Sejong the Great সেজং দ্যা গ্রেট
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 30 ม.ค. 2025
- আসসালামু আলাইকু সকল বন্ধুরা কেমন আছেন? আজ আপনাদের কাছে নতুন একটা ভিডিও নিয়ে হাজির হলাম।
আজ অতি সংক্ষেপে রাজা সেজোং সম্পর্কে জানব চলুন আর কথ নয় মুল ভিডিওতে চলে যায়।
সেজোং: দক্ষিণ কোরিয়ার আলোকিত শাসক
রাজা সেজোং, যাঁর পুরো নাম সেজোং দ্য গ্রেট, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী শাসক এবং সংস্কৃতির পথপ্রদর্শক। তিনি ছিলেন একাধারে একজন জ্ঞানী, উদ্ভাবক এবং মানবতাবাদী নেতা, যাঁর অবদান কোরিয়ার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
রাজা সেজোং জন্মগ্রহণ করেন ৭ মে, ১৩৯৭ সালে। তিনি ছিলেন জোসন সাম্রাজ্যের তৃতীয় রাজা তাজোং এবং রানী উইন’র তৃতীয় পুত্র। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী এবং জ্ঞানপিপাসু। তাঁর আগ্রহ ছিল কনফুসিয়ান নীতিশাস্ত্র, সাহিত্য, বিজ্ঞান, এবং রাজনীতিতে।
সিংহাসনে আরোহন
১৪১৮ সালে, মাত্র ২১ বছর বয়সে, সেজোং তাঁর পিতার কাছ থেকে সিংহাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শাসক হিসেবে তিনি ছিলেন উদ্ভাবনী, দৃঢ় এবং সর্বজনের প্রতি ন্যায়পরায়ণ। তাঁর শাসনামলকে বলা হয় “কোরিয়ার রেনেসাঁস,” যেখানে শিক্ষা, বিজ্ঞান, এবং সংস্কৃতি অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করে।
বৈবাহিক অবস্থা
সেজোং ১৪১৮ সালে রানী সোহন (Sohon of the Shim clan)-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ছিলেন তাঁর একমাত্র স্ত্রী এবং জীবনের অন্যতম শক্তির উৎস। তাঁদের ঘরে চার ছেলে ও চার মেয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
বর্ণমালা হাঙ্গুলের উদ্ভাবন
সেজোং-এর সবচেয়ে বিখ্যাত ও চিরস্থায়ী অবদান হলো কোরিয়ার নিজস্ব লিপি হাঙ্গুলের উদ্ভাবন। ১৪৪৩ সালে তিনি এটি উদ্ভাবন করেন এবং ১৪৪৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে জনগণের জন্য চালু করেন। হাঙ্গুল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই পড়তে এবং লিখতে শেখে। এটি ছিল তাঁর জনগণের প্রতি ভালোবাসা এবং সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চা
রাজা সেজোং শিক্ষা এবং বিজ্ঞানের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন। তাঁর শাসনামলে:
• জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন যন্ত্র তৈরি করা হয়।
• কৃষি উন্নয়নে নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।
• চিকিৎসাশাস্ত্র এবং আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।
মৃত্যু
একটি কর্মব্যস্ত ও সফল জীবন কাটিয়ে রাজা সেজোং ৮ এপ্রিল, ১৪৫০ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তবে তাঁর উদ্ভাবনী কাজ এবং মানবতাবাদী নেতৃত্বের জন্য তিনি মানুষের হৃদয়ে চিরজীবন বেঁচে থাকবেন।
উত্তরাধিকার
আজও দক্ষিণ কোরিয়া রাজা সেজোং-এর প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেজোং ইনস্টিটিউট, যা কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে। সিউলের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত তাঁর মূর্তি এবং তাঁর নামে নামাঙ্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাঁর প্রতি জাতির সম্মানের প্রতীক।
শেষ কথা
রাজা সেজোং শুধু একজন রাজা নন, তিনি কোরিয়ার ঐতিহ্যের মূলে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহামানব। তাঁর জীবন আমাদের শিখিয়ে দেয় যে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, জ্ঞান এবং মানবিক নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি জাতির ভাগ্য বদলে দেওয়া সম্ভব।