কথাগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকের সাথেই শেয়ার করার প্রয়োজন মনে করছি। আপনার সাথেও শেয়ার করলাম যদি কিছু মনে না করেন। আমাদের দেশের মেয়ে/মহিলাদের শাড়ির ব্যাপারে একধরনের সহজাত দুর্বলতা বা ভাললাগা লক্ষ্য করা যায়। আবার দেশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী পোশাক হিসেবেও শাড়ি অনেকের দৃষ্টিতেই খুব শালীন, মার্জিত ও নির্দোষ একটি পোশাক বলে মনে হয়। অনেক দ্বীনি বোনও শুধু "শাড়ি পরে পর্দা করা যায় ও ঘরের বাইরে বিচরণ করা যায়"---এমন একটা ফ্যান্টাসিতে ভোগেন। অথচ হিজাবের কথা বলতে গিয়ে আল্লাহ্ তাআলা গোপনীয় সৌন্দর্য প্রকাশ না করার কথা বলেছেন। আর সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে নারীরা সাজ-সজ্জা ও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতেই শাড়ি পরে শতশত মানুষকে দেখিয়ে। কেউ কেউ শাড়ি পরে নামেমাত্র একটা স্কার্ফ দিয়ে মাথাটাই ঢাকে শুধু। থ্রি-কোয়ারটার বা কনুই পর্যন্ত হাতার ব্লাউজে হাতটাও ঠিকমত ঢাকেনা, খোলা মুখে মেকাপের আস্তর লাগায়। এসব অনুষ্ঠানগুলোতে ১০০ জনের মাঝে এমন ১ জন মহিলা/মেয়ে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যে কিনা হিজাবের বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সাদামাটা ও মোটা কাপড়ের শাড়িকে ঢিলেঢালাভাবে নিকাবসহ হিজাব পালনের নীতিমালা মেনে পরিধান করেছে। তবে এমন অনেককেই দেখতে পাওয়া যায় যারা শ্যাম ও কূল দুই-ই রাখতে গিয়ে ফেস্টিভ লুক ও সাজ-সজ্জার উদ্দেশ্যে শাড়ি পরেন এবং সেটার মধ্যেই আক্ষরিকভাবে হিজাবটুকুও পালন হওয়ার মিথ্যা শান্তনা খোঁজার চেষ্টা করে থাকেন! বাস্তবতা একথাই বলে যে শাড়ির সার্থকতা হল সৌন্দর্য ও সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার মাঝে। আর সৌন্দর্য ও সাজ-সজ্জা প্রকাশ এবং হিজাব পালন- এই দুইয়ের মাঝে সত্যনিষ্ঠ সমণ্বয় আদৌ সম্ভব নয়। হিজাব পরার দাবী করার পরেও যদি কাউকে এটেনশন সিক করার মতো সুন্দর বা আকর্ষণীয় দেখায় তখন তো সেটাকে হিজাব বলা যাবেনা। প্রথম আলোর নকশাসহ বিভিন্ন পত্রিকার লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন বিষয়ক ফিচারগুলোতে শাড়ির নিরন্তর বন্দনা,,, বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসের রোমান্টিক নায়িকা চরিত্রের রূপায়নে শাড়ি পরানো, অনলাইন-অফলাইনের বিভিন্ন পরিমণ্ডলে শাড়ির ব্যাপারে **পুরুষদের** কৌতুহলী ও আসক্ত দৃষ্টি, ভাবাবেগ ও মন্তব্য ইত্যাদি প্রমাণ করে শাড়ি নিছক সাড়ে বারো হাত লম্বা একটা পোশাক নয়। সময়ের ব্যবধানে বিবর্তিত, বিকশিত ও প্রজ্জ্বলিত বিপরীতমুখী আকর্ষণের অনুঘটক! বিভিন্ন পরিধান রীতিতে দেহকে আবৃত রেখেও সবকিছু প্রকাশ করে দেয়ার স্কোপটা শাড়িতেই সবচেয়ে বেশি---এই ম্যাসেজটাকেই আকাশ সংস্কৃতি তথা মিশ্র সংস্কৃতির এই যুগে মিডিয়া আর বিনোদনের মাধ্যমগুলোতে শাড়ি পরিহিত নারীর উপস্থিতির মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। অনেকেই পর্দা রক্ষার ক্ষেত্রে শাড়ির নেতিবাচক দিকগুলোর কারণে শাড়িকে *সম্পূর্ন পরিত্যাজ্য বিবেচনা করে বসেন* । অথচ বাসায় স্বামীর জন্য সাজসজ্জা ও আকর্ষণীয় সৌন্দর্য প্রকাশের উদ্দেশ্যে শাড়ি একটা *আদর্শ পোশাক* হতে পারে। আল্লাহ্'র হুকুম আর আনুগত্যের সীমারেখায় নারীরা তাদের সহজাত নারীসুলভ শখ আর আহ্লাদকে জলাঞ্জলী না দিয়ে পরম সার্থকতায় রূপ দিতে পারেন যদি তারা ঘরে প্রাইভেসী বজায় রেখে স্বামীর জন্য সাজসজ্জার উদ্দেশ্যে শাড়ি পরেন। এতে একদিকে স্ত্রীরা ঈবাদাতের নেকী পাবেন। দাম্পত্য জীবনও মধুময় হয়ে উঠবে।
