সত্যজিৎ রায় এবং সুকুমার রায়ের পৈত্রিক বাড়িকে যেভাবে সাজানো হচ্ছে || কিশোরগঞ্জের মসূয়া জমিদার বাড়ি
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 14 ต.ค. 2024
- সত্যজিৎ রায় এবং সুকুমার রায়ের পৈত্রিক বাড়িকে যেভাবে সাজানো হচ্ছে || কিশোরগঞ্জের মসূয়া জমিদার বাড়ি
#tuhinontheway
#kishoreganj
#satyajitray
#SatyajitRayCinema
#RayCentenary
মসূয়া জমিদারবাড়ির জমিদার ছিলেন হরি কিশোর রায়। তৎকালীন সময়ে জমিদারিতে অনেক প্রভাব থাকলেও মনে তার শান্তি ছিল না। কারণ তিনি ছিলেন নিঃসন্তান। পরবর্তীতে বড়ভাই কালীনাথ দেব ওরফে শ্যাম সুন্দর দেব ও জয়তারা দেবীর পুত্র কামদারঞ্জনকে দত্তক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন জমিদার হরি কিশোর রায়। জমিদারি প্রথা টিকিয়ে রাখতে দত্তক পুত্র কামদারঞ্জনের নাম পরিবর্তন করে নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখেন উপেন্দ্র কিশোর রায়। লেখাপড়ায় মনোযোগী উপেন্দ্র কিশোর রায়কে পড়ালেখায় স্বাবলম্বী করতে মময়মসিংহ জেলা স্কুলে ভর্তি করানো হয়। সেখানে হরি কিশোর রায়ের প্রভাব প্রতিপত্তী ছিল। এখনও তাঁর নিজ নামের একটি রাস্তা সে ইতিহাস বহন করে চলছে।
জমিদারি প্রথার শেষলগ্নে : পালক পুত্র উপেন্দ্র কিশোর রায়কে নিয়ে হরি কিশোর রায়ের অনেক স্বপ্ন ছিল। তিনি চেয়েছিলেন পরবর্তীতে জমিদারি সে সামলাবে। কিন্তু পড়ালেখা, গানবাজনা ও ছবি আঁকায় মনোযোগী উপেন্দ্র কিশোর রায় ছিলেন পুরোই বিপরীত। তার ধ্যান-জ্ঞান ছিল শুধুই পড়ালেখা। এন্ট্রান্স পরীক্ষা পাশ করে উচ্চ শিক্ষা লাভের আশায় সতের বছর বয়সে ভর্তি হন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। কলেজে অধ্যায়নকালেই জড়িয়ে পড়েন কলকাতার শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে।
সেই সুবাদে আন্তরিকতা আর ঘনিষ্টতা বাড়ে জোড়া সাঁকোর ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে। এক সময় খ্যাতিমান সংস্কারমুক্ত মনের মানুষ ব্রাহ্মনন্দ কেশব চন্দ্র সেনের সান্নিধ্যে থেকে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নেন। পরবর্তীতে জমিদারি প্রথা আর ভাবমূর্তি না থাকলেও বাবা হরি কিশোর রায় পুত্রের সুবাদে বেশ কয়েকবার ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জের মসূয়া গ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন।
পরবর্তী বংশধর : ১৮৮৩ সালে উপেন্দ্র কিশোর রায় ২১ বছর বয়সে বিএ পাশ করার পর, দ্বারকানাথ ও প্রথম মহিলা গ্রাজুয়েট- মহিলা ডাক্তার কাদম্বিনীর একমাত্র কন্যা সন্তান বিধুমুখীকে বিয়ে করেন। তাদের বৈবাহিক জীবনে ১৮৮৭ সালে ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেন দ্বিতীয় সন্তান সুকুমার রায়। জন্মের পর থেকেই পিতার সকল গুণাবলীই বিদ্যমান ছিল তাঁর মধ্যে। ১৯১৩ সালের গোড়ার দিকে সুকুমার রায় ঢাকার খ্যাতনামা সমাজসেবক কালী নারায়ণ গুপ্তের কন্যা সুপ্রভাকে বিয়ে করেন। বৈবাহিক জীবনের আট বছরের মাথায় অর্থাৎ ১৯২১ সালে ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত বাঙালী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। তিনি একবারই বাংলাদেশের ঢাকায় এসেছিলেন।
সুকুমার রায় ছিলেন পিতার উত্তরসূরী। তিনিও সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য জীবনে বেশ প্রভাব ও আধিপত্যের মাঝেই বেঁচে ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই অতি সহজে চিত্রাঙ্কণ, গানবাজনা ও অভিনয়ে পারদর্শিতা অর্জন করেন। তিনি আলোকচিত্র ও ছাপাখানা প্রযুক্তি বিদ্যায় লন্ডন থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করে ১৯১৩ সালে বাবার সুনামধন্য ছাপাখানা ‘ইউ রায় অ্যান্ড সন্স’ এর ধ্যান ধারণায় মনোনিবেশ করেন। আর তাঁর স্ত্রী সুপ্রভাও ছিলেন গানের জগতে পারদর্শী ব্যক্তিত্ব। যার গান শুনতে ব্যাকুল ছিলেন স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর পর্যন্ত। সুকুমার রায় শিশু কিশোরদের জন্য বিভিন্ন হাসির ছড়া, কৌতুক ও প্রবন্ধ লিখে গেছেন। ‘সুকুমার সমগ্র’শিশুদের অত্যন্ত প্রিয় একটি গ্রন্থ। তা ছাড়া আবোল তাবোল, হ-য-ব-র-ল এমন অনেক অতুলনীয় গ্রন্থ লিখে গেছেন তিনি।
