌমিত্র স্যারের কণ্ঠে উচ্চারিত প্রতিটা শব্দ, প্রতিটা কথা। খুব ভালো লেগেছে "বসন্ত নয় অবহেলা" আবৃত্তি টা যা মিলে যায় জীবনেব সাথে।
অসাধারণ, জানি হৃদয়ের সেই উৎস থেকে উঠে আসে তোমার কবিতা, যা বিষন্ন করে মন, আবেগে, অভিমানে ভাসায়, ভালো থেকো প্রিয় নায়ক ♥️👌💞
কি অপূর্ব আবৃত্তি পাঠ শুনে প্রানে ভরে গেল । ওনার আরো দীর্ঘ জীবন কামনা করি ।
th-cam.com/video/LmNTx09a7H8/w-d-xo.html
যেকোনো কবিতাই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্ঠে অসাধারন হয়ে ওঠে।😊😊
nicc
অপরূপ কবিতা। কবিতার শব্দগুচ্ছ কে সমৃদ্ধ করেছে এমন মহান শিল্পীর অপূর্ব কণ্ঠস্বর এর মাদকতা ।
😍😍😍
সেই অবহেলা হত,বসন্ত সরূপ ❤❤
Asadharon akta kobita... Soumitra Chattopadhyay er konthe anno akta matra peyeche...monke chhuye galo...
বসন্ত নয়, আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিলো অবহেলা
ভেবেছিলাম, অনেকগুলো বর্ষা শেষে শরতের উষ্ণতা মিশে এলো বুঝি বসন্ত!
দরজা খুলে দেখি আমাকে ভালোবেসে এসেছে অবহেলা
মধ্য দুপুরের তির্যক রোদের মতো
অনেকটা নির্লজ্জভাবে আমাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা
আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম
আমার দীনদশায় কারো করুণা বা আর্তিব পেখম ছড়িয়ে আছে কি না
ছিলো না
বৃষ্টিহীন জনপদে খড়খড়ে রোদ যেমন দস্যুর মতো অদমনীয়
তেমনি অবহেলাও আমাকে আগলে রেখেছিলো নির্মোহ নিঃসংকোচিত
আমি অবহেলাকে পেছনে ফেলে একবার ভোঁ-দৌড় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম
তখন দেখি আমার সামনে কলহাস্যে দাঁড়িয়েছে উপেক্ষা
উপেক্ষার সঙ্গেও একবার কানামাছি খেলে এগিয়ে গিয়েছিলাম তোমাদের কোলাহল মুখর আনন্দ সভায়
কি মিলেছিলো?
ঠোঁট উল্টানো ভৎসনা আর অভিশপ্ত অনূঢ়ার মতো এক তাল অবজ্ঞা
তাও সয়ে গিয়েছিলো একটা সময়
ধরেই নিয়েছিলাম আমার কোনো কালেই হবে না রাবেন্দ্রিক প্রেম
তোমাদের জয়গানে করতালিতে নতজানু থেকেছিলো আমার চাপা আক্ষেপ লজ্জা
বুঝে গিয়েছিলাম জীবনানন্দময় স্বপ্ন আমাকে ছোঁবে না
জয়নুলের রঙ নিয়ে কল্পনার বেসাতি
হারানো দিনের গানের ঐন্দ্রালিক তন্ময়তা
বা ফুল, পাখি, নদীর কাব্যালাপে কারা মশগুল হলো, এ নিয়ে কৌতূহল দেখাবার দুঃসাহস আমি দেখাইনি কখনো
এত কিছু নেই জেনেও নজরুলের মতো বিদ্রোহী হবো, সেই অমিত শক্তিও আমার ছিলো না
মেনে নেয়ার বিনয়টুকু ছাড়া আসলে আমার কিছুই ছিলো না
শুধু ছিলো অবহেলা, উপেক্ষা আর অবজ্ঞা
হ্যাঁ, একবার তুমি বা তোমরা যেন দয়া করে বাঁকা চোখে তাকিয়েছিলে আমার দিকে
তাচ্ছিল্য নয়, একটু মায়াই যেন ছিলো
হতে পারে কাঁপা আবেগও মিশ্রিত ছিলো তোমার দৃষ্টিতে
ওইটুকুই আমার যা পাওয়া
আমি ঝড়ে যাওয়া পাতা, তুমি ছিলে আকস্মিক দমকা হাওয়া
তারপরও অবহেলার চাদর ছাড়িয়ে
উপেক্ষার দেয়াল ডিঙিয়ে
ও অবজ্ঞার লাল দাগ মুছে জীবনের কোনো সীমারেখা ভাঙতে পারিনি আমি
এ কথা জানে শুধু অন্তর্যামী
অনেক স্বপ্নপ্রবণ হয়ে একবার ভেবেছিলাম
এই অবহেলা তুষারপাতের মুখচ্ছবি, উপেক্ষা কাচের দেওয়াল, অবজ্ঞা কুচকুচে অন্ধকার
এর কিছুই থাকবে না একটি বসন্তের ফুঁৎকারে
একটি ঝলমলে পোশাক গায়ে চড়িয়ে হাতের মুঠোয় বসন্ত নিয়ে অন্তত একটি সন্ধ্যাকে উজ্জ্বল করে নেবো
এমন ভাবাবেগও ছিলো আকাশের কার্নিশে লেপ্টে থাকা পেঁজা মেঘের মতো
ঐ মেঘ কখনো বৃষ্টি হয়ে নামেনি
তোমার বা তোমাদের নাগরিক কোলাহল কখনো থামেনি
অর্ধেক জীবন ফেলে এসে দেখি অনেক কিছু বদলে গেছে
সেকি!
