বাংলাদেশের ডুয়াল সিটিজেনশিপ নিয়ে প্রয়োজনীয় সব তথ্য

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 26 ส.ค. 2024
  • আসসালামু আলাইকুম, আমি ব্যারিস্টার আইমান রহমান খান, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
    আজকের ভিডিওর মাধ্যমে আমি আমাদের দেশের নাগরিকত্ব আইন ও দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর দিব। তাই ভিডিও শুরু করার আগে আমি অনুরোধ করবো আমার এই ছোট চ্যানেলটি কে সাবস্ক্রাইব করুন যাতে এমন আরো ভিডিও বানানোর উৎসাহ পেতে পারি।
    আজকের ভিডিওর মূল আলচ্য বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব বা DUAL CITIZENSHIP। আজকের ভিডিও তে আমরা তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিব- বাংলাদেশের আইনের প্রেক্ষাপটে DUAL CITIZENSHIP কাকে বলে DUAL NATIONALITY CERTIFICATE কাকে বলে, DUAL CITIZENSHIP আর DUAL NATIONALITY CERTIFICATE এর মধ্যে পার্থক্য কি এবং সম্পূর্ন একজন বিদেশি কি বাংলাদেশের DUAL CITIZENSHIP এর জন্য আবেদন করতে পারবে কি না। মূল আলোচনায় যাওযার আগে আমাদের আগে জেনে নিতে হবে DUAL CITIZENSHIP বা DUAL NATIONALITY কাকে বলে? আক্ষরিক অর্থে এই দুটি শব্দের একই অর্থ আর তা হলো যখন একজন ব্যক্তি একই সময় দুটি দেশের নাগরিকত্ব বহন করেন। তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এই দুটি শব্দের ভিন্ন অর্থ দেওয়া হয়েছে।
    প্রথমেই DUAL CITIZENSHIP নিয়ে বিস্তারিত জানবো। একজন বাংলাদেশি নাগরিক DUAL CITIZENSHIP সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে একই সময়ে অন্য একটি দেশের নাগরিক হতে পারবেন এবং দুইটি ভিন্ন ভিন্ন পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন। একই সাথে তিনি দুই দেশের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে ব্যাপারটা এতো টাও সহজ ছিল না।
    বাংলাদেশের আইনি প্রেক্ষাপটে DUAL CITIZENSHIP এর বিষয়টি সহজভাবে না বলা থাকলেও আজকের ভিডিওতে এই বিধানের ইতিহাস তুলে ধরার মাধ্যমে বিষয়টি কে সহজভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো। DUAL CITIZENSHIP নিয়ে বলতে হলে নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান আইন ১৯৫১ সালের CITIZENSHIP ACT নিয়ে বলতে হবে। এই আইনে সরাসরি বলা আছে যে যদি কোন বাংলাদেশের নাগরিক অন্য কোন দেশে গিয়ে সেই দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন এবং নাগরিকত্ব লাভ করেন তাহলে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করতে হবে। এর ব্যতিক্রম ছিল একটাই যে আবারও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য সেই দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের ঘোষণা করতে হবে। এ কারনে সেই সময়ে অনেকে অন্য উন্নত দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় নিজ দেশের নাগরিত্ব হারাতে দ্বিধাবোধ করেননি। তবে কালের বিবর্তনে বিধি অধ্যাদেশ দ্বারা ১৯৫১ সালের আইনের কঠরতাকে অনেকাংশে শিথিল করা হয়েছে।
