বিষ্ণুপুর করুণাময়ী কালিবাড়ির আশ্চর্য ইতিহাসের গল্প| Bishnupur Kali Bari |Berhampore|Flashback Vlog

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 6 ก.ย. 2024
  • বিষ্ণুপুর করুণাময়ী কালিবাড়ির আশ্চর্য ইতিহাসের গল্প| Bishnupur Kali Bari |Berhampore | Flashback Vlog
    #FlashbackVlogajaypramanik
    Flashback Vlog |Berhampore | Murshidabad | Cossimbazar, Berhampore, West Bengal | Kripamoyi Kali Bari | মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের বিষ্ণুপুর কালীবাড়ির মা এখানে করুণাময়ী মা রূপে পূজিত হন। নিত্যদিনই চলে মায়ের পূজার্চনা এবং সন্ধ্যা আরতি।
    বিশেষ করে শনিবার ও মঙ্গলবার বহু ভক্তের আগমন ঘটে এই মায়ের মন্দিরে।
    যেহেতু পৌষ মাসে মায়ের আবির্ভাব তাই প্রতি বছর সারা মাস যাবত মন্দির প্রাঙ্গণে বিশাল মেলা বসে। এখানকার মা খুবই জাগ্রত। আজ এই করুণাময়ী মায়ের আশ্চর্য ইতিহাসের গল্পই আপনাদেরকে বলবো।
    জেলা তথা জেলার বাইরে থেকেও প্রচুর লোক এই মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এখানকার মা খুব জাগ্রত বলেই পরিচিত।নবাব সরফরাজ খান আমলে কাজের সন্ধানে মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় আসেন এক ব্রাহ্মন তার নাম কৃষ্ণনন্দ হোতা।
    কিছুদিন পরে কাশিমবাজারে নবাবের অধীনে তিনি কাজ পান। কৃষ্ণনন্দ হোতা ছিলেন খুবই ধার্মিক মানুষ । ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তাদের কোন সন্তান হয়নি। তিনি ভাবলেন নবাবের কাছ থেকে তার অনেক অর্থ উপার্জন হয়েছে এবার তিনি নিজের দেশে ফিরে যাবেন।
    এরপর একদিন তিনি স্বপ্নাদেশ পান যে, তুই এখানেই থাক, আমি তোর কাছেই আসছি। এর এক বছর পর তার কন্যা সন্তান হয় তার নাম রাখেন করুনাময়ী। এই করুনাময়ী দিনে দিনে বড় হতে থাকেন। বাবা অন্তপ্রান এই করুনাময়ীকে আগলে রাখতেন এবং ভালোবাসতেন । তিনি করুণাময়ীকে নিয়ে কাজের অফিসেও তিনি চলে যেতেন।
    কেউ কাউকে ছাড়া থাকতেই পারত না। সেই সময়ে এই বিষ্ণুপুর ছিল মহাশ্মশান জঙ্গলাকীর্ণ। এখানে বাঘ বাস করত। এই শহরের হোতার সাকোর কাছে ছিল একটা পারাপারের ঘাট।
    ওই পারের নাম ছিল সুজাগঞ্জ যা বর্তমানে খাগড়া ফাড়ি দৈহাট্টা রোড। কৃষ্ণনন্দ হোতার বাড়ি ছিল বহরমপুরের সৈদাবাদে। প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার আগে এই বিষ্ণপুর মহাশ্মশানে বট বৃক্ষের তলায় ধ্যান করতেন। আর মেয়ে করুনাময়ী সেই সময় তার সামনেই খেলা করে বেড়াতো।
    একদিন অফিস শেষ করে বিষ্ণপুরে এসে তার মনে পড়েছে তিনি অফিসে কোন জরুরী কাজ ফেলে রেখে এসেছেন। তাই তাকে কাশিমবাজার যেতে হবে কিন্তু কন্যা করুনাময়ী তার সঙ্গে আর যেতে রাজী হয়নি। সেই সময় তিনি দেখতে পান রাস্তা দিয়ে তার পরিচিত এক শাখারী যাচ্ছেন। তাকে ডেকে কৃষ্ণনন্দ বলেন তার কন্যাকে যেন তিনি বাড়িতে একটু পৌছে দেন।
    শাখারী তার কন্যকে সঙ্গে নিয়ে চলছেন। পারাপার ঘাটের কাছে আসতেই করুনাময়ী হাতছানী দিয়ে পারাপারের ঘাটে নেমে পড়েন এবং জলের উপরে তিনি বসে পড়েন। অনেক ডাকাডাকি করেও করুনাময়ী আর আসেনি। করুনাময়ী ওই শাখারীকে বলে তার হাতে যেন শাখা পড়িয়ে দেওয়া হয়।