কোথায় হারালো কৈশোরের দিনলিপি বিপন্ন করা অবহেলা
স্বপ্নকে অবদমনের স্বরলিপিতে আটকে ফেলা উপেক্ষা
আর তারুণ্যকে ম্রিয়মাণ করে রাখার অবজ্ঞা
ওরা আমাকে চোখ রাঙাতে পারে না ঠিক, তবে এখনো পোড় খাওয়া দিন বড্ড রঙিন
আমি আজ সমুদ্র জলে হাত রেখে বলে দিতে পারি
কোন ঢেউয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে তোমাদের গোপন অশ্রুকণা
আকাশ পানে তাকিয়ে বুঝতে পারি কার দীর্ঘশ্বাসে ঝড়ে পড়ছে নক্ষত্র
এমনকি তুমি যে সম্রাজ্ঞীর বেশের আড়ালের মিহিন কষ্ট চেপে হয়েছো লাবণ্যময় পাষাণ, পাথর
এটাও দেখতে পাই অন্তরদৃষ্টি দিয়ে
আমি জানি, দীর্ঘশ্বাসে ভরা এ আখ্যান যদি পেতো কবিতার রূপ
সেই অবহেলা হতো বসন্ত স্বরুপ
Khuub sundar
ধীর, শান্ত , দৃঢ় কণ্ঠস্বর ...অসম্ভব পরিশীলিত উচ্চারণ ... তুলনাবিহীন ওঁর কবিতাপাঠ ... আর আবেগবিহ্বল মুগ্ধ শ্রোতা আমি - আপনাকে প্রণাম ৷
Thank you
প্রিয় একটা কবিতা, প্রিয় মানুষের কণ্ঠে,,💙✨
অবহেলা, উপেক্ষা ও অব্যগা,,,,অসাধারণ
No words to say. আবার ও কাঁদালেন আপনি।
বসন্ত নয়।অবহেলা এসেছিলো জীবনে ভালোবাসার ছদ্মবেশে।সেই অবহেলাই রয়ে গেলো, আমি হেরে গেলাম।জীবনের সেই দৌড়ে সত্যিই হেরে গেলাম।
ভাষার অদ্ভুত আলিঙ্গন !
আপনার কন্ঠের মায়াজালে বসন্ত যেন আরো রঙীন!
th-cam.com/video/LmNTx09a7H8/w-d-xo.html
যতবার শুনি ততো বেশি শুনতে ইচ্ছে করে❤️
প্রিয় মানুষ গুলোর কাছ থেকে অবহেলা পেতে পেতে আজ খুবই ক্লান্ত! মাঝে মাঝে মনে হয় আত্মহত্যা করি,তাও পারিনা! হে ভগবান,আমাকে মুক্তি দাও.............
অসাধারন স্যার.. মন ছুঁয়ে গেলো প্রতিটি চরণ..…
😍😍😍
কারো কারো জীবন এর বাস্তবতা কি সুন্দর ভাবে তোলা🖤
Ki opurbo gola ❤❤
Asadharon sundar. Apnar konthe jibonta hoye uthche ai kobita.
বসন্ত 9 অবহেলা।।
স্যার সেই ভয়েস। অসাধারণ👏✊👍
*যতবার শুনি মন ভরে যায়.....* ♥️♥️♥️
যতবার শুনি ততবারই আরও মুগ্ধ হই।
এই কবিতায় যেন নিজেকে খুঁজে পাই। কত বার শুনেছি তার কোনো হিসাব নেই।
কত কত বার যে শুনি তার কোনো হিসাব নেই।
দারুন কবিতা, দারুন আবৃত্তি ; মন ভরে গেল
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর প্রয়ানে আমরা শোকস্তব্ধ। The Bong Reflection.
