@কুন্তী বিলাপ kunti bilap

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 11 ต.ค. 2024
  • "কবিতা কল্প"
    কবি বরুণ হালদারের নতুন নতুন কবিতা, গান, গল্প , শ্রুতি নাটক
    "কবিতা কল্প" চ্যানেলে পাবেন।
    "কবিতা কল্প"
    ছোট্ট চ্যানেলটি ভালো লাগলে
    লাইক কমেন্ট ও সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকবেন।
    ভোজবালা কুন্তী।
    বরুণ হালদার
    আমি পৃথা,
    জন্ম থেকেই আমার জীবন টলমলে, দুঃখের ঘেরা টোপে বন্দি।
    জন্ম হলো এক পিতার ঔরসে,
    পালিত হলাম আর এক পিতার কোলে,
    নাম হলো ভোজবালা কুন্তী।
    সেবায় প্রসন্ন দুর্বাসা মুনির
    অযাচিত আশীর্বাদ পেলাম,
    কৌতুহল বসতো করেছি প্রয়োগ,
    অকস্মাৎ আমার কোলে এলো
    পুত্র সন্তান।
    আমি কুমারী কুন্তী,
    দুঃখ লজ্জা অপবাদের ভয়,
    এখন কি হবে,
    আমি কি করি ! কি করি !
    সমাজের কঠোর অনুশাসন, লোকলজ্জার ভয়ে ফুটফুটে সন্তানকে
    কবজ কমূন্ডলের সাথে,
    চোখের জলে ভাসিয়ে দিলাম
    গঙ্গা জলে।
    স্বয়ম্বরে রাজপুত্র পান্ডুর সাথে বিয়ে
    হয়ে হলাম হস্তিনাপুরের মহারানী,
    স্বামী রাজা বলে কথা,
    তার আবার বিবাহের শখ হলো,
    মাদ্রী হল আমার সতীন।
    মাদ্রীর কথায়,
    স্বামী মৃগ শিকার করতে বাধ্য হলেন,
    তীরে ঘায়েল মৃগ,
    আসলে ছিল ঋষি কিন্তম,
    মৃত্যুর সময় ঋষি কিন্তম অভিশাপ দিলেন,
    রাজা পান্ডু, স্ত্রী সুখভোগ করতে গেলে তার মৃত্যু হবে।
    হায়রে নিয়তি,
    রাজরানী হয়ে স্বামী থাকতেও
    সোনার অঙ্গে জীবনে কোনদিন পেলাম না স্বামীর সোহাগের আনন্দ।
    সন্তানের আশায় ব্যাকুল হৃদয়,
    অগতির গতি, মনে পরে গেল
    দুর্বাসা মুনির দেওয়া বর মন্ত্রের কথা,
    মন্ত্র বলে পেলাম ভিম, অর্জুন, যুধিষ্ঠিরকে।
    মাদ্রির মুখে দুঃখের ঘন কালো ছায়া,
    সতিনকে শিখালাম সেই মহামন্ত্র,
    কোলে এলো নকুল সহদেব,
    পাণ্ডব বংশ পেল পঞ্চ পুত্র।
    আমার অসচেতন বাণীতে
    দ্রৌপদীকে পঞ্চ স্বামীর ঘর করতে হলো,
    আমি নারী হয়ে,
    অপর নারীকে দিলাম কলঙ্কিত পঞ্চ স্বামীর জীবন।
    আমার দুর্ভাগা জীবন
    হায় বিধি! তুমি এই লিখেছিলে
    আমার ললাটে।
    এদিকে, একি শুনলাম আমি,
    কৌরব পাণ্ডবের মধ্যে যুদ্ধ হবে,
    কৌরবের পক্ষ নিয়েছে আমার ভাসিয়ে দেওয়া জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর কর্ণ,
    তবে তো ভাইয়ের হাতেই অজান্তে ভাইয়ের মৃত্যু হবে।
    ছুটে গেলাম ত্রিভুবন বিজয়ী বীর কর্ণের কাছে,
    করোজোরে মাতৃত্বের অধিকারে
    কত অনুনয় বিনয়,
    আমার চোখের জলের মূল্য দিলো না কর্ণ।
    জ্যেষ্ঠ পুত্রের মুখে আমার আর,
    মা ডাক শোনা হলো না।
    আমার জীবনে কেনো এতো পরিহাস ! বিধাতা, তুমি কেন এত দুঃখ দিলে আমায় ,বলো ! কেন এত দুঃখ দিলে বলো ! বলো !বলো !
    ... ... ...

ความคิดเห็น • 11