@@ayesha_siddiqucka ১) হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ- 🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀 একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি। # হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর - ৪৪৩১ এবং ৫৮০৬) । তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। নবী স্ত্রীদের হিজাব ফরজ করা হয়েছে সতর্কতামূলক বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।তোমরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলোনা(বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে এমন কথা) ------------(আহজাব-৩২)। নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)। হাফেজ ইবনে হাজার বলেন, "এই অংশটুকু উম্মুল মুমিনিনদের জন্য নির্দিষ্ট"। সুরা আহযাবের ৫৩ নং আয়াতেঃ নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে।আমাদের আল্লামাগন আয়াতের প্রথম অংশকে সকল মোমেন নারীর জন্য ফরজ করা হলেও শেষের অংশকে ফরজ করা হয়নি। হিন্দুদের মত বিধবা বিবাহ হারাম করলে পুরুষদের অসুবিধা কোথায়? এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন। হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ১১৬৮ )। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে। সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)। উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত। নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)। হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)। অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)। 🏀-----------------
@@ayesha_siddiqucka ১) হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ- 🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀 একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি। # হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর - ৪৪৩১ এবং ৫৮০৬) । তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। নবী স্ত্রীদের হিজাব ফরজ করা হয়েছে সতর্কতামূলক বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।তোমরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলোনা(বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে এমন কথা) ------------(আহজাব-৩২)। নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)। হাফেজ ইবনে হাজার বলেন, "এই অংশটুকু উম্মুল মুমিনিনদের জন্য নির্দিষ্ট"। সুরা আহযাবের ৫৩ নং আয়াতেঃ নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে।আমাদের আল্লামাগন আয়াতের প্রথম অংশকে সকল মোমেন নারীর জন্য ফরজ করা হলেও শেষের অংশকে ফরজ করা হয়নি। হিন্দুদের মত বিধবা বিবাহ হারাম করলে পুরুষদের অসুবিধা কোথায়? এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন। হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ১১৬৮ )। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে। সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)। উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত। নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)। হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)। অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)। 🏀-----------------
@@BadaruddinSk-z6n ১৭) সুনানে আবু দাউদ। হাদীস নং-৪১১২। উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম এবং তাঁর নিকট মাইমূনাহ (রাঃ)-ও ছিলেন। এ সময় ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) (অন্ধ সাহাবী) এলেন। ঘটনাটি আমাদের উপর পর্দার হুকুম নাযিলের পরের। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তার থেকে আড়ালে চলে যাও। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদের দেখতে ও চিনতে পারছে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদিও সে অন্ধ কিন্তু তোমরা উভয়ে কি তাকে দেখছো না? ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ বিধান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট। তুমি কি ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ)-এর বাড়িতে ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-এর ইদ্দত পালনের বিষয়টি লক্ষ করো না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-কে বলেছেনঃ ’’তুমি ইবনু উম্মু মাকতূমের বাড়িতে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ লোক। তুমি সেখানে খোলামেলা পোশাকে থাকতে পারবে।’’ (সুনানে আবু দাউদ,[ তাহকিককৃত], হাদীস নং- ৪১১২)। 🏀-------------------