ঠিকই বলেছেন,,আল্লাহ্ তায়ালা সূরা নূরে ৩১ নং এ স্পষ্টভাবে হারাম করেছেন, মুসলিম নারীর মাহরাম ছাড়া অন্য কারোও সামনে সৌন্দর্যের প্রকাশ। এরপরও এরা এ বিষয়টি নিয়ে কেনো ইখতেলাফ রেখেছে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ আসার পরেও-- আমার মাথায় আসে না। আল্লাহ্ যা হারাম করেছেন, তা হারাম। জরুরী প্রয়োজনে তোহ্ জীবন বাচানোর জন্য মদও জায়েজ,,তার মানে কী স্বাভাবিক অবস্থায় জায়েজ?
@@truefaith1718 ekhane bola hoyeche “say to the believing women to let a portion of their head covering over their bosoms and not expose their adornments except what appears thereof” mane mumin narira tader mathat kapor buker upore jeno dhele dey ebong shudhumatro jeti shadharonoto drishhoman sheti bade jeno tader shoundorjo prokash na kore.. eijonnoi ekhtilaf..
@@nabilataha2913 প্রথম অংশে বলা হয়েছে, দৃষ্টি সংযত রাখতে ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে। ২য় অংশে বলা হয়েছে বুকের উপর ওড়না দিতে।:- মাহরাম, নন মাহরাম উল্লেখ নেই,সবার সামনেই। ৩য় অংশে তালিকা দিয়ে নন মাহরামদের সামনে সৌন্দর্যকে প্রকাশ হারাম করে দেওয়া হয়েছে নারীর জন্য। স্বাভাবিকভাবে যা প্রকাশ পায় তার জন্য গুনাহ্ হবে না। কথা হচ্ছে, চেহারার সৌন্দর্য কী স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায় উচ্চতা, প্রশস্ততা ও হাটার ধরণের মতো? নাকি প্রকাশ করে রাখা হয়? নারীরা যদি পুরুষের মতোই চেহারা অনাবৃত রাখতে পারতেন, তাহলে আল্লাহ্ তায়ালা কেনো নন- মাহরামদের সামনে নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন? সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে নারীদের মাথার চাদর টেনে পর্দা করতে বলা হয়েছে। কই, পুরুষকে তো অনুরুপ নির্দেশনা দেওয়া হয় নাই। যদি নারী- পুরুষের মাঝে পর্দার বিধান না থাকতো, তাহলে কেনো উম্মুল মুমিনীন এবং মহিলা সাহাবীগণ পরপুরুষের সামনে পর্দা করতেন। পর্দার আয়াত নাযিলের আগে কিছু হাদীস ও ঘটনা পাবেন, চেহারা খোলা থাকার, কিন্তু পর্দার আয়াত নাযিলের পর কোনো নারীই আর পরপুরুষের সামনে চেহারা অনাবৃত রেখে চলেন নাই। ফাতেমা( রাঃ) কেনো পর্দার আড়াল থেকে কথা বলতেন যদি দেখা করা হালাল হতো? এমনকি ইহরাম অবস্থায়ও পরপুরুষ সামনে চলে আসলে মাথার কাপড় ( যেটা চেহারাকে স্পর্শ করে না নেকাবের মতো) টেনে দিতে বলা হয়েছে যেনো চেহারা অপ্রকাশিত থাকে। জামাতে নামাজ পড়লেও পুরুষের পিছনের কাতারে আলাদাভাবে দাড়াতে বলা হয়েছে যেনো কোনোভাবেই তাদের সম্মুখে চেহারার সৌন্দর্য প্রকাশ না পায়। এইসব ঘটনা কী প্রমাণ করে? পরপুরুষের সামনে আসলে অবশ্যই চেহারা ঢাকতে হবে। আর মাহরামদের সামনে বুকে ওড়না জড়িয়ে পুরা শরীর ঢাকতে হবে। আল্লাহ্ তায়ালা সরাসরি নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশকে নন মাহরাম পুরুষের সামনে হারাম করে দিয়েছেন, সেখানে কেউ যদি দাবি করে কোরআনে কোথায় আলাদাভাবে নারীদের চেহারা ঢাকতে বলেছে,মাথার চুল ঢাকতে বলেছে:- তাহলে তাকে নির্বোধ ছাড়া কিছুই বলা যাবে না। নারীর জন্য হারাম একটি বিষয়কে হালাল বানানোর প্রচেষ্টা কখনোই সফল হবে না।
