আনারস খাচ্ছেন নাকি বিষ! বিষযুক্ত আনারসে সয়লাব বাজার। ভিটামিনের বদলে শরীরে প্রবেশ করছে বিষ। pineapple
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 17 พ.ย. 2024
- ইফতারিতে আনারস খাচ্ছেন নাকি বিষ? বাজারে সয়লাব বিষযুক্ত জলডুগি আনারসে। বিষযুক্ত আনারস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। অতি মুনাফার লোভে বিষ দিয়ে পাকানো হয়েছে আনারস। অপরিপক্ক আনারসে বাজার সয়লাব। সময়ের আগেই রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হচ্ছে আনারস। টাঙ্গাইল মধুপুরের আনারস। বিষ দিয়ে সময়ের আগেই পাকানো হলো জলডুগি আনারস।
#বিষযুক্তআনারস #আনারস #pineapple
এই আনারসের নাম জলডুগি আনারস। টাঙ্গাইলের মধুপুরের বিশাল এলাকা জুড়ে এর চাষ হয়। স্বাভাবিকভাবে চারা রোপণ থেকে আনারস পাকা পর্যন্ত সময় লাগে ১২ মাস। সেই হিসেবে আসছে জুন জুলাইয়ে বাজারে আসার কথা ছিলো রসালো এই ফলটির। কিন্তু রমজান মাসে বেশি চাহিদার কথা মাথায় রেখে আর অতিরিক্ত মুনাফার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় মার্চ মাসেই পাকিয়ে ফেলা হয়েছে এই আনারস। এক্ষেত্রে মুনাফালোভী কৃষক ও অসাধু ব্যবসায়ীরা মিলে আনারসের চারায় গুটি ধরা, বড় করা ও পাকানোর কাজটি করছেন মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক দিয়ে। কৃষি অফিস জানায় ৪৫ পাতা হওয়ার পর আনারসের চারায় গ্রোথ হরমোন ব্যবহার করা যায়। কিন্তু কিছু চাষি ১২-১৫ পাতা হওয়ার পরই তা ব্যবহার করছেন। অপরদিকে ১৬ লিটার পানিতে ১৬ মিলিগ্রাম রাসায়নিক মিশিয়ে চারায় স্প্রে করার নিয়ম থাকলেও তাড়াতাড়ি পাকানোর জন্য ১৬ লিটারে ১৬ মিলিগ্রামের জায়গায় দুই থেকে তিনশ মিলিগ্রাম রাসায়নিক ব্যবহার করছেন অসাধু কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। আর এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই পেকে যায় অপরিপক্ক আনারস। পরে বিষাক্ত এই ফলটি ভোক্তাদের জন্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পৌঁছানো হয়। এভাবে নিজেদের কর্ষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে আনারসের নামে বিষ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। আর সেই বিষাক্ত আনারস খেয়ে অ্যালার্জি, চর্মরোগ আর ক্যানসারের মতো মরণব্যাধী রোগের চরম ঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিষ মেশানো এই আনারস একবার খেলেই বোঝা যায়। কারণ রাসায়নিক মেশানো এই জলডুগি আনারস খেতে কোনো স্বাদ বা গন্ধ নেই। এটি খেয়ে ভোক্তারা আনারসের প্রকৃত স্বাদ মোটেও পাবেন না। আর এমনটা হলে সেই আনারসটি না খাওয়ার এবং পরবর্তীতে আর না কেনার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। অপরদিকে বিষ মেশানো এসব আনারসের চাষ এবং বাজারজাতকরণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।