বিনা কারণে জামাতে নামাজ আদায় না করার শাস্তি। শায়খ
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 23 มิ.ย. 2021
- মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নামাজ পড়ো নামাজিদের সঙ্গে।’ অর্থাৎ তোমারা জামাতসহকারে নামাজ পড়ো। (সূরা বাকারা)।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
يَوْمَ يُكْشَفُ عَن سَاقٍ وَيُدْعَوْنَ إِلَى السُّجُودِ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ
خَاشِعَةً أَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ وَقَدْ كَانُوا يُدْعَوْنَ إِلَى السُّجُودِ وَهُمْ سَالِمُونَ
‘পায়ের গোছা পর্যন্ত উন্মুক্ত করার দিনের কথা স্মরন কর, সে দিন তাদেরকে সিজদা করতে বলা হবে, অতঃপর তারা সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে, তারা লাঞ্ছনাগ্রস্ত হবে, অথচ যখন তারা সুস্থ অবস্থায় ছিল, তখন তাদেরকে সিজদা করার জন্য আহ্বান জানানো হত। কিন্তু তারা সাড়া দিত না। (সূরা কালাম-৪২-৪৩)।
নবী কারীম সা. ইরশাদ করেন- ‘জামাতের সঙ্গে নামাজে সাতাশ গুণ বেশি পূণ্য নিহিত রয়েছে।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিযি)
তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘একা নামাজ পড়া অপেক্ষা দু’জনে জামাতে নামাজ পড়া উত্তম। দু’জন অপেক্ষা বহুজন মিলে জামাতে নামাজ পড়া আল্লাহর কাছে আরো বেশি পছন্দনীয় এবং উত্তম।’ (আবু দাউদ)।
তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়বে, সে অর্ধরাত বন্দেগির সওয়াব পাবে। যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়বে, পূর্ণ রাত বন্দেগি করার পূণ্য লাভ করবে।’ (তিরমিযি)।
এজন্য নবীজি (সা.) কখনো জামাত তরক করতেন না। এমনকি অসুস্থ অবস্থায় যখন তিনি হাঁটতে পারতেন না, তখনো দুই সাহাবির কাঁধে ভর করে পা টেনে টেনে নামাজের জামাতে হাজির হয়েছেন। জামাতবিহীন একা একা নামাজ পড়েননি।
এমন কী নবীজি (সা.) তো এতটুকুও বলেছে, ‘আমার তো মনে চায় মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে বলব এবং কাউকে নামাজ পড়াতে বলব আর আমি আগুনের অঙ্গার নিয়ে যাব, যে আজান শুনার পরও মসজিদে জামাতে হাজির হওয়ার জন্য বের হয়নি- তার ঘর জ্বালিয়ে দিই।’ (বুখারি, মুসলিম)।
তিনি আরো বলেন- ‘কোথাও যদি তিনজন মানুষ থাকে, আর তারা যদি জামাতে নামাজ না পড়ে, তাহলে শয়তান তাদের ওপর বিজয়ী হয়ে যাবে। কাজেই তুমি জামাতে নামাজ পড়াকে কর্তব্য মনে করো।’ (নাসায়ি)
তিনি আরো বলেন- ‘সেই ব্যক্তির ওপর আল্লাহর অভিশাপ, যে আজান শুনেও জামাতে উপস্থিত হয় না।’ (মাজমাউজ্জাওয়াইদ)।
চিন্তার বিষয় হলো, নবীজি (সা.) যেখানে জামাতে অনুপস্থিত মুসাল্লির ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার ইচ্ছা করেছেন, সেখানে যে বেনামাজি, তার শাস্তি যে কত ভয়াবহ তা সহজেই অনুমেয়।
নবীকরীম (সা.) এর নিকট এক অন্ধ ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার এমন কেউ নেই, যে আমাকে মসজিদে পৌছে দেবে।
সে নবীজীর কাছে অনুমতি চাইল বাড়িতে নামাজ পড়ার জন্য। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। অতঃপর অন্ধ লোকটি চলে যেতে শুরু করলে রাসূল (সা.) তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কী আজান শুনতে পাও?’ সে বলল? জ্বী- হাঁ, শুনতে পাই। তিনি (সা.) বললেন, তাহলে জওয়াব দেবে। অর্থাৎ মসজিদে উপস্থিত হবে। (মুসলিম)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘কোনো মুমিন বান্দার পক্ষে আজান শুনেও জামাতে শামিল না হওয়ার চেয়ে গলিত সীসা কানে ঢেলে দেওয়া উত্তম। (কিতাবুস সালাহ)।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেন, আজান শোনার পর বিনা ওযরে যে ব্যক্তি নামাজের জামাতে শরীক হয় না তার একাকী নামাজ পড়া কবুল হবে না। জানতে চাওয়া হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ওজর বলতে কী বুঝায়? তিনি বললেন, বিপদ অথবা রোগব্যাধি। (আবু দাউদ, ইবনেমাজাহ)।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) আরো বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তিকে আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন (১) যে নেতাকে লোকেরা অপছন্দ করে, (২) যে নারী তার স্বামী অসন্তুষ্ট থাকা অবস্থায় রাত যাপন করে, (৩) নামাজের আজান শ্রবণ করেও যে জামাতে শরীক হয় না। (হাকেম)।
