লিওনার্দো দা ভিঞ্চি র বর্ণময় জীবন কাহিনী | Leonardo da Vinci | জীবনী | Bangla
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 6 ต.ค. 2024
- লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ভিঞ্চি’ পুরো নাম ‘Leonardo di ser Piero da Vinci’ বা ‘লেওনার্দো দি সের পিয়েরো দা ভিঞ্চি’ জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ১৪৫২ সারের ১৫ এপ্রিল, তুসকান এর পাহাড়ি এলাকা ভিঞ্চিতে। এটি ছিল আর্নো নদীর ভাটি অঞ্চল। তিনি ছিলেন ফ্লোরেন্সের এক নোটারী পিঁয়েরে দ্য ভিঞ্চি এবং এক গ্রাম্য মহিলা ক্যাটরিনার সন্তান। অবশ্য পিঁয়েরে পরবর্তী সময়ে ফ্লোরেন্সের চ্যান্সেলর হয়েছিলেন। তাঁর মা সম্ভবত মধ্যপ্রাচ্যের একজন দাসী ছিলেন। আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে লিওনার্দোর নামে কোন বংশ পদবী ছিল না। ‘দ্য ভিঞ্চি’ দিয়ে বোঝায় তিনি এসেছেন ভিঞ্চি নগরী থেকে। তাঁর পুরো নাম “লেওনার্দো দাই সের পিয়েরো দা ভিঞ্চি” এর অর্থ হল পিয়েরোর পুত্র লিওনার্দো এবং তিনি জন্মেছেন ভিঞ্চিতে।
লিওনার্দোকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলে যেতে হয়নি। তিনি বিশেষ করে ল্যাটিন ও গ্রিক ভাষায় বেশ দুর্বল ছিলেন। তাই তিনি তার কৈশোর ও যৌবনের অধিকাংশ সময় প্রকৃতি, বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা এবং অনুসন্ধানের সাথে কাটিয়েছেন। লিওনার্দোর বাবা লিওনার্দোর জন্মের প্রায় আট মাস পরে ‘আলবিয়ারা’ নামক এক মহিলাকে বিয়ে করেন এবং ফ্লোরেন্স শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। লিওনার্দো তার দাদু-দিদা এবং কাকা অ্যান্টেনিও ও তার স্ত্রীর সাথে ভিঞ্চি পরিবারে বেড়ে উঠতে থাকেন। ১৪৬৪ সালে পিয়েরো ভিঞ্চির স্ত্রী আলবিরা সন্তান জন্মদানের সময় মারা গেলে লিওনার্দোর বাবা ছেলেকে ফ্লোরেন্স শহরে নিয়ে আসে।
ছোটবেলা থেকেই লিওনার্দোর ছবি আঁকার ঝোঁক ছিল। সেই দেখে উনার পিতা সিদ্ধান্ত নেন লিওনার্দোকে অঙ্কন শিক্ষা দেবেন। ১৪৬৬ সালে লিওনার্দোর বয়স যখন ১৪, তখন লিওনার্দোর পিতা, সে সময়ের একজন সফল চিত্রকর ভ্যারিচ্চিও (Verrocchio)-র কাছে ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দেন। ভ্যারিচ্চিও’র কর্মস্থলে সেই সময়ে অনেক গুণী মানুষদের সমাগম হত। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন গিরল্যান্ডিও (Ghirlandaio), পেরুগন (Perugino), লরেঞ্জো দাই ক্রিডি (Lorenzo di Credi) সহ আরও অনেক বিখ্যাত মানুষ।
এখানে কাজ করে লিওনার্দো হাতে কলমে প্রচুর কারিগরি জ্ঞানার্জন করেছিলেন। তার সুযোগ হয়েছিল কারুকার্য, রসায়ন, ধাতুবিদ্যা, ধাতু দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানানো, চামড়া দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানানো, গতিবিদ্যা এবং কাঠের কাজ ইত্যাদি শেখার। তিনি আরও শিখেছিলেন দৃষ্টিনন্দন নকশা করা, ছবি আঁকা, ভাস্কর্য তৈরি এবং মডেলিং। ভ্যারিচ্চিওর “ডেভিড” চরিত্রে “দি বার্জেলো” (Bargello) নামক ব্রোঞ্জ মূর্তিতে, “আর্চঅ্যাঞ্জেল মাইকেল” হিসেবে “টোবিস এন্ড অ্যাঞ্জেল“(Tobias and the Angel) সহ বেশ কয়েকটি কাজে লিওনার্দো মডেল হিসেবেও কাজ করেছিলেন।১৪৭২ সালে ২০ বছর বয়সে লিওনার্দো “গিল্ড অব সেন্ট লুক” এর পরিচালক হবার য্যোগ্যতা অর্জন করেন। এটি চিকিৎসক এবং চিত্রকরদের একটি সংস্থা।
