আম্মা বাস একরাত-কা মেহেমা-হু মেয়১০ মহররম আশুরার রাতে বিবি-কা রওজা থেকে কারবালা স্মরণে শোক মিছিল
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 2 ธ.ค. 2024
- ১৩০
রক্তস্নাত শহীদে কারবালা পর্ব-১৮
ইমাম হোসাইন (আ.) দুলদুল ঘোড়ায় সোয়ার হয়ে ইয়াজিদ বাহিনীর উপর ঝাপিয়ে পড়েন এবং তাদেরকে কতল করে অগ্রসর হতে লাগলেন। এভাবে জেহাদ করে তিনি পানি পিপাসায় এতই ক্লান্ত হলেন যে, ঘোড়া হতে পড়ে যাবার উপক্রম হলো। তারপরও প্রচন্ড ভাবে আক্রমণ করে শক্র স্যন্যকে হত্যা করতে করতে ফোরাদ কূলে এসে উপস্থিত হলেন এবং পানিতে নেমে দু' হাতে পানি নিলেন পান করার জন্য, এমন সময় স্বীয় আত্নীয়-স্বজনদের পানির পিপাসায় করুন মৃত্যুর দৃশ্য মানসপটে ভেসে উঠলো। এমনি মুহূর্তে একটী তীর এসে তাঁর মুখে বিদ্ধ হলো, হাত দুটি রক্তে ভরে গেল। অতি কষ্টে মুখ হতে তীরটি খুলে পুনরায় জেহাদের মাঠে গিয়ে প্রচন্ড বীরত্বের সাথে আত্রমণ করে চল্লেন। তাঁর এ আক্রমণে ইয়াজিদ বাহানী দিগ্ববিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটে চললো। ক্ষিপ্ত সিংহের ন্যায় যাকে সামনে পেল তাকেই সংহার করে চললো, সেনাপতি ওমর বিন সাদ প্রাণ ভয়ে সম্মুখ হতে সরে গেল। শীমার ইবনে যিলজোশন বেগদিক দেখে সৈন্যদলকে নির্দেশ দিল তাঁকে ঘিরে ফেলার জন্য। ওমর বিন সাদ শীমার ইবনে যিলজোশানকে বললোঃ জীবনে অনেক যুদ্ধ করেছি কিন্ত পৃ্থিবীতে এমন বীরত্ব কখনো দেখেছো কি❓ ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় কাতর, শোকে মুহ্যমান, তীরের আঘাতে জর্জরিত তথাপি অনুপম বীর শক্রকে পৃষ্ট প্রদর্শন করছে না। অগণিত আঘাতে শরীর হতে রক্তধারা প্রবাহিত হচ্ছে, তবু শেরে খোদার শের পুত্র অবিরাম তলোয়ার চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে জেহাদের এক পর্যায়ে তাঁর শরীর খুবই দুর্বল হয়ে পড়লো এবং জীবন প্রদীপ পৃ্থিবী হতে নির্বাপিত হবার উপক্রম হয়ে পড়লো। এ সময় এক পাপিষ্ট জোরআ বিন শরীফ তামীম পিছন দিক হতে এসে ইমাম হোসাইনের (আ.) এঁর বাম হাতটি কেটে ফেললো। এবং তিনিও দ্রুতগতিতে পার্শ্ব ফিরে ঐ পাপিষ্টকে দ্বিখন্ডিত করে ফেললেন। এমনি মুহূর্তে আরেক পাপিষ্ট সেনান বিন আনাস নখয়ী ইমাম হোসাইন (আ.) এঁর শরীরে বর্শা দিয়ে আঘাত করে এবং তিনি যন্ত্রণায় মাটিতে পড়ে যান। তারপর চির অভিশপ্ত ইয়াজিদ ও তার মুনাফিক সৈন্যদলের মধ্য হতে শীমার ইবনে যিলজোশান লক্ষ টাকার লোভে ইমাম হোসাইন (আ.) এঁর মস্তক দ্বিখন্ডিত করে ফেললো।
ইমাম হোসাইন (আ.) এঁর শাহাদাতের পর দেখা গেল তাঁর পবিত্র শরীর মোবারকের উপর তেত্রিশটি বর্শার আঘাত, তেতাল্লিশটি তলোয়ারের আঘাত এবং অসংখ্য তীরের আঘাত রয়েছে। ইমাম হোসাইন (আ.) এঁর দলে ছিল বত্রিশজন অশ্বারোহী ও চল্লিশজন পদাতিক মোজাহেদ এবং তারা সবাই শহীদ হয়ে গিয়েছিল।..........
রক্তস্নাত শহীদে কারবালা।
গোলাম মোস্তফা মস্তান।
নতুন ভিডিও পেতে ashekine ahla bayt চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং লাইক, কমেন্ট সেয়ার করুন ধন্যবাদ।
জয় আমার মুর্শিদ কেবলা জয়
💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗💗
হায় হোসাইন হায় হোসাইন
😭😭😭😭😭😭😭😭
জয় পাকপাঞ্জতন এঁর জয়
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞
লাব্বাঈক ইয়া মাওলা হোসাইন