ไม่สามารถเล่นวิดีโอนี้
ขออภัยในความไม่สะดวก

Debabrata Biswas LIVE in the 1960s-14(এইতো ভালোলেগেছিল, আলো আমার আলো, এ শুধু অলস মায়া, আমি চঞ্চল হে)

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 7 ธ.ค. 2023
  • ‘ষাটের দশকে জর্জদা’র চতুর্দশতম পর্বে আপনাদের সকলকে স্বাগত। এই পর্বে রইলো গীতবিতানের ‘বিচিত্র’ পর্যায়ের চারটি গান। প্রথম জীবনে গাওয়া তিনটি গান, যথাক্রমে ‘এই তো ভালো লেগেছিল’, ‘এ শুধু অলস মায়া’ এবং ‘আমি চঞ্চল হে’ আর কোনদিনও না রেকর্ড করা ‘আলো আমার আলো ওগো’ নিয়ে সাজানো এবারের গানের ডালি।
    ‘এই তো ভালো লেগেছিল’ গানটি রচনার নেপথ্যে একটি মিষ্টি গল্প আছে। ক্ষিতিমোহন সেনের স্ত্রী কিরণবালা সেন শুনিয়েছেন সেই কাহিনী। তিনি লিখছেন, “গুরুদেব কখনো কখনো ঘরে তৈরি মিষ্টি রেকাবিতে সাজিয়ে নিজের হাতে নিয়ে এসে আমার সন্তানদের দিতেন। ‘এই তো ভালো লেগেছিল’ গানটি গেয়ে শোনাবার সময় আমায় হেসে বলেছিলেন - “তোমার কন্যা অমিতা আমার বাড়ির সামনে কাঁকরের উপর পা ছড়িয়ে বসে একটি কৌটাতে কাঁকর ভরছে আর নিজের মাথায় ঢালছে। তাই দেখেই আমি লিখলাম, ‘ছোট মেয়ে ধুলায় বসে খেলার সাজি আপনি সাজায়’।” আমার ছোট মেয়ে অমিতার বয়স তখন আড়াই।” প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, এই অমিতা সেনই নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের গর্ভধারিণী।
    এবারে আসি জর্জদার গল্পে।
    গত পর্বে আপনাদের বলেছিলাম কিছু ঘটনা দেবব্রত বিশ্বাসের স্নেহভাজন ইন্দুভূষণ রায়ের স্মৃতি থেকে। ইন্দুভূষণ রায়রা ছিলেন কিশোরগঞ্জ শহরে দেবব্রত বিশ্বাসদের প্রতিবেশী। ইন্দুভূষণ বাবুর খুড়তুতো দাদা, টুনুদা ছিলেন দেবব্রত বিশ্বাসের সহপাঠী বন্ধু। ওদের কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি মজলিশ তৈরি করেছিলেন যেখানে গান, আবৃত্তি, গল্পগুজব ইত্যাদি হতো। কিশোরগঞ্জের যে মিশনারিরা দেবব্রত বিশ্বাসের নাম রেখেছিলেন জর্জ, সেই মিশনারীদের নামে একটি দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ ছিল যার নাম ‘মিশনারিদের মাঠ’। সেই মাঠে বসত এই আসর। দেবব্রত বিশ্বাস অবশ্যই সেই সময় রবীন্দ্রসঙ্গীত তেমন গাইতেন না। তার গলায় বেশীরভাগ শোনা যেত অন্যান্য শিল্পীদের গাওয়া রেকর্ডের গান, যার মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য ইন্দুবালার ‘রুমঝুম কে এলে নুপুর পায়ে’, হরিপদ রায়ের ‘ওগো মরমিয়া’ এবং শচীন দেব বর্মণের ‘আজি দখিনা পবন’। এই সময় ইন্দুভূষণ বাবু শান্তিনিকেতনের পরিবেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখছেন। তিনি ছুটিতে কিশোরগঞ্জে এলে দেবব্রত বিশ্বাসের অনুরোধে সদ্য-শেখা গান ‘পূর্বাচলের পানে তাকাই’ গেয়ে শোনালেন। দু তিনবার শুনেই গানটি গলায় তুলে নিলেন দেবব্রত বিশ্বাস। এবং সেই থেকেই ক্রমশ আকৃষ্ট হতে লাগলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি। দেবব্রত বিশ্বাস নিজে কোনোদিন না জানালেও, ইন্দুভূষণ বাবু কিন্তু আমাদের একটি দারুন তথ্য দিয়েছেন। তিনি লিখছেন, “গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং তার গান শুনেছেন ব্রাহ্মসমাজের উপাসনায়। রথীদা (রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর), সৌম্যদা (সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর)... রা সকলেই শুনেছেন তার গান বহুদিন এবং উচ্ছ্বসিত প্রশংসার বাণী পাঠিয়েছেন অনেকেই যা অন্য কোন শিল্পীর ভাগ্যে জুটেছিল কিনা জানিনা।”
