পরলোক তত্ত্ব আলোচনা (২) - PAROLOK TATTWA - 2 - ETERNAL PEACE SEEKER - SSPF

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 25 ก.ค. 2022
  • মৃত্যুর পরে আমাদের চেহারা কেমন হয় ? মৃত্যুর পরে আমাদের চেহারা কেমন হয় ?
    যিনি জন্মেছেন, তার মৃত্যু নিশ্চিত, আবার যার মৃত্যু হয়েছে তার জন্ম অবশ্যম্ভাবী। অতএব যা অপরিহার্য সেই বিষয়ে শোক করা উচিত নয়। এখন কথা হচ্ছে, জন্মের পরে, মানুষ কি করে, কেমন থাকে, এমনকি কিভাবে সে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়, তা আমার এই চর্ম্মচক্ষুতেই প্রতক্ষ্য করতে পারি। এমনকি তার জন্মক্ষণ বা মৃত্যুক্ষণটি আমাদের চোখের সামনেই ঘটে থাকে। কিন্তু মৃত্যুর পরে, বা জন্মের আগে সে কেমন থাকে, কোথায় থাকে, আর কিভাবেই বা আবার তার জন্ম হয়, সেগুলো আমাদের চোখের অগোচর থাকে। আমরা এই প্রক্রিয়া চর্ম্ম চক্ষুতে দেখতে পাই না। এই প্রক্রিয়া অসীম রহস্যে ঘেরা। পরলোক তত্ত্বে এইসব কথাই পরিষ্কার করবার চেষ্টা করা হয়েছে।
    তো আগের দিন আমরা শুনছিলাম আমাদের মৃত্যুর পরে কি হয় ? মৃত্যুর পরে আমরা দেখেছি, স্থুল দেহ নিথর হয়ে যায়। কিন্তু ইথারিক দেহের সঙ্গে আমাদের যে সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর দেহ ও আত্মা তা মিলিত থাকে। জীবনের সূত্রটি যখন ছিন্ন হয়, তখন এই দেহ স্থিরস্থুল দেহের ধারেকাছেই ঘোরাফেরা করে। প্রিয়জনের কাছে সে ছুটে যায়। এমনকি প্রিয়জন যদি নিকটে নাও থাকে, তাহলেও সে সেই দূরদেশে পরিজনের কাছে চলে যায়। এইজন্য আমাদের অনেকের এই অভিজ্ঞতা আছে, যে দূরদেশে প্রিয়জনের মৃত্যু পরে, সেই প্রিয়জনকে যেন আমরা এক ঝলক দেখতে পাই। এই দর্শন যদি কারো ভাগ্যক্রমে হয়ে থাকে, তবে দেখবেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই প্রিয়জনকে তখন বিমর্ষ দেখায়। কারন সে তখন অসহায় হয়ে যায়। সে তখন একটা অবাঞ্চিত পরিবেশের মধ্যে আটকে গেছে। তার দেহ হালকা হয়ে গেছে। এমনকি এতটাই সূক্ষ্ম হয়েছে, যে সে এখন ইট-কাঠ-পাথরের দেওয়ালের মধ্যে দিয়েও নিজেকে নিয়ে যেতে পারে। শবদেহ যখন দাহ করা হয়, তখন এই ইথারিক আবরণটি তার চিরকালের সঙ্গীকে না পাওয়ায় ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ তার উৎসমূলে ফিরে যায়।
    মৃত্যুর পরেই আমাদের যে প্রথম অভিজ্ঞতা হয়, তা হচ্ছে ভুবর্লোক। এই ভুবর্লোকের বাসিন্দাদের শরীর হয় লঘু। এখানে এই পৃথিবীর মতোই অনুরূপ একটা জগৎ দেখতে পাওয়া যায়। এইজন্য বলা হয়ে থাকে, মৃত্যুর পরে আমরা স্বপ্নলোকে অবস্থান করি। অর্থাৎ স্বপ্নাবস্থায় যেমন আমরা স্থুল জগতের মতোই একটা জগতে বিচরণ করি, অথচ তার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই, বা অন্য কেউ সেই জগৎ দেখতে পায় না । কিন্তু যিনি স্বপ্ন দেখছেন, তার কাছে সেই মুহূর্তে সেইসব দৃশ্য সত্য বলে মনে হয়। মৃত্যু বা স্বপ্ন মানে চিন্তা রোহিত অবস্থা নয়। আমাদের স্থুল দেহের মৃত্যুর পরেও মানুষ সবকিছু দেখতে পায়. শুনতে পায় । কিন্তু দুঃখের কথা হচ্ছে, মৃতব্যক্তি কিছুই করতে পারে না। মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই অর্থাৎ স্থূল দেহ ত্যাগে করে সজ্ঞান-জীব ভুবর্লোকের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয়। মৃত্যুর মুহূর্তে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। কিন্তু মৃত্যুর ঠিক পরেই তার এই অজ্ঞানভাব