চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার ঘুরে যা দেখলাম | বড় বাপের পোলায় খায়

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 16 ก.ย. 2024
  • আনুমানিক, চার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার চকবাজারের ইফতার সাধারণ মানুষের কাছে এখন দারুন জনপ্রিয়। তাই ৫ম রোযায় আমরাও গিয়েছিলাম ইফতারি কিনতে। আজকে আমাদের ভ্রমণ শেয়ার করব আপনাদের সাথে।
    ভোজন বিলাসিতার জন্য মুঘলদের বিশেষ খ্যাতি আছে। বর্তমানে চলন-বলন, পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাস, সব কিছুতেই ইউরোপীয় অনুকরণ চললেও সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজ মহলের বিবাহ উপলক্ষে যে ভোজের আয়োজন হয়েছিল তা দেখে ইউরোপীয়রা পর্যন্ত অবাক হয়েছিলেন। মুঘলদের রসনা বিলাসের খ্যাতি তাই বিশ্ব নন্দিত।
    মুঘলদের সেই রন্ধনশিল্প ঢাকায় এসেছিল স্থানীয় নবাবদের কল্যাণে। আর রাজকীয় সে খাবারের সঙ্গে আম-জনতার পরিচয় ঘটে চকবাজারের কল্যাণে। চকবাজারে মুঘল আমলের ঐতিহ্যের ছাপ ও ছোঁয়ায় তৈরি রকমারি ইফতার বিক্রি জমজমাট হতে শুরু করে উনবিংশ শতাব্দিতে। কালক্রমে মুঘলাই খাবার ও বাহারি ইফতার আয়োজন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লেও পুরান ঢাকার চকবাজারের ঐতিহ্য অতিক্রম করতে পারেনি কেউ।
    অপর ঐতিহাসিক নাজির হোসেন তার ‘কিংবদন্তির ঢাকা’ বইয়ে লিখেছেন, রোজার সময় মুঘলাই খাবার এবং রকমারি ইফতার বিক্রি করা হতো এখানে। ১৮৫৭ সালের আগেই চকবাজারের ইফতার হাট জমজমাট হয়ে ওঠে। সে সময় থেকেই চকবাজারে গড়ে ওঠতে থাকে নানা রকম মুখরোচক খাবারের দোকান।
    একালের চকবাজার: মুঘল আমল থেকে রমনা যেমন ছিল একটি অভিজাত এলাকা, তেমন চকবাজার ছিল একটি ব্যবসাকেন্দ্র। আজ ৪০০ বছর পরও এলাকা দু’টির মর্যাদা একই রকম রয়ে গেছে। আর জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এখানে বেড়েছে ভিড়, বেড়েছে ব্যস্ততা। কাপড়, কসমেটিক্সসহ বিভিন্ন ধরণের পাইকারি মালামাল বিক্রির জন্য চকের জুড়ি নেই। তবে চকবাজার এখনো সুখ্যাতি বহন করছে তার ঐতিহ্যবাহী ইফতার হাটের জন্য। ১৬৭৬ সালে তিন গম্বুজঅলা চকবাজার শাহী মসজিদ নামে শায়েস্তা খাঁ যে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন সে মসজিদের সামনের রাস্তায় বসে এই ইফতার হাট।
    প্রতি রমজানে দুপুরের পর থেকেই এখানে ইফতার কিনতে আসা মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। চকের বাতাসে ভাসতে থাকে নানা স্বাদের আর নানা পদের মুখরোচক খাবারের মনকাড়া সুবাস। এখানে পাওয়া যায় ছোট কোয়েলের কাবাব থেকে আস্ত খাসি, গরু কিংবা খাসির মাংসের সুতি কাবাব, আধা কেজি থেকে পাঁচ কেজি ওজনের শাহী জিলাপি ও খেজুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল। এছাড়াও চিকেন টোস্ট, চিকেন টিক্কা, চিকেন রোল, খাসির রোস্ট, মোরগ মোসাল্লাম, কিমা পরোটা, হালিম, বিরিয়ানি, ঘুমনি, আলুর চপ, পিঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা বুট, ডিম চপ, পাকুড়া, মিষ্টি দই, ঝাল-টক দই বড়া, বিভিন্ন রকমের আচার ও মাঠাসহ নানা ধরনের মুখরোচক পানীয় কিনতে পাওয়া যায়।
    বড় বাপের পোলায় খায়: চকবাজারে ঢুকলে প্রথমেই যে শব্দটি কানা আসে তা হল- ‌'বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙায় ভইরা লিয়া যায়'! পুরান ঢাকায় এমনও পরিবার আছে, যাদের চকবাজারের খাবার ছাড়া ইফতার অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এ বিষয়ে লেখক আবু যোহা নূর আহমদ বিশ শতকের তৃতীয় দশকে চকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লিখেছেন- ‘প্রথম রোজার ইফতারীর জন্য আপন ঘরের তৈয়ারি বহুবিধ খাবার থাকা সত্ত্বেও অনেকেই চকবাজারের দিকে ছুটিত।’
    travel horizon, চকবাজারের ইফতার ২০২৩, পুরান ঢাকার ইফতার ২০২৩, পুরান ঢাকার ইফতার বাজার, পুরান ঢাকার চকবাজারের ইফতার, ইফতার মার্কেট ঢাকা, ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতার, ইফতার বাজার বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ইফতার বাজার, traditional iftar market in Bangladesh, old Dhaka iftar market, old Dhaka iftar 2023, iftar market in Dhaka, chowk bazar ifter 2023, chowk bazar traditional iftar, old Dhaka chowk bazar iftar market, ঢাকার ইফতার বাজার, বড় বাপের পোলায় খায়

ความคิดเห็น • 12

  • @cloudentertainment7
    @cloudentertainment7 ปีที่แล้ว +1

    চমৎকার

  • @MdSalim-xv5vx
    @MdSalim-xv5vx ปีที่แล้ว +1

    ❤❤❤

  • @nishaahmed4669
    @nishaahmed4669 ปีที่แล้ว +1

    Jak ei chance e amar ektu dhaka shohor dekha hoye gelo😁

  • @abulkalam15059
    @abulkalam15059 ปีที่แล้ว +1

    ঘরের খাবারের মতো আর কোন খাবার নিরাপদ না, ঘরে যা তৈরী করা হয় তা অনেক মমতা এবং মনোযোগ সহকারে বানানো হয়

    • @TravelHorizon
      @TravelHorizon  ปีที่แล้ว +1

      একদম ঠিক কথা বলেছেন

  • @mdrofik9428
    @mdrofik9428 ปีที่แล้ว +1

    বাহিরের ইফতার না কিনাই ভালো

  • @sharifahamed9877
    @sharifahamed9877 ปีที่แล้ว +1

    এসব ইফতারির চারপাশে প্রচুর লোকজন হাটাহাটি করে আবার কথা বলার সময় থু থু পরে এসব খাবারের ওপর, আমি নিজে দেখেছি,, তারপর থেকে এখান থেকে কিছু কিনি না

    • @TravelHorizon
      @TravelHorizon  ปีที่แล้ว

      সঠিক বলেছেন ভাই