@@BadaruddinSk-z6n ১) হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ- 🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀 একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি। # হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর - ৪৪৩১ এবং ৫৮০৬) । তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। নবী স্ত্রীদের হিজাব ফরজ করা হয়েছে সতর্কতামূলক বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।তোমরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলোনা(বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে এমন কথা) ------------(আহজাব-৩২)। নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)। হাফেজ ইবনে হাজার বলেন, "এই অংশটুকু উম্মুল মুমিনিনদের জন্য নির্দিষ্ট"। সুরা আহযাবের ৫৩ নং আয়াতেঃ নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে।আমাদের আল্লামাগন আয়াতের প্রথম অংশকে সকল মোমেন নারীর জন্য ফরজ করা হলেও শেষের অংশকে ফরজ করা হয়নি। হিন্দুদের মত বিধবা বিবাহ হারাম করলে পুরুষদের অসুবিধা কোথায়? এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন। হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ১১৬৮ )। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে। সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)। উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত। নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)। হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)। অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)। 🏀-----------------
@@BadaruddinSk-z6n ১) হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ- 🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀 একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি। # হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর - ৪৪৩১ এবং ৫৮০৬) । তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। নবী স্ত্রীদের হিজাব ফরজ করা হয়েছে সতর্কতামূলক বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।তোমরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলোনা(বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে এমন কথা) ------------(আহজাব-৩২)। নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)। হাফেজ ইবনে হাজার বলেন, "এই অংশটুকু উম্মুল মুমিনিনদের জন্য নির্দিষ্ট"। সুরা আহযাবের ৫৩ নং আয়াতেঃ নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে।আমাদের আল্লামাগন আয়াতের প্রথম অংশকে সকল মোমেন নারীর জন্য ফরজ করা হলেও শেষের অংশকে ফরজ করা হয়নি। হিন্দুদের মত বিধবা বিবাহ হারাম করলে পুরুষদের অসুবিধা কোথায়? এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন। হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ১১৬৮ )। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে। সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)। উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত। নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)। হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)। অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)। 🏀-----------------
@@hasinaakter6383 ২) এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। #(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২) # (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীরা ভীড় করে থাকেন। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ৩৫৬৩, ৩৫৬৫, ৩৫৬৬, ৩৫৬৭,৩৫৭১)। # এক হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে। এখানের লক্ষণীয় বিষয় এই যে ফাতেমার(রাঃ) চেহারা খোলা ছিল। তার সৌন্দর্য দেখে রসূল(সঃ) ওসামার জন্য তাকে পছন্দ করেন এবং তার সাথে পরে বিয়ে পড়িয়ে দেন। ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে। # এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। # অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ। # আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড) # ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং-৪১১২) । # ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে বলেন,উম্মুল মোমেনিনগন মাহরামদের সাথে পর্দা করবে না। (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড) # ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)। # ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)। # মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)। # ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)। # কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। # তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)। # মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। 🏀-----------------