থাকে না। তখন বেঁচে থাকতে যেমনটি সে দেখতো, অর্থাৎ তার প্রিয়জন, বাড়ি-ঘর, সবই তিনি দেখতে পান। কিন্তু তাকে কেউ দেখতে পায় না। তার কথাও কেউ শুনতে পায় না। তার কথায় কেউ কোনো উত্তর দেয় না। একটা সময় তার শরীরের লঘুতা হেতু, সে ভাবতে থাকে, তার যে রোগ হয়েছিল, সেই রোগের ফলে কি তাহলে তার মৃত্যু হয়েছে ? এই সময় সে ভুবর্লোকে তার মৃত আত্মীয়স্বজনদের দেখতে পায়। এই আত্মীয়স্বজনরাই তাকে নতুন জগৎ সম্পর্কে বুঝিয়ে দেয়, অভয় দেয়, মনকে স্থির করে সমস্ত জাগতিক সম্পর্ক ত্যাগ করতে বলে, কামনা-বাসনা ত্যাগ করতে বলে। নিজের আত্মীয়স্বজন ছাড়াও, বহুসত্ত্বা এই সূক্ষ্মজগতে বাস করেন। তাঁরাও নানান রকম উপদেশ দিতে থাকেন এই নবাগতকে।
    পরাবিদ্যাবিদগন বলছেন, আমাদের বিভিন্ন দেহ অর্থাৎ স্থুল সূক্ষ্ম ও কারন দেহ যেমন একে ওপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তেমনি ভিন্ন ভিন্ন লোক এই বহুলোকের সঙ্গে অন্তঃপ্রবিষ্ট হয়ে আছে। এই যে ভূলোক এটি পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ১০০ শত মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। অর্থাৎ বায়ুমণ্ডল সমন্বিত এই পৃথিবীকে আমরা ভূলোক বলে থাকি। পৃথিবীর অভ্যন্তরের কিছু দূর থেকে চন্দ্রের গতিপথ পর্যন্ত যে সূক্ষ্মলোক তাকে বলা হয় ভুবর্লোক। এই ভুবর্লোক ও ভূলোক কোনো কোনো সময় খুবই কাছাকাছি আসে, এমনকি স্পর্শ করে, যখন যখন চন্দ্র ও পৃথিবী নিকটবর্তী হয়। অর্থাৎ পূর্ণিমার সময় এই দুই লোকের ব্যবধান থাকে না বা থাকলেও সামান্য সেই ব্যবধান। আমাদের যেমন প্রাণময় দেহ, মনোময় দেহ, সূক্ষ্ম পদার্থে তৈরী, তেমনি এই সূক্ষ্ম জগতের বা ভুবর্লোকের যারা বাসিন্দা তাদের প্রত্যেকের সূক্ষ্ম দেহ আছে, যা সূক্ষ্ম পদার্থের দ্বারা নির্মিত। তো এই সূক্ষ্ম ভুবর্লোক আসলে স্থুল জগতেরই অনুরূপ একটা জগৎ । এইজন্য মৃত ব্যক্তি যখন এই ভুবর্লোকে আসে, তখন সে যে একটা নতুন জগতে এসেছে তা সে বুঝতে পারে না।
    এই সূক্ষ্মলোকের বাসিন্দাদের আকৃতিও অবিকল একই রকম, যেমন আমরা এই ভুলকে দেখতে পাই । এই যে ভুবর্লোকের বাসিন্দাদের সূক্ষ্ম দেহ, এর যে উপকরণ তাও স্থূল দেহের মধ্যে থেকেই সংগ্রহীত। সুতরাং জীবসকল যখন সূক্ষ্ম দেহ প্রাপ্ত হয়, তার আকৃতি অবিকল মৃত্যুর আগে যেমন ছিল, তেমনটাই হয়ে থাকে। এই জন্য আমরা যদি কখনো পরলোকের কোনো বাসিন্দার সাক্ষাৎ পাই, তা সে ব্যাসদেবের কৃপাতেই হোক, বা আকস্মিক কোনো উপায়ে হোক, তখন আমরা তাদের চিনতে পারবো। দিব্যদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ সূক্ষ্ম জগৎ পর্যবেক্ষন করলে, এই সমস্ত ব্যক্তিকে চিনতে পারবেন। এমনকি এই ভুবর্লোক ত্যাগ করে, আমরা মৃত্যুর পরে, যদি স্বর্গ লোকেও অবস্থান করি, তবে সেখানেও আমরা আমাদের আত্মীয় পরিজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতজনকে চিনতে পারবো। মহাভারতের ব্যাসদেব যখন গান্ধারী পুত্রদের দিব্যদৃষ্টি দান করে, মৃত সন্তানদের দেখেছিলেন, এমনকি ধৃতরাষ্ট্র বা অন্যদের দেখিয়েছিলেন, তা এই সূক্ষ্ম দেহ ছাড়া কিছু নয়। দিব্যদৃষ্টি লাভ করতে পারলে, আমরা সবাই এই জগতের সবাইকে দেখতে পারি। আমরা ধীরে ধীরে পরলোক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত শুনবো। ওম শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ। হরি ওম। - ETERNAL PEACE SEEKER - SASANKA SEKHAR PEACE FOUNDATION

