Baliapara jamidarbari | বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি -এক ঐতিহাসিক রাজকথন |আড়াইহাজার | নারায়নগঞ্জ

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 27 ธ.ค. 2024
  • আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়ার জমিদার ভবন(BaiaparaJamidarBari}। এই এলাকার জমিদারের শেষ স্মৃতিচিহ্ন। এক সময়ের প্রভাবশালী জমিদারদের স্থান হয়েছে ইতিহাসের পাতায়। আর কালের স্রোতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে জমিদার বাড়িটি। অযত্নে অবহেলায় এটি শ্যাওলায় ঢাকা পড়েছে, এর গায়ে গজিয়েছে লতা পাতা গুল্ম বটপাকুর। তারপরও মুগ্ধ হতে হয় এই ভবনের অপূর্ব স্থাপত্যশৈলী দেখে। স্থানীয়ভাবে এটি বাইল্যাপাড়া জমিদার বাড়ি নামেই বেশি পরিচিত।
    উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়ায় লাল ইট ও চুন সুরকির সংমিশ্রনে তৈরি এই এল প্যাটার্নের বাড়িটির সামনে দাঁড়ালেই বামপাশে চোখে পড়বে ভবনের ভেঙে যাওয়া অংশ। কয়েক বছর আগে ভূকম্পনে বাম পাশের দোতলার ছাদ ভেঙে পড়ে। তখন থেকেই এ পাশের অংশটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়েছে। নানা ধরনের গাছ গাছালি জন্মে সে স্থানটি প্রায় জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। রাজবাড়ির ভাঙা দেয়াল একটু একটু করে খসে পড়ছে। বিশাল এই জমিদার বাড়িটি ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অনতিবিলম্বে এটির সংরক্ষণ করতে না পারলে একদিন হয়তো কালের অতল গহ্বরে ভবনের অবশিষ্ট অংশটুকুও হারিয়ে যাবে। অনেকের মতে এই বাড়িটির বয়স একশ বছরেরও বেশি। বাড়িটির মালিক জমিদার মুকুন্দ মুরালীর কোনো বংশধর এখানে থাকে না। দেশ বিভাগের পর পরই তারা সমস্ত জমিজমা বিক্রি করে ভারতে চলে যান। রেখে যান শুধু এই জমিদার বাড়িটি। জমিদার মুকুন্দ মুরালী তার এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জে। সে কারণে তিনি বালিয়াপাড়ার বাড়িটি বিক্রি করেননি। দেশ বিভাগের আগ পর্যন্ত জমিদার মুকুন্দ মুরালী এ বাড়িতেই বসবাস করতেন।
    জনশ্রুতি আছে, বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ির মালিক মুকুন্দ মুরালী প্রথম জীবনে জমিদার কিশোরী পোদ্দারের খাজাঞ্চি ছিলেন। অনেক পরে মুকুন্দ মুরালী জমিদারি লাভ করেন। জমিদার হলেও মূলত তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। ঢাকা- নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসা করতেন। প্রজাবত্সল হিসেবেও তার বেশ সুনাম ছিল।
    #BaiaparaJamidarBari
    #বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি

ความคิดเห็น •