তিরোলের বালা || Bengali audio story || Horror story || Goppo gonur thek

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 10 ต.ค. 2024
  • তিরোলের বালা || Bengali audio story || Horror story || Goppo gonur thek#audiostory#horrorstories#bengaliaudiostory
    বিভিন্ন স্বাদের গল্প পেতে এক্ষুনি সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল -
    👇👇👇👇👇👇👇👇👇
    ▫️ গপ্পো gonu-র ঠেক ▫️
    লেখক চলেছেন চাপাডাঙ্গা,তার মাসীর বাড়ি,ওনার মেসোমশাই অসুস্থ। ট্রেনে সাক্ষাৎ হয় একজন যুবক ও তার বোনের সাথে। প্রথমে লেখক ওই যুবক ও মেয়েকে সন্দেহ করে ও ভাবতে থাকে ওদের মধ্যে কিসের সম্পর্ক, পরে যখন যুবকের সাথে কথা হয় লেখকের তখন তিনি জানতে পারে ওরা ভাই বোন ওরা চলেছে তিরোলে পাগলা কালীর বালা আনতে। কিন্তু বিপদ হলো এই যে তিরোলের যাবার নির্দিষ্ট কোনো গাড়ি নেই,তাই যুবক সাহায্য নিলো লেখকের। দিন টা ছিল কৃষ্ণচতুর্দশী ওরা ট্রেন থেকে নেমে টিকিট দিয়ে স্টেশন এর বাইরে এসে দেখলো কিছু গরুর গাড়ি দাঁড়িয়ে কিন্তু ওই গাড়ি নদীর ধার অব্দি যাই, নদী পার হয় না, অগত্যা ওরা একখানা ছৈই যুক্ত গরুর গাড়ি তে উঠে বসলো,রাস্তায় যেতে যেতে অনেক কথা হলো নদীর ধারে এসে গাড়ি থেকে নেমে ওরা এক খানা নৌকোও পেয়ে গেলো কিন্তু ওই পাড়ে গিয়ে হলো বিপদ,একটাও গাড়ি নেই তাই মাঝি ওদের জন্য গাড়ি খুজতে গেলো ততক্ষণে ওরা খাওয়া দাওয়া সেরে নিলো ও নিজেদের মধ্যে কথা বার্তা বলতে থাকলো।এমন সময়হঠাৎ মাঝি গরুর গাড়ি নিয়ে হাজির হলো ওরা উঠে বসলো গাড়িতে,গাড়ি চলছে গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রকাণ্ড মাঠ পেরিয়ে গাড়ি চলেছে তিরলের উদ্দেশ্যে। হঠাৎ গাড়ির মধ্যে তরুণীর আঃআওয়াজে লেখকের ঘুম ভেঙে গেলো,লেখক বুঝতে পারল তরুণী ও তার দাদার মধ্যে একটা হাতাহাতি ব্যাপার চলছে হঠাৎ লেখকের কানে গেলো যুবকটি চাপা গলায় বলছে "ধরুন, ওকে ধরুন,ও গাড়ি থেকে নেমে পড়তে চাইছে" , এই চাপা গলায় বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে গাড়োয়ান কে বুঝতে না দেয়া,লেখক হতভম্ব হয়ে ভাবছেন কি ভাবে তিনি ওই যুবতীর গা এ হাত দিবেন,এমন সময় বেদনার্ত কণ্ঠে ‘উহু-হু-হু’ বলে উঠল যুবকটি পরক্ষণেই বললে "কামড়ে দিয়েছে হাত ধরবেন না,ধরবেন না" ততক্ষণে গাড়োয়ান গাড়ি থামিয়ে দিয়েছে,মেয়েটি যেন ঝড়ের মতো গাড়ি থেকে লাফিয়ে এক ছুট,রাত বেশি নিবিড় নয়,ততক্ষণে লেখক ও যুবকটি গাড়ি থেকে লাফিয়ে ছুটলো পিছু পিছু কিন্তু তার আর পাত্তা পাওয়া গেলো না। কিছু ক্ষণ পর গাড়োয়ান এর বাবু বাবু ডাক শুনতে পেলো লেখক এবং দেখলো হাতে হারিকেন নিয়ে গাড়োয়ান এর সাথে রয়েছে কিছু গ্রাম্য লোক যার হাতে হারিকেন ছিল সেই ব্যাক্তি বলল" চলেন বাবু। সব রয়েছেন তেনারা আমার বাড়িতে বসে। কিছুক্ষণ পর গিয়ে পৌঁছলো ওই ব্যক্তির বাড়ি এখানে বলে রাখা ভালো গৃহস্বামীর নাম রসিকলাল ধারা,জাতিতে কৈবর্ত,সেই কারণে ওনাদের রান্না লেখকদের চলবে না তাই ওনার রান্নার সব সরঞ্জাম দিয়ে গেলো, রান্না করবে ওই যুবতীর অর্থাৎ পূর্ণিমা।তারপর খাওয়া হলো অনেক কথার হলো,রাত ও হলো গভীর।