আনুমানিক ১৪৮২ সালে তিনি মিলানে চলে যান। লিওনার্দো ১৪৮২ থেকে ১৪৯৯ সালের মধ্যবর্তী সময়ে মিলানে কাজ করেছেন। ১৪৯৩ থেকে ১৪৯৫ এর মধ্যে তাঁর অধীনে কাজ করা সঙ্গীদের মধ্যে ক্যাটরিনা নামে এক মহিলার নাম পাওয়া যায়। ১৪৯৫ সালে এই মহিলাটি মারা যান। সে সময় তার শেষকৃত্যের খরচ দেখে ধারণা করা হয় তিনি ছিলেন লিওনার্দোর মা। কেউ কেউ আবার বলেন লিওনার্দো কোনদিনই নিজের মাকে দেখেননি, মোনালিসা ছবিটির মধ্যে উনার মায়ের মুখকেই তিনি এঁকেছেন।
আনুমানিক ১৫০০ সালে তিনি ফ্লোরেন্স ফিরে আসেন এবং সামরিক বিভাগে প্রকৌশলী পদে কাজে যোগ দেন। এই সময়েই তিনি তাঁর বিশ্বখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসা পোট্রেট টি এঁকেছিলেন। জীবনের শেষ সময়টা তিনি ফ্রান্সে কাটান।
ইতালীয় রেনেসাঁসের কালজয়ী চিত্রশিল্পী। বহুমুখী প্রতিভাধর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির অন্যান্য পরিচয়ও সুবিদিত- ভাস্কর, স্থপতি, সংগীতজ্ঞ, সমর যন্ত্রশিল্পী এবং বিংশ শতাব্দীর বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নেপথ্য জনক তিনিই। ১৪৭৮ সাল থেকে ১৫১৬-১৭ এবং ১৫১৯ সাল অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত গির্জা ও রাজপ্রাসাদের দেয়ালে চিত্রাঙ্কন এবং রাজকীয় ব্যাক্তিবর্গের ভাস্কর্য নির্মাণের পাশাপাশি বেসামরিক ও সামরিক প্রকৌশলী হিসাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান জ্ঞানের প্রয়োগ, অঙ্গব্যাবচ্ছেদ বিদ্যা, জীববিদ্যা, গণিত ও পদার্থবিদ্যার মত বিচিত্র সব বিষয়ের ক্ষেত্রে তিনি মৌলিক উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দেন।
#biography
#viralvideo
#bangla
#information
#jiboni
#history
#leonardodavinci
#historyfacts
#podcast
ভীষণ ভীষণ ভালো লাগল। ২০/২২ বছর বয়স থেকে লিওনার্ড সম্পর্কে যা লেখা বই ও অন্যান্য প্ত্র-পত্রিকা পেয়েছি সবই পড়েছি। স্বয়ং ঈশ্বর লিওনার্ড রূপে বিশ্বে অবতীর্ণ হয়েছিলেন ঐ কিংবদন্তী মহান ব্যক্তির শ্রীচরনে শত শত কোটি প্রনাম 🍁🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻আর তোমাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।🍁❤❤❤❤👌👍
ধন্যবাদ
প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির সাধারণ জীবনের বর্ণনা তুমি দিলে মনমুগ্ধ হয়ে শুধু শুনেছি খুব ভালো লাগলো এই ধরনের শিল্পী একবারই জন্মগ্রহণ করে বারবার এই ধরনের শিল্পী জন্মগ্রহণ করে না ঈশ্বর প্রদত্ত তার হাতের তুলি ছিল ঈশ্বরের দান
ধন্যবাদ
অপূর্ব, আপনার উপস্থাপনা মন ছুয়ে যায়। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
সঙ্গে থাকুন
অসাধারণ এই জীবন কাহিনী খুব ভালো লাগল।
ধন্যবাদ
The Great Artist very important Man...
Thanks
শুধু শুনতেই ইচ্ছে করে সারাদিন,, আরো বেশি ভিডিও দিবেন 😊❤
ধন্যবাদ
khub bhlo laaglo
Thanks
সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।
𝙏𝙝𝙖𝙣𝙠𝙨
দারুনএক্সপেরিমেন্ট স্যার
Thanks
🙏🙏
Khub valo
ধন্যবাদ
Sundor uposthapona
ধন্যবাদ
Bhalo
ধন্যবাদ
GOOD RENDITION.
ধন্যবাদ
ভাই না জেনে ভিডিও বানাও কেনো🙄🤐
কোনটা না জেনে বলবেন