অনেক দিন পর অঝোর ধারায় কাঁদলাম! মনে হয়তো মেঘ জমে ছিল,টের পাইনি। আবার এসেছে শুনতে শুনতে আমার চোখে শ্রাবণধারা ! হৃদয় খুঁড়ে সব আবেগ প্রতিস্থাপন করা এঁদের মতো শিল্পীদের পক্ষেই সম্ভব। প্রনাম আমার অতি প্রিয় শিল্পীকে।
Atlentas Music এর টেকনিক্যাল সাপোর্ট বিভাগ কে জানাই অভিনন্দন। জর্জ দার কালজয়ী রবীন্দ্রসঙ্গীত গুলি নুতন করে উপস্থাপনার করে আপনারা এক বিশিষ্ট কাজ করলেন।
ওঁর বর্ষার গানে মন প্রাণ ভেসে যায়.. সব রকম "স "... আর সব রকম "র " এর বিভিন্ন উচ্চারণ মেনে অসাধারণ গায়কী এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায়।।।। কি ভাবেই না অবহেলা সহ্য করে চলে গ্যাছেন... ভাবলে আজও চোখে জল চলে আসে 🙏🏽🙏🏽🙏🏽🙏🏽
আ: কতদিন পর সেই গভীর বাণী হৃদয়ে দোলা দিয়ে গেল ।মনে হল ,এ এক বর্ষার রাতে শরীর-মন জুড়ে বৃষ্টি নেমেছে ।আপনাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই । অনুরোধ: এইরকমভাবে বসন্তের গান শোনান না ।
আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে, আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে॥ এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি নূতন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে॥ রহিয়া রহিয়া বিপুল মাঠের পরে নব তৃণদলে বাদলের ছায়া পড়ে। ‘এসেছে এসেছে’ এই কথা বলে প্রাণ, ‘এসেছে এসেছে’ উঠিতেছে এই গান- নয়নে এসেছে, হৃদয়ে এসেছে ধেয়ে॥ আবার এসেছে আষাঢ়
জর্জদার আগে বা পরে 'আষাঢ়' শব্দের গভীরতা,উচ্চারণ ও বিস্তার আর কেউ পারেননি, একথা নির্দ্ধিধায় বলতে পারি। বর্ষার গানগুলো এক নৈসর্গিক মাত্রা পেয়েছে ওনার মেঘমন্দ্র কন্ঠে। তাঁর ঐশ্বরিক গায়কীকে সাষ্টাঙ্গপ্রণাম। আনত, আনত, আনত।
কতবার শুনেছি, কিন্তু যে তিয়াস ছিল আজও সে তিয়াস না মিটে বেড়ে গেল। শ্রদ্ধেয় দেবব্রত বিশ্বাস আজ আমাদের মাঝে কায়িক ভাবে নেই, কিন্তু তাঁর অনন্য সাধারণ কন্ঠ তাঁর উপস্থিতি অনুভব করায় ।
চিরসখা হে - দেবব্রত বিশ্বাস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় তানসেন গান গাইলে নাকি বৃষ্টি নামত! কিন্তু আহিরিটোলার প্রখর মধ্যদিনে আমি নিজে দেখেছি দেবব্রত বিশ্বাস রেডিওতে ‘বহুযুগের ওপার হতে আষাঢ়’ গাইছেন আর আকাশ জুড়ে নীলাঞ্জনছায়া় এমনকী তিনি ‘আষাঢ়’ শব্দটি উচ্চারণ করলে, উজ্জ্বয়িনী বা বিদিশা নয়, আমাদের কালীঘাটেও বৃষ্টি নামত। তারপর থেকেই আমার মনে হয় আর কোন বাঙালি গায়ক কি ‘আষাঢ়’ শব্দের উচ্চারণ জানেন? এরকম যাদুবিদ্যা তিনি নানা সময়ে দেখাতেন। লেনিন শতবর্ষে (১৯৭০) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা মাঠে রাত সাড়ে এগারোটার সময়ে ছাত্রদের আমন্ত্রণে তিনি গেয়েছিলেন ‘গায়ে আমার পুলক লাগে চোখে ঘনায় ঘোর’ - মঞ্চে লেনিনের বিরাট কাট আউট। একটা প্রেমের গানে যে অত রাজনৈতিক দ্যোতনা আনা যেতে পারে সেই প্রথম জানলাম। অত রাতে বাঙালির যৌবন ‘প্রেম’ শব্দটির অর্থ জেনে শিহরিত হয়। আর একটু পরেই তিনি দ্বিতীয়বার আমাদের জয় করে নিলেন ‘তুমি রবে নীরবে’ গেয়ে। জীবনে প্রথম সবিস্ময়ে খেয়াল করলাম দ্বিতীয় স্তবকে তিনি ‘মম জীবন যৌবন, মম সফল স্বপন’ গাওয়ার সময় ঈষৎ পালটে ‘সকল স্বপন’ গাইলেন, আমাদের সুন্দরীতমাদের অনেকেই ভেবেছিলেন ভুলে হল এরকম। পরে শুনেছি জর্জ বিশ্বাসের বিশ্বাস ছিল যে প্রেমিকার সৌরভ ছাড়া তো স্বপ্ন সফলতায় পৌঁছতেই পারে না; সুতরাং ‘সকল স্বপন’ হবে (এখন প্রমাণ হয়েও গেছে যে রবীন্দ্রনাথের পান্ডুলিপিতে ‘ক’ ও ‘ফ’ খুব প্রভেদ না রাখায় এই মুদ্রণ বিভ্রাট ঘটেছিল) যা থমকে আছে প্রিয় নারীর সুগন্ধের প্রত্যাশায়। আজ আর বলতে দ্বিধা নেই রবীন্দ্রসঙ্গীতের বিশ্বে তিনি সর্বাধিক ভাবে সেরিব্রাল। অচলায়তনের বাসিন্দা হতে তিনি অস্বীকার করেছিলেন; বিশ্বভারতীর নায়েব গোমস্তাদের সতর্ক বাণী সত্ত্বেও খরাতপ্ত তৃষাদগ্ধ প্রাণের এই প্রদেশে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ঋষ্যশৃঙ্গের মতো মৌন তপস্বী যার আগমনে ঘোষিত হয় সমাগতোরাজবদুন্নত ধ্বনি - গানের বারিধারা - আমাদের নব মেঘদূত। এই ছদ্মবেশী দেবতাকে আমরা যৌবনের দিনে কত দেখেছি! তখনও রাসবিহারীর মোড় মেট্রোবিহীন। তখনও বাইককে মোটর সাইকেল বলা হত, তাতে চড়ে তিনি আসতেন, ওষুধের দোকানে দাঁড়াতেন, কখন মোড়ের বিরাট আয়না লাগানো বরফের চাঁই বিছানো পানের দোকান থেকে পান কিনতেন হাসিমুখে। গুন গুন করে কিছু একটা গাইছেন। তখন তো বুঝতে পারি না যে ইনি বাঙালির পল রবসন! দুর্ভাগ্য দেবব্রতর যে এদেশে যথার্থ সমালোচক নেই। যিনি, পল রবসনের তথাকথিত ‘চ্যুতি’ যেমন ইতিহাসের মাত্রা পায়, তেমন ভাবে জর্জ বিশ্বাস কে খোঁজার জন্য জাতীয় চৈতন্যের গহন শিকড়ে নেমে যাবেন। পল রবসনের কথা মনে হল কেননা দেবব্রত ও শেষপর্যন্ত একজন আশ্রমিক গীতিকার ও সুরকারকে জনপরিসরে নিয়ে আসার প্রয়াস করেছিলেন। যাকে বলে হার্লেম রনেসঁস তার সঙ্গে আইপিটিএ-র দেবব্রত যেভাবে রবীন্দ্রনাথকে পুনরাবিষ্কার করেছিলেন তার মিল রয়েছে। রবসন নিগ্রো আধ্যাত্মিকতাকে ক্রমশ মুক্তি দিতে চাইছিলেন় মার্কিনি শ্রমজীবীর মূল সংস্কৃতিতে আর দেবব্রত বিশ্বাস তাঁর পূজা পর্যায়ের গানে ব্রাহ্ম রক্ষণশীলতাকে মুক্তস্রোতা করে দিলেন। রবীন্দ্রসংগীতের মৌলবাদ তাকে ব্রতভ্রষ্ট মনে করে অথচ জর্জ বিশ্বাস রবীন্দ্রচর্চার সীমানার বাইরেও জনসমর্থন পেয়ে যান; অনেকটাই রবসন যেমন কালো সমাজের । দেবব্রত বিশ্বাসকে কি তবে একধরনের ক্রসওভার শিল্পী বলব? আসলে দেবব্রত যখন সক্রিয়, যেমন রবসন অন্তত ১৯২৪-৪৫ কালপর্বে, তখনও আমরা বুঝিনি সংস্কৃতির নির্দিষ্ট ফ্রেমের বাইরে কীভাবে চলে যাওয়া যায়। আজ হয়ত দেবব্রত বিশ্বাস রবীন্দ্রগানের একটি উপসংস্কৃতিও হয়ে উঠতে পারেন, যেমন হয়ত বিটল ঘরানায় পল ম্যাকার্টনি। নিগ্রো স্পিরিচুয়াল ও ব্রাহ্ম উপাসনারীতি আসলে উপলক্ষ ছিল। বিপ্লবী হয়ে ওঠা ছিল দুজনেরই নিয়তি়।
কথা বলার সময় যিনি সর্বদাই পূর্ব বাঙলার ভাষা ব্যবহার করতেন, রবীন্দ্রনাথের গান গাওয়ার সময় তাঁর মতো উচ্চারণ আর কোন শিল্পী করতে পারেন নি, এখনও পারেন না। মহাপ্রয়াণের এতো বছর পরে আজও তিনি সর্বশ্রেষ্ঠত্বের আসন অধিকার করে রয়েছেন। বর্তমান শিল্পীরা তাঁর ধারেকাছেও আসতে পারছেন না। তিনি অনন্য, তাঁকে সশ্রদ্ধ প্রণাম।
অসাধারণ । এইরকম স্বর্গীয় গানের প্রশংসা কোন ভাষাতেই সম্ভব নয়। যেমন রচনা ও সু্র তেমনি পরিবেশন। শতকোটি প্রণাম।
অনেক দিন পর অঝোর ধারায় কাঁদলাম! মনে হয়তো মেঘ জমে ছিল,টের পাইনি। আবার এসেছে শুনতে শুনতে আমার চোখে শ্রাবণধারা ! হৃদয় খুঁড়ে সব আবেগ প্রতিস্থাপন করা এঁদের মতো শিল্পীদের পক্ষেই সম্ভব।
প্রনাম আমার অতি প্রিয় শিল্পীকে।
Atlentas Music এর টেকনিক্যাল সাপোর্ট বিভাগ কে জানাই অভিনন্দন। জর্জ দার কালজয়ী রবীন্দ্রসঙ্গীত গুলি নুতন করে উপস্থাপনার করে আপনারা এক বিশিষ্ট কাজ করলেন।
ওঁর বর্ষার গানে মন প্রাণ ভেসে যায়.. সব রকম "স "... আর সব রকম "র " এর বিভিন্ন উচ্চারণ মেনে অসাধারণ গায়কী এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায়।।।। কি ভাবেই না অবহেলা সহ্য করে চলে গ্যাছেন... ভাবলে আজও চোখে জল চলে আসে 🙏🏽🙏🏽🙏🏽🙏🏽
যথার্থই বলেছেন। 😊
Satti biswa bharati tandramor jonno..odikay kishore kumar kay permission dea chilo...Satyajit babur thalay
আজ অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে আর আমি জর্জ বিশ্বাসের বর্ষার গান শুনছি অসাধারণ।
Golden voice will be remembered for generations to come and enthral the lovers of Rabindra Sangeet.
