আইয়ুব গেট যেভাবে আসাদ গেট হলো | ঢাকার ঐতিহাসিক আসাদ গেটের ইতিহাস | History of Asad Gate Dhaka
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 16 มี.ค. 2022
- শহীদ আসাদের জীবনী...
গুচ্ছ গুচ্ছ রক্তকরবীর মতো কিংবা সূর্যাস্তের
জ্বলন্ত মেঘের মতো আসাদের শার্ট
উড়ছে হাওয়ায় নীলিমায় ।
বোন তার ভায়ের অম্লান শার্টে দিয়েছে লাগিয়ে
নক্ষত্রের মতো কিছু বোতাম কখনো
হৃদয়ের সোনালী তন্তুর সূক্ষতায়
বর্ষীয়সী জননী সে-শার্ট
উঠোনের রৌদ্রে দিয়েছেন মেলে কতদিন স্নেহের বিন্যাসে ।
কোন কোন মৃত্যু ইতিহাস হয়ে যায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্রোতে উদ্বেল জোয়ার বয়ে আনে। কোন কোন মৃত্যু ইতিহাসের কাছে দায় রেখে যায়। সোনালী অক্ষরে জলজল করে জাগরণের পাতায় পাতায়।
কোন কোন মৃত্যু বারুদে ঠাসা অভ্যুত্থানের গুদামে আগুনের ফুলকির মতো উড়াউড়ি করে উন্মাতাল।
আমানুউল্লাহ মোহাম্মদ আসাদ। ৬৯ এর শহীদ আসাদ। নিজের মৃতু দিয়ে এমনি এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল উনসত্তোরের গণজোয়ারে।
স্বদেশের মানচিত্রে সেই আসাদ, নিজের মৃত্যু দিয়ে, স্বাধীনতার স্বপ্ন বুনে দিয়েছিল ১৯৬৯ সালের ২০ জানুযারির রোদহীন দুপুরে।
কে ছিল আসাদ?
আসাদ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে সদ্য এমএ ডিগ্রি নিয়ে সিটি ল কলেজে আইনে ভর্তি হওয়া এক তরুণ তেজি বিপ্লবী।
১৯৪২ সালের ১০ জুন জন্ম নেওয়া আসাদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে। সেখানেই কেটেছে তার ছেলেবেলা।
১৯৬০ সালে শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে চলে যান সিলেটে। সেখানে ১৯৬৩ সালে এমসি কলেজ থেকে ইন্টারমেডিয়েট পাশ করেই আসাদ পাড়ি জমান ঢাকায়। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে।
সময়টা তখন ছিল ১৯৬৪। ঢাকার রাজপথ তখন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মিছিল-স্লোগানে উত্তাল। আন্দোলনের সেই উত্তাল স্রোতে গিয়ে মিশে যান আসাদ। অল্প দিনের মধ্যেই ছাত্র ইউনিয়নের মেনন গ্রুপের ঢাকা শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়ে যান আসাদ।
১৯৬৭। আসাদ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এবং কৃষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষাণী'র নির্দেশনায় গ্রামে চলে যান কৃষক সমিতিকে সংগঠিত করতে। নেতার নির্দেশে তিনি নরসিংদীর শিবপুর, মনোহরদী, রায়পুরা এলাকায় বাংলার কৃষক জনতাকে সংগঠিত করেন।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিবেদিত প্রাণ আসাদুজ্জামান, সবসময় গরিব-অসহায় ছাত্রদের শিক্ষার অধিকার বিষয়ে সর্বদা সজাগ ছিলেন। তিনি সেসময় শিবপুর নৈশ বিদ্যালয় নামে একটি নৈশ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং শিবপুর কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদেরকে সাথে নিয়ে আর্থিক তহবিল গড়ে তোলেন।
৬ ডিসেম্বর, ১৯৬৮। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষাণী হরতালের ডাক দেন। এই হরতালে ছাত্রদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও পূর্ণ সমর্থন জানায়।
ঢাকার রাজপথ হয়ে যায় উত্তাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা দাবীর স্বপক্ষে এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অন্যান্য আসামীদের মুক্তি দাবীর আন্দোলন চলছিল।
৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯। ছাত্রদের ১১ দফা এবং বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যাতে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন আসাদ। এর অংশ হিসেবে ১৯৬৯ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ছাত্ররা দেশব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ডাক দেয়।
ছাত্রদের এই ডাক প্রতিহত করতে গভর্নর মোনেম খান ১৪৪ ধারা জারী করেন। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি।
২০ জানুয়ারি ১৯৬৯। সকাল থেকেই ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হতে শুরু করে। একটি সংক্ষিপ্ত সভা শেষে বেলা ১২টার দিকে জরুরি আইন ভেঙে মিছিল বের করে ছাত্ররা।
১০ হাজার ছাত্রের গগন বিদাড়ি স্লোগানে কেঁপে ওঠে ঢাকার রাজপথ। মিছিল এগিয়ে যায় ব্যারিকেটের দিকে। গোটা বিশ্ববিদ্যালয় তখন সেনাবাহিী, পুলিশ আর ইপিআরের ঘেরাওয়ে।
দুপুর দেড়টার কিছু পরে ছাত্রদের একটি ছত্রভঙ্গ মিছিল চাঁন খাঁ'র পুল এলাকায় প্রাণ ফিরে পায়। বজ্রদ্বীপ্ত স্লোগানে এর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আসাদ। হঠাৎ মিছিলের সামনে এসে পড়ে একটি পুলিশ ভ্যান।
সেখানে খুব কাছ থেকে আসাদকে লক্ষ্য করে এক পুলিশ অফিসার তার রাইফেল থেকে….
তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আসাদ। তার তেজদীপ্ত কণ্ঠ যেন মুহুর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায়।
আসাদের মৃত্যু পরিবেশকে আরও ঘোলাটে করে তুলে। মুহুর্তেই হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আসাদের মৃত্যুতে একত্রিত হয়ে পুনরায় মিছিল বের করে। ঢাকার রাজপথ তখন ছাত্রদের দখলে, আর বাতাসে বারুদের গন্ধ।
ছাত্ররা ২২, ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেয়। কিন্তু ধর্মঘটের শেষ দিনে পুলিশ পুনরায় গুলিবর্ষণ করে। এতে অবস্থা আরও বেগতিক হয়। ফলে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ১৪৪-ধারা স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
শহীদ আসাদের রক্তমাখা শার্ট নিয়ে ২১ জানুয়ারি ঢাকায় বের হয় শোক মিছিল। বিক্ষুদ্ধ জনতা সেই সময়ই ছুটে যান মোহাম্মদপুরে তৎকালীন আইয়ুব গেটের সামনে। প্রতিবাদের ক্ষুদ্ধ প্রতীক হিসাবে সেখানকার আইয়ুব গেটের নামফলক গুড়িয়ে দিয়ে আসাদের রক্ত দিয়েই সেখানে লেখেন আসাদ গেট।
এই গেটের নাম পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের নাম অনুসারে ছিল আইয়ুব গেট। আইয়ুব খান ঢাকায় এসে মোহাম্মদপুর এলাকার প্রথম পনেরটি বাড়ি কিছু পরিবারের জন্য বরাদ্দ করেন। সে কারণে মোহাম্মদপুর এলাকার প্রধান রাস্তার এই প্রধান গেটটির নামকরণ করা হয় আইয়ুব গেট।
সেই আইয়ুব গেটের নাম বিল্পবী জনতা পরিবর্তন করে রাখেন আসাদ গেট।
আরও দেখুন...
দুনিয়ার সবচেয়ে সস্তা হোটেল: • ঢাকার সবচেয়ে সস্তা হোট...
২০০ বছর আগে ঢাকার এক কোটিপতির প্রাসাদ রূপলাল হাউজ : • ২০০ বছর আগে ঢাকার এক ক...
শুটিংয়ের গ্রাম ভাদুন | যেখানে ভাড়া পাওয়া যায় হাঁস মুরগি ছাগল
• শুটিংয়ের গ্রাম ভাদুন |...
This channel will be publish only documentaries on Historical places & also share to be travel experience. Try to discover beautiful Bangladesh with remarkable history. Remember, Bengal Discovery is an educational channel. So, please subscribe this channel : / @bengaldiscovery
পাকিস্তান হাটে একদিন • পাকিস্তান হাটে একদিন |...
আমাদের নরসিংদী জেলার
শিবপুর উপজেলার গর্ব
আসাদ বিনম্র শ্রদ্ধা 💝
অনেক ধন্যবাদ
শহিদ আসাদ আমাদের শিবপুর উপজেলার গর্ব।। ❤️❤️😍😍আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুক
congratulations
আল্লাহ এই বীর যোদ্ধা কে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা করুক
আমীন
অসাধারণ হয়েছে
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
পিনাকী ভট্টাচার্যের ব্লক থেকে শুনে দেখতে আসলাম কেন আসাদের নামে হলো আসাদগেট
thank you
😔😔😔
কিছু বলতে চান?
😭😭😭😭
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
Via ami Shozib Ahmed joy
ওহ! তাই, কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ ভাই আপনি কেমন আছেন
ধন্যবাদ আপনাকে। আমি ভালো আছি
Joy bangla
ধন্যবাদ
Lol
ধন্যবাদ আপনাকে