@@truefaith1718 ei ayat e “khimar” shobdo ta ache.. khimar mane head covering ei.. parle research koiren.. hae apnar mukh dheke rakhar pechoner logic ta ke ami respect kori.. kintu jara bolechen mukh khola rakha jayej tader kachew apnar motoi reasonings ache.. char imam,, imam abu hanifa, imam malik, imam shafee, ar imam ahmad bin hanbal tader o e bishoy niye motoparthokko ache ebong shobar kachei dolil ache… ektu research korle janben majority scholars ra bolen je mukh khola rakha jayej kintu dhaka uttom… eta onek bishoyei hoye thake… amader e niye torko bitorko kore shanti noshto na kore shobar motamot ke sroddha kora uchit.. karon jara motoparthokko niye ashen tara apnar amar cheye aro bhalo janen…. Tara apnar amar theke aro beshi study korechen
@@nabilataha2913 জ্বী,খিমার মানে মাথার ওড়না। মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখতে বলা হয়েছে, পাশাপাশি মাহরাম ব্যতীত অন্য কারোও সামনে সৌন্দর্য প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই ৩১ নং আয়াতের প্রথম অংশে নারীদের নিজেদের দৃষ্টি সংযত রাখতে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে বলা হয়েছে। ২য় অংশে মাহরামের বুকে ওড়না দিতে বলা হয়েছে।মাহরাম - নন মাহরাম উল্লেখ হয় নাই, সবার সামনেই একই নির্দেশ। এবং ৩য় অংশে মাহরাম ব্যতীত অন্য কারো সামনে সৌন্দর্য প্রকাশকে হারাম করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে একজন মুসলিম হিসেবে সৃষ্টিকর্তার স্পষ্টতঃ হারাম একটি নির্দেশকে হালাল মনে করব? আপনি কোরআন ও হাদীসের এমন একটি ঘটনাও পাবেন না যেখানে উম্মুল মুমিনীন ও মহিলা সাহাবীগণ পর্দার আয়াত নাযিলের পরে চেহারা উন্মুক্ত রেখে নন মাহরাম পুরুষের সামনে এসেছেন। যদি পুরুষের মতোই নারীরা নন মাহরামের সামনে চেহারা খোলা রেখেই আসতে পারতেন, তাহলে,মাহরামদের স্পষ্ট তালিকা দিয়ে এদের ব্যতীত অন্য কারোও সামনে নারীর সৌন্দর্য প্রকাশকে কেনো হারাম করে দেওয়া হয়েছে? যাস্ট মাথার ওড়না বক্ষদেশ এ দিতে হবে, এতটুকুই থাকতো। পরের অংশটুকু মানুষ ভুলে যায় এবং নিজের মতো ব্যাখ্যা করে।
@@nabilataha2913 Sahabi ibn abbas surah nur er 31 number ayate " illa mma johra" te tar nijer explanation diye prothome bolechilen mukh and hat khula rakha jabe, kintu sahabi ibn Masuud akoi ayater tafsir korechilen mukh noy, borong eyes ( for walking necessity and cloth). Pore sahabi ibn abbas unar ei explanation change korechen jokhon surah ahjab er 59 no ayat nazil hoy jekhane ummul mumeenin, nobikonna abong mumin nari Shobai aki rokom vabe jilbab tene porda korte bola hoyese. Tai, jeta finally fixed hoyese, shetai mante hobe.