আ: কতদিন পর সেই গভীর বাণী হৃদয়ে দোলা দিয়ে গেল ।মনে হল ,এ এক বর্ষার রাতে শরীর-মন জুড়ে বৃষ্টি নেমেছে ।আপনাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই ।
অনুরোধ: এইরকমভাবে বসন্তের গান শোনান না ।
বাইরে মেঘের ঘনঘটা ... এমন দিনে এই গান শুনে নতুন অনুভূতি নিয়ে আসছে...
আহ্ কী অসাধারণ কণ্ঠস্বর! রবীন্দ্র সঙ্গীতে এত মিষ্টি, সুমধুর কণ্ঠ আর শুনিনি। বিনম্র শ্রদ্ধা প্রিয় শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস। পরপারে চিরশান্তিতে থাকুন।
অপূর্ব সময়োচিত কালেকশনের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন।
স্তব্ধ হন, ঈশ্বর সুর সাধছেন।
অপরূপ মন্তব্য!
অসাধারণ মন্তব্য।
Whenever I feel dejected, tired, mood of, I take the help of great debabrata biswas. Debabratabiswas is my inspiration. Lastly i enjoy his voice.
অসাধারন, শিল্পীকে আমার পৃনাম
Ki darun laage shunte. Ki doraj golay gaan gulo geyechhen . Opurbo.
অসাধারন 🌹 অপূর্ব 🌹 শ্রবনে পূণ্যলাভ 🙏
রবীন্দ্রসঙ্গীতে গায়কীর আধুনিকতা বোধহয় এই ঈশ্বর আমাদের শুনিয়ে গেছেন❤❤❤
কালজয়ী রবীন্দ্রসঙ্গীত গুলি নুতন করে উপস্থাপনার করে আপনারা এক বিশিষ্ট কাজ করলেন। শ্রদ্ধেয় অতি প্রিয় শিল্পীকে প্রণাম 🙏🙏
8 no. gaan. ti amake beshi probhabito kore, puro album ti tulonahin .
আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে,
আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে॥
এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি
পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি
নূতন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে॥
রহিয়া রহিয়া বিপুল মাঠের পরে
নব তৃণদলে বাদলের ছায়া পড়ে।
‘এসেছে এসেছে’ এই কথা বলে প্রাণ,
‘এসেছে এসেছে’ উঠিতেছে এই গান-
নয়নে এসেছে, হৃদয়ে এসেছে ধেয়ে॥
আবার এসেছে আষাঢ়
Oo
জর্জদার আগে বা পরে 'আষাঢ়' শব্দের গভীরতা,উচ্চারণ ও বিস্তার আর কেউ পারেননি, একথা নির্দ্ধিধায় বলতে পারি।
বর্ষার গানগুলো এক নৈসর্গিক মাত্রা পেয়েছে ওনার মেঘমন্দ্র কন্ঠে। তাঁর ঐশ্বরিক গায়কীকে সাষ্টাঙ্গপ্রণাম।
আনত, আনত, আনত।
প্রণাম জর্জ দা। রবীন্দ্রনাথের গান মূর্ত হয়ে উঠলো আপনার কন্ঠে।
অনেক ধন্যবাদ অ্যাটলান্টিস মিউজিক কেও এই অ্যালবামটি প্রকাশ করার জন্য।
আজ বাইরে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে।আর ঘরে বসে গান শুনছি আর ভাবছি এরা কেন হাজার বছর বাঁচে না।
এই জলদগম্ভীর কণ্ঠ আর সাথে কবিগুরু - মিলেমিশে এক অসাধারণ সকাল ধরা দিল !
প্রণাম ও শ্রদ্ধা !
🎉daru... N. Onekdin por enar gan sunlam. Thanks.