    শাখারী জলে নেমে তাকে শাখা পরিয়ে দেয়। করুনাময়ী শাখারীকে বলেন আমি এখানেই থাকবো তুমি বাড়ি ফিরে গিয়ে আমার মা কে বলবে লক্ষ্মী ঠাকুরের পাশে ৫টি মোহর আছে। তোমাকে যেন একটি দিয়ে দেয়। মা জলে নিমজ্জিত হয়ে গেলে শাখারী বাড়ি ফিরে এলেন।
    এদিকে হোতা কন্যা শোকে নবাবের চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে বিষ্ণপুর মহাশ্মশানে ধ্যানস্থ হন। এখানেই তিনি মায়ের দর্শন পান গাছের কুঠুরীতে। তারপর থেকে এখানেই মায়ের প্রতিষ্ঠা হয়।
    এরপর পরম ধার্মিক লালগোলার রাজা যোগেন্দ্র নারায়ণ রাও এখানে মায়ের জন্যে মন্দির নির্মাণ করেন। সেই কাল থেকে আজও একই ভাবে
    চলে পুজোপার্বন।
    প্রতিবছর মায়ের আমাবস্যা পুজো শেষ করার পরেই খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে শিবা ভোগের আয়োজন করা হয়।
    এরপরই সেই ভোগ একটি সুন্দর পরিষ্কার পাত্র করে মন্দিরের পাশেই একটি বেল গাছ তলায় রাখা হয় এর পরক্ষণেই একটি শিয়াল এসে সেই ভোগ খেয়ে যায় এবং মায়ের পুজো সম্পন্ন হয়।
    কোনো কারণবশত যদি সেই ভোগ শিয়ালটি না খেতে আসে তবে ধরে নেওয়া হয় যে, ভোগের আয়োজনে কোন ত্রুটি হয়েছিল, তাই আবার পুনরায় ভোগ রান্না করে সেই বেলতলায় গিয়ে শিবা,শিবা বলে ডেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং আশ্চর্যভাবে একটি শিয়াল এসে সেই ভোগ খেয়ে যায় এবং মায়ের পুজো সম্পন্ন হয়।
    একটি ঘটনা আবার লোকমুখে কথিত আছে,এখানে মায়ের মন্দির পার করার সময় ট্রেন থামিয়ে মাকে প্রণাম করেই ট্রেনের পাইলট আবার গন্তব্যে রওয়ানা দিতেন,যাতে সামনে পথে কোনো আপদ বিপদ না ঘটে, মায়ের মহিমা অসীম, তাই এখনো মা সকলের কাছে প্রিয় এবং পূজিত হন।
    তবে এখন মন্দির সংলগ্ন এলাকা নগরে পরিনত হয়েছে।
    বর্তমান মন্দিরের দায়িত্বে থাকা সেবায়েত মহাশয়েরা মন্দিরের পার্শ্ববর্তী স্থান এত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গড়ে তুলেছেন যা দেখলে আপনাদের মন প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।
    একদিকে মায়ের আশ্চর্য লীলা আর অন্যদিকে সুবিশাল জলাশয়ের ধারে মনোরম পরিবেশ আপনাদের মনে ডেকে আনবে শান্তির বার্তা।
    #bishnupur_kalibari
    #Bishnupurkalibari
    #bishnupurpoushmela
    #bishnupurkali_temple
    #bistupurkalibari
    #kasimbazar
    #বিষ্ণুপুরকালীবাড়ী
    #বিষ্ণুপুরপৌষমেলা
    #বিষ্ণুপুরকালি টেম্পলে
    #বিস্তুপুরকালীবাড়ী
    #কাসিমবাজার
    #BishnupurKalibari
    #Bishnupur_Poushmela
    #BishnupurKali Temple
    #Cossimbazar
    #Berhampore_bishnupur_kalibari
    #Bishnupur
    #Kalibari
    #Makali
    #Ma
    #Kali
    Music : TH-cam Audio Laibari (Thank You TH-cam Audio Laibari)
    Voice : Debakor ( Flashback Vlog)
    Videography & Edit : Ajay Pramanik ( Flashback Vlog)

ความคิดเห็น • 71