একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ হারাম। হাদীস: কুতাইবা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন কোন মাহরাম সঙ্গী ব্যতীত সফর না করে। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমর স্ত্রী হাজ্জে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’তবে যাও নিজ স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ (হজ্জ) কর’। (সহীহ বুখারী, ই,ফা, হাদীস নং-২৭৯৮, ৪৮৫৩)। হাদীস: কুতুয়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। জনৈক আনসার জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরদের ব্যাপারে কি নির্দেশ? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য। ( সহীহ বুখারী, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৮৫২)। এখানে একাকী নিরিবিলিতে ভাবীর সাথে সাক্ষাৎকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। একাকী নিরিবিলিতে ভাবির সাথে সাক্ষাৎ করলে সেখানে দুষ্কর্ম হবেই এবং তাকে রজম করা হবে। এটা ছিল নিশ্চিত। কারণ আরবে দ্রৌপতির প্রভাব বিদ্যমান ছিল। তানা হলে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে বাদ দিয়ে শুধু দেবকে নিয়ে কেন প্রশ্ন করা হলো? তবে একাধিক হলে কোন সমস্যা নেই। কারণ একাধিক লোকের সামনে কোন দুষ্কর্ম করা অসম্ভব। দ্রৌপতি: এক ভাই বিয়ে করে, সকল ভাই ভোগ করে। হাদিসটি দ্রৌপতি প্রথাকে কবরস্থ করে। গায়রে মাহরামের সাথে একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ করার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সহিঃ মুসলিম শরীফের ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিস সমূহ :- হাদীস নং- ৩১৪২, ৩১৪৩, ৫৪৮৭, ৫৪৮৮, ৫৪৯০ । ৫৪৯০ নং হাদীসে বলা হয়েছে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে হলে এক বা দুইজন পুরুষ সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবে। -------------------
একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ হারাম। হাদীস: কুতাইবা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন কোন মাহরাম সঙ্গী ব্যতীত সফর না করে। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমর স্ত্রী হাজ্জে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’তবে যাও নিজ স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ (হজ্জ) কর’। (সহীহ বুখারী, ই,ফা, হাদীস নং-২৭৯৮, ৪৮৫৩)। হাদীস: কুতুয়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। জনৈক আনসার জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরদের ব্যাপারে কি নির্দেশ? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য। ( সহীহ বুখারী, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৮৫২)। এখানে একাকী নিরিবিলিতে ভাবীর সাথে সাক্ষাৎকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। একাকী নিরিবিলিতে ভাবির সাথে সাক্ষাৎ করলে সেখানে দুষ্কর্ম হবেই এবং তাকে রজম করা হবে। এটা ছিল নিশ্চিত। কারণ আরবে দ্রৌপতির প্রভাব বিদ্যমান ছিল। তানা হলে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে বাদ দিয়ে শুধু দেবকে নিয়ে কেন প্রশ্ন করা হলো? তবে একাধিক হলে কোন সমস্যা নেই। কারণ একাধিক লোকের সামনে কোন দুষ্কর্ম করা অসম্ভব। দ্রৌপতি: এক ভাই বিয়ে করে, সকল ভাই ভোগ করে। হাদিসটি দ্রৌপতি প্রথাকে কবরস্থ করে। গায়রে মাহরামের সাথে একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ করার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সহিঃ মুসলিম শরীফের ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিস সমূহ :- হাদীস নং- ৩১৪২, ৩১৪৩, ৫৪৮৭, ৫৪৮৮, ৫৪৯০ । ৫৪৯০ নং হাদীসে বলা হয়েছে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে হলে এক বা দুইজন পুরুষ সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবে। -------------------
একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ হারাম। হাদীস: কুতাইবা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন কোন মাহরাম সঙ্গী ব্যতীত সফর না করে। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমর স্ত্রী হাজ্জে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’তবে যাও নিজ স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ (হজ্জ) কর’। (সহীহ বুখারী, ই,ফা, হাদীস নং-২৭৯৮, ৪৮৫৩)। হাদীস: কুতুয়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। জনৈক আনসার জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরদের ব্যাপারে কি নির্দেশ? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য। ( সহীহ বুখারী, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৮৫২)। এখানে একাকী নিরিবিলিতে ভাবীর সাথে সাক্ষাৎকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। একাকী নিরিবিলিতে ভাবির সাথে সাক্ষাৎ করলে সেখানে দুষ্কর্ম হবেই এবং তাকে রজম করা হবে। এটা ছিল নিশ্চিত। কারণ আরবে দ্রৌপতির প্রভাব বিদ্যমান ছিল। তানা হলে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে বাদ দিয়ে শুধু দেবকে নিয়ে কেন প্রশ্ন করা হলো? তবে একাধিক হলে কোন সমস্যা নেই। কারণ একাধিক লোকের সামনে কোন দুষ্কর্ম করা অসম্ভব। দ্রৌপতি: এক ভাই বিয়ে করে, সকল ভাই ভোগ করে। হাদিসটি দ্রৌপতি প্রথাকে কবরস্থ করে। গায়রে মাহরামের সাথে একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ করার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সহিঃ মুসলিম শরীফের ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিস সমূহ :- হাদীস নং- ৩১৪২, ৩১৪৩, ৫৪৮৭, ৫৪৮৮, ৫৪৯০ । ৫৪৯০ নং হাদীসে বলা হয়েছে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে হলে এক বা দুইজন পুরুষ সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবে। -------------------
ফাতেমার(রা:) পর্দা। সহীহ মুসলিম, ইসলামি ফাউন্ডেশন, হজ্জ অধ্যায়, হাদীস নং- ২৮২১। সুদীর্ঘ হাদীস---------------এ সময় আলী (রাঃ) ইয়েমেন থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য কুরবানীর পশু নিয়ে এলেন এবং যারা ইহরাম খুলে ফেলেছে, ফাতিমা (রাঃ) কে তাদের অন্তর্ভুক্ত দেখতে পেলেন। তিনি রঙ্গীণ কাপড় পরিহিতা ছিলেন এবং চোখে সুরমা দিয়েছিলেন। আলী (রাঃ) তা অপছন্দ করলেন। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, আমার পিতা আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাবী বলেন, আলী (রাঃ) ইরাকে থাকতেন, অতএব ফাতেমা (রাঃ) যা করেছেন তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে আমি তাকে জানালাম যে আমি তার এ কাজ অপছন্দ করেছি। তিনি যা উল্লেখ করেছেন, সে বিষয়ে জানার জন্য আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ফাতিমা সত্য বলেছে, সত্য বলেছে। (২) সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং ৩০৭৪ এসময় আলী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য কোরবানীর পশু নিয়ে এলেন এবং যারা ইহরাম খুলে ফেলেছে, ফাতিমা (রাঃ) কেও তাদের অন্তর্ভুক্ত দেখতে পেলেন। তিনি রঙ্গীন কাপড় পরিহিত ছিলেন এবং চোখে সুরমা দিয়েছিলেন। আলী (রাঃ) তা অপছন্দ করলেন। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, আমার পিতা আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। (রাবী বলেন) এরপর আলী (রাঃ) ইরাকে অবস্থানকালে বলতেন, তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম ফাতিমার উপর অসন্তুষ্ট অবস্থায়, সে যা করেছে সে সম্পর্কে মাসআলা জানার জন্য। আমি তাঁকে বললাম যে, আমি তার এ কাজ অপছন্দ করেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ফাতিমা ঠিকই করেছে, ঠিকই বলেছে! (৩)৷ মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং- ১৩৭৩ আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে আলী, জান্নাতের একটা রত্নভাণ্ডার তোমার জন্য সঞ্চিত রয়েছে। তার দুই শৃঙ্গ তোমার মালিকানাভুক্ত। সুতরাং তুমি কোন বেগানা নারীর প্রতি এক নাগাড়ে তাকিয়ে থেকো না। প্রথম দৃষ্টি তোমার জন্য বৈধ। পরবর্তী দৃষ্টি বৈধ নয়। (৪)৷ মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং- ১৩৬৯ আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, কোন অ-মুহরিমা স্ত্রীলোকের প্রতি এক নাগাড়ে তাকিয়ে থাকবে না। প্রথম বারের দৃষ্টি তোমার জন্য বৈধ। তারপরের দৃষ্টি বৈধ নয়। ১ ও২ নং হাদীসে মেয়েদের চেহারা খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আর ৩ ও ৪ নং হাদীসে গায়রে মাহরাম নারীর দিকে এক নাগারে তাকিয়ে থাকতে নিষেধ করা হয়েছে । আর আমরা "এক নাগারে তাকিয়ে না থাকার নির্দেশটিকে" পাস কাটিয়ে মহিলাদের চেহারা ঢাকতে মহা বেতিব্যাস্ত হয়ে পড়েছি । (৫) আবূল ইয়ামন (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা উম্মে কুলসুমের পরিধানে হালকা নকশা করা রেশমী চাদর দেখেছেন।(সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং-৫৪২৪)। চেহারা খোলা না থাকলে আনাস(রাঃ) তাকে চিনলেন কিভাবে? (৬) ৫৪০৬। আবূ নুআইম (রহঃ) ... উম্মে খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত।---- রাসুলুল্লাহ (সঃ) খালেদের মাকে নিজের হাতে একটি চাদর পরিয়ে দিলেন। এরপর বললেনঃ (এটি) তুমি পুরান কর ও ছিড়ে ফেল (অথাৎ তুমি দীর্ঘজীবী হও)। ঐ চাদরে সবুজ অথবা হলুদ রঙের নকশী ছিল। তিনি বললেনঃ হে খালেদের মা! এ খানি কত সুন্দর! তিনি হাবশী ভাষায় বললেনঃ সানাহ অর্থাৎ সুন্দর।(সহি বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর -৫৪০৬)। খালেদের মা কিন্তু রসুলের(সঃ) মাহরাম ছিলেন না। এখানে প্রশ্ন হল মহিলাটির চেহারা খোলা না থাকলে কিভাবে বুঝা যাবে যে, মহিলাটি কি খালেদের মা, নাকি জব্বরের মা! 🏀---------------------------
একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ হারাম। হাদীস: কুতাইবা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন কোন মাহরাম সঙ্গী ব্যতীত সফর না করে। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমর স্ত্রী হাজ্জে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’তবে যাও নিজ স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ (হজ্জ) কর’। (সহীহ বুখারী, ই,ফা, হাদীস নং-২৭৯৮, ৪৮৫৩)। হাদীস: কুতুয়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। জনৈক আনসার জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরদের ব্যাপারে কি নির্দেশ? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য। ( সহীহ বুখারী, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৮৫২)। এখানে একাকী নিরিবিলিতে ভাবীর সাথে সাক্ষাৎকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। একাকী নিরিবিলিতে ভাবির সাথে সাক্ষাৎ করলে সেখানে দুষ্কর্ম হবেই এবং তাকে রজম করা হবে। এটা ছিল নিশ্চিত। কারণ আরবে দ্রৌপতির প্রভাব বিদ্যমান ছিল। তানা হলে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে বাদ দিয়ে শুধু দেবকে নিয়ে কেন প্রশ্ন করা হলো? তবে একাধিক হলে কোন সমস্যা নেই। কারণ একাধিক লোকের সামনে কোন দুষ্কর্ম করা অসম্ভব। দ্রৌপতি: এক ভাই বিয়ে করে, সকল ভাই ভোগ করে। হাদিসটি দ্রৌপতি প্রথাকে কবরস্থ করে। গায়রে মাহরামের সাথে একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ করার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সহিঃ মুসলিম শরীফের ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিস সমূহ :- হাদীস নং- ৩১৪২, ৩১৪৩, ৫৪৮৭, ৫৪৮৮, ৫৪৯০ । ৫৪৯০ নং হাদীসে বলা হয়েছে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে হলে এক বা দুইজন পুরুষ সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবে। -------------------
আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কোন হিন্দু বা খৃষ্টান মুসলমা হয়ে ওয়াজ করলে উনাদেরকে আর কখনও ননমুসলিম হুজুর বলে দাওয়াত দিবেন না। অন্যান্য হুজুরদের মতো উপাদি আলেম হিসাবে দাওয়াত করবেন। তিনি এখন ঈমানদারী মুসলমান। আমিন। আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত করুক।❤
এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। #(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২) # (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীরা ভীড় করে থাকেন। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ৩৫৬৩, ৩৫৬৫, ৩৫৬৬, ৩৫৬৭,৩৫৭১)। # এক হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে। এখানের লক্ষণীয় বিষয় এই যে ফাতেমার(রাঃ) চেহারা খোলা ছিল। তার সৌন্দর্য দেখে রসূল(সঃ) ওসামার জন্য তাকে পছন্দ করেন এবং তার সাথে পরে বিয়ে পড়িয়ে দেন। ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে। # এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। # অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ। # আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড) # ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং-৪১১২) । # ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে বলেন,উম্মুল মোমেনিনগন মাহরামদের সাথে পর্দা করবে না। (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড) # ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)। # ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)। # মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)। # ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)। # কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। # তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)। # মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। 🏀-----------------
ইমাম মালেককে প্রশ্ন করা হয়, নারীরা কি মুহরিম ছাড়া অন্য লোকদের অথবা তাদের দাসদের সাথে একত্রে আহার করতে পারে? তিনি উত্তর দেন, যদি মহিলাদের সাথে পুরুষের খাওয়ার প্রচলন থাকে, তাহলে কোন অসুবিধা নাই, অর্থাৎ যদি তাদের পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি থাকে। ইমাম মালেক বলেনঃ নারী তার স্বামীর সাথে এবং ঐ সমস্ত লোক যাদের সাথে স্বামী একত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে, তাদের সাথে ক্ষেতে পারে। ( আল মুয়াত্তা, ২ খন্ড)। ইমাম মালেক যদি বিশ্বাস করতেন যে, উম্মুল মুমিনিনদের ন্যায় সাধারন মুমিন নারীর জন্যও হিজাব ফরজ ছিল, তবে তিনি উপরে বর্নিত ফতোয়া দিতেন না। 🏀----------------------
সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَهُنَّ اِلَّا مَا" ظَهَرَ مِنۡهَا "। অর্থঃ তারা( মহিলারা) তাদের " যীনাত " প্রকাশ করবেনা ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিক ভাবে বের হয়ে থাকে( নূর-৩১)। ইবনে মাসউদ( রা:) সহীহ সনদে বলেন, যা প্রকাশ করা যাবে তা হল পোশাক। তার অনুসারীরা এই মতের উপরই ফতোয়া দিতেন। অন্যদিকে ইবনে আব্বাস( রা:) বলেন, যা প্রকাশ করা যাবে তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি। " যীনাত " অর্থঃ পোষাক, সাজসজ্জা, সাজসজ্জার স্থান, সৃষ্টিগত সৌন্দর্য। সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতের শেষের দিকে মহান আল্লাহ বলেন, তারা " যীনাত " প্রকাশ করবে না, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়াঃ স্বামী, বাপ, ভাই, শশুর -------- ইত্যাদি সকল মাহরামগণ। " যীনাত " অর্থ যদি পোশাক/ সাজসজ্জা ধরা হয়, তবে মাহরামগণ তাদের মা-বোনদের পোশাক/ সাজসজ্জা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেনা। সুতরাং" যীনাত " অর্থ সৃষ্টিগত সৌন্দর্য, এই অর্থটি গ্রহণ করাই অধীক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুফাসসিরগন এই অর্থটিই গ্রহণ করেছেন। অতএব আয়াতের প্রথম অংশের অর্থ দাঁড়ায়ঃ তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না, ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে থাকে( অর্থাৎ চেহারাও হাতের কব্জি)। এ ব্যাপারে হিজাবের পরে রসুলের( সঃ) নির্দেশ সম্বলিত তিনটি হাদিস পাওয়া যায়। দুটি হাদীস দুর্বল। একটি শক্তিশালী। এখানে মজার ব্যাপার হলো, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম (মক্কা বিজয়ের পর)। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। সে সময় জয়নাব তার স্বামী আব্দুল্লাহ ও অনেক এতিমকে ভরণ পোষণ করতেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? বলাবাহুল্য আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ প্রশ্নটি করার জন্য অধিক উপযুক্ত ছিলেন। যাইহোক জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে আর এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি, তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব। (সহি বুখারী, যাকাত অধ্যায়। সহীহ মুসলিম, প্রকাশনায়ঃ- মিনা বুক হাউজ, হাদীস নং- ২১৯৬, ২১৯৭ । সহি সুনানে নাসাঈ, যাকাত অধ্যায়)। মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব। এতে বুঝা যায়, তাদের চেহারা খোলা ছিল। 🏀-----------------------
একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ হারাম। হাদীস: কুতাইবা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন কোন মাহরাম সঙ্গী ব্যতীত সফর না করে। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমর স্ত্রী হাজ্জে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’তবে যাও নিজ স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ (হজ্জ) কর’। (সহীহ বুখারী, ই,ফা, হাদীস নং-২৭৯৮, ৪৮৫৩)। হাদীস: কুতুয়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। জনৈক আনসার জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরদের ব্যাপারে কি নির্দেশ? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য। ( সহীহ বুখারী, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৮৫২)। এখানে একাকী নিরিবিলিতে ভাবীর সাথে সাক্ষাৎকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। একাকী নিরিবিলিতে ভাবির সাথে সাক্ষাৎ করলে সেখানে দুষ্কর্ম হবেই এবং তাকে রজম করা হবে। এটা ছিল নিশ্চিত। কারণ আরবে দ্রৌপতির প্রভাব বিদ্যমান ছিল। তানা হলে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে বাদ দিয়ে শুধু দেবকে নিয়ে কেন প্রশ্ন করা হলো? তবে একাধিক হলে কোন সমস্যা নেই। কারণ একাধিক লোকের সামনে কোন দুষ্কর্ম করা অসম্ভব। দ্রৌপতি: এক ভাই বিয়ে করে, সকল ভাই ভোগ করে। হাদিসটি দ্রৌপতি প্রথাকে কবরস্থ করে। গায়রে মাহরামের সাথে একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ করার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সহিঃ মুসলিম শরীফের ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিস সমূহ :- হাদীস নং- ৩১৪২, ৩১৪৩, ৫৪৮৭, ৫৪৮৮, ৫৪৯০ । ৫৪৯০ নং হাদীসে বলা হয়েছে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে হলে এক বা দুইজন পুরুষ সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবে। -------------------
ইবনে হুবায়রা (রঃ) বলেন, ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, নারীর চেহারা, হাতের কব্জি ওপা ছাড়া সবই সতর। ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ) বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সবই সতর। ইমাম আহমদ (রঃ)তার এক বর্ণনায় বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সবই সতর। ইমাম আহমদের আরেক বর্ণনায় চেহারা ছাড়া বাকি সবই সতর বলা হয়েছে । এটাই প্রসিদ্ধ মত( আল ইফসাহ আন মায়ানী আসসেহা, ১ খণ্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা) #(২) ইবনে আব্দুল বার (রঃ) তার তাহমিদ গ্রন্থে বলেন, ইমাম মালেক, আবু হানিফা, সাফেয়ী( রঃ) ও তাদের সঙ্গীগন বলেন, আওযায়ী( রঃ)ও আবু সওর (রঃ)এর একই মত। নারী চেহারাও হাতের কব্জি ছাড়া সবকিছুই ঢেকে রাখবে( আত তামহীদঃ ইবনে আব্দুল বার, 6 খন্ড, 364, 365, 366 পৃষ্ঠা)। #(৩) তেমনিভাবে যারা চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সমস্ত দেহই সতর হওয়ার কথা বলেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আওযায়ী ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ)। এছাড়া ইমাম আহমদও রয়েছেন( আল মুগনী, 1 খন্ড, 522 পৃষ্ঠা) মুফাসসিরদের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে খোলা রাখা হারাম নয়। 🏀-----------------
ফেতনার সময়ে সুন্দরী মহিলাদের চেহারা ঢাকা ওয়াজিব নয়। এমনকি মেয়েটি যদি এবাদতরত অবস্থায়ও থাকে। নিম্নোক্ত হাদিসটি তাই প্রমাণ করে। হাদীসঃ ইবনে আব্বাস বর্ণিত হাদিস।তিনি বলেন রসুল(সঃ) ফজল ইবনে আব্বাসকে কোরবানীর দিন সওয়ারী জানোয়ারের পিঠে নিজের পেছনে বসালেন। ফজল ছিলেন একজন সুদর্শন ব্যক্তি। রসুল(সঃ) লোকদেরকে কিছু মাসআলা মাসায়েল বাতলে দেয়ার জন্য থামলেন। খাচআম গোত্রের এক সুন্দরী মেয়ে রসুলের(সঃ) কাছে একটি মাসআলা জিজ্ঞেস করার জন্য এগিয়ে এলো। ফজল তার দিকে তাকিয়ে থাকলেন এবং তার সৌন্দর্যে বিমোহিত হলেন। রসুল(সঃ) তার দিকে তাকালেন। এসময় ফজল মেয়েটিকে দেখছিলেন। রসুল(সঃ) নিজের হাতখানা পিছনের দিকে নিয়ে ফজলের থুতনি ধরে মেয়েটির দিক থেকে তার মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন। অন্য বর্ননায় আছে -------- আর মেয়েটিও ফজলের দিকে তাকাতে থাকলেন (সহী বুখারী, ই, ফা,হাদীস নং- ৫৭৯৫। সহীহ মুসলিম, ই, ফা, হাদীস নং- ৩১২১)। আহমদের বর্ননায় বলা হয়েছে, ফজল বলেনঃ অতঃপর আমি তার দিকে পুনরায় তাকালাম। তখন রসুল(সঃ) আমার চেহারা তার চেহারার দিক থেকে ফিরিয়ে দিলেন। এমনকি এভাবে তিনবার করলেন, অথচ আমি পুরোপুরি দেখতে পাইনি। (হিজবুল মারআতিল মুসলিমা গ্রন্থ)। অপর একটি বর্ননায় রসুল(সঃ) বলেন, আমি একজন যুবক ও যুবতিকে দেখেছি। কিন্তু শয়তানকে তাদের উপড় নিরাপদ মনে করিনি। ( ফাতহুল বারী, ৪ খন্ড)। এখানে লক্ষনীয়ভাবে বিষয় এই যে, ঘটনার সময় ফেতনার ভয় ছিল। কিন্তু রসুল(স:) মেয়েটির চেহারা ঢাকার নির্দশ না দিয়ে ফজলের চেহারা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়াকেই যথেষ্ট মনে করেছেন। সুতরাং একথা বলা যায় যে, ফেতনার সময়ে সুন্দরী নারীর চেহারা ঢাকা মুস্তাহাব নয়। বিদায় হজ্জ্বে সময়ে রসুলের(স:) সাথে ফজল একাই ছিলেন না। অন্য যে চোখগুলো সুন্দরী মহিলার দিকে তাকিয়েছিল তাদের চেহারা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল কে? -------------