আহা কি অপূর্ব কণ্ঠ ,....
অনবদ্য, অসাধরণ। জানি না নতুন প্রজন্ম এ হাল ধরতে পারবে কি না ।
আহা কণ্ঠ..... ♥♥♥
২০২০ প্রথম শুনলাম ♥
th-cam.com/video/RooqntDR20I/w-d-xo.html
Ahaaaa osadharon....... Pronam neben Soumitra da
এই কথা গুলো মনের কোথায় গিয়ে লাগে বোঝা যাই না এই মানুষটাকে কেউ ভুলতে পারবো না।😭😭😭😭😭
ভীষণ সুন্দর কবিতা, সাথেই সৌমিত্র দার আবৃত্তি !!!
আমার চ্যানেল থেকে দাদার জন্য রইলো শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ❤️🎀🌷🌼
Amar jiboner sathe moner sathe puro mile jay ei kobita. Vison vison priyo eta amar. Soumitra babuke ajoshro dhonyobad eta upohar debar jonyo
Apurbo.............
জীবন মরণ সীমানা ছাড়ায়ে বন্ধু হে আমার রয়েছো দাঁড়িয়ে।
উচ্চারণ ভঙ্গি আর বচন এক অকৃত্রিম মৌলিক সৃষ্টি । যেন কানে বারে বার বাজে ও কেবলই শুনতে ইচ্ছে করে।
মন্ত্রমুগ্ধ আমি। কোনো কথা হবে না।
Who is here after hear his death? He is on of the best artist in the world. You will be missed sir. #RIP
আমিও জানি আর জানে আমার অন্তরযামি,,,'কতো সাজানো গুছানো অবহেলা '
কবিতা আর আবৃত্তি ..খুব সুন্দর।
Joto bari suni suntei mon jai....
Jotobar sunechi totobar kedechi ❤
Joto bar suni toto bar e chokhe jol ase jai 🥺🥺
Apurbo,sir apurbo.eto valo laglo je,ki bolbo.
Darun sundor .amar moto aneker kothai jeno shunte pelam .chokh jole vore jachhe . modhu konthi shilpi ke pronam kobike preety vora dhonnobad .
অসাধারণ আবৃত্তি, খুব ভালোলাগলো!
ভালোবাসা রইলো!!
অপূর্ব অসাধারন!!!!👌👌👌
আহা বড্ডো সুন্দর
এই মানুষটার আবৃত্তি আমাকে বার বার কাঁদায়।
ঠিক বলেছেন
শতশত বার শুনেছি আরো শুনতে। আরো শুনতে ইচ্ছা করে।আমার জীবনের সাথে কি চমৎকার মিল
Osadharon 🙏 Pala Dutta
এই কবিতার কথা গুলো আমার জীবনের সাথে মিলে গেছে
আমি ৫০ বছর বয়সেও তোমার অবহেলার চাদর গায়ে দিয়ে এই কবিতাটা শুনতে চাই... 💔💔💔
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অসাধারণ কবিতা আবৃত্তি।
অপুর্ব মধুর শুরে মনের বেদনা মহন কথা গুলো শুনে মনটা দুংখে ভারাক্রন্ত💔😥😥😥💔💔💔
অসাধারণ.....!
**বসন্ত নয় অবহেলা*
- দর্পণ কবীর
বসন্ত নয়,
আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিলো অবহেলা
ভেবেছিলাম, অনেকগুলো বর্ষা শেষে
শরতের উষ্ণতা মিশে এলো বুঝি বসন্ত।
দরজা খুলে দেখি
আমাকে ভালোবেসে এসেছে অবহেলা,
মধ্য দুপুরের তির্যক রোদের মতো
অনেকটা নির্লজ্জভাবে
আমাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো
অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা,
আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলাম
আমার দীনদশায় কারো করুণা বা আর্তিব
পেখম ছড়িয়ে আছে কি না, ছিলো না।
বৃষ্টিহীন জনপদে
খড়খড়ে রোদ যেমন দস্যুর মতো অদমনীয়
তেমনি অবহেলাও আমাকে আগলে রেখেছিলো
নির্মোহ নিঃসংকোচিত,
আমি অবহেলাকে পেছনে ফেলে
একবার ভোঁ-দৌড় দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম
তখন দেখি আমার সামনে কলহাস্যে দাঁড়িয়েছে
উপেক্ষা,
উপেক্ষার সঙ্গেও একবার
কানামাছি খেলে এগিয়ে গিয়েছিলাম
তোমাদের কোলাহল মুখর আনন্দ সভায়,
কি মিলেছিলো?