মন, প্রাণ দিয়ে গাওয়া গানগুলি হৃদয় ভালো লাগায় পরিপূর্ণ করে দিল।
কি সুন্দর ভরাট গলা বার শুনতে ইচ্ছে করে জর্জ বিশ্বাসের কন্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত।
Osadharon gayaki, Debabrota Biswas er obhab purno hobe na konodin
অসাধারণ। কোনো তুলনা হয়না।
অসাধারণ
এতেও যদি বৃষ্টি না নামে তাহলে আর হলো না। জর্জদা না পারলে মিয়া তানসেনও পারবে না।
হ্যাঁ
ভীষন মন তোলাপার করে।
একদম ঠিক
@@shounaksengupta7153
😢😢frrrr😢😢
Akdom thik katha
Presentation of George Da's Melodious Voice reflects Surya Chandra Graha Tara Der Abichal Anagona. Tumi Dhanna Dhanna HAE , TUMI ANANTA - GEORGE DA. ❤
Asadharon my favorite
কবি গুরুর গান ও জর্জদার কন্ঠ - এ যেন এক ঈশ্বরিয় অনুভুতি। প্রনাম।
I didn't know his other name, George. Nice to know. He IS the BEST.
Apurbo
আহা!💐
জর্জ দার গানের টানে বৃষ্টি নামলো অবশেষে।
Excellent collection.
Thanks for listening😊
Aha,Surer Suddha rase shikto holo mon praan
Chamatkar.Super & lovely.Lucky to share & hear ur voice.🙏
Appreciate Sir/Mam .A huge delight.🙏👏👊✌️
, অসাধারণ ❤
রবীন্দ্রনাথকে নতুন করে উপস্থাপনা, খুব সুন্দর।
কতবার শুনেছি, কিন্তু যে তিয়াস ছিল আজও সে তিয়াস না মিটে বেড়ে গেল। শ্রদ্ধেয় দেবব্রত বিশ্বাস আজ আমাদের মাঝে কায়িক ভাবে নেই, কিন্তু তাঁর অনন্য সাধারণ কন্ঠ তাঁর উপস্থিতি অনুভব করায় ।
অসাধারণ। বার বার শুনতে ইচ্ছে করে।
Asadharon....❤
মুগ্ধ হলাম ।
apurba
Aha mon kemon kora swar.
Apurba
ওনার গান শুনলে মন ভালো হয়ে যায়
Excellent album 🙏🙂👍
0
যেমন গায়কী,তেমনই দুর্লভ কন্ঠস্বর...আর তেমনই নিখুঁত উচ্চারণ!
I know ads are necessary, but right in the middle of these divine renditions? Is this to force people to subscribe to Prime?
Tumi kemon kore gaan koro he guni,Mora obaak hoye suni 🙏🙏🙏🙏.
চিরসখা হে - দেবব্রত বিশ্বাস
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
তানসেন গান গাইলে নাকি বৃষ্টি নামত! কিন্তু আহিরিটোলার প্রখর মধ্যদিনে আমি নিজে দেখেছি দেবব্রত বিশ্বাস রেডিওতে ‘বহুযুগের ওপার হতে আষাঢ়’ গাইছেন আর আকাশ জুড়ে নীলাঞ্জনছায়া় এমনকী তিনি ‘আষাঢ়’ শব্দটি উচ্চারণ করলে, উজ্জ্বয়িনী বা বিদিশা নয়, আমাদের কালীঘাটেও বৃষ্টি নামত। তারপর থেকেই আমার মনে হয় আর কোন বাঙালি গায়ক কি ‘আষাঢ়’ শব্দের উচ্চারণ জানেন?