হজরত আলী (রা.) বলেন, ‘মসজিদের প্রতিবেশী লোকজনের নামাজ মসজিদ ব্যতিত সঠিক হবে না। জিজ্ঞাসা করা হলো, মসজিদের প্রতিবেশী কারা? ‘যে বাড়ীতে আজান শুনতে পায়।’ (মুসানদে আহমাদ)।
হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন যে ব্যক্তি মুসলমান হিসেবে আল্লাহর দীদার লাভ করতে চায় সে যেন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিক মতো আদায় করে।’ কেননা আল্লাহ তোমাদের নবীর জন্য হিদায়াতের বিধানাবলি প্রবর্তন করে দিয়েছেন। আর এ নামাজগুলো হচ্ছে হিদায়াতের অন্যতম পন্থা। অনেকের মতো তোমরাও যদি নিজ গৃহে নামাজ পড়, তবে যেন নবীর পথ ছেড়ে দিলে। আর তোমরা যদি নবীর পথ ছেড়ে দাও, তাহলে পথভ্রষ্ট হবে। আমার জানা মতে, মুনাফিক বা অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া কেউ জামাতে শামিল হতে অবহেলা করে না। অথচ যে ব্যক্তি দু’জনের কাঁধে ভর দিয়ে মসজিদ পর্যন্ত আসে, অবশ্যই সে জামাতে নামাজের জন্যই আগমন করে।
হজরত ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত, একবার হজরত ওমর (রা.) তার খেজুর বাগান পরিদর্শনে গেলেন। তিনি তখন জামাত ছুটে যাওয়ার কাফফারা স্বরুপ খেজুর বাগানটি সদকা করে দেন।
আলহামদুলিল্লাহ।
Mashallaha, tabarakallaha, fiyamanillaha, jajakallahu khoyran ❤️❤️❤️🥰🥰🥰💝💝💝🤲🤲🤲
আলহামদুলিল্লাহ : ٱلْحَمْدُ لِلَّٰهِ, al-Ḥamdu lillāh
জানাবেন আশা করি ইনশাআল্লাহ
আসসালামু আলাইকুম
নিধারিত ইমাম না থাকায় ও যারা ইমামতি করে তাদের পেছনে রূচি না হয়াই এখন আমি কি করতে পারি দয়া করে উওর দিবেন
হুজুর আমার একটা পা নাই আমি বাসায় নামাজ পড়ি আমার কি নামাজ হবে প্লিজ জানাবেন
ইনশাআল্লাহ হবে ❤️
একজন অন্ধ সাহাবীকে মসজিদে এসে নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে
আমরা চার পাঁচ জন এক সাথে জামায়াত পরি রুমে। মুসজিদে যেতে পারি না কারণ আমাদের ইকামার সমস্যা তাই। এই ক্ষেত্রে করনিয় কি
হবে আশা করা যায়
Fozorer wakto Rastaye bipod Aowar Asankka. Amr Akama Akon no hoye nai Se ketrey ki basaye namaj porle hobe
আমি একজন ট্রেন চালক সময় মত নামাজ আদায় করতে পারিনা। আজ এক জায়গায় কাল আরেক জায়গায়। কি ভাবে নামাজ আদায় করতে পারি।
আপনি কষ্ট করে একজন সহীহ আলেম এর সাথে যোগাযোগ করুন
হুজুর আমি সিকরিটি জব করি,আমি মসজিদ কাছে থেকেও নামাজে জামাত পরতে পরিনা,আমি ঘরে বসে পড়ি।কারন বারি ওয়ালার নিষেধ।আমার নামাজ কি হবে
ভাই আপনার মত কেস আমার ও দয়া করে সঠিক বিষয় টা জেনে জানাবেন দরকার হলে কাজ ছেড়ে দেবো
ভাই সর্বাবস্থায় আল্লাহর জিকির করবেন
যত দিন অন্য কাজ না পান তত দিন হবে ইনশা আল্লাহ। তবে অবশ্যই এই কাজ ছেড়ে দিয়ে দ্বীনদার বাড়িওয়ালা বা অফিসে জব নেয়ার চেষ্টা করুন, যেখানে নামাজ জামাতে পড়ার অনুমতি পাবেন।
জামাতে নামাজ পড়লে আর যদি নামাজ কবুল না করে তাহলে কত গুণ হবে??
নামাজ কবুল হলো কি নাহ হলো এইটা আল্লাহ ভালোই জানে কিন্তু জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা আমাদের জন্য ফরয এইটা অব্যশই করতে হবে যদি জামাতের সাথে সম্ভব না হয় তাহলে ঘরে যে কোন পবিত্র স্থানে নামাজ আদায় করতে হবে। আল্লাহকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদাই করার তোফিক দান করুক
এই বেটা মনে হয় নামাজ পড়েনা তাই এইসব মন্তব্য করে।
27 goon koi Likha ase besirvag hadis vool Amra Qur'an follow kori
Fetna
Tiktok scholars be like
Tiktok scholars be like