চেহারা খোলা রাখার সুবিধা। (১) চেহারা খোলা থাকলে মানুষের ব্যক্তিত্ব ও অবস্থা জানা যায়। চেহারা খোলা থাকলে একটি মেয়ে সুন্দর না কালো, উৎফুল্ল না বিমর্ষ, এক কথায় তার ব্যক্তিত্ব এক নজরেই বুঝা যায়। (২) আত্মীয়-স্বজন রক্তের সম্পর্কের সাথে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। চেহারা ঢাকা থাকলে খালাতো, ফুফাতো, মামাতো, চাচাতো ভাই-বোন পরস্পর পরস্পরকে চিনতে পারবে না। দুলাভাই শালিকে; শালী দুলাভাইকে, দেবর ভাবিকে, ভাবী দুলাভাইকে কোনদিন চিনতে পারবে না। ফলে এদের কেউ রাস্তায় আক্রান্ত হলে ভাই তার বোনকে নষ্ট মহিলা ভেবে তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থল ত্যাগ করবে। (৩) সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষায় সহায়তা করে। চেহারা খোলা থাকলে খুনের আসামি বোরকা পরে চেহারা ঢেকে জেলখানা থেকে পালাতে পারত না। ভাসমান পতিতারা মহানগরীতে অবাধে চলাফেরা করতে পারত না। তসলিমা নাসরিন পাক্কা মুসলিম সেজে, বোরকা পরে চেহারা ঢেকে বর্ডার ক্রস করতে পারত না। (৪) চেহারা খোলা থাকলে ফেতনার তীব্রতা হ্রাস করে। যে সকল সমাজে মহিলারা চেহারা খোলা রাখে, ঐসকল সমাজে পুরুষেরা মহিলাদের দিকে খুব বেশি একটা তাকায় না বিশেষ করে বাংলার গ্রাম অঞ্চলে। উলঙ্গপনা যেমন যৌন বিকৃতি ঘটায় ও সমকামিতার দিকে ধাবিত করে, অনুরূপভাবে চেহারা ঢাকা সমাজে সমকামিতার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, যা যিনার চেয়েও জঘন্যতম অপরাধ। (৫) নারীকে লজ্জাবতী হতে সাহায্য করে এবং দৃষ্টি অবনত করতে উৎসাহিত করে। চেহারা টাকা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে নারীকে পুরুষের দিকে দৃষ্টিপাতে উৎসাহিত করে। বিশেষকরে তার দুর্বলতার সময়। সে মনে করবে, তাকে কেউ দেখছেনা। এ অবস্থায় সে স্থির দৃষ্টিতে কোন পুরুষের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির কোন পথ খোলা নেই, যতক্ষণ না সে তাকওয়া ও পবিত্রতার সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে যায়। এমন ঘটনা ঘটতে পারে স্বামীর উপস্থিতিতেও। স্বামী ভাববে তার স্ত্রী সম্পূর্ণ নিরাপদ। কারণ তার স্ত্রীর চেহারাতো ঢাকা। কেউ তার স্ত্রীর চেহারা দেখে নারীর স্বাদ গ্রহণ করছে না। (৬) সামাজিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণে সহায়তা করে। (৭) সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে সহায়তা করেন (৮) মানসিক সুস্থতাকে বৃদ্ধি করে। (৯)৷ মুখমন্ডল ঢেকে রাখা কঠিন, খোলা রাখার সহজ। ইসলাম সহজ। একে কঠিন করার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। 🏀---------------
কোথায় আছে একটা কবিরা গোনার জন্য ৭০০০ বছর জাহান্নাম, হাদিসের রেফারেন্স দেন। আপনাকে দেখলেই যদি গোনাহ হয় তাহলে রাস্তায় চলাফেরা করার সময় আপনাকে ও বোরখা পরে রাস্তায় চলাফেরা করুন
নারী-পুরুষ পরষ্পর পরস্পরের জন্য যৌন উত্তেজক। পোষাকের উদ্যেশ্য যৌন উত্তেজনা প্রশমনের জন্য নয়। যৌন উত্তেজনা প্রসমনের জন্য নারী- পুরুষ উভয়কেই দৃষ্টি সংযত রাখতে এবং জৌনাঙ্গের হেফাজত করার নির্দশ দেয়া হয়েছে। আর নারীদের বলে দেয়া হয়েছে, তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য (যীনাত) প্রকাশ করবে না ঐটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায়( অর্থাৎ চেহারা ও হাতের কব্জি)। আর তারা যেন ওড়না দিয়ে তাদের বক্ষদেশ আবৃত করে রাখে। ( সুরা নুর- ৩০, ৩১)। সুরা আহজাবের ৫৯ নং আয়াত বর্ণনার পূর্বে মহান আল্লাহ ৫৮ নং আয়াতে সতর্ক করে দেন যে, "আর যারা মুমিন নর-নারীদেরকে তাদের কৃত কোন অন্যায় ছাড়াই কষ্ট দেয়, নিশ্চয়ই তারা বহন করবে অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপ"। সুরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেমঃ- হে নবী, আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা, মোমেন নারীদের বলুন তারা যেন তাদের জিলবাবের ( চাদর) একাংশ নিজেদের উপড় টেনে দেয়। যাতে তাদের চেনা যায় ( তারা স্বাধীন মহিলা) এবং বৈসম্যের শিকার হবে না। মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম-আহকাম সংক্রান্ত আয়াতগুলো খুবই স্পষ্ট। আল্লাহ নিজেই সে সম্পর্কে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেনঃ তোমাদের জন্য এটা হারাম, ওটা হালাল, তোমাদের উপড় ফরজ করা হয়েছে, অথবা তোমাদের জন্য উত্তম, এর জন্য রয়েছে পুরষ্কার, ক্ষমা, সুসংবাদ অথবা দুঃসংবাদ, তারাই জালিম বা মহাপাপী, তারাই কাফের, ফাসেক বা পাপিষ্ঠ। অর্থাৎ হালাল-হারাম, পাপ-পুন্য এবং পরিনতি স্পষ্টভাবে বর্ননা করা হয়েছে। মহিলাদের পোষাকের গাইড লাইন সুরা নুরের-৩১ এবং সুরা আহযাবের-৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বিস্তারিত বলে দিয়েছেন। কিন্তু সেখান পাপ-পুন্য, ফরজ-ওয়াজিব বা কোন শাস্তির কথা উল্লেখ করেননি। কিন্তু আমরা পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে মহিলাদের আপাদমস্তক ঢেকে রাখাকে ইসলামের অন্যতম প্রধান অ্যাজেন্ডা বানিয়েছি। আপাদমস্তক ঢেকে রাখাকে ফরজ করতে ৭০ টি তাফসির, আর সতাধীক ফতোয়ার কিতাব উপস্থাপন করছি। এমনকি এই পর্দার ফতোয়াকে কেন্দ্র করে এক আলেম আরেক আলমকে কাফের ফতোয়া দিয়ে সরকারের কাছে তার ফাসির দাবি করা হচ্ছে। অথচ মহান আল্লাহর এটুকু বলে দেয়াই যথেষ্ট ছিল যে, "প্রয়োজন ছাড়া মহিলারা ঘর থেকে বের হবে না এবং গায়েরে মাহরামের সামনে আপাদ-মস্তক ঢেকে রাখতে হবে। অন্যথা এই এই সাস্তি"। আল্লাহ কোন কিছু বলতে সংকোচবোধ করেন না। আল্লাহ এবং তার রসুল(সঃ) যা ফরয বা হারাম করেননি, তা ফরজ বা হারাম করার এখতিয়ার কারো নেই। মহিলারা হলো যৌন সামগ্রী। তাই মহিলা দেখলেই পুরুষের চোখের যিনা, কানের জিনা, নাকের জিনা হবে। অনুরূপভাবে পুরুষও নারীর জন্য যৌন সামগ্রিক্রী। রাসূল (সঃ) বললেন, "তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে না"। জাহেলী যুগে মেয়েদেরকে পাপের কারণ মনে করা হতো। মেয়েদের পাপের কারনে তার পিতা, ভাই, স্বামী, বড় ছেলে দোজখে যাবে- এরকারনেই জাহেলী যুগের আবু জেহেলরা কন্যা সন্তানকে হত্যা করে দোজখের আগুনে পানি ঢেলে দেয়ার ফতোয়া দিত। হিন্দু সমাজেও সতীদাহ প্রথা চালু হয়েছিল একই যুক্তিতে। বিধবার পাপের কারনে তার স্বামী নরকে যাবে তাতো হতে দেয়া যায় না। তাই স্বামীর চিতায় তার যুবতী স্ত্রীকে অগ্নিদগ্ধ করে স্বর্গে পাঠানো হত। আমাদের নবীজি (সঃ) কন্যা সন্তান হত্যার এই বর্বরতার বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই করেছেন। কিন্তু এখন নবীজির (সঃ) নামে জাল কিচ্ছা বানিয়ে মহিলাদের জীবিত কবর দেয়ার ফতোয়া তৈরীর ক্ষেত্র প্রস্তুতে মহা বেতিব্যাস্ত আছেন আমাদের আল্লামাগন।
ভাইজান আপনাকে অনুরোধ করছি রানা মাস্তান এবং নওমুসলিম লিখাটা আপনার উচিত হয়নি, কারণ ওনি অনেক আগে মুসলিম হয়েছেন। সুতরাং তিনি এখন দিনের বড়ো একজন দায়ী সেজন্য হুজুরের সম্মানার্থে দুটি বাক্য ঠিক নয়। আল্লাহ ওনাকে নেক হায়াত বাড়িয়ে দিক আমিন।
হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ- 🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀 একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি। # হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর - ৪৪৩১ এবং ৫৮০৬) । তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। নবী স্ত্রীদের হিজাব ফরজ করা হয়েছে সতর্কতামূলক বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।----- (আহজাব-৩২)। নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)। হাফেজ ইবনে হাজার বলেন, "এই অংশটুকু উম্মুল মুমিনিনদের জন্য নির্দিষ্ট"। সুরা আহযাবের ৫৩ নং আয়াতেঃ নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে।আমাদের আল্লামাগন আয়াতের প্রথম অংশকে সকল মোমেন নারীর জন্য ফরজ করা হলেও শেষের অংশকে ফরজ করা হয়নি। হিন্দুদের মত বিধবা বিবাহ হারাম করলে পুরুষদের অসুবিধা কোথায়? এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন। হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ১১৬৮ )। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে। সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)। উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত। নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)। হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)। অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)। 🏀-----------------
সালাম দেয়া রাসুলের( স:) সুন্নত। (১) হাদীস: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই মেয়েদের পাশ দিয়ে যেতেন, তখনই তাদেরকে সালাম দিতেন (আহমদ)। (২) হাদীস: আনাস ইবনে মালেক থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: রসুল(স:) উম্মে সুলাইমের মহল্লায় গেলে তার সাথে দেখা করতেন এবং তাকে সালাম দিতেন (সহি বুখারী)। (৩) হাদীস: জুবায়েরের আযাদকৃত ক্রীতদাস উহান্নাস থেকে বর্ণিত। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর এর একজন আজাদকৃত দাসী আবদুল্লাহ ইবনে ওমরকে সালাম দিয়ে বলল, হে আব্দুর রহমানের পিতা আমি চলে যেতে চাই। -----। (৪)হাদীস: জিবরাইল রসুলের(স:) নিকট এসে বলেছেন,খাদিজা আসছেন। খাদিজাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলুন।(বুখারী ও মুসলিম)। (৫) হাদীস: অনুরূপভাবে হযরত জিবরাইল আলাইিস সালাম মা আয়শাকে(রা:) সালাম জানিয়ে ছিলেন (বুখারী ও মুসলিম) । (৬) হাদীস: আবু তালেবের কন্যা উম্মে হানি মক্কা বিজয়ের সময় রাসুলকে(স:) গোসল রত অবস্থায় সালাম দিয়েছিলেন (বুখারী ও মুসলিম) । একজন আলেমের উচিত, প্রথমে সুন্নাহকে প্রকাশ করা। তারপর নিজস্ব মতামত ব্যাক্ত করা। যেমন: ফেতনার ভয় থাকলে বিয়াইন বাড়ি যাওয়া হারাম। যদিও তারই পুত্রবধু আপনার মেয়ে।
সুনানে আবু দাউদ। হাদীস নং-৪১১২। উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম এবং তাঁর নিকট মাইমূনাহ (রাঃ)-ও ছিলেন। এ সময় ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) (অন্ধ সাহাবী) এলেন। ঘটনাটি আমাদের উপর পর্দার হুকুম নাযিলের পরের। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তার থেকে আড়ালে চলে যাও। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদের দেখতে ও চিনতে পারছে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদিও সে অন্ধ কিন্তু তোমরা উভয়ে কি তাকে দেখছো না? ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ বিধান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট। তুমি কি ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ)-এর বাড়িতে ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-এর ইদ্দত পালনের বিষয়টি লক্ষ করো না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-কে বলেছেনঃ ’’তুমি ইবনু উম্মু মাকতূমের বাড়িতে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ লোক। তুমি সেখানে খোলামেলা পোশাকে থাকতে পারবে।’’ (সুনানে আবু দাউদ,[ তাহকিককৃত], হাদীস নং- ৪১১২)। 🏀-------------------