@@truefaith1718 surah ahzab e jilbab nijer upor chere dite bola hoyeche.. jilbab ki eta ektu research korben.. jilbab borkhar cheyew thick ekta jama jeta mathashoho puro shorir dheke rakhe.. ironically jilbab er o mukh khola thake.. jilbab niye ektu research kore dekhben.. ar mukh dhakte hobe eta finally fixed hoy ni.. ekhono eta niye ekhtilaf ache ebong dui pokkher kachei strong logic ache.. majority scholars o bolen mukh khola rakha jayej.. ektu koshto kore research kore niben.. dui pokkher kachei strong logic ache ebong tara onek boro olema.. amra olemader dhare kachew na amra keno ei bishoy niye torko bitorko kore islam er bhrattitto noshto korbo ar muslim der moddhe bibhokti srishti korbo? Eishob niye debate kora tader kaj amader noy..
@@nabilataha2913 জিলবাব নিজেদের উপর টেনে দিলে মুখ ঢাকা হয়। জিলাবারের আয়াত নাযিল হওয়ার পর এই আয়াতের নির্দেশ অনুসারে উম্মুল মুমিনীনগণ এবং মহিলা সাহাবীগণ গায়রে মাহরামের সামনে নিজেদের চেহারা ঢাকতেন।সুতরাং উনারা যেভাবে এই আয়াতের আমল করে দেখিয়েছেন, সেভাবেই করতে হবে। উম্মুল মুমিনীন এবং সাধারণ মুমিন নারীর পর্দার ভিন্ন-- এমন কোনো পৃথক নির্দেশনা নেই বরং সূরা আহযাবের ৫৯ নং পর্দার আয়াতে উম্মুল মুমিনীন, নবীকন্যা ও সাধারণ নারীদের একই সাথে আহবান করা হয়েছে তারা যেনো নিজেদের উপর জিলবাব টেনে দেয়। আর খিমার/ মাথার ওড়না দিয়ে বক্ষদেশ ঢাকতে বলা হয়েছে যেটা স্বামী ব্যতীত অন্য সব মাহরামের সামনেও ঢাকতে হবে এবং ননমাহরামের সামনে সৌন্দর্য ও সাজসজ্জা প্রকাশ থেকে বিরত থাকবে।সুতরাং, ভাইয়ের সামনে যেভাবে চেহারা খোলা রেখে চলতে পারবে,নন মাহরামের সামনে পারবে না। বেশীরভাগ আলেমরাই নন মাহরামের সামনে চেহারা উন্মুক্ত রাখাকে হারাম বলেছেন। চার মাজহাবের তিন মাজহাবেই চেহারা ঢাকা ফরজ। হানাফী মাজহাবেও অধিকাংশের মতে বাধ্যতামূলক। কিছু অংশ বলছে চেহারা প্রয়োজনে খোলা রাখা জায়েজ যদি সাজবিহীন হয়,তবে ঢেকে রাখাই উত্তম।
আলেম সাহেব আমি তো মেয়েদের চোখ দেখেও আকর্ষন অনুভব করি। আমার দুই বন্ধু একটা বোরকা পরা মেয়ের চোখ দেখেই ওর পিছে পিছে ঘুরতো। এখন মেয়েদের চোখ ঢাকারও ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখবেন। কারণ প্রেম হয় চোখ দেখে।
এতো স্মার্টলি কথা বলে, হযরত কে খুব ভাল লাগে।
আল্লাহ আপনি আমাদের সবাইকে সঠিক বুজ দান করুন
Paa dakha ki foroz, mane paa te muja Porte Hobe?
