মোয়া খেতে জয়নগরে। একবার চেখে দেখুন এই দোকানের মোয়া। Joynagarer moya। Baharur moya

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 22 ธ.ค. 2021
  • মোয়া খেতে জয়নগরে। একবার চেখে দেখুন এই দোকানের মোয়া। Joynagarer moya। Baharur moya
    #moya
    #joynagarer moya
    #baharur moya
    #short trip
    #weekend tour
    #food
    মোয়া কার, চিরকালীন তরজা দুই প্রতিবেশী জনপদের
    ডিশেম্বরের মাঝামাঝি। শীতটা সবে জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করছে। এরকমই এক সকালে কলকাতা থেকে জয়নগরে হাজির দুই বন্ধু। তবে এসেই পড়ে গিয়েছেন মহা ফাঁপরে। কথা বলে জানা গেল, গাড়ি নিয়ে প্রায়ই এমন হুটহাট অ্যাডভেঞ্চারে বেরিয়ে পড়েন দুজনে। ছুটি পেলেই ঘুরে আসেন কাছে পিঠে। সেরকমই ঘুরতে ঘুরতে এদিন এসেছেন জয়নগর। ঘোরা তো আছেই। সঙ্গে চান আসল জয়নগরের মোয়া চেখে দেখতে। কিন্তু জয়নগরের ঢোকার মুখেই তাদের ধন্দে ফেলে দিয়েছে বিশাল বিশাল বহরুর মোয়া লেখা সাইনবোর্ড। কলকাতাবাসী দুই বন্ধু বরাবরই জয়নগরের মোয়ার নাম শুনে এসেছেন। বহরুর কথা তাঁরা জানেননা। জয়নগরে এসে হঠাৎ বহরুর মোয়া লেখা দেখে তাই ধন্দে পড়েছেন দুজনেই।
    মোয়া নিয়ে এই বিভাজনটা দীর্ঘদিনের। জয়নগরের পাশেই ছোট জনপদ বহরু। এই এলাকার ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি, মোয়া তাদের। নিজেদের দাবী পোক্ত করতে দোকানের ব্যানারে বহরুর মোয়া লিখেই প্রচার করে তারা। এদিকে জয়নগরের ব্যসায়ীদের বরাবরের দাবি মোয়ার আসল কারিগর তারাই। স্বাভাবিকভাবেই তাদের দোকান জুড়ে থাকে জয়নগরের মোয়া-র প্রচার। প্রতিবেশি দুই জনপদের এ হেন চাপা তরজায় প্রত্যেক বছরই সরগরম থাকে মোয়ার সরসুম। মাঝে কয়েকবছর প্রশাসনের তরফে মোয়া মেলার আয়োজন হয়েছিল। সেখানেও এই নিয়ে একপ্রস্থ চাপানোতর হয়। অনেকেই বলেন, মোয়ার সঙ্গে বহরু লেখা নিয়ে জয়নগরের ব্যবসায়ীদের একাংশের আপত্তিই মেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
    সড়কপথে কলকাতার দিক থেকে জয়নগর গেলে বহরুই আগে পড়বে। শীতের শুরুতেই মোটামুটি কার্নিভালের চেহারা নেয় এই এলাকা। পরপর মোয়ার দোকান বসে যায় রাস্তার ধার ধরে। বাহারি আলোয় ঝলমল করে গোটা চত্বর। উল্টোদিকে মোয়ার মরসুমে সেজে ওঠে জয়নগরও। স্টেশনের দুইদিক জুড়ে প্রচুর দোকান বসে। রঙিন ফ্লেক্সে ঢেকে যায় চারদিক। এত ঝলকানির মাঝে অবশ্য থেকেই যায় সেই চিরন্তন দ্বন্দ্ব- মোয়া কার।
    এই দ্বন্দ্বের শুরু কোথায়। শোনা যায়, মোয়ার জন্ম বহরুতেই। এ ব্যাপারে একাধিক জনশ্রুতি আছে। সেরকমই একটি জনশ্রুতি অনুযায়ী, আজ থেকে প্রায় দেড়শো-দুশো বছর আগে বহরুর জনৈক যামিনীবুড়ো নামে এক ব্যক্তি কোনও এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে অতিথিদের খাওয়ানোর জন্য ঘরে থাকা কনকচূর ধানের খইয়ের সঙ্গে নলেন গুড় মিশিয়ে এই মিষ্ঠান্ন তৈরি করেন। তিনিই নাকি নাম দেন মোয়া। যদিও, প্রাথমিকভাবে এই মিষ্ঠান্ন অন্য নামেও এলাকায় পরিচিত ছিল বলেও অনেকে বলেন। পরবর্তী কালে আশেপাশের অনেকেই এইভাবে খই ও গুড় মিশিয়ে মোয়া তৈরি শুরু করেন। শোনা যায়, বহরুর ঘরে ঘরে সেই সময় মোয়া তৈরি হতো। বাড়িতে খাওয়ার জন্য বা আত্মীয় স্বজন এলে দেওয়ার জন্য অনেকেই বানিয়ে রাখতেন। এইভাবেই একদিন এই মোয়া স্থানীয় ভাবে বিক্রি বাটাও শুরু হয়। বহরু ছোট জনপদ। সেখানে বাজার হাট