আয়েশা( রাঃ) সপ্তম হিজরী সনে হাবসিদের খেলা দেখেছিলেন, যখন তার বয়স ছিল 15 বছর। হিজাবের আয়াত নাযিল হয় পঞ্চম হিজরী সনে। হাদীসঃ মা আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ ঈদের দিন সুদানীরা ( হাবসিরা) বর্ষা ও ঢাল নিয়ে খেলা করত। একবার হয় আমি নিজে রসূলকে (সঃ) আরজ করেছিলাম অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেন, তুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাও? আমি বললাম হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে তার পিছনে এমন ভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, আমার গাল ছিল তার গালের ওপর(পাশে)। তিনি তাদেরকে বলছিলেন, হে বনি আরফিদা চালিয়ে যাও। পরিশেষে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। তিনি আমাকে বললেন, তোমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে? আমি বললাম হ্যাঁ । তিনি বললেন, তাহলে যাও (সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায়, 3 খন্ড এবং বিবাহ অধ্যায়, 11 খন্ড। সহিঃ মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ অধ্যায়, 3 খন্ড)। # ইবনে হিব্বান বলেনঃ হাফসার প্রতিনিধি দল আগমনের পরে ঘটনাটি ঘটেছিল। হাফসার প্রতিনিধিদলের আগমন হয়েছিল সপ্তম হিজরী সনে। (অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার 2 বছর পর) তখন আয়েশার (রাঃ) বয়স ছিল 15 বৎসর( ফাতহুল বারি, 3 খন্ড) সুতরাং বুঝা গেল মহিলারা পুরুষের খেলা দেখতে পারে এবং ওয়াজ মাহফিলে বক্তাকে না দেখার কোন প্রশ্নই উঠে না। মোবাইল এবং প্রজেক্টর এর ব্যাপারে প্রশ্ন করার কোন সুযোগই থাকেনা ইসলামে কঠোরতা নিষিদ্ধ। মুসলিম উম্মার অর্ধেক মানুষকে (অর্থাৎ মহিলাদেরকে) মূর্খদের কাতার ভুক্ত করার জন্য ইসলাম আসেনি। মুসলমানদের অর্ধেক মানুষকে মূর্খের কাতার ভুক্ত করতে পারলে শত্রুদের অস্ত্রে শান দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
নারীর সাজসজ্জা। (১) মহান আল্লাহ বলেনঃ হে বনী-আদম, আমিতো তোমাদের জন্য পোশাক প্রদান করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকবে এবং যা সৌন্দর্য্যস্বরূপ।( সুরাআরাফ-২৬)। (২) মহান আল্লাহ বলেনঃ হে বনী-আদম, তোমরা প্রত্যেক নামাজে তোমাদের সুন্দর বেশ-ভূষা গ্রহণ করো। ( সুরা আরাফ- ৩১)। (৩) মহান আল্লাহ বলেনঃ ( হে নবী) আপনি বলুন, কে হারাম করেছে আল্লাহর সৌন্দর্য উপকরণ, যা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন? ( সুরা আরাফ- ৩২)। (৪) নারীদের ব্যাপারে সুরা যুখরুফের ১৮ নং আয়াতে মহান আল্লাহ অতিরিক্ত সাজসজ্জার কথা উল্লেখ করে বলেনঃ "তারা কি আল্লাহর প্রতি আরোপ করে এমন সন্তান, যে অলঙ্কারমন্ডিত হয়ে লালিত পালিত হয়" ( যুখরুফ-১৮)। (৫) হাদীস: মা আয়েশা(রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মহিলা কিতাবসহ তার হাত রসুলের(সঃ) দিকে প্রসারিত করেন। তখন রসূল(সঃ) নিজের হাত গুটিয়ে নিলেন। মহিলা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল(সঃ) আমি কিতাব সহ আপনার দিকে হাত বাড়ালাম। কিন্তু আপনি কিতাব গ্রহণ করলেন না। রসুল(সঃ) বললেন, আমি জানতে পারিনি এই হাত নারীর না পুরুষের? তুমি যদি মহিলা হতে, তাহলে তোমার নখ মেহেদি দিয়ে রাঙ্গিয়ে নিতে (নাসাঈ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ৫০৮৮)। তাহক্কীক- হাসান। এবং আবু দাউদ,ই, ফা, হাদীস নং- ৪১১৯)। (৬) হাদীসঃ৷ মুসলিম ইবন ইব্রাহিম (রহঃ) ..... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা হিন্দা বিনতে উৎবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেনঃ হে আল্লাহর নবী! আপনি আমাকে বায়আত করুন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে ততক্ষন বায়আত করাবোনা, যতক্ষননা তুমি তোমার দু’হাতের তালুকে পরিবর্তন করবে। কেননা তোমার দু’হাতের তালু হিংস্র জন্তুর মতো।( আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ৪১১৮)। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলছেন যে, নারী-পুরুষের পোষাক হচ্ছে সৌন্দর্য ও অলঙ্কারস্বরূপ।অথচ কেউ একথা বলল না যে, নারীদের উত্তম পোষাক পড়া ও সাজসজ্জা করা ফরজ। নারী- পুরুষ পরষ্পর পরস্পরের জন্য যৌন উত্তেজক। পোষাকের উদ্যেশ্য যৌন উত্তেজনা প্রশমনের জন্য নয়। যৌন উত্তেজনা প্রসমনের জন্য নারী- পুরুষ উভয়কেই দৃষ্টি সংযত রাখতে এবং জৌনাঙ্গের হেফাজত করার নির্দশ দেয়া হয়েছে। আর নারীদের বলে দেয়া হয়েছে, তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য (যীনাত) প্রকাশ করবে না ঐটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায়। আর তারা যেন ওড়না দিয়ে তাদের বক্ষদেশ আবৃত করে রাখে। ( সুরা নুর- ৩০, ৩১)। সুরা আহজাবের ৫৯ নং আয়াত বর্ণনার পূর্বে মহান আল্লাহ ৫৮ নং আয়াতে সতর্ক করে দেন যে, "আর যারা মুমিন নর-নারীদেরকে তাদের কৃত কোন অন্যায় ছাড়াই কষ্ট দেয়, নিশ্চয়ই তারা বহন করবে অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপ"। সুরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেমঃ- হে নবী, আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা, মোমেন নারীদের বলুন তারা যেন তাদের জিলবাবের ( চাদর) একাংশ নিজেদের উপড় টেনে দেয়। যাতে তাদের চেনা যায় ( তারা স্বাধীন মহিলা) এবং বৈসম্যের শিকার হবে না। মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম-আহকাম সংক্রান্ত আয়াতগুলো খুবই স্পষ্ট। আল্লাহ নিজেই সে সম্পর্কে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেনঃ তোমাদের জন্য এটা হারাম, ওটা হালাল, তোমাদের উপড় ফরজ করা হয়েছে, অথবা তোমাদের জন্য উত্তম, এর জন্য রয়েছে পুরষ্কার, ক্ষমা, সুসংবাদ অথবা দুঃসংবাদ, তারাই জালিম বা মহাপাপী, তারাই কাফের, ফাসেক বা পাপিষ্ঠ। অর্থাৎ হালাল-হারাম, পাপ-পুন্য এবং পরিনতি স্পষ্টভাবে বর্ননা করা হয়েছে। মহিলাদের পোষাকের গাইড লাইন সুরা নুরের-৩১ এবং সুরা আহযাবের-৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বিস্তারিত বলে দিয়েছেন। কিন্তু সেখান পাপ-পুন্য, ফরজ-ওয়াজিব বা কোন শাস্তির কথা উল্লেখ করেননি। কিন্তু আমরা পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে মহিলাদের আপাদমস্তক ঢেকে রাখাকে ইসলামের অন্যতম প্রধান অ্যাজেন্ডা বানিয়েছি। আপাদমস্তক ঢেকে রাখাকে ফরজ করতে ৭০ টি তাফসির, আর সতাধীক ফতোয়ার কিতাব উপস্থাপন করছি। এমনকি এই পর্দার ফতোয়াকে কেন্দ্র করে এক আলেম আরেক আলমকে কাফের ফতোয়া দিয়ে সরকারের কাছে তার ফাসির দাবি করা হচ্ছে। অথচ মহান আল্লাহর এটুকু বলে দেয়াই যথেষ্ট ছিল যে, "প্রয়োজন ছাড়া মহিলারা ঘর থেকে বের হবে না এবং গায়েরে মাহরামের সামনে আপাদ-মস্তক ঢেকে রাখতে হবে। অন্যথা এই এই সাস্তি"। আল্লাহ কোন কিছু বলতে সংকোচবোধ করেন না। আল্লাহ এবং তার রসুল(সঃ) যা ফরয বা হারাম করেননি, তা ফরজ বা হারাম করার এখতিয়ার কারো নেই। 🏀-----------------------
আয়েশা( রাঃ) সপ্তম হিজরী সনে হাবসিদের খেলা দেখেছিলেন, যখন তার বয়স ছিল 15 বছর। হিজাবের আয়াত নাযিল হয় পঞ্চম হিজরী সনে। হাদীসঃ মা আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ ঈদের দিন সুদানীরা ( হাবসিরা) বর্ষা ও ঢাল নিয়ে খেলা করত। একবার হয় আমি নিজে রসূলকে (সঃ) আরজ করেছিলাম অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেন, তুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাও? আমি বললাম হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে তার পিছনে এমন ভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, আমার গাল ছিল তার গালের ওপর(পাশে)। তিনি তাদেরকে বলছিলেন, হে বনি আরফিদা চালিয়ে যাও। পরিশেষে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। তিনি আমাকে বললেন, তোমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে? আমি বললাম হ্যাঁ । তিনি বললেন, তাহলে যাও (সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায়, 3 খন্ড এবং বিবাহ অধ্যায়, 11 খন্ড। সহিঃ মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ অধ্যায়, 3 খন্ড)। # ইবনে হিব্বান বলেনঃ হাফসার প্রতিনিধি দল আগমনের পরে ঘটনাটি ঘটেছিল। হাফসার প্রতিনিধিদলের আগমন হয়েছিল সপ্তম হিজরী সনে। (অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার 2 বছর পর) তখন আয়েশার (রাঃ) বয়স ছিল 15 বৎসর( ফাতহুল বারি, 3 খন্ড) সুতরাং বুঝা গেল মহিলারা পুরুষের খেলা দেখতে পারে এবং ওয়াজ মাহফিলে বক্তাকে না দেখার কোন প্রশ্নই উঠে না। মোবাইল এবং প্রজেক্টর এর ব্যাপারে প্রশ্ন করার কোন সুযোগই থাকেনা ইসলামে কঠোরতা নিষিদ্ধ। মুসলিম উম্মার অর্ধেক মানুষকে (অর্থাৎ মহিলাদেরকে) মূর্খদের কাতার ভুক্ত করার জন্য ইসলাম আসেনি। মুসলমানদের অর্ধেক মানুষকে মূর্খের কাতার ভুক্ত করতে পারলে শত্রুদের অস্ত্রে শান দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
30 mins kotha bolei jache...alochona kkrben uni quran er ayath , telowath kichu nai...wazz shunaben taile ato power kno apnar...nomro vodro shaliona iman er ongo. Eita vhule gele iman chole jabay 🤗
হাদিসঃ হযরত আয়েশা( রাঃ) হযরত সালেম( রাঃ) এর সাথে পর্দা করতেন না। কারণ হযরত সালেহ( রা) গোলাম ছিলেন এবং গোলামের সাথে পর্দা করা উম্মুল মু'মিনীনদের জন্য ফরয ছিলনা। একদিন তিনি (সালেম) হযরত আয়েশাকে( রা) এসে জানালেন যে, আল্লাহ পাক তাকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। এ খবর শোনার সাথে সাথে হযরত আয়েশা( রাঃ) তাকে ধন্যবাদ জানালেন এবং পর্দা করলেন। হযরত সালেম( রাঃ) বলেন ঐদিনের পর থেকে আমি আর কোনদিন হযরত আয়েশাকে( রাঃ) দেখিনি ( মেশকাত শরীফ)। (খ) হাদিসঃ হযরত আয়েশা( রাঃ) থেকে বর্ণিত। আবু হুজাইফার আযাদকৃত দাস সালেম( রাঃ) আবু হুজাইফা ও তার পরিবার পরিজনের সাথে তাদের বাড়িতে থাকতেন। সোহায়েলের কন্যা( আবু হুজাইফার স্ত্রী) নবীর( সঃ) এর কাছে এসে বলল, সালেম প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। সে আমাদের মাঝে যাতায়াত করে। আমার মনে হয়, আবু হুজাইফা এ ব্যাপারটাকে ভালো চোখে দেখে না। রাসূল( সঃ) বললেন তাকে দুধ পান করিয়ে দাও। তাহলে তুমি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে এবং আবু হুজাইফার মনে যে সংশয় রয়েছে তার দূরীভূত হয়ে যাবে। সোহায়েলের কন্যা পরে এসে রাসুলকে ( সঃ) বলল, আমি তাকে দুধ পান করিয়েছি এবং আবু হুজাইফার মনের সংশয় দূরীভূত হয়েছে। (সহিঃ মুসলিম, নীনা বুক হাউজ, হাদীস নং- ৩৪৭৪, ৩৪৭৩, ৩৪৭৫, ৩৪৭৬)। দুটি ঘটনায়ই হিজাবের পরের ঘটনা। সালেম( রাঃ) স্বাধীন হওয়ার পর মা আয়েশা( রাঃ) যেখানে তার থেকে তৎক্ষণাৎ পর্দা করেন এবং জীবনে আর কখনো সালেম( রাঃ) আয়েশাকে( রাঃ) দেখেননি সেখানে সোহায়েলের কন্যার গৃহে সালেমের( রাঃ) অবাধ যাতায়াত ছিল । দুধ পানকরানোর উদ্দেশ্য আবু হুজায়ফার সন্দেহ দূর করা। এর অতিরিক্ত কিছু নয়। হযরত সালেম ( রাঃ) এর মর্যাদা সম্পর্কে এতটুকু বলাই যথেষ্ট হবে যে, রসূল( সঃ) যে চারজন সাহাবী থেকে কোরআন শিক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন, তন্মধ্যে হযরত সালেম( রা) এর নাম দুই নম্বরে আছে। ( সহীহ বোখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ৩৪৮৭) । হাদীস দুটো থেকে উম্মুল মুমিনীনদের পর্দা এবং সাধারণ মোমেন নারীর পর্দার পার্থক্য স্পষ্ট। 🏀--------------------
চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। (৩) কোন কিশোরীর যখন ঋতুস্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দুই হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট হওয়া বিধেয়ো নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, ৩১০ পৃষ্ঠা) মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ)।কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে জাহেলী যুগের সাজসজ্জার অনুকরণে নেকাব পড়া একটি হাদিস পাবেন, যা এহরামের সময় হারাম ঘোষণা করা হয়। 🏀-----------------
আপনার বয়ান শুনে খুব ভালো লাগলো আল্লাহ আপনাকে হায়াত দান করুক
একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ হারাম।
হাদীস: কুতাইবা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন কোন মাহরাম সঙ্গী ব্যতীত সফর না করে। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমর স্ত্রী হাজ্জে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’তবে যাও নিজ স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ (হজ্জ) কর’। (সহীহ বুখারী, ই,ফা, হাদীস নং-২৭৯৮, ৪৮৫৩)।
হাদীস: কুতুয়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। জনৈক আনসার জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরদের ব্যাপারে কি নির্দেশ? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য। ( সহীহ বুখারী, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৮৫২)।
এখানে একাকী নিরিবিলিতে ভাবীর সাথে সাক্ষাৎকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। একাকী নিরিবিলিতে ভাবির সাথে সাক্ষাৎ করলে সেখানে দুষ্কর্ম হবেই এবং তাকে রজম করা হবে। এটা ছিল নিশ্চিত। কারণ আরবে দ্রৌপতির প্রভাব বিদ্যমান ছিল। তানা হলে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে বাদ দিয়ে শুধু দেবকে নিয়ে কেন প্রশ্ন করা হলো? তবে একাধিক হলে কোন সমস্যা নেই। কারণ একাধিক লোকের সামনে কোন দুষ্কর্ম করা অসম্ভব।
দ্রৌপতি: এক ভাই বিয়ে করে, সকল ভাই ভোগ করে।
হাদিসটি দ্রৌপতি প্রথাকে কবরস্থ করে।
গায়রে মাহরামের সাথে একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ করার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সহিঃ মুসলিম শরীফের ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিস সমূহ :- হাদীস নং- ৩১৪২, ৩১৪৩, ৫৪৮৭, ৫৪৮৮, ৫৪৯০ ।
৫৪৯০ নং হাদীসে বলা হয়েছে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে হলে এক বা দুইজন পুরুষ সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবে।
-------------------
মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর করে কথা বলে বুজিয়ে দিলেন
দারুন ওয়াজ করলেন হুজুর
আল্লাহু আকবার
khub sondor boyan ami india 🇮🇳 theke dekchi hujur k allha jonno valobasi
একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ হারাম।
হাদীস: কুতাইবা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন কোন মাহরাম সঙ্গী ব্যতীত সফর না করে। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমর স্ত্রী হাজ্জে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’তবে যাও নিজ স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ (হজ্জ) কর’। (সহীহ বুখারী, ই,ফা, হাদীস নং-২৭৯৮, ৪৮৫৩)।
হাদীস: কুতুয়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। জনৈক আনসার জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরদের ব্যাপারে কি নির্দেশ? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য। ( সহীহ বুখারী, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৮৫২)।
এখানে একাকী নিরিবিলিতে ভাবীর সাথে সাক্ষাৎকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। একাকী নিরিবিলিতে ভাবির সাথে সাক্ষাৎ করলে সেখানে দুষ্কর্ম হবেই এবং তাকে রজম করা হবে। এটা ছিল নিশ্চিত। কারণ আরবে দ্রৌপতির প্রভাব বিদ্যমান ছিল। তানা হলে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে বাদ দিয়ে শুধু দেবকে নিয়ে কেন প্রশ্ন করা হলো? তবে একাধিক হলে কোন সমস্যা নেই। কারণ একাধিক লোকের সামনে কোন দুষ্কর্ম করা অসম্ভব।
দ্রৌপতি: এক ভাই বিয়ে করে, সকল ভাই ভোগ করে।
হাদিসটি দ্রৌপতি প্রথাকে কবরস্থ করে।
গায়রে মাহরামের সাথে একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ করার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সহিঃ মুসলিম শরীফের ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিস সমূহ :- হাদীস নং- ৩১৪২, ৩১৪৩, ৫৪৮৭, ৫৪৮৮, ৫৪৯০ ।
৫৪৯০ নং হাদীসে বলা হয়েছে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে হলে এক বা দুইজন পুরুষ সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবে।
-------------------
Alhamdulilla alhamdulilla alhamdulilla alhamdulilla alhamdulilla❤❤❤❤❤
আলহামদুলিল্লাহ।
মাশাআল্লাহ অসাধারণ বয়ান
Hi
একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ হারাম।
হাদীস: কুতাইবা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন কোন মাহরাম সঙ্গী ব্যতীত সফর না করে। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমর স্ত্রী হাজ্জে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’তবে যাও নিজ স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ (হজ্জ) কর’। (সহীহ বুখারী, ই,ফা, হাদীস নং-২৭৯৮, ৪৮৫৩)।
হাদীস: কুতুয়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। জনৈক আনসার জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরদের ব্যাপারে কি নির্দেশ? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য। ( সহীহ বুখারী, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৮৫২)।
এখানে একাকী নিরিবিলিতে ভাবীর সাথে সাক্ষাৎকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। একাকী নিরিবিলিতে ভাবির সাথে সাক্ষাৎ করলে সেখানে দুষ্কর্ম হবেই এবং তাকে রজম করা হবে। এটা ছিল নিশ্চিত। কারণ আরবে দ্রৌপতির প্রভাব বিদ্যমান ছিল। তানা হলে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে বাদ দিয়ে শুধু দেবকে নিয়ে কেন প্রশ্ন করা হলো? তবে একাধিক হলে কোন সমস্যা নেই। কারণ একাধিক লোকের সামনে কোন দুষ্কর্ম করা অসম্ভব।
দ্রৌপতি: এক ভাই বিয়ে করে, সকল ভাই ভোগ করে।
হাদিসটি দ্রৌপতি প্রথাকে কবরস্থ করে।
গায়রে মাহরামের সাথে একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ করার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সহিঃ মুসলিম শরীফের ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিস সমূহ :- হাদীস নং- ৩১৪২, ৩১৪৩, ৫৪৮৭, ৫৪৮৮, ৫৪৯০ ।
৫৪৯০ নং হাদীসে বলা হয়েছে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে হলে এক বা দুইজন পুরুষ সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবে।
-------------------
ফাতেমার(রা:) পর্দা।
সহীহ মুসলিম, ইসলামি ফাউন্ডেশন, হজ্জ অধ্যায়, হাদীস নং- ২৮২১। সুদীর্ঘ হাদীস---------------এ সময় আলী (রাঃ) ইয়েমেন থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য কুরবানীর পশু নিয়ে এলেন এবং যারা ইহরাম খুলে ফেলেছে, ফাতিমা (রাঃ) কে তাদের অন্তর্ভুক্ত দেখতে পেলেন। তিনি রঙ্গীণ কাপড় পরিহিতা ছিলেন এবং চোখে সুরমা দিয়েছিলেন। আলী (রাঃ) তা অপছন্দ করলেন। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, আমার পিতা আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাবী বলেন, আলী (রাঃ) ইরাকে থাকতেন, অতএব ফাতেমা (রাঃ) যা করেছেন তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে আমি তাকে জানালাম যে আমি তার এ কাজ অপছন্দ করেছি। তিনি যা উল্লেখ করেছেন, সে বিষয়ে জানার জন্য আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ফাতিমা সত্য বলেছে, সত্য বলেছে।
(২) সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং ৩০৭৪
এসময় আলী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য কোরবানীর পশু নিয়ে এলেন এবং যারা ইহরাম খুলে ফেলেছে, ফাতিমা (রাঃ) কেও তাদের অন্তর্ভুক্ত দেখতে পেলেন। তিনি রঙ্গীন কাপড় পরিহিত ছিলেন এবং চোখে সুরমা দিয়েছিলেন। আলী (রাঃ) তা অপছন্দ করলেন। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, আমার পিতা আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। (রাবী বলেন) এরপর আলী (রাঃ) ইরাকে অবস্থানকালে বলতেন, তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম ফাতিমার উপর অসন্তুষ্ট অবস্থায়, সে যা করেছে সে সম্পর্কে মাসআলা জানার জন্য। আমি তাঁকে বললাম যে, আমি তার এ কাজ অপছন্দ করেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ফাতিমা ঠিকই করেছে, ঠিকই বলেছে!
(৩)৷ মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং- ১৩৭৩
আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে আলী, জান্নাতের একটা রত্নভাণ্ডার তোমার জন্য সঞ্চিত রয়েছে। তার দুই শৃঙ্গ তোমার মালিকানাভুক্ত। সুতরাং তুমি কোন বেগানা নারীর প্রতি এক নাগাড়ে তাকিয়ে থেকো না। প্রথম দৃষ্টি তোমার জন্য বৈধ। পরবর্তী দৃষ্টি বৈধ নয়।
(৪)৷ মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং- ১৩৬৯
আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, কোন অ-মুহরিমা স্ত্রীলোকের প্রতি এক নাগাড়ে তাকিয়ে থাকবে না। প্রথম বারের দৃষ্টি তোমার জন্য বৈধ। তারপরের দৃষ্টি বৈধ নয়।
১ ও২ নং হাদীসে মেয়েদের চেহারা খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আর ৩ ও ৪ নং হাদীসে গায়রে মাহরাম নারীর দিকে এক নাগারে তাকিয়ে থাকতে নিষেধ করা হয়েছে । আর আমরা "এক নাগারে তাকিয়ে না থাকার নির্দেশটিকে" পাস কাটিয়ে মহিলাদের চেহারা ঢাকতে মহা বেতিব্যাস্ত হয়ে পড়েছি ।
(৫) আবূল ইয়ামন (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা উম্মে কুলসুমের পরিধানে হালকা নকশা করা রেশমী চাদর দেখেছেন।(সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং-৫৪২৪)।
চেহারা খোলা না থাকলে আনাস(রাঃ) তাকে চিনলেন কিভাবে?
(৬) ৫৪০৬। আবূ নুআইম (রহঃ) ... উম্মে খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত।---- রাসুলুল্লাহ (সঃ) খালেদের মাকে নিজের হাতে একটি চাদর পরিয়ে দিলেন। এরপর বললেনঃ (এটি) তুমি পুরান কর ও ছিড়ে ফেল (অথাৎ তুমি দীর্ঘজীবী হও)। ঐ চাদরে সবুজ অথবা হলুদ রঙের নকশী ছিল। তিনি বললেনঃ হে খালেদের মা! এ খানি কত সুন্দর! তিনি হাবশী ভাষায় বললেনঃ সানাহ অর্থাৎ সুন্দর।(সহি বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর -৫৪০৬)।
খালেদের মা কিন্তু রসুলের(সঃ) মাহরাম ছিলেন না। এখানে প্রশ্ন হল মহিলাটির চেহারা খোলা না থাকলে কিভাবে বুঝা যাবে যে, মহিলাটি কি খালেদের মা, নাকি জব্বরের মা!