    ইন্দুভূষণ বাবু জানাচ্ছেন যে সর্বপ্রথম পৌষ উৎসবে জর্জাদা যান ১৯৩১ সালে। তারপর থেকে প্রতিবছর শান্তিনিকেতনের প্রতিটি উৎসবে যেতেন তিনি। ১৯৩৩ কলা ভবনের হল ঘরে প্রথম অনুষ্ঠিত হয় জর্জদার গানের আসর। সেদিন তিনি সুরসাগর হিমাংশু দত্ত, সুবোধ পুরকায়স্থ অজয় ভট্টাচার্য এবং শচীন দেব বর্মণের অনেকগুলি গান গেয়েছিলেন। সকলের সাধুবাদে হল মুখরিত হয়ে উঠেছিল। তদানীন্তন সংগীত ভবনের অধ্যক্ষ হেমেন্দ্রলাল রায় স্বয়ং জর্জদার হাত জড়িয়ে ধরে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে উৎসাহিত করেছিলেন তাকে। তারপর থেকে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলায় জর্জদা গেলেই চতুর্দিকে সাড়া পড়ে যেত। ‘কালোর দোকানে’ বসতো গানের মজলিশ। দেবব্রত বিশ্বাসের গানের সঙ্গে প্রফুল্ল মহলানবীশ, সুধীন দত্তরা বেহালা ও বাঁশিতে সুর তুলতেন। আর টেবিল চাপড়ে তবলার বোল তুলতেন শচীন কর। সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন শান্তিনিকেতনের গণ্যমান্য সকলেই যার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য এল কে এল্মহারস্ট, নন্দিতা কৃপালিনী, রবীন্দ্রনাথের সেক্রেটারি অনিল চন্দ, আইসিএস সুপ্রভা মুখোপাধ্যায় প্রভৃতি।
    পরবর্তী যুগে শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় এলে ইন্দুভূষণ বাবু উঠতেন জর্জদার কাছেই। জর্জদা তখন থাকতেন ভবানীপুরে তার এক বন্ধু রঞ্জিত চৌধুরীর বাড়িতে। সেই বাড়িতে থাকাকালীন এক বর্ষণমুখর সন্ধ্যার গল্প শুনিয়েছেন ইন্দুভূষণ বাবু। সেদিন সন্ধ্যা থেকেই কালো মেঘ করেছিল আকাশ জুড়ে। জর্জদা ইন্দুভূষণ বাবু কে বললেন “চল, আজ বারান্দায় শোবো”। ইন্দুভূষণ বাবু গিয়ে দেখলেন, বারান্দা বলতে জর্জাদা যেটি বলেছেন সেটি তিন দিক খোলা মাথার উপর আধখানা ছাদ-ওয়ালা একটি নড়বড়ে উঠোন। জর্জদা বলেছেন, তাঁকে না করার সাহস নেই ইন্দুভূষণ বাবুর। কিছুটা অনিচ্ছাকৃত ভাবেই শুয়ে পড়লেন সেই ভাঙাচোরা আধখানা ছাদের বারান্দায়। ঘুমের মধ্যেই নামলো গুরুগর্জনে প্রচণ্ড বর্ষা। ইন্দুভূষণ বাবু জর্জদাকে ডেকে বললেন, “জলে ভিজে যাচ্ছি যে, নিচে দিয়ে জল গড়াচ্ছে।” জর্জদা নির্বিকার। তিনিও ভিজচ্ছেন, অথচ মুখে কোনো বিরক্তি নেই - চোখ দুটি বোজা। যেন মহা আরামে গভীর নিদ্রামগ্ন। অগত্যা ইন্দুভূষণ বাবু আবার বললেন, “ফুটো ছাদ থেকে জল পড়ছে। গায়ে জলের ছাঁট আসছে চারিদিক থেকে।” এইবারে জর্জদা চোখ বুজে বুজেই নিদান হাঁকলেন, “ঘর থিকা ছাতাটা লইয়া আয়। মাথার উপর ধইরা ঘুমা!” ইন্দুভূষণ বাবু ছাতা এনে দেখলেন ছাতার অবস্থা ও তদ্রূপ - শতছিন্ন হাজারটা ফুটো তাতে। তার ওপর ক্রমাগত ঝড়ো হাওয়ায় তা উল্টে যাচ্ছে বারংবার। জর্জদাকে সে কথা বলাতে তিনি মৃদু তিরস্কারে করে বললেন, “তুই না শান্তিনিকেতনের ছাত্র; তগো গুরুদেব এসব শেখান নাই? ক দেখি, হের চাইয়া রোমান্টিক আর কিছু হইতে পারে? - নে ঘুমা !” এদিকে বিছানাটি ভিজে শপশপ করছে , জামাকাপড়ও তথৈবচ। এ অবস্থায় ঘরে গিয়েও শোয়া যায় না। তাই আধো ঘুমে কোনোক্রমে রাত কাটালেন ইন্দুভূষণ বাবু। সকাল হতেই শুরু হল কাক ও পায়রার সমবেত কলতান এবং গায়ের উপর ঘন ঘন পুরীষ ত্যাগ। পুনরায় অনুযোগ করলেন ইন্দুভূষণ বাবু। নিরুত্তাপ গলায় জর্জদার উত্তর, “একটু সইরা শো !”
    এই হচ্ছে আমাদের জর্জদা - দেবব্রত বিশ্বাস।
    The ultimate epitome of simple living, high thinking.
    নমস্কারান্তে,
    জয়ন্তানুজ ঘোষ
    ০৮ই, ডিসেম্বর, ২০২৩