এরকম যাদুবিদ্যা তিনি নানা সময়ে দেখাতেন।
লেনিন শতবর্ষে (১৯৭০) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা মাঠে রাত সাড়ে এগারোটার সময়ে ছাত্রদের আমন্ত্রণে তিনি গেয়েছিলেন ‘গায়ে আমার পুলক লাগে চোখে ঘনায় ঘোর’ - মঞ্চে লেনিনের বিরাট কাট আউট। একটা প্রেমের গানে যে অত রাজনৈতিক দ্যোতনা আনা যেতে পারে সেই প্রথম জানলাম। অত রাতে বাঙালির যৌবন ‘প্রেম’ শব্দটির অর্থ জেনে শিহরিত হয়। আর একটু পরেই তিনি দ্বিতীয়বার আমাদের জয় করে নিলেন ‘তুমি রবে নীরবে’ গেয়ে। জীবনে প্রথম সবিস্ময়ে খেয়াল করলাম দ্বিতীয় স্তবকে তিনি ‘মম জীবন যৌবন, মম সফল স্বপন’ গাওয়ার সময় ঈষৎ পালটে ‘সকল স্বপন’ গাইলেন, আমাদের সুন্দরীতমাদের অনেকেই ভেবেছিলেন ভুলে হল এরকম। পরে শুনেছি জর্জ বিশ্বাসের বিশ্বাস ছিল যে প্রেমিকার সৌরভ ছাড়া তো স্বপ্ন সফলতায় পৌঁছতেই পারে না; সুতরাং ‘সকল স্বপন’ হবে (এখন প্রমাণ হয়েও গেছে যে রবীন্দ্রনাথের পান্ডুলিপিতে ‘ক’ ও ‘ফ’ খুব প্রভেদ না রাখায় এই মুদ্রণ বিভ্রাট ঘটেছিল) যা থমকে আছে প্রিয় নারীর সুগন্ধের প্রত্যাশায়।
আজ আর বলতে দ্বিধা নেই রবীন্দ্রসঙ্গীতের বিশ্বে তিনি সর্বাধিক ভাবে সেরিব্রাল। অচলায়তনের বাসিন্দা হতে তিনি অস্বীকার করেছিলেন; বিশ্বভারতীর নায়েব গোমস্তাদের সতর্ক বাণী সত্ত্বেও খরাতপ্ত তৃষাদগ্ধ প্রাণের এই প্রদেশে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ঋষ্যশৃঙ্গের মতো মৌন তপস্বী যার আগমনে ঘোষিত হয় সমাগতোরাজবদুন্নত ধ্বনি - গানের বারিধারা - আমাদের নব মেঘদূত।
এই ছদ্মবেশী দেবতাকে আমরা যৌবনের দিনে কত দেখেছি! তখনও রাসবিহারীর মোড় মেট্রোবিহীন। তখনও বাইককে মোটর সাইকেল বলা হত, তাতে চড়ে তিনি আসতেন, ওষুধের দোকানে দাঁড়াতেন, কখন মোড়ের বিরাট আয়না লাগানো বরফের চাঁই বিছানো পানের দোকান থেকে পান কিনতেন হাসিমুখে। গুন গুন করে কিছু একটা গাইছেন। তখন তো বুঝতে পারি না যে ইনি বাঙালির পল রবসন! দুর্ভাগ্য দেবব্রতর যে এদেশে যথার্থ সমালোচক নেই। যিনি, পল রবসনের তথাকথিত ‘চ্যুতি’ যেমন ইতিহাসের মাত্রা পায়, তেমন ভাবে জর্জ বিশ্বাস কে খোঁজার জন্য জাতীয় চৈতন্যের গহন শিকড়ে নেমে যাবেন। পল রবসনের কথা মনে হল কেননা দেবব্রত ও শেষপর্যন্ত একজন আশ্রমিক গীতিকার ও সুরকারকে জনপরিসরে নিয়ে আসার প্রয়াস করেছিলেন। যাকে বলে হার্লেম রনেসঁস তার সঙ্গে আইপিটিএ-র দেবব্রত যেভাবে রবীন্দ্রনাথকে পুনরাবিষ্কার করেছিলেন তার মিল রয়েছে।
