৩০০ বছরের পুরোনো কান্তজীউ মন্দির- দিনাজপুর|| History Of Kantajiu Mondir

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 12 มิ.ย. 2024
  • ৩০০ বছরের পুরোনো কান্তজীউ মন্দির- দিনাজপুর|| History Of Kantajiu Mondir
    আজকে আমি এসেছি ১৭৫২ সালে নির্মিত বাংলাদেশের স্থ্যাপত্য শৈলীর উজ্জ্বল নিদর্শন কান্তজীউ মন্দিরে৷ যা দিনাজপুর জেলার কাহারুল উপজেলার ঢেপা নদীর তীরে অবস্থিত৷ এই ভিডিওতে আমি কান্তজীউ মন্দিরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে তুলে ধরেছি
    প্রথমেই বলি কিভাবে যাবেন:
    কান্তজীউ মন্দিরে যেতে আপনাকে প্রথমে আসতে হবে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে অবস্থিত দিনাজপুর জেলায়৷ কম খরচে যেতে চাইলে দিনাজপুর শহরের চৌরাঙ্গি মোড় থেকে ঠাকুরগাঁও অভিমুখী বাসে করে বারো মাইল চলে আসবেন৷ ভাড়া নিবে মাত্র ২০ টাকা৷ বারো মাইলে এসেই সিধু এবং কানহুর ভাস্কর্য দেখতে পাবেন৷ যেটা তেভাগা আন্দোলনের বিপ্লবীদের স্মরণে ২০১৮ সালে নির্মাণ করা হয়৷ বারো মাইল থেকে ৫ টাকা অটোভাড়া দিয়ে সরাসরি কান্তজীউ মন্দিরে পৌছে যেতে পারবেন৷ আর আপনারা চাইলে দিনাজপুর শহর থেকে অটো রিজার্ভ করে সরাসরি কান্তজীউ মন্দিরে চলে আসতে পারবেন৷
    এখানে যদি আপনারা পার্সোনাল ভিইকেলে আসেন তাহলে মন্দিরের এখানেই পার্কিং করতে পারবেন৷ মন্দিরকে ঘিরে বিভিন্ন রকমের মেলা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই মেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রাশ মেলা৷ আর এই রাশমেলা প্রতিবছর নভেম্বর মাসে রাশপূর্নিমাতে অনুষ্ঠিত হয়৷৷ দেশের বিভিন্ন স্থান এমনকি দেশের বাইরে থেকেও অনেক মানুষ আসেন এই রাশমেলাতে৷ এই মেলাতে আবার বিভিন্ন রকমের ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র পাওয়া যায়৷ এমনকি এখানে কাসার জিনিসপত্রও পাওয়া যায়৷ যা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে৷
    কান্তজীউ মন্দির একনজরে অসাধারণ৷ নির্মাণকারীরা পোড়া মাটির ফলকে তাদের স্থাপত্যের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে৷ এই কান্তজীউ মন্দির ১৭৫২ সালে অর্থাৎ প্রায় ৩০০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়৷ দিনাজপুরের তৎকালীন জমিদার রাজা মহারাজা প্রাণনাথ সর্বপ্রথম ১৭০৪ সালে এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন৷ ১৭২২ সালে রাজা প্রাণনাথ রায় মারা যান এবং তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার পোষ্য পুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ সালে মন্দিরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন৷
    এই মন্দিরটি মূলত কৃষ্ণ ও তার স্ত্রী রুক্মিনীকে উৎসর্গ করে তৈরি করা হয়৷ আর এই কারনেই কৃষ্ণ ভকতদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই মন্দিরটি৷
    এই মন্দির নির্মানের জন্য সুদূর পারস্য থেকে আনা হয়েছিলো নির্মাণ শিল্পীদের ৷ আর এই নির্মাণ শিল্পীদের অধিকাংশই ছিলো ইসলাম ধর্মাবলম্বী৷ এই মন্দির প্রায় ১৫ হাজার টেরাকাটা টালি দিয়ে নির্মাণ করা হয় এবং এটি বাংলাদেশের টেরাকাটা স্থাপত্যেরই একটি উদাহরণ৷ নির্মাণের শুরুতে এই মন্দিরের উচ্চতা ছিলো ৭০ ফুট৷ মন্দিরের নয় শিখর বা নবরত্ন ছিলো৷ পরবর্তীতে ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পের কবলে এই নয়টি চূড়া ভেঙে যায়৷ বিশ শতকের শুরুর দিকে মহারাজা গিরিজানাথ মন্দিরটি ব্যাপক সংস্কার করলেও চূড়াগুলো আর সংস্কার করা হয়নি৷
    এই মন্দিরের ঠিক পেছনেই আরেকটা মন্দির আছে৷ যেটা ধ্বংস প্রায় অবস্থায় আছে৷
    #kantajiu_mondir
    #kantajir_mondir
    #কান্তজীউ_মন্দির
    #কান্তজীর_মন্দির
    #দিনাজপুরে_ঘোরার_জায়গা

ความคิดเห็น •