@@hasinaakter6383 ৯) উম্মে হারাম বিনতে মিলহান। হাদীস: আনাস( রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) উম্মে উম্মে হারাম বিনতে মিলানের কাছে যেতেন। একদিন রাসূল(স:) তার ঘরে তাসরীফ নিয়ে গেলেন এবং তাকে আহার করালেন এবং তার মাথার উকুন বাঁছতে থাকেন। রসূল(স:) ঘুমিয়ে পড়লেন। তারপর হাসতে হাসতে নিদ্রা থেকে জেগে উঠলেন। উম্মে হারাম বলেনঃ আমি বললাম, হে রাসুল( সঃ) আপনার হাসির কারণ কি? তিনি বললেন, স্বপ্নে আমার উম্মতের একদল লোককে আমার সামনে পেশ করা হল, যারা আল্লাহর পথে জিহাদকারী। উম্মে হারাম বললেম, হে আল্লাহর রাসূল( সঃ) আল্লাহর কাছে দোয়া করুন তিনি যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। রসূল( সঃ) তার জন্য দোয়া করলেন। উম্মে হারাম বিনতে মিলহান মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান এর শাসনকালে সমুদ্র যুদ্ধে যাত্রা করেন এবং জাহাজ থেকে অবতরণের পর সওয়ারী থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন ( সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ২৫৯৭, ২৬৮০, ২৬৯৫ এবং সহীহ মুসলিম, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৭৮১, ৪৭৮২, ৪৭৮৩)। সাইপ্রাসে উম্মে হারাম বিনতে মিলহানকে কবরস্থ করা হয়। বর্তমানে তার কবরের পাশে একটি মসজিদ আছে। এই হাদীসটি একদল আলেমকে বিড়াট বিপাকে ফেলেছিল। কেউ বলেন, এটা ছিল রাসূলের( সঃ) জন্য নির্দিষ্ট, যার কোন দলিল নেই। আবার কেউ বলেন, উম্মে হারাম তার দুধ মা / দুধ খালা ছিলেন, যার কোন প্রমাণ নেই। কেউ বলেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ । তার জন্য এটা দোষণীয় নয়। কিন্তু মহিলা সাহাবী নিষ্পাপ ছিলেন না, তার অবস্থা কি হবে? (২) হাদীসঃ আনাস( রাঃ) থেকে বর্নিত। উম্মে সুলাইম রসুল( সঃ) এর জন্য চামরার বিছানা বিছিয়ে দিতেন। রসুল( সঃ) তার বাড়ীতে তার উপড় শুয়ে বিশ্রাম নিতেন। আনাস( রাঃ) বলেনঃ রসুল( সঃ) ঘুমিয়ে পড়লে এবং এরপর জেগে উঠলে উম্মে সুলাইম তার শরিরের থেকে নির্গত ঘাম এবং মাথা থেকে ঝরে পড়া চুল নিতেন এবং তা একটি শিশিতে সংরক্ষনে করতেন। তারপর খুসবুর সাথে তা মিশাতেন ( সহী মুসলিম, ই,ফা, হাদীস নং- ৪৮৪৯, সহীহ বুখারী, অনুমতি চাওয়া অধ্যায়, ১৩ খন্ড)। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী বলেনঃ উল্লেখিত ঘটনাটি ঘটে বিদায় হজ্জ্বের পর। (ফাতহুল বারি)। (৩) আবু মুসা( রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রসূল( সঃ) আমাকে ইয়েমেনের একটি কওমের কাছে পাঠালেন। আমি সেখান থেকে মক্কায় ফিরে এসে রসূলের( সঃ) নির্দেশ মোতাবেক বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়া সাঈ করলাম । তারপর তিনি আমাকে এহরাম খোলার নির্দেশ দিলেন। আমি এহরাম খুললাম এবং আমার গোত্রের একজন মহিলার কাছে গেলাম। সে আমার চুল চিরুনি করে দিল অথবা (বর্ণনাকারী সন্দেহ) মাথা ধুয়ে দিল। অন্য একটি রেওয়াতে আছে, তারপর আমি বণি কায়েস গোত্রের এক মহিলার কাছে গেলে সে আমার মাথার উকুন বেছে দিল( সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নং-১৪৬৫২ । সহিঃ মুসলিম, হজ্জ্ব অধ্যায়, চার খন্ড)। হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয় মহিলাটি ছিল তার ভাইয়ের স্ত্রী। নেককার মুসলমানদের পরস্পর দীর্ঘস্থায়ী মেলামেশা এমন মহৎ অনুভূতির জন্ম দেয় যেখানে যৌনাকাঙ্ক্ষা সুপ্ত ও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে (ফা তহুল বারি, ৪ খন্ড)। (৪) হাদীসঃ জবাবের( রাঃ) থেকে বর্নিত। ইয়েমেন থেকে হজরত আলী( রাঃ) রসুলের( সঃ) কাছে উটে চড়ে ফিরে এলেন। তখন ফাতিমাকে( রাঃ) এহরাম বিহীন অবস্থায় দেখা গেল। তিনি রঙ্গিন পোষাক পরিধান করেছেন এবং সুরমা লাগিয়েছেন। ( সহী মুসলিম, কিতাবুল হজ্জ্ব অনুচ্ছেদ, ৪ খন্ড) (৫) হাদীসঃ আতা ইবনে আবু রিহাব থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস ( রাঃ) আমাকে বলেছেন, আমি কি তোমাকে একজন বেহেস্তী মহিলা দেখাবো? আমি জবাব দিলাম, হাঁ নিশ্চয়ই! তিনি বলেন, এই কৃষ্নকায় মহিলাটিকে দেখো( সহী বুখারী, ই,ফা,হাদিস নং -৫২৪৯, ৫২৫০। দুনিয়াথেকে বেহেস্তের সুসংবাদ প্রাপ্ত একজন মহিলার চেহারা ছিল খোলা। (৬) হাদীসঃ ইবনে জুরাইহ থেকে বর্নিত।তিনি বলেনঃ আতা আমাকে জানিয়েছে, তিনি উম্মে জাফরকে( বেহেস্তি মহিলা) কাবার গিলাফের নিকট দেখতে পেয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন দীর্ঘাঙ্গী কৃষ্ণকায় মহিলা। ( সহী বুখারী ও মুসলিম)। চেহারা খোলা না থাকলে আপনি তাকে চিনবেন কিভাবে? ----------------