ความคิดเห็น • 9

  • @roushanakther4404
    @roushanakther4404 7 หลายเดือนก่อน +2

    গান,গল্প, গ্রাফিক্স সবই এক কথায় অসাধারণ!আর জর্জ বিশ্বাসের কন্ঠে শেষ গানটাতো বরাবরই মনটাকে কোন এক সুদূর স্বপ্নলোকে ভাসিয়ে নিয়ে বেড়ায়।
    অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা দাদাভাই। খুব ভালো থাকবেন।

  • @alokekumarde2898
    @alokekumarde2898 8 หลายเดือนก่อน +2

    আমরা সবাই সুদূরের পিয়াসী কিন্তু ' মোর ডানা নাই ' । ওনার গান আমাদের সেই সুদূরের ডাক দেয়, মন কে করে তোলে চঞ্চল।

  • @muktisengupta6681
    @muktisengupta6681 7 หลายเดือนก่อน +1

    খুব ভাল লাগল শ্রদ্ধেয় শিল্পীকে প্রনাম, ওঁনার গানকটি শোনাবার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

  • @nirmalyamukhopadhyay1769
    @nirmalyamukhopadhyay1769 7 หลายเดือนก่อน +1

    আপনি দিনের পর দিন ধরে যেভাবে গানের ডালি সাজিয়ে আমাদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন তার জন্য কোনো ধন্যবাদ যথেষ্ট নয়🙏
    ৫০এর দশকের কিছু গান একবার উপহার দিয়েছেন, এই পর্যায়ের আরো কিছু শোনার অপেক্ষায় আছি 🙏

  • @krishnaprasaddasgupta1118
    @krishnaprasaddasgupta1118 6 หลายเดือนก่อน +1

    রবি ঠাকুরের গানে যে সুর তিনি সৃষ্টি করেছেন জর্জদা সেই সুরের রেশ আমাদের মত শ্রোতাদের মনকে আপ্লুত করে।

    • @jghosh64
      @jghosh64  6 หลายเดือนก่อน

      আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশী হলাম। ভালো থাকবেন।

  • @samitajoarder8953
    @samitajoarder8953 8 หลายเดือนก่อน +1

    কি বলবো কত ভালো গানগুলি জর্জ দার কন্ঠে ❤

  • @Shreeladebi
    @Shreeladebi 7 หลายเดือนก่อน +1

    I have no words to express my gratitude to you for uploading these songs by this legendary artist.
    Comparisons with anyone else is useless, because only he can be compared with himself.
    Do you happen to have a copy of the song, "Dekechhen priyotomo".

    • @jghosh64
      @jghosh64  7 หลายเดือนก่อน

      Thank you so much for your wonderful words of appreciation. I fully agree with you that Debabrata Biswas remains the uncrowned king of rabindrasangeet and could be compared to none.
      Incidentally I do have two recordings of Dekechen Priyotomo by Debabrata Biswas sung at two different occasions.