নেই। বাজার ছিল অপেক্ষাকৃত বড় জনপদ জয়নগরে। বহরু থেকে মোয়া নিয়ে তাই স্থানীয় মানুষ জয়নগরের হাটে বিক্রি করতে যেতেন। সেখানেই এই ঘরোয়া মিষ্ঠান্নের সঙ্গে পরিচয় হয় বহু মানুষের। হাট থেকে অনেকেই মোয়া কিনতে শুরু করেন। অনেকে বাইরেও নিয়ে যেতে থাকেন। যেহেতু জয়নগরের বাজারে বিক্রি হচ্ছে, তাই বাইরের লোকজনের কাছে এর পরিচিতি হয়ে দাঁড়ায় জয়নগরের মোয়া। সেই থেকে এই নামেই মোয়াকে চিনতে শুরু করে মানুষ। বহরুর মানুষের ক্ষোভ, মোয়ার আঁতুরঘর তাদের এলাকাই, কিন্তু সেই তুলনায় মানুষ তাদের নামের সঙ্গে পরিচিত নন।
    বহরুর অন্যতম প্রাচীন মোয়া বিক্রেতা মহাদেব দাস। আজ থেকে বছর তিরিশেক আগে জয়নগরের একাধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তিনিই প্রথম বহরুর মোয়া লিখে প্রচার করতে শুরু করেন। তাঁর দেখানো পথেই এখন এলাকার সব দোকানই বহরুর মোয়া লেখে। মহাদেববাবুর বড়ছেলে গণেশ দাস বলেন, কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল বিখ্যাত আমরা সবাই জানি। কিন্তু খোঁজ নিলে দেখা যাবে মাটির পুতুলটা আসলে তৈরি হয় কৃষ্ণনগরের কাছেই ঘূর্ণি বলে একটা গ্রামে। অথচ সবাই কৃষ্ণনগরের নামই জেনে আসছে। এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই। মোয়ার আঁতুরঘর এই বহরু। নাম হচ্ছে জয়নগরের।
    মহাদেববাবুরই ছোট ছেলে রমেশ দাসের কথায়, বহরু এলাকায় ঘরে ঘরে মোয়া তৈরি হচ্ছে। কুটির শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ব্যাপারটা। জয়নগরে কখনওই এই জিনিস পাবেন না। এটা এখানকার ঐতিহ্য বলতে পারেন। কলকাতা বা অন্যান্য জায়গায় যত মোয়া দেখবেন তার বেশিরভাগই কিন্তু এখানকার।
    এলাকার অন্যতম নামী মোয়া বিপণির মালিক রঞ্জিত ঘোষের কথায়, আমরাই সঠিক প্রক্রিয়া মেনে মোয়াটা তৈরি করি। তাই স্বাদের দিক থেকেও আমাদের মোয়া অনেক এগিয়ে। জয়নগরের মোয়া যে জিআই পেয়েছে তা কিন্তু আমাদের দোকানের মোয়া দেখিয়েই।
    এর পাল্টা যুক্তিও আছে। যাঁর হাত ধরে মোয়ার প্রথাগত বাণিজ্যিক বিপণি শুরু, সেই বুঁচকিবাবুর দোকানের বর্তমান কর্ণধার অশোক ঘোষের কথায়, অনেকে অনেক কথা বলেন। কিন্তু মোয়া ঠিক কবে কিভাবে শুরু হল কেউ বলতে পারে না। আমার কথা হচ্ছে, যদি বহরুতেই শুরু হবে তাহলে জয়নগরের মোয়া নামটা প্রচলিত হলো কিভাবে। আমি একটা বাড়ি করলে তার নাম তো আমার বাবার নামেই রাখবো নাকি! অন্যের নামে রাখতে যাবো কেন!
    তাঁর আরও যুক্তি, মোয়া জয়নগরেরই। বহরুর লোকেরাও সেটা জানে। তার জন্যই দেখবেন ওদের ব্যানারে বহরুর মোয়া লেখা থাকলেও, অনেকেই ছোট করে জয়নগরের অধীনস্থ বহরু কথাটাও লিখে রাখে। নাহলে লোকে খাবে না যে।
    জয়নগরের অন্যতম নামী মোয়া বিক্রেতা খোকন দাসের কথায়, হতে পারে প্রথম বহরুতেই মোয়া তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তার প্রচার প্রসারে জয়নগরই এগিয়ে। সে কারণেই মানুষ জয়নগরের মোয়া হিসেবেই চিনে আসছেন। মোয়া মানেই জয়নগর। জয়নগরের আর এক প্রখ্যাত মোয়ার দোকানের মালিক স্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, বহরুর মোয়া স্বাদে সেরা, একথা মানি না। আমাদের মোয়ার স্বাদ কোনও অংশে কম নয়। দূর দূরান্তের মানুষ জয়নগরের মোয়া খেতেই ছুটে আসেন।
    এই তরজায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারাও। শীতের মরসুমে এভাবেই যুযুধান দুই প্রতিবেশি জনপদের তরজায় উত্তাপ বাড়ে এলাকার।