১৭) সুনানে আবু দাউদ। হাদীস নং-৪১১২। উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম এবং তাঁর নিকট মাইমূনাহ (রাঃ)-ও ছিলেন। এ সময় ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) (অন্ধ সাহাবী) এলেন। ঘটনাটি আমাদের উপর পর্দার হুকুম নাযিলের পরের। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তার থেকে আড়ালে চলে যাও। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদের দেখতে ও চিনতে পারছে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদিও সে অন্ধ কিন্তু তোমরা উভয়ে কি তাকে দেখছো না? ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ বিধান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট। তুমি কি ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ)-এর বাড়িতে ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-এর ইদ্দত পালনের বিষয়টি লক্ষ করো না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-কে বলেছেনঃ ’’তুমি ইবনু উম্মু মাকতূমের বাড়িতে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ লোক। তুমি সেখানে খোলামেলা পোশাকে থাকতে পারবে।’’ (সুনানে আবু দাউদ,[ তাহকিককৃত], হাদীস নং- ৪১১২)। 🏀-------------------
@@taslimabegumrubi1287 ৮) চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। (৩) কোন কিশোরীর যখন ঋতুস্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দুই হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট হওয়া বিধেয়ো নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, ৩১০ পৃষ্ঠা) মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ)।কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে জাহেলী যুগের সাজসজ্জার অনুকরণে নেকাব পড়া একটি হাদিস পাবেন, যা এহরামের সময় হারাম ঘোষণা করা হয়। 🏀-----------------
ফজরের ওয়াজ শুনতে খুবই ভালো লাগে মাশাআল্লাহ
Allah Tumi amake porda korar tawofik dan koro amin
আপনার দুরুদ কেয়াম আমার
কাছে এত ভালো লাগে কেন
মাশাআল্লাহ হুজুর মাশাআল্লাহ হুজুর ❤❤❤
মাশাআল্লাহ
Allah amare sotik babe porda korar towfik dan koren amin
Mashallah
এই ওয়াজটা শুনতে খুব ভালো লাগলো
😢😢😢
মাসাআল্লাহ ওয়াজটা অনেক ভালো লাগলো
আপনার ওয়ায গুলো শুনতে ভালো লাগে ❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
মাশাআল্লাহ হুজুর মাশাআল্লাহ হুজুর ❤❤😢😢
হে আল্লাহ আপনি আমাকে পরদা করার তৌফিক দেন আমিন
ইনশাল্লাহ আপু পরদা করার তৌফিক দান করক ইনশাআল্লাহ আপু তুমি পরদা করার তৌফিক দান করক ইনশাআল্লাহ আপু❤❤❤❤।
@@ayesha_siddiqucka ১) হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ-
🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀
একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি।
# হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর - ৪৪৩১ এবং ৫৮০৬) ।
তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। নবী স্ত্রীদের হিজাব ফরজ করা হয়েছে সতর্কতামূলক বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে।
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।তোমরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলোনা(বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে এমন কথা) ------------(আহজাব-৩২)।
নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)।
হাফেজ ইবনে হাজার বলেন, "এই অংশটুকু উম্মুল মুমিনিনদের জন্য নির্দিষ্ট"।
সুরা আহযাবের ৫৩ নং আয়াতেঃ নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে।আমাদের আল্লামাগন আয়াতের প্রথম অংশকে সকল মোমেন নারীর জন্য ফরজ করা হলেও শেষের অংশকে ফরজ করা হয়নি। হিন্দুদের মত বিধবা বিবাহ হারাম করলে পুরুষদের অসুবিধা কোথায়?
এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন।
হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ১১৬৮ )। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে।
সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)।
উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত।
নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)।
হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত।
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
🏀-----------------
@@ayesha_siddiqucka ১) হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ-
🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀
একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি।
# হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর - ৪৪৩১ এবং ৫৮০৬) ।
তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। নবী স্ত্রীদের হিজাব ফরজ করা হয়েছে সতর্কতামূলক বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে।
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।তোমরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলোনা(বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে এমন কথা) ------------(আহজাব-৩২)।
নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)।
হাফেজ ইবনে হাজার বলেন, "এই অংশটুকু উম্মুল মুমিনিনদের জন্য নির্দিষ্ট"।
সুরা আহযাবের ৫৩ নং আয়াতেঃ নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে।আমাদের আল্লামাগন আয়াতের প্রথম অংশকে সকল মোমেন নারীর জন্য ফরজ করা হলেও শেষের অংশকে ফরজ করা হয়নি। হিন্দুদের মত বিধবা বিবাহ হারাম করলে পুরুষদের অসুবিধা কোথায়?
এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন।
হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ১১৬৮ )। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে।
সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)।
উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত।
নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)।
হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত।
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
🏀-----------------
আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন মাদ্রাসায় পরাইতে পাড়ি😢😢😢😢
hujur amar sami amaka porday rakty say kuntu or ma baba at chayna amara joyant poribar akhon ki korbo plz uttorta diban
Nice
সব নারীদেরকে আল্লাহ পর্দা করার তৌফিক দান করুন
আমিন❤
😊@@mdsipon3523😊
@@BadaruddinSk-z6n ১৭) সুনানে আবু দাউদ।
হাদীস নং-৪১১২। উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম এবং তাঁর নিকট মাইমূনাহ (রাঃ)-ও ছিলেন। এ সময় ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) (অন্ধ সাহাবী) এলেন। ঘটনাটি আমাদের উপর পর্দার হুকুম নাযিলের পরের। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তার থেকে আড়ালে চলে যাও। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদের দেখতে ও চিনতে পারছে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদিও সে অন্ধ কিন্তু তোমরা উভয়ে কি তাকে দেখছো না?
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ বিধান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট। তুমি কি ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ)-এর বাড়িতে ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-এর ইদ্দত পালনের বিষয়টি লক্ষ করো না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-কে বলেছেনঃ ’’তুমি ইবনু উম্মু মাকতূমের বাড়িতে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ লোক। তুমি সেখানে খোলামেলা পোশাকে থাকতে পারবে।’’ (সুনানে আবু দাউদ,[ তাহকিককৃত], হাদীস নং- ৪১১২)।
🏀-------------------
@@BadaruddinSk-z6n
১) হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ-
🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀
একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি।
# হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর - ৪৪৩১ এবং ৫৮০৬) ।
তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। নবী স্ত্রীদের হিজাব ফরজ করা হয়েছে সতর্কতামূলক বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে।
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।তোমরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলোনা(বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে এমন কথা) ------------(আহজাব-৩২)।
নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)।
হাফেজ ইবনে হাজার বলেন, "এই অংশটুকু উম্মুল মুমিনিনদের জন্য নির্দিষ্ট"।
সুরা আহযাবের ৫৩ নং আয়াতেঃ নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে।আমাদের আল্লামাগন আয়াতের প্রথম অংশকে সকল মোমেন নারীর জন্য ফরজ করা হলেও শেষের অংশকে ফরজ করা হয়নি। হিন্দুদের মত বিধবা বিবাহ হারাম করলে পুরুষদের অসুবিধা কোথায়?
এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন।
হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ১১৬৮ )। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে।
সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)।
উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত।
নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)।
হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত।
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
🏀-----------------
Congratulation
Yes
4:13
আমার দুটো মেয়ে আছে আমি তাদেরকে পর্দা করে চালাই পর্দায় থাকার জন্য দোয়া করবেন আমিন
Amin
@@BadaruddinSk-z6n ১) হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ-
🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀
একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি।
# হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর - ৪৪৩১ এবং ৫৮০৬) ।
তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। নবী স্ত্রীদের হিজাব ফরজ করা হয়েছে সতর্কতামূলক বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে।
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।তোমরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলোনা(বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে এমন কথা) ------------(আহজাব-৩২)।
নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)।
হাফেজ ইবনে হাজার বলেন, "এই অংশটুকু উম্মুল মুমিনিনদের জন্য নির্দিষ্ট"।
সুরা আহযাবের ৫৩ নং আয়াতেঃ নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে।আমাদের আল্লামাগন আয়াতের প্রথম অংশকে সকল মোমেন নারীর জন্য ফরজ করা হলেও শেষের অংশকে ফরজ করা হয়নি। হিন্দুদের মত বিধবা বিবাহ হারাম করলে পুরুষদের অসুবিধা কোথায়?
এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন।
হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ১১৬৮ )। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে।
সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)।
উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত।
নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)।
হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত।
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
🏀-----------------
Assalam walekum Google 🌿💚🌿💚🌿💚🌿💚🌿💚🌿💚🌿💚♥️
Allah kal take porda karmo❤❤
🎉🎉🎉🎉🎉😢😢😢😢😢
Ame akden ❤ namaj ogo korata gae dake Allah atosondor Allah Dane aca hata 1ta topce aca Allah atosondor ❤❤❤❤❤
Rubi ❤doia korban❤osak❤❤
মাশাআল্লাহ সুন্দর হয়েছে ❤❤❤❤
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন আমিন
Behesok
Ma sha allah
AIIah Tumi Amadar Sobaykay dojar kamay bay😢
Allah apni amader porda korar towfik dan korun ❤
আমিন
Mass All
পার্দা তো থাক। বাংলাদেশের ছেলেরা মহিলা পার্লার দিয়ে মহিলাদের কে সাজায় সব ছেলে পার্লার গুলো বন্ধ করা হোক। 🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻
Thik bolsen
@@hasinaakter6383
২) এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম।
#(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২)
# (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীরা ভীড় করে থাকেন। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ৩৫৬৩, ৩৫৬৫, ৩৫৬৬, ৩৫৬৭,৩৫৭১)।
# এক হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে।
এখানের লক্ষণীয় বিষয় এই যে ফাতেমার(রাঃ) চেহারা খোলা ছিল। তার সৌন্দর্য দেখে রসূল(সঃ) ওসামার জন্য তাকে পছন্দ করেন এবং তার সাথে পরে বিয়ে পড়িয়ে দেন।
ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে।
# এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি।
# অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ।
# আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড)
# ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং-৪১১২) ।
# ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে বলেন,উম্মুল মোমেনিনগন মাহরামদের সাথে পর্দা করবে না। (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড)
# ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)।
# ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)।
# মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)।
# ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)।
# কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
# তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)।
# মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ।
🏀-----------------
@@hasinaakter6383 ৯) উম্মে হারাম বিনতে মিলহান।
হাদীস: আনাস( রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) উম্মে উম্মে হারাম বিনতে মিলানের কাছে যেতেন। একদিন রাসূল(স:) তার ঘরে তাসরীফ নিয়ে গেলেন এবং তাকে আহার করালেন এবং তার মাথার উকুন বাঁছতে থাকেন। রসূল(স:) ঘুমিয়ে পড়লেন। তারপর হাসতে হাসতে নিদ্রা থেকে জেগে উঠলেন। উম্মে হারাম বলেনঃ আমি বললাম, হে রাসুল( সঃ) আপনার হাসির কারণ কি? তিনি বললেন, স্বপ্নে আমার উম্মতের একদল লোককে আমার সামনে পেশ করা হল, যারা আল্লাহর পথে জিহাদকারী। উম্মে হারাম বললেম, হে আল্লাহর রাসূল( সঃ) আল্লাহর কাছে দোয়া করুন তিনি যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। রসূল( সঃ) তার জন্য দোয়া করলেন। উম্মে হারাম বিনতে মিলহান মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান এর শাসনকালে সমুদ্র যুদ্ধে যাত্রা করেন এবং জাহাজ থেকে অবতরণের পর সওয়ারী থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন ( সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ২৫৯৭, ২৬৮০, ২৬৯৫ এবং সহীহ মুসলিম, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৭৮১, ৪৭৮২, ৪৭৮৩)।
সাইপ্রাসে উম্মে হারাম বিনতে মিলহানকে কবরস্থ করা হয়। বর্তমানে তার কবরের পাশে একটি মসজিদ আছে।
এই হাদীসটি একদল আলেমকে বিড়াট বিপাকে ফেলেছিল। কেউ বলেন, এটা ছিল রাসূলের( সঃ) জন্য নির্দিষ্ট, যার কোন দলিল নেই। আবার কেউ বলেন, উম্মে হারাম তার দুধ মা / দুধ খালা ছিলেন, যার কোন প্রমাণ নেই। কেউ বলেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ । তার জন্য এটা দোষণীয় নয়। কিন্তু মহিলা সাহাবী নিষ্পাপ ছিলেন না, তার অবস্থা কি হবে?