🏀---------------------------
ঠিক কথা।
বাহ্ মাশাআল্লাহ আল্লাহ্ মহান খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আমিন
একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ হারাম।
হাদীস: কুতাইবা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন কোন মাহরাম সঙ্গী ব্যতীত সফর না করে। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমর স্ত্রী হাজ্জে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’তবে যাও নিজ স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ (হজ্জ) কর’। (সহীহ বুখারী, ই,ফা, হাদীস নং-২৭৯৮, ৪৮৫৩)।
হাদীস: কুতুয়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। জনৈক আনসার জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরদের ব্যাপারে কি নির্দেশ? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য। ( সহীহ বুখারী, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৮৫২)।
এখানে একাকী নিরিবিলিতে ভাবীর সাথে সাক্ষাৎকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। একাকী নিরিবিলিতে ভাবির সাথে সাক্ষাৎ করলে সেখানে দুষ্কর্ম হবেই এবং তাকে রজম করা হবে। এটা ছিল নিশ্চিত। কারণ আরবে দ্রৌপতির প্রভাব বিদ্যমান ছিল। তানা হলে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে বাদ দিয়ে শুধু দেবকে নিয়ে কেন প্রশ্ন করা হলো? তবে একাধিক হলে কোন সমস্যা নেই। কারণ একাধিক লোকের সামনে কোন দুষ্কর্ম করা অসম্ভব।
দ্রৌপতি: এক ভাই বিয়ে করে, সকল ভাই ভোগ করে।
হাদিসটি দ্রৌপতি প্রথাকে কবরস্থ করে।
গায়রে মাহরামের সাথে একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ করার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সহিঃ মুসলিম শরীফের ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিস সমূহ :- হাদীস নং- ৩১৪২, ৩১৪৩, ৫৪৮৭, ৫৪৮৮, ৫৪৯০ ।
৫৪৯০ নং হাদীসে বলা হয়েছে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে হলে এক বা দুইজন পুরুষ সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবে।
-------------------
আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কোন হিন্দু বা খৃষ্টান মুসলমা হয়ে ওয়াজ করলে উনাদেরকে আর কখনও ননমুসলিম হুজুর বলে দাওয়াত দিবেন না। অন্যান্য হুজুরদের মতো উপাদি আলেম হিসাবে দাওয়াত করবেন। তিনি এখন ঈমানদারী মুসলমান। আমিন। আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত করুক।❤
AMIN
মাশাআল্লাহ খুব ভালো
জাযাকআল্লাহ
এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম।
#(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২)
# (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীরা ভীড় করে থাকেন। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ৩৫৬৩, ৩৫৬৫, ৩৫৬৬, ৩৫৬৭,৩৫৭১)।
# এক হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে।
এখানের লক্ষণীয় বিষয় এই যে ফাতেমার(রাঃ) চেহারা খোলা ছিল। তার সৌন্দর্য দেখে রসূল(সঃ) ওসামার জন্য তাকে পছন্দ করেন এবং তার সাথে পরে বিয়ে পড়িয়ে দেন।
ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে।
# এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি।
# অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ।
# আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড)
# ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং-৪১১২) ।
# ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে বলেন,উম্মুল মোমেনিনগন মাহরামদের সাথে পর্দা করবে না। (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড)
# ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)।
# ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)।
# মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)।
# ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)।
# কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
# তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)।
# মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ।
🏀-----------------
ভাল ওয়াজ
❣️❣️❣️❣️❣️
মাশাআল্লাহ
জাযাকআল্লাহ
ইমাম মালেককে প্রশ্ন করা হয়, নারীরা কি মুহরিম ছাড়া অন্য লোকদের অথবা তাদের দাসদের সাথে একত্রে আহার করতে পারে?
তিনি উত্তর দেন, যদি মহিলাদের সাথে পুরুষের খাওয়ার প্রচলন থাকে, তাহলে কোন অসুবিধা নাই, অর্থাৎ যদি তাদের পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি থাকে। ইমাম মালেক বলেনঃ নারী তার স্বামীর সাথে এবং ঐ সমস্ত লোক যাদের সাথে স্বামী একত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে, তাদের সাথে ক্ষেতে পারে। ( আল মুয়াত্তা, ২ খন্ড)।
ইমাম মালেক যদি বিশ্বাস করতেন যে, উম্মুল মুমিনিনদের ন্যায় সাধারন মুমিন নারীর জন্যও হিজাব ফরজ ছিল, তবে তিনি উপরে বর্নিত ফতোয়া দিতেন না।
🏀----------------------
মাশাল্লাহ
👍👍👍👍👍
সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَهُنَّ اِلَّا مَا" ظَهَرَ مِنۡهَا "।
অর্থঃ তারা( মহিলারা) তাদের " যীনাত " প্রকাশ করবেনা ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিক ভাবে বের হয়ে থাকে( নূর-৩১)।
ইবনে মাসউদ( রা:) সহীহ সনদে বলেন, যা প্রকাশ করা যাবে তা হল পোশাক। তার অনুসারীরা এই মতের উপরই ফতোয়া দিতেন।
অন্যদিকে ইবনে আব্বাস( রা:) বলেন, যা প্রকাশ করা যাবে তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি।
" যীনাত " অর্থঃ পোষাক, সাজসজ্জা, সাজসজ্জার স্থান, সৃষ্টিগত সৌন্দর্য।
সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতের শেষের দিকে মহান আল্লাহ বলেন, তারা " যীনাত " প্রকাশ করবে না, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়াঃ স্বামী, বাপ, ভাই, শশুর -------- ইত্যাদি সকল মাহরামগণ।
" যীনাত " অর্থ যদি পোশাক/ সাজসজ্জা ধরা হয়, তবে মাহরামগণ তাদের মা-বোনদের পোশাক/ সাজসজ্জা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেনা।
সুতরাং" যীনাত " অর্থ সৃষ্টিগত সৌন্দর্য, এই অর্থটি গ্রহণ করাই অধীক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুফাসসিরগন এই অর্থটিই গ্রহণ করেছেন।
অতএব আয়াতের প্রথম অংশের অর্থ দাঁড়ায়ঃ তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না, ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে থাকে( অর্থাৎ চেহারাও হাতের কব্জি)। এ ব্যাপারে হিজাবের পরে রসুলের( সঃ) নির্দেশ সম্বলিত তিনটি হাদিস পাওয়া যায়। দুটি হাদীস দুর্বল। একটি শক্তিশালী।
এখানে মজার ব্যাপার হলো, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম (মক্কা বিজয়ের পর)। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। সে সময় জয়নাব তার স্বামী আব্দুল্লাহ ও অনেক এতিমকে ভরণ পোষণ করতেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? বলাবাহুল্য আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ প্রশ্নটি করার জন্য অধিক উপযুক্ত ছিলেন। যাইহোক জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে আর এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি, তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।
(সহি বুখারী, যাকাত অধ্যায়। সহীহ মুসলিম, প্রকাশনায়ঃ- মিনা বুক হাউজ, হাদীস নং- ২১৯৬, ২১৯৭ । সহি সুনানে নাসাঈ, যাকাত অধ্যায়)।
মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব। এতে বুঝা যায়, তাদের চেহারা খোলা ছিল।
🏀-----------------------
আল্লাহর খাছ ওলী
একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ হারাম।
হাদীস: কুতাইবা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন পুরুষ যেন অপর কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন কোন মাহরাম সঙ্গী ব্যতীত সফর না করে। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক অমুক যুদ্ধের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমর স্ত্রী হাজ্জে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’তবে যাও নিজ স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ (হজ্জ) কর’। (সহীহ বুখারী, ই,ফা, হাদীস নং-২৭৯৮, ৪৮৫৩)।
হাদীস: কুতুয়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলাদের নিকট একাকী যাওয়া থেকে বিরত থাক। জনৈক আনসার জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দেবরদের ব্যাপারে কি নির্দেশ? তিনি উত্তর দিলেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য। ( সহীহ বুখারী, ই, ফা, হাদীস নং- ৪৮৫২)।
এখানে একাকী নিরিবিলিতে ভাবীর সাথে সাক্ষাৎকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। একাকী নিরিবিলিতে ভাবির সাথে সাক্ষাৎ করলে সেখানে দুষ্কর্ম হবেই এবং তাকে রজম করা হবে। এটা ছিল নিশ্চিত। কারণ আরবে দ্রৌপতির প্রভাব বিদ্যমান ছিল। তানা হলে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে বাদ দিয়ে শুধু দেবকে নিয়ে কেন প্রশ্ন করা হলো? তবে একাধিক হলে কোন সমস্যা নেই। কারণ একাধিক লোকের সামনে কোন দুষ্কর্ম করা অসম্ভব।
দ্রৌপতি: এক ভাই বিয়ে করে, সকল ভাই ভোগ করে।
হাদিসটি দ্রৌপতি প্রথাকে কবরস্থ করে।
গায়রে মাহরামের সাথে একাকী নিরিবিলিতে সাক্ষাৎ করার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সহিঃ মুসলিম শরীফের ( ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিস সমূহ :- হাদীস নং- ৩১৪২, ৩১৪৩, ৫৪৮৭, ৫৪৮৮, ৫৪৯০ ।
৫৪৯০ নং হাদীসে বলা হয়েছে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে হলে এক বা দুইজন পুরুষ সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারবে।
-------------------
যে লোক হালালকে হারাম জানে, এবং হারামকে হালাল জানে, সে লোক আবার আল্লাহর ওলি হয় কিভাবে?
ইবনে হুবায়রা (রঃ) বলেন, ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, নারীর চেহারা, হাতের কব্জি ওপা ছাড়া সবই সতর। ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ) বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সবই সতর। ইমাম আহমদ (রঃ)তার এক বর্ণনায় বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সবই সতর। ইমাম আহমদের আরেক বর্ণনায় চেহারা ছাড়া বাকি সবই সতর বলা হয়েছে । এটাই প্রসিদ্ধ মত( আল ইফসাহ আন মায়ানী আসসেহা, ১ খণ্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা)
#(২) ইবনে আব্দুল বার (রঃ) তার তাহমিদ গ্রন্থে বলেন, ইমাম মালেক, আবু হানিফা, সাফেয়ী( রঃ) ও তাদের সঙ্গীগন বলেন, আওযায়ী( রঃ)ও আবু সওর (রঃ)এর একই মত। নারী চেহারাও হাতের কব্জি ছাড়া সবকিছুই ঢেকে রাখবে( আত তামহীদঃ ইবনে আব্দুল বার, 6 খন্ড, 364, 365, 366 পৃষ্ঠা)।
#(৩) তেমনিভাবে যারা চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সমস্ত দেহই সতর হওয়ার কথা বলেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আওযায়ী ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ)। এছাড়া ইমাম আহমদও রয়েছেন( আল মুগনী, 1 খন্ড, 522 পৃষ্ঠা)
মুফাসসিরদের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে খোলা রাখা হারাম নয়।
🏀-----------------
ফেতনার সময়ে সুন্দরী মহিলাদের চেহারা ঢাকা ওয়াজিব নয়। এমনকি মেয়েটি যদি এবাদতরত অবস্থায়ও থাকে। নিম্নোক্ত হাদিসটি তাই প্রমাণ করে।
হাদীসঃ ইবনে আব্বাস বর্ণিত হাদিস।তিনি বলেন রসুল(সঃ) ফজল ইবনে আব্বাসকে কোরবানীর দিন সওয়ারী জানোয়ারের পিঠে নিজের পেছনে বসালেন। ফজল ছিলেন একজন সুদর্শন ব্যক্তি। রসুল(সঃ) লোকদেরকে কিছু মাসআলা মাসায়েল বাতলে দেয়ার জন্য থামলেন। খাচআম গোত্রের এক সুন্দরী মেয়ে রসুলের(সঃ) কাছে একটি মাসআলা জিজ্ঞেস করার জন্য এগিয়ে এলো। ফজল তার দিকে তাকিয়ে থাকলেন এবং তার সৌন্দর্যে বিমোহিত হলেন। রসুল(সঃ) তার দিকে তাকালেন। এসময় ফজল মেয়েটিকে দেখছিলেন। রসুল(সঃ) নিজের হাতখানা পিছনের দিকে নিয়ে ফজলের থুতনি ধরে মেয়েটির দিক থেকে তার মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন। অন্য বর্ননায় আছে -------- আর মেয়েটিও ফজলের দিকে তাকাতে থাকলেন (সহী বুখারী, ই, ফা,হাদীস নং- ৫৭৯৫। সহীহ মুসলিম, ই, ফা, হাদীস নং- ৩১২১)।
আহমদের বর্ননায় বলা হয়েছে, ফজল বলেনঃ অতঃপর আমি তার দিকে পুনরায় তাকালাম। তখন রসুল(সঃ) আমার চেহারা তার চেহারার দিক থেকে ফিরিয়ে দিলেন। এমনকি এভাবে তিনবার করলেন, অথচ আমি পুরোপুরি দেখতে পাইনি। (হিজবুল মারআতিল মুসলিমা গ্রন্থ)।
অপর একটি বর্ননায় রসুল(সঃ) বলেন, আমি একজন যুবক ও যুবতিকে দেখেছি। কিন্তু শয়তানকে তাদের উপড় নিরাপদ মনে করিনি। ( ফাতহুল বারী, ৪ খন্ড)।
এখানে লক্ষনীয়ভাবে বিষয় এই যে, ঘটনার সময় ফেতনার ভয় ছিল। কিন্তু রসুল(স:) মেয়েটির চেহারা ঢাকার নির্দশ না দিয়ে ফজলের চেহারা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়াকেই যথেষ্ট মনে করেছেন। সুতরাং একথা বলা যায় যে, ফেতনার সময়ে সুন্দরী নারীর চেহারা ঢাকা মুস্তাহাব নয়। বিদায় হজ্জ্বে সময়ে রসুলের(স:) সাথে ফজল একাই ছিলেন না। অন্য যে চোখগুলো সুন্দরী মহিলার দিকে তাকিয়েছিল তাদের চেহারা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল কে?