ความคิดเห็น • 10

  • @ipsitasen9573
    @ipsitasen9573 2 ปีที่แล้ว +1

    সত্যি সুন্দর এই দোকানের মোয়া

  • @subhadeepmukhopadhyay7034
    @subhadeepmukhopadhyay7034 2 ปีที่แล้ว +1

    Valo hoyeche

  • @kirandas8427
    @kirandas8427 2 ปีที่แล้ว +1

    অসাধারণ

  • @biplabbaranbiswas6015
    @biplabbaranbiswas6015 2 ปีที่แล้ว +1

    ভালো লাগলো । সঙ্গে আছি । 🙏🙏

  • @bhojpuri_viraldance
    @bhojpuri_viraldance 2 ปีที่แล้ว +1

    I'm in support Grandpa go ahead

  • @akcreation941
    @akcreation941 2 ปีที่แล้ว +1

    Amar bari o baruipur dada

  • @anirbandas1232
    @anirbandas1232 2 ปีที่แล้ว +1

    আমরা কি মোয়া খাবো না?
    খাবো না আমরা মোয়া ! 😢

    • @satadalsanbui2783
      @satadalsanbui2783 ปีที่แล้ว

      অবশ্যই । টুক করে গিয়ে এক দিন খেয়ে আসুন । এমন কিছু দুর নয় । আমি তো একবার যাই স্কুটি তে আর একবার নিজের মারুতি ওয়াগার নিয়ে । এ বারে ও যাবো ভাবছি ।