আহারাদির প্রায় আধঘণ্টা পরলেখকেরা সবাই শুয়ে পড়ল। পূর্ণিমা তার দাদার সঙ্গে বাইরের ঘরের ছোটো কামরাটায় এবং লেখক বড়ো কামরাটায়। হঠাৎ লেখকদের ঘুম ভেঙে গেলো একটা গোঙানির আওয়াজে সে ভাবলো হয়তো যুবকটি নাখ ডাকছে।লেখকের ঘুম ভাঙ্গলো প্রায় ভোরে তখন কেউ ওঠেনি এমনকী বাড়ির লোকও না! আরও আধঘণ্টা পরে গৃহস্বামী রসিক ধাড়া উঠে বাইরের ঘরের দাওয়ায় এসে বসল। ওনার সাথে কিছুক্ষণ লেখকের চাষবাস নিয়ে কথার হলো তারপর তিনি কথায় চলে গেলেন।বেলা প্রায় ন' টা তখনও যুবক ও যুবতী ওঠেনি তখন লেখক বাধ্য হয়ে ঘরের দরজায় ঘা দিলো, তবু কোনো সাড়া শব্দ নেই,তাই লেখক মনে একটু দ্বিধাবোধ নিয়েই পশ্চিমদিকে জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করলো কিন্তু লেখক জানালা দিয়ে যা দেখলো তা দেখে তিনি চিৎকার করে উঠলেন ,লেখকের জ্ঞান ছিলো না কিছুক্ষণ,লোকজন ধরাধরি করে জল দিয়ে লেখকে চাঙ্গা করে তুলল। এদিকে দরজা ভেঙে সকলে ঘরে ঢুকল। তারা দেখলে পূর্ণিমার দাদার গলায়,কাঁধে ও হাতে সাংঘাতিক কোপের দাগ। আগের রাত্রে কুটনো কোটার জন্যে একখানা বড়ো বঁটি গৃহস্থেরা দিয়েছিল সে-খানা রক্তমাখা অবস্থায় বিছানার ওপাশে পড়ে,পূর্ণিমার শাড়ি ব্লাউজে কিন্তু খুব বেশি রক্ত নেই, কেবল শাড়ির সামনের দিকটাতে যেন ছিটকে-লাগা রক্ত খানিকটা। হতভাগিনী রাত্রে কোনো এক সময় এই বীভৎস কাণ্ড ঘটিয়েছে। নিজের হাতে ভাইকে খুন করে ঘরের মেঝেতে অঘোরে নিদ্রায় অভিভূতা। দিব্যি শান্ত, নিশ্চিন্তভাবে ঘুমুচ্ছে,লেখকের যখন জ্ঞান হয়ে ঘরে ঢুকেন তখনও। ঘুমন্ত অবস্থায় ওকে দেখাচ্ছে কী সুন্দর, আরও ছেলেমানুষ, নিষ্পাপ সরলা বালিকার মতো।এই সমস্ত ঘটনার পর ব্যবস্থা নেওয়া হলো পূর্ণিমাকে রাঁচির উন্মাদ আশ্রমে পাঠানো হবে।
    এ-সব কয়েক বছর আগের কথা। অনেকেই বুঝতে পারবেন আমি কোন ঘটনার কথা বলছি। মানুষ চলে যায়,স্মৃতি থাকে। বলা বাহুল্য,এই কাহিনির মধ্যে আমি সব কাল্পনিক নাম-ধাম ব্যবহার করেছি,কারণ সহজেই অনুমেয়।
    আমাদের আজকে নিবেদন..লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর কলমে -
    💫তিরোলের বালা💫
    🔹 গল্পপাঠে -দেবাঞ্জন
    🔹গল্পের সূত্রধর :-আইজ্যাক
    🔹বিভিন্ন চরিত্রে:- প্রদীপ্ত, অয়নিকা, সঞ্জনা, সুরঞ্জন ও প্রদীপ হালদার (অভিনেতা)
    🔹আবহসঙ্গীত ও স্পেশাল এফেক্ট :-GGT_Studio
    🔹প্রচ্ছদ নির্মাণ :-পিয়ালী
    🔹ভিডিও গ্রাফিক্স:-GGT_Studio
    🔹সমগ্র পরিকল্পনা ও পরিচালনা :-গপ্পো gonu-র ঠেক
    COPYRIGHT DISCLAIMER:-This video is purely for Entertainment purpose . Copyright Disclaimer Under Section 107, allowance is made for 'Fair Use'for purpose such as Criticism, Comment,News Reporting, Teaching, Scholarship and Research.fear use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing.Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of Fair use.
    ©️This content is copyrighted to গপ্পো Gonu-র ঠেক.Use or commercial display or editing of the content without proper authorization is not allowed.
    Other stories-
    • দেবীপক্ষের সূচনা || Be...
    other tag - #bengaliaudiostory #goppomirerthek #horrorstories #scarystories

ความคิดเห็น • 2