সঠিক।কথা।বলেছেন
Jajakallah
আমি পর্দা করি নেকাব পরি আর
আমি চোখে কম দেখি ।নেকাব এর পর্দা ফেললে চোখে কম দেখি আমি কি চোখ খোলা রেখে হাটতে পারবো
আমাকে জানাবেন দয়া করে
জী পারবেন
আসসালামুআলাইকুম।বোন আপনার pic টা পালটান।
এটা সবারি। আপনি ওরনা + নিকাব পরবেন
কথাগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকের সাথেই শেয়ার করার প্রয়োজন মনে করছি। আপনার সাথেও শেয়ার করলাম যদি কিছু মনে না করেন।
আমাদের দেশের মেয়ে/মহিলাদের শাড়ির ব্যাপারে একধরনের সহজাত দুর্বলতা বা ভাললাগা লক্ষ্য করা যায়।
আবার দেশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী পোশাক হিসেবেও শাড়ি অনেকের দৃষ্টিতেই খুব শালীন, মার্জিত ও নির্দোষ একটি পোশাক বলে মনে হয়।
অনেক দ্বীনি বোনও শুধু "শাড়ি পরে পর্দা করা যায় ও ঘরের বাইরে বিচরণ করা যায়"---এমন একটা ফ্যান্টাসিতে ভোগেন।
অথচ হিজাবের কথা বলতে গিয়ে আল্লাহ্ তাআলা গোপনীয় সৌন্দর্য প্রকাশ না করার কথা বলেছেন। আর সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে নারীরা সাজ-সজ্জা ও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতেই শাড়ি পরে শতশত মানুষকে দেখিয়ে। কেউ কেউ শাড়ি পরে নামেমাত্র একটা স্কার্ফ দিয়ে মাথাটাই ঢাকে শুধু। থ্রি-কোয়ারটার বা কনুই পর্যন্ত হাতার ব্লাউজে হাতটাও ঠিকমত ঢাকেনা, খোলা মুখে মেকাপের আস্তর লাগায়। এসব অনুষ্ঠানগুলোতে ১০০ জনের মাঝে এমন ১ জন মহিলা/মেয়ে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যে কিনা হিজাবের বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সাদামাটা ও মোটা কাপড়ের শাড়িকে ঢিলেঢালাভাবে নিকাবসহ হিজাব পালনের নীতিমালা মেনে পরিধান করেছে।
তবে এমন অনেককেই দেখতে পাওয়া যায় যারা শ্যাম ও কূল দুই-ই রাখতে গিয়ে ফেস্টিভ লুক ও সাজ-সজ্জার উদ্দেশ্যে শাড়ি পরেন এবং সেটার মধ্যেই আক্ষরিকভাবে হিজাবটুকুও পালন হওয়ার মিথ্যা শান্তনা খোঁজার চেষ্টা করে থাকেন!
বাস্তবতা একথাই বলে যে শাড়ির সার্থকতা হল সৌন্দর্য ও সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার মাঝে। আর সৌন্দর্য ও সাজ-সজ্জা প্রকাশ এবং হিজাব পালন- এই দুইয়ের মাঝে সত্যনিষ্ঠ সমণ্বয় আদৌ সম্ভব নয়। হিজাব পরার দাবী করার পরেও যদি কাউকে এটেনশন সিক করার মতো সুন্দর বা আকর্ষণীয় দেখায় তখন তো সেটাকে হিজাব বলা যাবেনা।
প্রথম আলোর নকশাসহ বিভিন্ন পত্রিকার লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন বিষয়ক ফিচারগুলোতে শাড়ির নিরন্তর বন্দনা,,, বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসের রোমান্টিক নায়িকা চরিত্রের রূপায়নে শাড়ি পরানো, অনলাইন-অফলাইনের বিভিন্ন পরিমণ্ডলে শাড়ির ব্যাপারে **পুরুষদের** কৌতুহলী ও আসক্ত দৃষ্টি, ভাবাবেগ ও মন্তব্য ইত্যাদি প্রমাণ করে শাড়ি নিছক সাড়ে বারো হাত লম্বা একটা পোশাক নয়। সময়ের ব্যবধানে বিবর্তিত, বিকশিত ও প্রজ্জ্বলিত বিপরীতমুখী আকর্ষণের অনুঘটক!
