শান্তিনিকেতনের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 10 ก.พ. 2025
- সৌন্দর্যের শান্তিনিকেতন
সৃজনী শিল্প গ্রাম
ভারত সেবাশ্রম
কোপাই নদী
বড় বুদ্ধ মূর্তি
#সৃজনী শিল্পগ্রাম, শান্তিনিকেতন: বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতির একটি জীবন্ত জাদুঘর
শান্তিনিকেতনের হৃদয়ে অবস্থিত সৃজনী শিল্পগ্রাম বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতির একটি জীবন্ত জাদুঘর। এই স্থানটি শুধুমাত্র একটি মিউজিয়ামই নয়, বরং এটি একটি সাংস্কৃতিক গ্রাম, যেখানে বাংলার বিভিন্ন জেলার শিল্পীরা তাদের কাজ প্রদর্শন করেন এবং বিক্রি করেন।
সৃজনী শিল্পগ্রাম কেন বিশেষ:
বিভিন্ন রাজ্যের শিল্প: সৃজনী শিল্পগ্রামে পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের যেমন আসাম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, ওড়িশা, সিকিম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পের প্রদর্শনী করা হয়।
*
কী দেখবেন:
বিভিন্ন রাজ্যের কুটির শিল্প: আপনি এখানে বাঁশের কাজ, লৌহশিল্প, তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, এবং অন্যান্য হস্তশিল্প দেখতে পাবেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: যদি আপনি কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময় যান, তাহলে আপনি বাংলার বিভিন্ন জেলার লোকসংগীত, নৃত্য এবং নাটক দেখতে পারবেন।
প্রাকৃতিক পরিবেশ: শিল্পগ্রামের চারপাশে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন।
কী করবেন:
শিল্পকর্ম কিনুন: আপনি এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প কিনতে পারেন।
শিল্পীদের সাথে কথা বলুন: স্থানীয় শিল্পীদের সাথে কথা বলে তাদের কাজ সম্পর্কে আরও জানুন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিন: যদি কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে, তাহলে তাতে অংশ নিন।
প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করুন: শিল্পগ্রামের চারপাশে ঘুরে বেড়ান।
কীভাবে যাবেন:
আপনি শান্তিনিকেতন থেকে অটো বা ট্যাক্সি করে সৃজনী শিল্পগ্রামে যেতে পারেন।
কখন যাবেন:
আপনি বছরের যে কোনো সময় সৃজনী শিল্পগ্রামে যেতে পারেন। তবে শীতকালে আবহাওয়া অনেক সুন্দর হয়।
সৃজনী শিল্পগ্রাম শুধুমাত্র একটি মিউজিয়াম নয়, এটি বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতির একটি জীবন্ত জাদুঘর।
সৃজনী শিল্পগ্রামে যাওয়ার মাধ্যমে আপনি বাংলার সমৃদ্ধ শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারবেন।
#শুরুল রাজবাড়ী: বীরভূমের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন
বীরভূম জেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত শুরুল রাজবাড়ী বাংলার ঐতিহ্যের একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। এই রাজবাড়িটি তার স্থাপত্য শৈলী এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য বিখ্যাত।
সুরুল রাজবাড়ির ইতিহাস
অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বর্ধমানের নীলপুর থেকে ভরতচন্দ্র সরকার এই গ্রামে এসে বসতবাড়ি গড়ে তোলেন। তাঁর আমল থেকেই এই বাড়িতে দুর্গাপূজো শুরু হয়। সুরুল রাজবাড়ির দুর্গাপূজো তার অনন্য রীতির জন্য খুবই জনপ্রিয়। রথের দিন থেকেই এখানে প্রতিমা গড়া শুরু হয়। এখানে দুর্গাকে দেখা যায় ডাকের সাজে। প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো অস্ত্র তুলে দেওয়া হয় প্রতিমার হাতে।
স্থাপত্য শৈলী
শুরুল রাজবাড়িটি মুঘল, ইন্দো-সারাসেনিক এবং বাংলা রেনেসাঁ স্থাপত্য শৈলীর একটি মিশ্রণ। এর জটিল খোদাই, সজ্জিত চাপ এবং অলঙ্কৃত
বর্তমান অবস্থা
দুর্ভাগ্যবশত, সময়ের স্রোতে এই ঐতিহাসিক রাজবাড়িটিও জীর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে স্থানীয় মানুষ এবং সংস্থার প্রচেষ্টায় এর সংস্কারের কাজ চলছে।
কেন সুরুল রাজবাড়ি দেখতে যাবেন?