(২) হাদীসঃ আনাস( রাঃ) থেকে বর্নিত। উম্মে সুলাইম রসুল( সঃ) এর জন্য চামরার বিছানা বিছিয়ে দিতেন। রসুল( সঃ) তার বাড়ীতে তার উপড় শুয়ে বিশ্রাম নিতেন। আনাস( রাঃ) বলেনঃ রসুল( সঃ) ঘুমিয়ে পড়লে এবং এরপর জেগে উঠলে উম্মে সুলাইম তার শরিরের থেকে নির্গত ঘাম এবং মাথা থেকে ঝরে পড়া চুল নিতেন এবং তা একটি শিশিতে সংরক্ষনে করতেন। তারপর খুসবুর সাথে তা মিশাতেন ( সহী মুসলিম, ই,ফা, হাদীস নং- ৪৮৪৯, সহীহ বুখারী, অনুমতি চাওয়া অধ্যায়, ১৩ খন্ড)।
হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী বলেনঃ উল্লেখিত ঘটনাটি ঘটে বিদায় হজ্জ্বের পর। (ফাতহুল বারি)।
(৩) আবু মুসা( রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রসূল( সঃ) আমাকে ইয়েমেনের একটি কওমের কাছে পাঠালেন। আমি সেখান থেকে মক্কায় ফিরে এসে রসূলের( সঃ) নির্দেশ মোতাবেক বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়া সাঈ করলাম । তারপর তিনি আমাকে এহরাম খোলার নির্দেশ দিলেন। আমি এহরাম খুললাম এবং আমার গোত্রের একজন মহিলার কাছে গেলাম। সে আমার চুল চিরুনি করে দিল অথবা (বর্ণনাকারী সন্দেহ) মাথা ধুয়ে দিল। অন্য একটি রেওয়াতে আছে, তারপর আমি বণি কায়েস গোত্রের এক মহিলার কাছে গেলে সে আমার মাথার উকুন বেছে দিল( সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নং-১৪৬৫২ । সহিঃ মুসলিম, হজ্জ্ব অধ্যায়, চার খন্ড)।
হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয় মহিলাটি ছিল তার ভাইয়ের স্ত্রী। নেককার মুসলমানদের পরস্পর দীর্ঘস্থায়ী মেলামেশা এমন মহৎ অনুভূতির জন্ম দেয় যেখানে যৌনাকাঙ্ক্ষা সুপ্ত ও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে (ফা তহুল বারি, ৪ খন্ড)।
(৪) হাদীসঃ জবাবের( রাঃ) থেকে বর্নিত। ইয়েমেন থেকে হজরত আলী( রাঃ) রসুলের( সঃ) কাছে উটে চড়ে ফিরে এলেন। তখন ফাতিমাকে( রাঃ) এহরাম বিহীন অবস্থায় দেখা গেল। তিনি রঙ্গিন পোষাক পরিধান করেছেন এবং সুরমা লাগিয়েছেন। ( সহী মুসলিম, কিতাবুল হজ্জ্ব অনুচ্ছেদ, ৪ খন্ড)
(৫) হাদীসঃ আতা ইবনে আবু রিহাব থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস ( রাঃ) আমাকে বলেছেন, আমি কি তোমাকে একজন বেহেস্তী মহিলা দেখাবো? আমি জবাব দিলাম, হাঁ নিশ্চয়ই! তিনি বলেন, এই কৃষ্নকায় মহিলাটিকে দেখো( সহী বুখারী, ই,ফা,হাদিস নং -৫২৪৯, ৫২৫০।
দুনিয়াথেকে বেহেস্তের সুসংবাদ প্রাপ্ত একজন মহিলার চেহারা ছিল খোলা।
(৬) হাদীসঃ ইবনে জুরাইহ থেকে বর্নিত।তিনি বলেনঃ আতা আমাকে জানিয়েছে, তিনি উম্মে জাফরকে( বেহেস্তি মহিলা) কাবার গিলাফের নিকট দেখতে পেয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন দীর্ঘাঙ্গী কৃষ্ণকায় মহিলা। ( সহী বুখারী ও মুসলিম)।
চেহারা খোলা না থাকলে আপনি তাকে চিনবেন কিভাবে?
