ইফতারির শেষ পাতে মিষ্টি মুখ করাটাই রেওয়াজ - বত্তিইসি হালুয়া
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 18 เม.ย. 2023
- রামজান মাসে কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রীট খাদ্যরসিকদের এক অন্যতম পীঠস্থান বলা যায়। ভিড় ঠেলে ইফতারের কেনাকাটায় ব্যস্ত বহু মানুষ। যদিও আমাদের গন্তব্য কলুটোলার দিকে। তাই আগুনে ঝলসানো শিক কাবাবের লোভ সামলে এগিয়ে গেলাম ছোটা মসজিদের দিকে। মসজিদ পেরিয়ে ফিয়ার্স লেন আর কলুটোলা স্ট্রীট, ঐ মোড় থেকে আল বাইক পেরিয়ে কিছুদুর এগোতেই কাবাবের গন্ধের বদলে নাকে এল বিশুদ্ধ দেশী ঘিয়ের গন্ধ। ঘিয়ের গন্ধ নাকে নিয়ে ঢুকে পড়লাম এই মিষ্টির দোকানেই। বাইরের বোর্ডে স্বর্নাক্ষরে লেখা আছে হাজি আলাউদ্দিন সুইটস ১০০ ইয়ারস। দোকানের ভিতরে উপচে পড়া ভিড়, একটু পরেই রোজা ভাঙবে তাই বোধহয় এত ভিড়। কাঁচে ঘেরা শোকেশে সাজানো দুধ, মালাই, মেওয়ার তৈরি রঙ বেরঙের সব মিষ্টি। ভিতরে ঢুকতেই কাউন্টারের এক কর্নারে আমার নজর কাড়লো ট্রেতে সাজানো রমজান স্পেশাল সব মিষ্টি। বাঁদিকের কাউন্টারে বৃদ্ধ দোকানি ব্যস্ত হাতে বাক্সে তুলে ফেলছেন কখনও আখরোটের হালুয়া, কখনও গাজরের হালুয়া আবার কখনও বত্তিশি হালুয়া। এছাড়াও গুলাবজামুন, আমরিতি, খাজা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন লোকে। মিষ্টি ছাড়া রমজানও অসম্পূর্ণ। রমজানের সন্ধ্যায় ইফতারির শেষ পাতে মিষ্টি মুখ করাটাই রেওয়াজ।এখানে লাচ্ছা, খাজলা, অমৃতি, গোলাবজামুন, চিকেন সিঙ্গারা, মটন সিঙ্গারা এসবই রমজান স্পেশাল। দোকানের বর্তমান কর্নধার চতুর্থ জেনারেশান ইজাজ আহমেদ -এর সাথে কথা বলে জানলাম, এই দোকানের বয়স প্রায় ১২০ বছর; এদের বিশেষত্বই খোয়া খীর আর দেশী ঘিয়ে ভাজা যাবতীয় মিষ্টি এবং স্নাক্স আইটেম।একসময় কলকাতায় ঘিয়ের মিষ্টি শুধুমাত্র হাজি আলাউদ্দিন এবং তিওয়ারি বানাতো। হালুয়ার জন্যে রয়েছে সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিভাগ। যার মধ্যে কাজু, পেস্তা, নারকেল, জোয়ান, মাখনা, বাদাম ইত্যাদি মোট বত্রিশ রকম জিনিস দিয়ে তৈরি বত্তিশি হালুয়ার চাহিদা সবচেয়ে বেশী। এটি সারা বছরই এখানে পাওয়া যায়। এছাড়াও ঘিয়ে ভাজা গোলাব জামুনেরও বেশ চাহিদা রয়েছে। এখানকার খাজাও বেশ জনপ্রিয়। দুধে ভিজিয়ে খাওয়ার জন্যে একধরনের খাজলা এখানে পাওয়া যায় একমাত্র রমজানের সময় ঈদের একদিন আগেই তা বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়; এখানকার এই খাজলাকে ইণ্ডিয়ান কর্নফ্লেক্সও বলা যেতে পারে, বলে জানালেন ইজাজ।