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: বাংলার জমিদার বাড়ির জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: দুর্গাপূজার সময় এই রাজবাড়িতে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কীভাবে যাবেন:
আপনি বোলপুর বা শান্তিনিকেতন থেকে অটো বা ট্যাক্সি করে সুরুল রাজবাড়িতে যেতে পারেন।
কখন যাবেন:
শীতকালে আবহাওয়া অনেক সুন্দর হওয়ায় এই সময়টি সুরুল রাজবাড়ি ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত।
সুরুল রাজবাড়ি বাংলার ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটিকে সংরক্ষণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
আপনি কি কখনও সুরুল রাজবাড়ি দেখতে গিয়েছেন? আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করুন।
#সুরুলরাজবাড়ি #বীরভূম #বাংলারঐতিহ্য #পুরাতত্ত্ব
#সোনাঝুরি হাট: বাংলার হস্তশিল্পের মেলা
শান্তিনিকেতনের কাছে অবস্থিত সোনাঝুরি হাট বাংলার হস্তশিল্পের একটি অন্যতম জনপ্রিয় কেন্দ্র। এই হাটটি শুধুমাত্র একটি বাজার নয়, এটি বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং কারুশিল্পের একটি জীবন্ত প্রদর্শনী।
সোনাঝুরি হাট কেন বিশেষ?
হস্তশিল্পের সমারোহ: এখানে আপনি বাংলার বিভিন্ন জেলার হস্তশিল্পীদের তৈরি নানা ধরনের হাতের কাজের জিনিসপত্র পাবেন। শাড়ি, কাঁথা, মৃৎশিল্প, কাঠের কাজ, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ, বিভিন্ন ধরনের সাজসজ্জার সামগ্রী, খেলনা ইত্যাদি সবই এখানে পাওয়া যায়।
প্রাকৃতিক পরিবেশ: সোনাঝুরি হাটটি একটি প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত। চারপাশে গাছপালা এবং একটি শান্ত পরিবেশ এখানে শিল্প ও প্রকৃতির এক মিশ্রণ তৈরি করে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: এখানে নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যার মধ্যে নৃত্য, সংগীত এবং নাটক অন্তর্ভুক্ত।
স্থানীয় শিল্পীদের জন্য একটি মঞ্চ: স্থানীয় শিল্পীদের জন্য এটি তাদের কাজ প্রদর্শন করার এবং বিক্রি করার একটি মঞ্চ।
সোনাঝুরি হাটে কী কী পাওয়া যায়?
শাড়ি: তাঁত শাড়ি, কাঁথা, বালুচরি শাড়ি, বোলপুরের তাঁত, ধূপগুড়ি শাড়ি ইত্যাদি।
হাতের কাজের জিনিস: কাঠের খোদাই করা জিনিস, মৃৎশিল্প, বাঁশের কাজ, লৌহশিল্প, বিভিন্ন ধরনের সাজসজ্জার সামগ্রী।
খাদ্য: স্থানীয় খাবার, মিষ্টি, চা ইত্যাদি।
হস্তনির্মিত খেলনা: বাঁশের খেলনা, কাঠের খেলনা ইত্যাদি।
সোনাঝুরি হাটে কেন যাবেন?
হাতের কাজের জিনিস কিনতে: নিজের জন্য বা উপহার হিসেবে হাতের কাজের জিনিস কিনতে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে: শান্ত এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছু সময় কাটাতে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে: বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে।
কীভাবে যাবেন?
আপনি শান্তিনিকেতন থেকে অটো বা ট্যাক্সি ক জিরে সোনাঝুরি হাটে যেতে পারেন।
কখন যাবেন?
আপনি বছরের যে কোনো সময় সোনাঝুরি হাটে যেতে পারেন। তবে শীতকালে আবহাওয়া অনেক সুন্দর হয়।
সোনাঝুরি হাট শুধুমাত্র একটি বাজার নয়, এটি বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি জীবন্ত প্রদর্শনী।