ความคิดเห็น • 14

  • @prasantadas6024
    @prasantadas6024 ปีที่แล้ว

    জয গুরু শ্রী গুরু জয রাধে কৃষ্ণ

  • @biswajitrouth4141
    @biswajitrouth4141 9 หลายเดือนก่อน

    Excellent Guru Dev

  • @sharmisthaghatak6501
    @sharmisthaghatak6501 2 ปีที่แล้ว

    Joy guru anekkichu jante parlam

  • @saburhossen-qe4pt
    @saburhossen-qe4pt ปีที่แล้ว

    জয় গুরু

  • @dipaksinha4638
    @dipaksinha4638 ปีที่แล้ว

    আমরা মায়া বদ্ধ জীব।আপনার পবিত্র সত্য প্রবচনে জীবন ধন্য ,
    হোল। আমার প্রনাম নেবেন।

  • @moulieraju2121
    @moulieraju2121 2 ปีที่แล้ว

    🙏

  • @madhumitachakraborty8617
    @madhumitachakraborty8617 2 ปีที่แล้ว

    Khub valo lagche gurudev. Aro jante chai

  • @chaitalidas3220
    @chaitalidas3220 2 ปีที่แล้ว

    🙏🏻🙏🏻

  • @chondidas3960
    @chondidas3960 2 ปีที่แล้ว

    আমার বয়স যখন ছয় সাত বছর দাদা গুরু তখন আমার মৃত বড় মাকে দেখেছি। তার শরীরে সাদা কাপড় অতি উজ্জ্বল যেন একটা চন্দ্র নেমে এসেছে। তিনি আবার বৈষ্ণব ছিলেন। দেখবার কারণ আমার বাবা অভিশাপ, আমি সমাধি বরাবর ছোট বেলা ঐ দিক মুখ করে হিসু করেছি, তখন আমার বাবা বলল আজ রাতে তোরে দেখা দিবে,এটা কথা যে বহ্ম অস্ত্র প্রয়োগ করবে কখনো ভাবিনি।সে থেকে বিশ্বাস মানুষ মরে না। জয় গুরু🌼🙏🌼🙏

  • @amarnathchattaraj8293
    @amarnathchattaraj8293 2 ปีที่แล้ว +1

    আত্মশোধন জ্ঞানের আলো দেখতে পেয়ে আনন্দিত।নমস্কার।

  • @shaheenakhatun5953
    @shaheenakhatun5953 2 ปีที่แล้ว

    অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা দরদী ভাই।

  • @saburhossen-qe4pt
    @saburhossen-qe4pt ปีที่แล้ว

    জয় গুরু

  • @manasayantaghosh552
    @manasayantaghosh552 2 ปีที่แล้ว

    🙏

  • @indritwik
    @indritwik 2 ปีที่แล้ว

    🙏