বিভিন্ন পরিধান রীতিতে দেহকে আবৃত রেখেও সবকিছু প্রকাশ করে দেয়ার স্কোপটা শাড়িতেই সবচেয়ে বেশি---এই ম্যাসেজটাকেই আকাশ সংস্কৃতি তথা মিশ্র সংস্কৃতির এই যুগে মিডিয়া আর বিনোদনের মাধ্যমগুলোতে শাড়ি পরিহিত নারীর উপস্থিতির মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে।
অনেকেই পর্দা রক্ষার ক্ষেত্রে শাড়ির নেতিবাচক দিকগুলোর কারণে শাড়িকে *সম্পূর্ন পরিত্যাজ্য বিবেচনা করে বসেন* ।
অথচ বাসায় স্বামীর জন্য সাজসজ্জা ও আকর্ষণীয় সৌন্দর্য প্রকাশের উদ্দেশ্যে শাড়ি একটা *আদর্শ পোশাক* হতে পারে।
আল্লাহ্'র হুকুম আর আনুগত্যের সীমারেখায় নারীরা তাদের সহজাত নারীসুলভ শখ আর আহ্লাদকে জলাঞ্জলী না দিয়ে পরম সার্থকতায় রূপ দিতে পারেন যদি তারা ঘরে প্রাইভেসী বজায় রেখে স্বামীর জন্য সাজসজ্জার উদ্দেশ্যে শাড়ি পরেন।
এতে একদিকে স্ত্রীরা ঈবাদাতের নেকী পাবেন। দাম্পত্য জীবনও মধুময় হয়ে উঠবে।
আল্লাহ মতের বাইরে অন্যদের মতামত কি গ্রহনযোগ্য। আপনি কি রেফারেন্স এ উত্তর দিলেন তা বুঝা গেল না
ঠিকই বলেছেন,,আল্লাহ্ তায়ালা সূরা নূরে ৩১ নং এ স্পষ্টভাবে হারাম করেছেন, মুসলিম নারীর মাহরাম ছাড়া অন্য কারোও সামনে সৌন্দর্যের প্রকাশ।
এরপরও এরা এ বিষয়টি নিয়ে কেনো ইখতেলাফ রেখেছে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ আসার পরেও-- আমার মাথায় আসে না।
আল্লাহ্ যা হারাম করেছেন, তা হারাম।
জরুরী প্রয়োজনে তোহ্ জীবন বাচানোর জন্য মদও জায়েজ,,তার মানে কী স্বাভাবিক অবস্থায় জায়েজ?
@@truefaith1718 ekhane bola hoyeche “say to the believing women to let a portion of their head covering over their bosoms and not expose their adornments except what appears thereof” mane mumin narira tader mathat kapor buker upore jeno dhele dey ebong shudhumatro jeti shadharonoto drishhoman sheti bade jeno tader shoundorjo prokash na kore.. eijonnoi ekhtilaf..
@@nabilataha2913
প্রথম অংশে বলা হয়েছে,
দৃষ্টি সংযত রাখতে ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে।
২য় অংশে বলা হয়েছে বুকের উপর ওড়না দিতে।:- মাহরাম, নন মাহরাম উল্লেখ নেই,সবার সামনেই।
৩য় অংশে তালিকা দিয়ে নন মাহরামদের সামনে সৌন্দর্যকে প্রকাশ হারাম করে দেওয়া হয়েছে নারীর জন্য।
স্বাভাবিকভাবে যা প্রকাশ পায় তার জন্য গুনাহ্ হবে না।
কথা হচ্ছে, চেহারার সৌন্দর্য কী স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায় উচ্চতা, প্রশস্ততা ও হাটার ধরণের মতো?
নাকি প্রকাশ করে রাখা হয়?
নারীরা যদি পুরুষের মতোই চেহারা অনাবৃত রাখতে পারতেন, তাহলে আল্লাহ্ তায়ালা কেনো নন- মাহরামদের সামনে নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন?
সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে নারীদের মাথার চাদর টেনে পর্দা করতে বলা হয়েছে।
কই, পুরুষকে তো অনুরুপ নির্দেশনা দেওয়া হয় নাই।
যদি নারী- পুরুষের মাঝে পর্দার বিধান না থাকতো, তাহলে কেনো উম্মুল মুমিনীন এবং মহিলা সাহাবীগণ পরপুরুষের সামনে পর্দা করতেন।
পর্দার আয়াত নাযিলের আগে কিছু হাদীস ও ঘটনা পাবেন,
চেহারা খোলা থাকার,
কিন্তু পর্দার আয়াত নাযিলের পর কোনো নারীই আর পরপুরুষের সামনে চেহারা অনাবৃত রেখে চলেন নাই।
ফাতেমা( রাঃ) কেনো পর্দার আড়াল থেকে কথা বলতেন যদি দেখা করা হালাল হতো?
এমনকি ইহরাম অবস্থায়ও পরপুরুষ সামনে চলে আসলে মাথার কাপড় ( যেটা চেহারাকে স্পর্শ করে না নেকাবের মতো)
টেনে দিতে বলা হয়েছে যেনো চেহারা অপ্রকাশিত থাকে।
জামাতে নামাজ পড়লেও পুরুষের পিছনের কাতারে আলাদাভাবে দাড়াতে বলা হয়েছে যেনো কোনোভাবেই তাদের সম্মুখে চেহারার সৌন্দর্য প্রকাশ না পায়।
এইসব ঘটনা কী প্রমাণ করে?