রবসন নিগ্রো আধ্যাত্মিকতাকে ক্রমশ মুক্তি দিতে চাইছিলেন় মার্কিনি শ্রমজীবীর মূল সংস্কৃতিতে আর দেবব্রত বিশ্বাস তাঁর পূজা পর্যায়ের গানে ব্রাহ্ম রক্ষণশীলতাকে মুক্তস্রোতা করে দিলেন। রবীন্দ্রসংগীতের মৌলবাদ তাকে ব্রতভ্রষ্ট মনে করে অথচ জর্জ বিশ্বাস রবীন্দ্রচর্চার সীমানার বাইরেও জনসমর্থন পেয়ে যান; অনেকটাই রবসন যেমন কালো সমাজের ।
দেবব্রত বিশ্বাসকে কি তবে একধরনের ক্রসওভার শিল্পী বলব? আসলে দেবব্রত যখন সক্রিয়, যেমন রবসন অন্তত ১৯২৪-৪৫ কালপর্বে, তখনও আমরা বুঝিনি সংস্কৃতির নির্দিষ্ট ফ্রেমের বাইরে কীভাবে চলে যাওয়া যায়। আজ হয়ত দেবব্রত বিশ্বাস রবীন্দ্রগানের একটি উপসংস্কৃতিও হয়ে উঠতে পারেন, যেমন হয়ত বিটল ঘরানায় পল ম্যাকার্টনি। নিগ্রো স্পিরিচুয়াল ও ব্রাহ্ম উপাসনারীতি আসলে উপলক্ষ ছিল। বিপ্লবী হয়ে ওঠা ছিল দুজনেরই নিয়তি়।
Darun likhechhen
কথা বলার সময় যিনি সর্বদাই পূর্ব বাঙলার ভাষা ব্যবহার করতেন, রবীন্দ্রনাথের গান গাওয়ার সময় তাঁর মতো উচ্চারণ আর কোন শিল্পী করতে পারেন নি, এখনও পারেন না। মহাপ্রয়াণের এতো বছর পরে আজও তিনি সর্বশ্রেষ্ঠত্বের আসন অধিকার করে রয়েছেন। বর্তমান শিল্পীরা তাঁর ধারেকাছেও আসতে পারছেন না। তিনি অনন্য, তাঁকে সশ্রদ্ধ প্রণাম।
Onar sangit monpran juria jai
🙏🙏🙏🙏
❤❤❤❤
আমার খুবই পছন্দের শিল্পী !
Anek din por aakhir asrudharar barshon amar mone prane ghoniye eseche ASAR JORJE SAHEBER asadharon sure murchonay. Dhonnyobad poorano sriti jagiye tolar jonnoyo .
স ষ শ এবং ছ এর উচ্চারণ বড় কানে লাগলো :( :(
Aan....😮😮😮😮😮...
Rabindra sangeet a dujoner uccharon bikheto ekjon Debabrata Biswas r ek jon Pijush kanti Sarkar. ..
সুবিনয় রায় ও আছেন
❤❤❤❤❤
Aaj eimatro bristi holo jhor jhor kore. Ei gaaneo Jodi bristi na hoy Tobe kemon kore hobe? Apurbo.
Ai manush guli kotha theke ase chilo, era ki anno graher manush chilen? ar to kauke dekhina, ai bhabe gaite
🙏🙏🙏🙏🙏🌹🌹🌹🌹🌹
কবিগুরুর বষার গানে কিশোর গঞ্জের জজ হলেন চিরদিবসের রাজা।।
Satya barsa nemechhe
অসাধারণ গায়কী
তোমার গান শুনে মনটা বড্ড কেমন
করে ওঠে
❤
🙏🙏🙏🙏🎉🎉
ওরা amare গাইতে দিল না।
দেবশঙ্কর হালদার ভালো জানেন।
🇧🇩
❤🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏💕
সব গানগুলি তো দেবব্রত বিশ্বাস-এর নয়।
মাথা খারাপ হয়ে গেছে?????
Tahole kar gola mone hoi?
সবক'টা গানই জর্জদার কণ্ঠে। আপনি হয়তো ওঁনার কন্ঠের সঙ্গে সঠিকভাবে পরিচিত নন। আপনি নিশ্চিন্তে শুনুন, এতজন শ্রোতা (আমাকে নিয়ে) একসঙ্গে ভুল বলতে পারে না। আনন্দ উপভোগ করুন।
দারূন
Bangladesh
সকালবেলা এই
Pls stop advertising.
78
গান বন্ধ করে গানের মাঝখানে বিজ্ঞাপন???!!¡
❤
🙏🙏🙏