রামায়ণের তপোবন@Wander thirst# তপোবন

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 9 ก.พ. 2025
  • তপোবন ঝাড় গ্রাম
    তপোবন ঝাড়গ্রামের পৌরাণিক ইতিহাস:
    রামায়ণ অনুসারে, শ্রীরামচন্দ্র যখন সীতাকে উদ্ধার করতে লঙ্কা যাচ্ছিলেন, তখন তিনি এই তপোবনে বিশ্রাম করেছিলেন। এখানে তিনি একটি আশ্রম তৈরি করেন, যা আজও 'রামের আশ্রম' নামে পরিচিত। এরপর, লব ও কুশ এখানেই জন্মগ্রহণ করেন এবং এখানেই তাঁদের বাল্যকাল কাটে। কথিত আছে, এখানেই বাল্মীকি মুনি রামায়ণ রচনা করেছিলেন।
    এছাড়াও, এই তপোবনের আশেপাশে অনেক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। যেমন, কনকদুর্গা মন্দির, যা প্রায় ৫০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন। এছাড়াও, এখানে রয়েছে চিল্কিগড় রাজবাড়ি, যা একসময়কার স্থানীয় রাজাদের বাসস্থান ছিল।
    তপোবন ঝাড়গ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী।
    ….............................................
    .................................................
    তপোবন ঝাড়গ্রাম পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলায় অবস্থিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি ঘন সবুজ অরণ্য, ছোট ছোট টিলা এবং মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। এখানে একটি হরিণ পার্কও রয়েছে, যেখানে আপনি বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ দেখতে পাবেন। এছাড়াও, তপোবনে একটি ইকো-পার্ক রয়েছে, যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের গাছপালা এবং পাখি দেখতে পাবেন।
    তপোবন ঝাড়গ্রাম শহর থেকে প্রায় 10 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে সড়কপথে বা রেলপথে যাওয়া যায়। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে বাসে বা অটোতে করে তপোবনে যাওয়া যায়। এছাড়াও, আপনি নিজস্ব গাড়ি নিয়েও যেতে পারেন।
    তপোবন ভ্রমণের সেরা সময় হল শীতকাল। এই সময় আবহাওয়া বেশ মনোরম থাকে। গ্রীষ্মকালে এখানে প্রচণ্ড গরম থাকে। বর্ষাকালে এখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়।
    তপোবনে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি গেস্ট হাউস ও হোটেল রয়েছে। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটিতে থাকতে পারেন।
    তপোবন একটি সুন্দর এবং শান্ত জায়গা। আপনি যদি প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে চান এবং কিছু সময় বিশ্রাম করতে চান, তাহলে তপোবন আপনার জন্য একটি আদর্শ জায়গা।
    ......…...................
    .............................গুপ্তমনি মন্দির হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ঝাড়গ্রাম জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির। এটি মা দুর্গার মন্দির হিসাবে পরিচিত। মন্দিরটি প্রায় ৭৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।
    গুপ্তমনি মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ হল এখানে মায়ের মূর্তিটি। কথিত আছে, দেবী দুর্গা এখানে একটি পাথরের টুকরোর উপর আবির্ভূত হয়েছিলেন। সেইজন্য এই দেবীর নাম হয় 'গুপ্তমনি'।
    এই মন্দিরের আরেকটি বিশেষত্ব হল এখানে শবর আদিবাসীরাই মায়ের পূজা করে থাকেন। সাধারণত মন্দিরে ব্রাহ্মণরা পূজা করেন, তবে এই মন্দিরে শবরদের হাতেই পূজা হয়, যা প্রায় ৪৫০ বছর ধরে চলে আসছে।
    দুর্গাপূজার সময় এই মন্দিরটি বিশেষ ভাবে সেজে ওঠে এবং এখানে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। এই সময় মন্দিরে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত
    হয়।
    গুপ্তমনি মন্দিরটি ঝাড়গ্রাম থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আপনি সড়কপথে বা রেলপথে এখানে সহজেই পৌঁছাতে পারেন।
    গুপ্তমনি মন্দির শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। আপনি যদি ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে আগ্রহী হন, তাহলে এই মন্দিরটি আপনার জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ হতে পারে।

ความคิดเห็น •