পরপুরুষের সামনে আসলে অবশ্যই চেহারা ঢাকতে হবে।
আর মাহরামদের সামনে বুকে ওড়না জড়িয়ে পুরা শরীর ঢাকতে হবে।
আল্লাহ্ তায়ালা সরাসরি নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশকে নন মাহরাম পুরুষের সামনে হারাম করে দিয়েছেন, সেখানে কেউ যদি দাবি করে কোরআনে কোথায় আলাদাভাবে নারীদের চেহারা ঢাকতে বলেছে,মাথার চুল ঢাকতে বলেছে:- তাহলে তাকে নির্বোধ ছাড়া কিছুই বলা যাবে না।
নারীর জন্য হারাম একটি বিষয়কে হালাল বানানোর প্রচেষ্টা কখনোই সফল হবে না।
@@truefaith1718 ei ayat e “khimar” shobdo ta ache.. khimar mane head covering ei.. parle research koiren.. hae apnar mukh dheke rakhar pechoner logic ta ke ami respect kori.. kintu jara bolechen mukh khola rakha jayej tader kachew apnar motoi reasonings ache.. char imam,, imam abu hanifa, imam malik, imam shafee, ar imam ahmad bin hanbal tader o e bishoy niye motoparthokko ache ebong shobar kachei dolil ache… ektu research korle janben majority scholars ra bolen je mukh khola rakha jayej kintu dhaka uttom… eta onek bishoyei hoye thake… amader e niye torko bitorko kore shanti noshto na kore shobar motamot ke sroddha kora uchit.. karon jara motoparthokko niye ashen tara apnar amar cheye aro bhalo janen…. Tara apnar amar theke aro beshi study korechen
@@nabilataha2913
জ্বী,খিমার মানে মাথার ওড়না।
মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখতে বলা হয়েছে, পাশাপাশি মাহরাম ব্যতীত অন্য কারোও সামনে সৌন্দর্য প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এই ৩১ নং আয়াতের প্রথম অংশে নারীদের নিজেদের দৃষ্টি সংযত রাখতে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে বলা হয়েছে।
২য় অংশে মাহরামের বুকে ওড়না দিতে বলা হয়েছে।মাহরাম - নন মাহরাম উল্লেখ হয় নাই, সবার সামনেই একই নির্দেশ।
এবং ৩য় অংশে মাহরাম ব্যতীত
অন্য কারো সামনে সৌন্দর্য প্রকাশকে হারাম করে দেওয়া হয়েছে।
তাহলে একজন মুসলিম হিসেবে সৃষ্টিকর্তার স্পষ্টতঃ হারাম একটি নির্দেশকে হালাল মনে করব?
আপনি কোরআন ও হাদীসের এমন একটি ঘটনাও পাবেন না যেখানে উম্মুল মুমিনীন ও মহিলা সাহাবীগণ পর্দার আয়াত নাযিলের পরে চেহারা উন্মুক্ত রেখে নন মাহরাম পুরুষের সামনে এসেছেন।
যদি পুরুষের মতোই নারীরা নন মাহরামের সামনে চেহারা খোলা রেখেই আসতে পারতেন,
তাহলে,মাহরামদের স্পষ্ট তালিকা দিয়ে এদের ব্যতীত অন্য কারোও সামনে নারীর সৌন্দর্য প্রকাশকে কেনো হারাম করে দেওয়া হয়েছে?
যাস্ট মাথার ওড়না বক্ষদেশ এ দিতে হবে, এতটুকুই থাকতো। পরের অংশটুকু মানুষ ভুলে যায় এবং নিজের মতো ব্যাখ্যা করে।
যারা মুখ খোলা জায়েজ বলে
তাদের চরিত্র ভালোনা।
ঠিকই বলেছেন,
আল্লাহ্ স্পষ্টতঃ হারাম করেছেন নারীর সৌন্দর্যের প্রকাশকে।
আর উনারা এখতেলাফ রাখছে।
Nawjubillah min jalek.. egulo ki dhoroner kothabarta.. sahabi ibn abbas bolechen mukh khola rakha jayej.. uni rasul sallallahu alaihi wasallam er cousin chilen.. apni e kotha bole onake choritrohin bollen.. astagfirullah.. apnar jodi mone hoy mukh dhaka foroj sheta apni follow korun tarporew na jene e dhoroner kothabarta bolben na.. apni janen na jara bolechen mukh khola rakha jayej tara kara
@@nabilataha2913 Sahabi ibn abbas surah nur er 31 number ayate " illa mma johra" te tar nijer explanation diye prothome bolechilen mukh and hat khula rakha jabe, kintu sahabi ibn Masuud akoi ayater tafsir korechilen mukh noy, borong eyes ( for walking necessity and cloth).