----------------
১৭) সুনানে আবু দাউদ।
হাদীস নং-৪১১২। উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম এবং তাঁর নিকট মাইমূনাহ (রাঃ)-ও ছিলেন। এ সময় ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) (অন্ধ সাহাবী) এলেন। ঘটনাটি আমাদের উপর পর্দার হুকুম নাযিলের পরের। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তার থেকে আড়ালে চলে যাও। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদের দেখতে ও চিনতে পারছে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদিও সে অন্ধ কিন্তু তোমরা উভয়ে কি তাকে দেখছো না?
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ বিধান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট। তুমি কি ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ)-এর বাড়িতে ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-এর ইদ্দত পালনের বিষয়টি লক্ষ করো না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-কে বলেছেনঃ ’’তুমি ইবনু উম্মু মাকতূমের বাড়িতে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ লোক। তুমি সেখানে খোলামেলা পোশাকে থাকতে পারবে।’’ (সুনানে আবু দাউদ,[ তাহকিককৃত], হাদীস নং- ৪১১২)।
🏀-------------------
মাসআল্লা হুজুর
❤
4:36 4:38 4:40
❤❤❤❤❤❤❤😊😊😊😊😊😊😊
❤Thank you hujur😊
Masallah
Looking ko❤❤❤❤❤❤❤❤😅😅😅
আপনার আওয়াজটা শুনতে খুব ভালো লাগে 😂😂😂😂😂😂😂
আমিন❤❤❤❤❤❤❤❤❤
Allahu akbar
আপনার ওয়াজ গুলো শুনতে অনেক অনেক সুন্দর লাগছে
Bothered to look ❤❤❤❤🎉🎉🎉
❤❤
❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
Masallah...❤❤❤....
❤❤❤❤❤❤❤
Subhan allah
আল্লাহ সকল মুসলমানদের কে হেদায়েত দান করো
🎉🎉🎉🎉🎉🎉🎉🎉🎉🎉
🕋🕌👳👌🤲🤲🤲🤲
😢❤❤❤❤❤
Nice. ❤❤❤❤
আললাহ❤❤❤
❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
Maosa Allha
হুজুর আপনার বাড়ি কোথায়
আপনিকি আমার বাড়িতে আসবেন
ঔৌঔঔঔ
হুম বুঝলাম বিদায় নিয়ে
10:51
Apnaria, topce poran dane rakhan ❤❤❤❤❤
মাশাল্লাহ ❤😢আললা❤❤❤❤❤❤❤আলহামদুলিলাহ
4
😢😢😢😢😢😢
😭😭♥️♥️❤️❤️🖤🖤🕋🕋💕💕
পদার কথা বললে কেউ লেকচার দেয় মাথা ঢেকে রাখলেই হবে
@@taslimabegumrubi1287
৮) চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা।
(১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল।
(২) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)।
হাদীসটি শক্তিশালী।
আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না।
(৩) কোন কিশোরীর যখন ঋতুস্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দুই হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট হওয়া বিধেয়ো নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, ৩১০ পৃষ্ঠা)
মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা)
তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ--
(১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ)
(৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন)
যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ)।কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না।
ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে জাহেলী যুগের সাজসজ্জার অনুকরণে নেকাব পড়া একটি হাদিস পাবেন, যা এহরামের সময় হারাম ঘোষণা করা হয়। 🏀-----------------
😂😅🎉😂z❤❤BUT
🎉
🎉❤❤❤❤❤❤😢😮😂❤🎉
মাওলানা কথা গুলো সাভাবিক ভাবে না বলে কোরআন তেলোয়াত মতো সুর দিয়া কেনো বলেন এটা কেমন ফাজলামো
আমিন❤❤❤❤
Nice
❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤🎉🎉🎉🎉
মাশাআল্লাহ
Aminamin
❤❤❤❤❤❤❤❤❤
মাস আল্লাহ
🎉🎉🎉🎉🎉🎉🎉🎉🎉🎉
💝💝💝💝
❤❤❤❤❤❤❤
❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
হুজুর ওয়াজ টা খুব সুন্দর হয়েছে ❤❤❤❤
আপনার ওয়াজ গুলো শুনতে অনেক ভালো লাগে
❤❤
❤❤❤❤
❤❤
❤❤❤❤
❤❤❤❤
❤❤❤❤