পিতা ও পিতামহের কোনো কিছুই কমতি ছিল না সত্যজিৎ রায়ের মাঝে। তাঁদের নাম-যশ টিকিয়ে রাখতে আর পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারবাহিকতায় তিনিও শিল্প ও সাহিত্য নিয়ে সব সময় নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। ধীরে ধীরে নিজের মেধা আর বুদ্ধির চাতুর্যে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন সমগ্র বিশ্বে। তাঁর মেধা আর মননশীলতাকে এক নামে সবাই জানত বিশ্ব সাহিত্য আসরে। চিত্রাঙ্কণ, গানবাজনা ও অভিনয়ে তিনি ছিলেন অনন্য ও বিরল প্রতিভার অধিকারী। চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তাক লাগিয়ে দেন সমগ্র বাঙালী জাতিকে। আর তাই তাঁর অসাধারণ প্রতিভা বলে আজো তাকে আমরা স্মরণ করি ‘অস্কার বিজয়ী’ সত্যজিৎ রায় হিসেবে।
জমিদারবাড়ির বর্তমান চিত্র : কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থেকে সড়ক পথে ৩১ কিলোমিটার দূরে কটিয়াদী উপজেলা। সেখান থেকে আট কিলোমিটার ভেতরে মসূয়া গ্রামে অবস্থিত এ জমিদারবাড়িটি। ব
-------------------------------------------------------------
business query : tuhin.otw@gmail.com
--------------------------------------------------------------
Find me on-
Facebook -
/ tuhin.otw
Instagram-
/ tuhin.otw
Telegram
t.me/TuhinOnTheWay
your Queries-
মসুয়া জমিদার বাড়ি
সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি
অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি
the ancestral home of oscar winning filmmaker satyajit ray
সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি,সত্যজিৎ রায়
satyajit ray
পৃথিবী বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক ভিটে
কবি সুকুমার রায়ের বাড়ি
সুকুমার রায়
kishoreganj
সত্যজিৎ রায়
travel vlog
pathet panchali
history
travel blog
historic places
best tourist place in bangladesh
history of bangladesh
জমিদার বাড়ি
historic sites
কিশোরগঞ্জ
archaeological sites
satyajit ray house
kishoreganj
movie of sattajit roy sinema sottojit roy
Very good video.
তুহিন ভাই ভিডিওটি খুব খুব ভালো লাগলো।এগিয়ে যান ভাই সাফল্য খুব কাছে।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই।
Excellent sir
Dada ki bolbe thik bujhte parchi na. Uposthapona khub sundar, apnar bolar modhdhe eto antorikota thake sunte sunte mone hoy khub taratari videota sesh hoye gelo. Asole bangladeshke khub kache theke dekhte pai. Bhogoban apnar mongol korun.
আপনি আমার ভিডিও দেখেন এটি আমার জন্যে আনন্দের। এবং মন্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি যে টান অনুভবের কথাগুলো লিখেন তা পড়তে গিয়ে আমার চোখে চল চলে আসে।
আমি এমন টপিক নিয়ে ভিডিও বানাই যা খুব বেশি মানুষ দেখে না। তবুও এই কাজটি আমি করে যেতে চাই।
একটা দেশ ধর্মের ভিত্তিতে কীভাবে ভাগ হয়ে গেলো। এপাড়ের মানুষ ওপাড়ের হয়ে গেলেন! সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন নিজের মাতৃভুমি আর নিজের নাই!
এটি আমাকে খুব কষ্ট দেয়। নতুন প্রজন্মের কাছে এ কারণেই আমি ঊনবিংশ ও বিংশশতাব্দীকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।
মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞতা। ❣️
প্রয়াত সাহিত্যিক সূনীল গঙ্গোপাধ্যায় একবার এক সাহিত্য সভায় বলেছিলেন যে, ওনার পিতা ১৯৪৭সালে ১৪ ও ১৫ ই আগস্ট পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতা দিবস কে স্বাধীনতা দিবস না বলে সদ্য গঠিত দুই দেশের অসংখ্য হিন্দু ও মুসলমান পরাধীন হয়ছিলো সেই কথা টি বেদনার সঙ্গে ব্যক্ত করেছিলেন। ১৯৪৭সালে দুই দেশের একশ্রেণীর মানুষ যেমন সদ্য স্বাধীনতা তে আনন্দিত হয়েছিলেন না বুঝে। ১৯৪৭ সালে ঐ একই সময়ে নূতন করে পরাধীন হয়ে জন্মস্থান ত্যাগ করতে হয়েছিলো সদ্য গঠিত দুই দেশের অনেক মানুষ কে।
@@Two_wheels7373 একদম সত্যি কথা। এটি স্বাধীনতা কোনভাবেই না। লক্ষ লক্ষ লোক মাতৃভুমি হারিয়েছিলো। 💓
কত কিছু মাস আগে আমিও গিয়েছিলাম এই বাড়িটি দেখতে.... আপনার ভিডিওর মাধ্যমে দেখে অনেক ভালো লাগলো❤
এই ভিডিওটি করতে যাওয়ার আগে আমি আপনার করা ভিডিওটি কেবল দেখেছিলাম।
@@TuhinOnTheWay 💝💝 আমার সৌভাগ্য 💝💝
আমাদের বাড়ির কাছে 😊
আমাদের মসুয়া সৌদি আরব জেদ্দা দেখছি শামীম বিশেষ করে সরকার কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই জমিদার বাড়িটাকে সংস্কার করার জন্য না হলে হয়তো অতি শীগ্রই বিলিন হয়ে যেতে মাটির সাথে
জ্বি। মসূয়া জমিদার বাড়ি।
এতো দূরে বসে আমাদের ভিডিও দেখছেন এটি বড়ই ভালো লাগার!
ভালোবাসা অবিরাম।