ঠোঁট উল্টানো ভৎসনা
আর অভিশপ্ত অনূঢ়ার মতো এক তাল অবজ্ঞা,
তাও সয়ে গিয়েছিলো একটা সময়
ধরেই নিয়েছিলাম আমার কোনো কালেই হবে না
রাবেন্দ্রিক প্রেম,
তোমাদের জয়গানে
করতালিতে নতজানু থেকেছিলো
আমার চাপা আক্ষেপ লজ্জা।
বুঝে গিয়েছিলাম জীবনানন্দময় স্বপ্ন
আমাকে ছোঁবে না
জয়নুলের রঙ নিয়ে কল্পনার বেসাতি
হারানো দিনের গানের ঐন্দ্রালিক তন্ময়তা
বা ফুল, পাখি, নদীর কাব্যালাপে
কারা মশগুল হলো,
এ নিয়ে কৌতূহল দেখাবার দুঃসাহস
আমি দেখাইনি কখনো।
এত কিছু নেই জেনেও
নজরুলের মতো বিদ্রোহী হবো
সেই অমিত শক্তিও আমার ছিলো না,
মেনে নেয়ার বিনয়টুকু ছাড়া
আসলে আমার কিছুই ছিলো না,
শুধু ছিলো অবহেলা, উপেক্ষা আর অবজ্ঞা।
হ্যাঁ, একবার
তুমি বা তোমরা যেন দয়া করে
বাঁকা চোখে তাকিয়েছিলে আমার দিকে,
তাচ্ছিল্য নয়, একটু মায়াই যেন ছিলো
হতে পারে কাঁপা আবেগও মিশ্রিত ছিলো
তোমার দৃষ্টিতে
ওইটুকুই আমার যা পাওয়া,
আমি ঝরে যাওয়া পাতা
তুমি ছিলে আকস্মিক দমকা হাওয়া,
তারপরও অবহেলার চাদর ছাড়িয়ে
উপেক্ষার দেয়াল ডিঙিয়ে
ও অবজ্ঞার লাল দাগ মুছে
জীবনের কোনো সীমারেখা ভাঙতে পারিনি আমি,
এ কথা জানে শুধু অন্তর্যামী
অনেক স্বপ্নপ্রবণ হয়ে একবার ভেবেছিলাম
এই অবহেলা তুষারপাতের মুখচ্ছবি
উপেক্ষা কাঁচের দেওয়াল
অবজ্ঞা কুচকুচে অন্ধকার
এর কিছুই থাকবে না একটি বসন্তের ফুঁৎকারে।
একটি ঝলমলে পোশাক গায়ে চড়িয়ে
হাতের মুঠোয় বসন্ত নিয়ে
অন্তত একটি সন্ধ্যাকে উজ্জ্বল করে নেবো,
এমন ভাবাবেগও ছিলো আকাশের কার্নিশে
লেপ্টে থাকা পেঁজা মেঘের মতো,
ঐ মেঘ কখনো বৃষ্টি হয়ে নামেনি
তোমার বা তোমাদের নাগরিক কোলাহল
কখনো থামেনি,
অর্ধেক জীবন ফেলে এসে দেখি
অনেক কিছু বদলে গেছে
সেকি !
কোথায় হারালো কৈশোরের দিনলিপি
বিপন্ন করা অবহেলা
স্বপ্নকে অবদমনের স্বরলিপিতে আটকে ফেলা
উপেক্ষা
আর তারুণ্যকে ম্রিয়মাণ করে রাখার
অবজ্ঞা।
ওরা আমাকে চোখ রাঙাতে পারে না ঠিক
তবে এখনো পোড় খাওয়া দিন বড্ড রঙিন,
আমি আজ সমুদ্র জলে হাত রেখে বলে দিতে পারি
কোন ঢেউয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে
তোমাদের গোপন অশ্রুকণা,
আকাশ পানে তাকিয়ে বুঝতে পারি
কার দীর্ঘশ্বাসে ঝরে পড়ছে নক্ষত্র,
এমনকি তুমি যে সম্রাজ্ঞীর বেশের আড়ালে
মিহিন কষ্ট চেপে হয়েছো লাবণ্যময় পাষাণ, পাথর
এটাও দেখতে পাই অন্তরদৃষ্টি দিয়ে।
আমি জানি,
দীর্ঘশ্বাসে ভরা এ আখ্যান
যদি পেতো কবিতার রূপ
সেই অবহেলা হতো বসন্ত স্বরুপ।