Pore sahabi ibn abbas unar ei explanation change korechen jokhon surah ahjab er 59 no ayat nazil hoy jekhane ummul mumeenin, nobikonna abong mumin nari Shobai aki rokom vabe jilbab tene porda korte bola hoyese.
Tai, jeta finally fixed hoyese, shetai mante hobe.
@@truefaith1718 surah ahzab e jilbab nijer upor chere dite bola hoyeche.. jilbab ki eta ektu research korben.. jilbab borkhar cheyew thick ekta jama jeta mathashoho puro shorir dheke rakhe.. ironically jilbab er o mukh khola thake.. jilbab niye ektu research kore dekhben.. ar mukh dhakte hobe eta finally fixed hoy ni.. ekhono eta niye ekhtilaf ache ebong dui pokkher kachei strong logic ache.. majority scholars o bolen mukh khola rakha jayej.. ektu koshto kore research kore niben.. dui pokkher kachei strong logic ache ebong tara onek boro olema.. amra olemader dhare kachew na amra keno ei bishoy niye torko bitorko kore islam er bhrattitto noshto korbo ar muslim der moddhe bibhokti srishti korbo? Eishob niye debate kora tader kaj amader noy..
@@nabilataha2913 জিলবাব নিজেদের উপর টেনে দিলে মুখ ঢাকা হয়।
জিলাবারের আয়াত নাযিল হওয়ার পর এই আয়াতের নির্দেশ অনুসারে উম্মুল মুমিনীনগণ এবং মহিলা সাহাবীগণ গায়রে মাহরামের সামনে নিজেদের চেহারা ঢাকতেন।সুতরাং উনারা যেভাবে এই আয়াতের আমল করে দেখিয়েছেন, সেভাবেই করতে হবে।
উম্মুল মুমিনীন এবং সাধারণ মুমিন নারীর পর্দার ভিন্ন-- এমন কোনো পৃথক নির্দেশনা নেই বরং সূরা আহযাবের ৫৯ নং পর্দার আয়াতে উম্মুল মুমিনীন, নবীকন্যা ও সাধারণ নারীদের একই সাথে আহবান করা হয়েছে তারা যেনো নিজেদের উপর জিলবাব টেনে দেয়।
আর খিমার/ মাথার ওড়না দিয়ে বক্ষদেশ ঢাকতে বলা হয়েছে যেটা স্বামী ব্যতীত অন্য সব মাহরামের সামনেও ঢাকতে হবে এবং ননমাহরামের সামনে সৌন্দর্য ও সাজসজ্জা প্রকাশ থেকে বিরত থাকবে।সুতরাং, ভাইয়ের সামনে যেভাবে চেহারা খোলা রেখে চলতে পারবে,নন মাহরামের সামনে পারবে না।
বেশীরভাগ আলেমরাই নন মাহরামের সামনে চেহারা উন্মুক্ত রাখাকে হারাম বলেছেন।
চার মাজহাবের তিন মাজহাবেই চেহারা ঢাকা ফরজ।
হানাফী মাজহাবেও অধিকাংশের মতে বাধ্যতামূলক।
কিছু অংশ বলছে চেহারা প্রয়োজনে খোলা রাখা জায়েজ যদি সাজবিহীন হয়,তবে ঢেকে রাখাই উত্তম।
মুখ।সুন্দরে।রাজদানী
Right.
এরাই।তো।সঠিক।আলেম।আমরা।জেনো।এদের।কথা।সুনবো।না
আলেম সাহেব আমি তো মেয়েদের চোখ দেখেও আকর্ষন অনুভব করি। আমার দুই বন্ধু একটা বোরকা পরা মেয়ের চোখ দেখেই ওর পিছে পিছে ঘুরতো। এখন মেয়েদের চোখ ঢাকারও ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখবেন। কারণ প্রেম হয় চোখ দেখে।
Shobkichu meyeder upor chapiye dile hoy na… apnader o chokh shongjoto rakhar jonno bola hoyeche.. tara tader part korben apnara apnader part korben
পুরুষের ও পর্দা আছে । পুরুষ কে তার চোখ সংযত রাখতে হবে।
আপনার চোখ কি সংযত রাখা যায়না
ইসলামে আপনাকে চোখের হেফাজত করতে বলছে।আর আপনি লু** মত??
চোখ দেখে বিয়ে কইরেন।
Jajakallah