    ১৯৭২ সালের Bangladesh Citizenship (Temporary Provisions) Order নামক একটি আইনে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে DUAL CITIZENSHIP এর একটি আভাষ পাওয়া যায়। এই আইনে খুব সীমিত আকারে বাংলাদেশি নাগরিকদের যারা অন্য তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন তাদের কে আবারও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। যেমন আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করার প্রধান শর্ত একজন ব্যক্তির নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে আসা। এমন ব্যক্তিদের বাংলাদেশ সরকার আবারও সুযোগ করে দিল একই সাথে বাংলাদেশ ও আমেরিকার নাগরিকত্ব রাখার। এতে করে সেই দেশের বাংলাদেশি বংশতভুতরাও বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশেরও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারতো।
    তবে ১৯৭৮ সালে এই ১৯৭২ সালের আইনে খানিকটা সংশোধন আনলে DUAL CITIZENSHIP এর নিয়ম কানুনে আরও একটু শিথিলতা আসে। বর্তমানে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা কর্তৃক ১০১ টি দেশের তালিকা করা হয়েছে যেই দেশগুলোর নাগরিকত্ব পাওয়া সকল বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের DUAL CITIZENSHIP এর জন্য আবেদন করতে পারবে। এই তালিকার বেশিরভাগ দেশই তাদের নাগরিকত্বের আইনে নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের কোন বিধান রাখেনি।
    এখন আমরা জানবো DUAL NATIONALITY CERTIFICATE কি এবং এটার জন্য কারা আবেদন করতে পারবে? ১৯৭২ সালের আইনে যেসব দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল যেমন USA, Canada, Europe এর সকল দেশ, এশিয়ার মধ্যে Hongkong, Singapore, Malaysia, Brunei, South Korea আর জাপান, শুধুমাত্র এই দেশগুলোর বাংলাদেশি বংশতভুত বা Naturalized Citizens যারা পূর্ববর্তি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন তারা বাংলাদেশের DUAL NATIONALITY CERTIFICATE এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশি বংশতভুত হচ্ছেন একমাত্র তারাই যাদের পিতা মাতার যেকোন একজন বাংলাদেশি যার কারনে সেই ব্যক্তি একজন বাংলাদেশি নাগরিক যদিও তিনি অন্য দেশে জন্ম নিয়েছেন। Naturalized Citizens হচ্ছে তারা যারা অন্য একটি দেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য সেই দেশের নিয়ম অনুযায়ী নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।
    আর যে দেশগুলো এমন কোন বিধান রাখেনি এবং বাংলাদেশের DUAL CITIZENSHIP তালিকাভুক্ত কেবলমাত্র সেই দেশের বাংলাদেশিরা বাংলাদেশে DUAL CITIZENSHIP এর জন্য আদেবন করতে পারবেন।
    আমাদের অনেকের DUAL CITIZENSHIP নিয়ে আরও একটি প্রচলিত প্রশ্ন আছে যার উত্তর আমরা প্রায়শই ভুল জেনে থাকি। আর তা হলো একজন ভিনদেশী যার বাংলাদেশের সাথে কোন প্রকার রক্তের সম্পর্ক নেই তিনি কি বাংলাদেশের DUAL CITIZENSHIP এর জন্য আবেদন করতে পারেন কি না? এটির উত্তর হছে কোন ভিনদেশী বা ফরেনার বাংলাদেশের DUAL CITIZENSHIP বা DUAL NATIONALITY CERTIFICATE এর কোনটাই আবেদন করতে পারবেন না। এই দুইটি আবেদন শুধুমাত্র সেই বাংলাদেশি নাগরিকরা পারবেন যারা অন্য দেশের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন।
    #dualcitizenship #bangladesh #barristeraiman #bangladeshicitizen #citizenshiplaw #nationalitylaw #lawyer #bangladeshilawyer #trending
    Connect with me on Facebook:
    www.facebook.c...
    Connect with me on Twitter:
    ai...
    Website of Immigration Police:
    www.immi.gov.bd/
    Website of Ministry of Home Affairs:
    mha.portal.gov...
    Website of my firm:
    www.rlacbd.com
    Barrister Aiman R Khan | ব্যারিস্টার আইমান রহমান খান
    Advocate, Supreme Court of Bangladesh

ความคิดเห็น • 12