-------------
চেহারা খোলা রাখার সুবিধা।
(১) চেহারা খোলা থাকলে মানুষের ব্যক্তিত্ব ও অবস্থা জানা যায়। চেহারা খোলা থাকলে একটি মেয়ে সুন্দর না কালো, উৎফুল্ল না বিমর্ষ, এক কথায় তার ব্যক্তিত্ব এক নজরেই বুঝা যায়।
(২) আত্মীয়-স্বজন রক্তের সম্পর্কের সাথে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। চেহারা ঢাকা থাকলে খালাতো, ফুফাতো, মামাতো, চাচাতো ভাই-বোন পরস্পর পরস্পরকে চিনতে পারবে না। দুলাভাই শালিকে; শালী দুলাভাইকে, দেবর ভাবিকে, ভাবী দুলাভাইকে কোনদিন চিনতে পারবে না। ফলে এদের কেউ রাস্তায় আক্রান্ত হলে ভাই তার বোনকে নষ্ট মহিলা ভেবে তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থল ত্যাগ করবে।
(৩) সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষায় সহায়তা করে। চেহারা খোলা থাকলে খুনের আসামি বোরকা পরে চেহারা ঢেকে জেলখানা থেকে পালাতে পারত না। ভাসমান পতিতারা মহানগরীতে অবাধে চলাফেরা করতে পারত না। তসলিমা নাসরিন পাক্কা মুসলিম সেজে, বোরকা পরে চেহারা ঢেকে বর্ডার ক্রস করতে পারত না।
(৪) চেহারা খোলা থাকলে ফেতনার তীব্রতা হ্রাস করে। যে সকল সমাজে মহিলারা চেহারা খোলা রাখে, ঐসকল সমাজে পুরুষেরা মহিলাদের দিকে খুব বেশি একটা তাকায় না বিশেষ করে বাংলার গ্রাম অঞ্চলে। উলঙ্গপনা যেমন যৌন বিকৃতি ঘটায় ও সমকামিতার দিকে ধাবিত করে, অনুরূপভাবে চেহারা ঢাকা সমাজে সমকামিতার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, যা যিনার চেয়েও জঘন্যতম অপরাধ।
(৫) নারীকে লজ্জাবতী হতে সাহায্য করে এবং দৃষ্টি অবনত করতে উৎসাহিত করে।
চেহারা টাকা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে নারীকে পুরুষের দিকে দৃষ্টিপাতে উৎসাহিত করে। বিশেষকরে তার দুর্বলতার সময়। সে মনে করবে, তাকে কেউ দেখছেনা। এ অবস্থায় সে স্থির দৃষ্টিতে কোন পুরুষের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির কোন পথ খোলা নেই, যতক্ষণ না সে তাকওয়া ও পবিত্রতার সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে যায়। এমন ঘটনা ঘটতে পারে স্বামীর উপস্থিতিতেও। স্বামী ভাববে তার স্ত্রী সম্পূর্ণ নিরাপদ। কারণ তার স্ত্রীর চেহারাতো ঢাকা। কেউ তার স্ত্রীর চেহারা দেখে নারীর স্বাদ গ্রহণ করছে না।
(৬) সামাজিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণে সহায়তা করে।
(৭) সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে সহায়তা করেন
(৮) মানসিক সুস্থতাকে বৃদ্ধি করে।
(৯)৷ মুখমন্ডল ঢেকে রাখা কঠিন, খোলা রাখার সহজ। ইসলাম সহজ। একে কঠিন করার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
🏀---------------
আপনার মতামত যথার্থ।
কারণ আবেগ দিয়ে দুনিয়া চলে না।
বেহেস্তের বাগান তখন হবে। টাকা কনট্র্যাক্ট না করে আলোচনা করা হলে।দীনের আলোচনা করার জন্য ।
কোথায় আছে একটা কবিরা গোনার জন্য ৭০০০ বছর জাহান্নাম, হাদিসের রেফারেন্স দেন। আপনাকে দেখলেই যদি গোনাহ হয় তাহলে রাস্তায় চলাফেরা করার সময় আপনাকে ও বোরখা পরে রাস্তায় চলাফেরা করুন
নারী-পুরুষ পরষ্পর পরস্পরের জন্য যৌন উত্তেজক। পোষাকের উদ্যেশ্য যৌন উত্তেজনা প্রশমনের জন্য নয়। যৌন উত্তেজনা প্রসমনের জন্য নারী- পুরুষ উভয়কেই দৃষ্টি সংযত রাখতে এবং জৌনাঙ্গের হেফাজত করার নির্দশ দেয়া হয়েছে। আর নারীদের বলে দেয়া হয়েছে, তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য (যীনাত) প্রকাশ করবে না ঐটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায়( অর্থাৎ চেহারা ও হাতের কব্জি)। আর তারা যেন ওড়না দিয়ে তাদের বক্ষদেশ আবৃত করে রাখে। ( সুরা নুর- ৩০, ৩১)।
সুরা আহজাবের ৫৯ নং আয়াত বর্ণনার পূর্বে মহান আল্লাহ ৫৮ নং আয়াতে সতর্ক করে দেন যে, "আর যারা মুমিন নর-নারীদেরকে তাদের কৃত কোন অন্যায় ছাড়াই কষ্ট দেয়, নিশ্চয়ই তারা বহন করবে অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপ"।
সুরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেমঃ- হে নবী, আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা, মোমেন নারীদের বলুন তারা যেন তাদের জিলবাবের ( চাদর) একাংশ নিজেদের উপড় টেনে দেয়। যাতে তাদের চেনা যায় ( তারা স্বাধীন মহিলা) এবং বৈসম্যের শিকার হবে না।
মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম-আহকাম সংক্রান্ত আয়াতগুলো খুবই স্পষ্ট। আল্লাহ নিজেই সে সম্পর্কে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেনঃ তোমাদের জন্য এটা হারাম, ওটা হালাল, তোমাদের উপড় ফরজ করা হয়েছে, অথবা তোমাদের জন্য উত্তম, এর জন্য রয়েছে পুরষ্কার, ক্ষমা, সুসংবাদ অথবা দুঃসংবাদ, তারাই জালিম বা মহাপাপী, তারাই কাফের, ফাসেক বা পাপিষ্ঠ। অর্থাৎ হালাল-হারাম, পাপ-পুন্য এবং পরিনতি স্পষ্টভাবে বর্ননা করা হয়েছে।
মহিলাদের পোষাকের গাইড লাইন সুরা নুরের-৩১ এবং সুরা আহযাবের-৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বিস্তারিত বলে দিয়েছেন। কিন্তু সেখান পাপ-পুন্য, ফরজ-ওয়াজিব বা কোন শাস্তির কথা উল্লেখ করেননি। কিন্তু আমরা পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে মহিলাদের আপাদমস্তক ঢেকে রাখাকে ইসলামের অন্যতম প্রধান অ্যাজেন্ডা বানিয়েছি। আপাদমস্তক ঢেকে রাখাকে ফরজ করতে ৭০ টি তাফসির, আর সতাধীক ফতোয়ার কিতাব উপস্থাপন করছি। এমনকি এই পর্দার ফতোয়াকে কেন্দ্র করে এক আলেম আরেক আলমকে কাফের ফতোয়া দিয়ে সরকারের কাছে তার ফাসির দাবি করা হচ্ছে।
অথচ মহান আল্লাহর এটুকু বলে দেয়াই যথেষ্ট ছিল যে, "প্রয়োজন ছাড়া মহিলারা ঘর থেকে বের হবে না এবং গায়েরে মাহরামের সামনে আপাদ-মস্তক ঢেকে রাখতে হবে। অন্যথা এই এই সাস্তি"।
আল্লাহ কোন কিছু বলতে সংকোচবোধ করেন না। আল্লাহ এবং তার রসুল(সঃ) যা ফরয বা হারাম করেননি, তা ফরজ বা হারাম করার এখতিয়ার কারো নেই।
মহিলারা হলো যৌন সামগ্রী। তাই মহিলা দেখলেই পুরুষের চোখের যিনা, কানের জিনা, নাকের জিনা হবে। অনুরূপভাবে পুরুষও নারীর জন্য যৌন সামগ্রিক্রী।
রাসূল (সঃ) বললেন, "তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে না"। জাহেলী যুগে মেয়েদেরকে পাপের কারণ মনে করা হতো। মেয়েদের পাপের কারনে তার পিতা, ভাই, স্বামী, বড় ছেলে দোজখে যাবে- এরকারনেই জাহেলী যুগের আবু জেহেলরা কন্যা সন্তানকে হত্যা করে দোজখের আগুনে পানি ঢেলে দেয়ার ফতোয়া দিত। হিন্দু সমাজেও সতীদাহ প্রথা চালু হয়েছিল একই যুক্তিতে। বিধবার পাপের কারনে তার স্বামী নরকে যাবে তাতো হতে দেয়া যায় না। তাই স্বামীর চিতায় তার যুবতী স্ত্রীকে অগ্নিদগ্ধ করে স্বর্গে পাঠানো হত।
আমাদের নবীজি (সঃ) কন্যা সন্তান হত্যার এই বর্বরতার বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই করেছেন। কিন্তু এখন নবীজির (সঃ) নামে জাল কিচ্ছা বানিয়ে মহিলাদের জীবিত কবর দেয়ার ফতোয়া তৈরীর ক্ষেত্র প্রস্তুতে মহা বেতিব্যাস্ত আছেন আমাদের আল্লামাগন।
আসসালামুয়ালাইকুম ভাই এই মানুষটাত মুসলমান তবে কেন আপনারা এই কোরআনের পাখিকে কেন নাও মুসলিম বললেন?
ভাইজান আপনাকে অনুরোধ করছি রানা মাস্তান এবং নওমুসলিম লিখাটা আপনার উচিত হয়নি, কারণ ওনি অনেক আগে মুসলিম হয়েছেন। সুতরাং তিনি এখন দিনের বড়ো একজন দায়ী সেজন্য হুজুরের সম্মানার্থে দুটি বাক্য ঠিক নয়। আল্লাহ ওনাকে নেক হায়াত বাড়িয়ে দিক আমিন।
ik7u
হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ-
🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀🏀
একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি।
# হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বর - ৪৪৩১ এবং ৫৮০৬) ।
তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। নবী স্ত্রীদের হিজাব ফরজ করা হয়েছে সতর্কতামূলক বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে।
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।----- (আহজাব-৩২)।
নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)।
হাফেজ ইবনে হাজার বলেন, "এই অংশটুকু উম্মুল মুমিনিনদের জন্য নির্দিষ্ট"।
সুরা আহযাবের ৫৩ নং আয়াতেঃ নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের স্বামীর মৃত্যুর পর তাদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে।আমাদের আল্লামাগন আয়াতের প্রথম অংশকে সকল মোমেন নারীর জন্য ফরজ করা হলেও শেষের অংশকে ফরজ করা হয়নি। হিন্দুদের মত বিধবা বিবাহ হারাম করলে পুরুষদের অসুবিধা কোথায়?
এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন।
হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ১১৬৮ )। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে।
সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)।
উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত।
নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)।
হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত।
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
🏀-----------------
সালাম দেয়া রাসুলের( স:) সুন্নত।
(১) হাদীস: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই মেয়েদের পাশ দিয়ে যেতেন, তখনই তাদেরকে সালাম দিতেন (আহমদ)।
(২) হাদীস: আনাস ইবনে মালেক থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: রসুল(স:) উম্মে সুলাইমের মহল্লায় গেলে তার সাথে দেখা করতেন এবং তাকে সালাম দিতেন (সহি বুখারী)।
(৩) হাদীস: জুবায়েরের আযাদকৃত ক্রীতদাস উহান্নাস থেকে বর্ণিত। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর এর একজন আজাদকৃত দাসী আবদুল্লাহ ইবনে ওমরকে সালাম দিয়ে বলল, হে আব্দুর রহমানের পিতা আমি চলে যেতে চাই। -----।
(৪)হাদীস: জিবরাইল রসুলের(স:) নিকট এসে বলেছেন,খাদিজা আসছেন। খাদিজাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলুন।(বুখারী ও মুসলিম)।
(৫) হাদীস: অনুরূপভাবে হযরত জিবরাইল আলাইিস সালাম মা আয়শাকে(রা:) সালাম জানিয়ে ছিলেন (বুখারী ও মুসলিম) ।
(৬) হাদীস: আবু তালেবের কন্যা উম্মে হানি মক্কা বিজয়ের সময় রাসুলকে(স:) গোসল রত অবস্থায় সালাম দিয়েছিলেন (বুখারী ও মুসলিম) ।
একজন আলেমের উচিত, প্রথমে সুন্নাহকে প্রকাশ করা। তারপর নিজস্ব মতামত ব্যাক্ত করা। যেমন:
ফেতনার ভয় থাকলে বিয়াইন বাড়ি যাওয়া হারাম। যদিও তারই পুত্রবধু আপনার মেয়ে।
Brain ওয়াশ
ধুর ধুর দুর হট
সুনানে আবু দাউদ।
হাদীস নং-৪১১২। উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম এবং তাঁর নিকট মাইমূনাহ (রাঃ)-ও ছিলেন। এ সময় ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) (অন্ধ সাহাবী) এলেন। ঘটনাটি আমাদের উপর পর্দার হুকুম নাযিলের পরের। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তার থেকে আড়ালে চলে যাও। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদের দেখতে ও চিনতে পারছে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদিও সে অন্ধ কিন্তু তোমরা উভয়ে কি তাকে দেখছো না?
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ বিধান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট। তুমি কি ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ)-এর বাড়িতে ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-এর ইদ্দত পালনের বিষয়টি লক্ষ করো না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-কে বলেছেনঃ ’’তুমি ইবনু উম্মু মাকতূমের বাড়িতে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ লোক। তুমি সেখানে খোলামেলা পোশাকে থাকতে পারবে।’’ (সুনানে আবু দাউদ,[ তাহকিককৃত], হাদীস নং- ৪১১২)।
🏀-------------------
যাকে বিয়ে করা জায়েজ, তার সাথে সাক্ষাৎ করা হারাম। একথা বক্তা কোথায় পেয়েছেন, তার কোনো উদ্ধৃতি দিলেন না।
Hello
আয়েশা( রাঃ) সপ্তম হিজরী সনে হাবসিদের খেলা দেখেছিলেন, যখন তার বয়স ছিল 15 বছর। হিজাবের আয়াত নাযিল হয় পঞ্চম হিজরী সনে।
হাদীসঃ মা আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ ঈদের দিন সুদানীরা ( হাবসিরা) বর্ষা ও ঢাল নিয়ে খেলা করত। একবার হয় আমি নিজে রসূলকে (সঃ) আরজ করেছিলাম অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেন, তুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাও? আমি বললাম হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে তার পিছনে এমন ভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, আমার গাল ছিল তার গালের ওপর(পাশে)। তিনি তাদেরকে বলছিলেন, হে বনি আরফিদা চালিয়ে যাও। পরিশেষে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। তিনি আমাকে বললেন, তোমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে? আমি বললাম হ্যাঁ । তিনি বললেন, তাহলে যাও (সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায়, 3 খন্ড এবং বিবাহ অধ্যায়, 11 খন্ড। সহিঃ মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ অধ্যায়, 3 খন্ড)।
# ইবনে হিব্বান বলেনঃ হাফসার প্রতিনিধি দল আগমনের পরে ঘটনাটি ঘটেছিল। হাফসার প্রতিনিধিদলের আগমন হয়েছিল সপ্তম হিজরী সনে। (অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার 2 বছর পর) তখন আয়েশার (রাঃ) বয়স ছিল 15 বৎসর( ফাতহুল বারি, 3 খন্ড)
সুতরাং বুঝা গেল মহিলারা পুরুষের খেলা দেখতে পারে এবং ওয়াজ মাহফিলে বক্তাকে না দেখার কোন প্রশ্নই উঠে না। মোবাইল এবং প্রজেক্টর এর ব্যাপারে প্রশ্ন করার কোন সুযোগই থাকেনা
ইসলামে কঠোরতা নিষিদ্ধ। মুসলিম উম্মার অর্ধেক মানুষকে (অর্থাৎ মহিলাদেরকে) মূর্খদের কাতার ভুক্ত করার জন্য ইসলাম আসেনি। মুসলমানদের অর্ধেক মানুষকে মূর্খের কাতার ভুক্ত করতে পারলে শত্রুদের অস্ত্রে শান দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
হুজুর আপনি যে জাহাননাম থেকে বাচবেন তার গেরানটি কি??
নারীর সাজসজ্জা।
(১) মহান আল্লাহ বলেনঃ হে বনী-আদম, আমিতো তোমাদের জন্য পোশাক প্রদান করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকবে এবং যা সৌন্দর্য্যস্বরূপ।( সুরাআরাফ-২৬)।
(২) মহান আল্লাহ বলেনঃ হে বনী-আদম, তোমরা প্রত্যেক নামাজে তোমাদের সুন্দর বেশ-ভূষা গ্রহণ করো। ( সুরা আরাফ- ৩১)।
(৩) মহান আল্লাহ বলেনঃ ( হে নবী) আপনি বলুন, কে হারাম করেছে আল্লাহর সৌন্দর্য উপকরণ, যা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন? ( সুরা আরাফ- ৩২)।
(৪) নারীদের ব্যাপারে সুরা যুখরুফের ১৮ নং আয়াতে মহান আল্লাহ অতিরিক্ত সাজসজ্জার কথা উল্লেখ করে বলেনঃ "তারা কি আল্লাহর প্রতি আরোপ করে এমন সন্তান, যে অলঙ্কারমন্ডিত হয়ে লালিত পালিত হয়" ( যুখরুফ-১৮)।
(৫) হাদীস: মা আয়েশা(রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মহিলা কিতাবসহ তার হাত রসুলের(সঃ) দিকে প্রসারিত করেন। তখন রসূল(সঃ) নিজের হাত গুটিয়ে নিলেন। মহিলা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল(সঃ) আমি কিতাব সহ আপনার দিকে হাত বাড়ালাম। কিন্তু আপনি কিতাব গ্রহণ করলেন না। রসুল(সঃ) বললেন, আমি জানতে পারিনি এই হাত নারীর না পুরুষের? তুমি যদি মহিলা হতে, তাহলে তোমার নখ মেহেদি দিয়ে রাঙ্গিয়ে নিতে (নাসাঈ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ৫০৮৮)। তাহক্কীক- হাসান। এবং আবু দাউদ,ই, ফা, হাদীস নং- ৪১১৯)।
(৬) হাদীসঃ৷ মুসলিম ইবন ইব্রাহিম (রহঃ) ..... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা হিন্দা বিনতে উৎবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেনঃ হে আল্লাহর নবী! আপনি আমাকে বায়আত করুন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে ততক্ষন বায়আত করাবোনা, যতক্ষননা তুমি তোমার দু’হাতের তালুকে পরিবর্তন করবে। কেননা তোমার দু’হাতের তালু হিংস্র জন্তুর মতো।( আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ৪১১৮)।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলছেন যে, নারী-পুরুষের পোষাক হচ্ছে সৌন্দর্য ও অলঙ্কারস্বরূপ।অথচ কেউ একথা বলল না যে, নারীদের উত্তম পোষাক পড়া ও সাজসজ্জা করা ফরজ।
নারী- পুরুষ পরষ্পর পরস্পরের জন্য যৌন উত্তেজক। পোষাকের উদ্যেশ্য যৌন উত্তেজনা প্রশমনের জন্য নয়। যৌন উত্তেজনা প্রসমনের জন্য নারী- পুরুষ উভয়কেই দৃষ্টি সংযত রাখতে এবং জৌনাঙ্গের হেফাজত করার নির্দশ দেয়া হয়েছে। আর নারীদের বলে দেয়া হয়েছে, তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য (যীনাত) প্রকাশ করবে না ঐটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায়। আর তারা যেন ওড়না দিয়ে তাদের বক্ষদেশ আবৃত করে রাখে। ( সুরা নুর- ৩০, ৩১)।
সুরা আহজাবের ৫৯ নং আয়াত বর্ণনার পূর্বে মহান আল্লাহ ৫৮ নং আয়াতে সতর্ক করে দেন যে, "আর যারা মুমিন নর-নারীদেরকে তাদের কৃত কোন অন্যায় ছাড়াই কষ্ট দেয়, নিশ্চয়ই তারা বহন করবে অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপ"।
সুরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেমঃ- হে নবী, আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা, মোমেন নারীদের বলুন তারা যেন তাদের জিলবাবের ( চাদর) একাংশ নিজেদের উপড় টেনে দেয়। যাতে তাদের চেনা যায় ( তারা স্বাধীন মহিলা) এবং বৈসম্যের শিকার হবে না।
মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম-আহকাম সংক্রান্ত আয়াতগুলো খুবই স্পষ্ট। আল্লাহ নিজেই সে সম্পর্কে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেনঃ তোমাদের জন্য এটা হারাম, ওটা হালাল, তোমাদের উপড় ফরজ করা হয়েছে, অথবা তোমাদের জন্য উত্তম, এর জন্য রয়েছে পুরষ্কার, ক্ষমা, সুসংবাদ অথবা দুঃসংবাদ, তারাই জালিম বা মহাপাপী, তারাই কাফের, ফাসেক বা পাপিষ্ঠ। অর্থাৎ হালাল-হারাম, পাপ-পুন্য এবং পরিনতি স্পষ্টভাবে বর্ননা করা হয়েছে।
মহিলাদের পোষাকের গাইড লাইন সুরা নুরের-৩১ এবং সুরা আহযাবের-৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বিস্তারিত বলে দিয়েছেন। কিন্তু সেখান পাপ-পুন্য, ফরজ-ওয়াজিব বা কোন শাস্তির কথা উল্লেখ করেননি। কিন্তু আমরা পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে মহিলাদের আপাদমস্তক ঢেকে রাখাকে ইসলামের অন্যতম প্রধান অ্যাজেন্ডা বানিয়েছি। আপাদমস্তক ঢেকে রাখাকে ফরজ করতে ৭০ টি তাফসির, আর সতাধীক ফতোয়ার কিতাব উপস্থাপন করছি। এমনকি এই পর্দার ফতোয়াকে কেন্দ্র করে এক আলেম আরেক আলমকে কাফের ফতোয়া দিয়ে সরকারের কাছে তার ফাসির দাবি করা হচ্ছে।
অথচ মহান আল্লাহর এটুকু বলে দেয়াই যথেষ্ট ছিল যে, "প্রয়োজন ছাড়া মহিলারা ঘর থেকে বের হবে না এবং গায়েরে মাহরামের সামনে আপাদ-মস্তক ঢেকে রাখতে হবে। অন্যথা এই এই সাস্তি"।
আল্লাহ কোন কিছু বলতে সংকোচবোধ করেন না। আল্লাহ এবং তার রসুল(সঃ) যা ফরয বা হারাম করেননি, তা ফরজ বা হারাম করার এখতিয়ার কারো নেই।
🏀-----------------------
হুজুরের নাম্বার কেউ দিতে পারবেন
Nuramin
NurAmin
আস্সালামু আলাইকুম হুজুর আমি একটা বিষয় জানতে চাই
গড়ে বসে মহিলারা মোবাইলে ওয়াজ ভিডিও
শুনতে পারবে কি না
ভিডিও দেখা, ইউটিউব দেখা, মোবাইল দেখা হারাম।
পারবে
হুজুরের নাম্বার আছে কারো কাছে
আয়েশা( রাঃ) সপ্তম হিজরী সনে হাবসিদের খেলা দেখেছিলেন, যখন তার বয়স ছিল 15 বছর। হিজাবের আয়াত নাযিল হয় পঞ্চম হিজরী সনে।
হাদীসঃ মা আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ ঈদের দিন সুদানীরা ( হাবসিরা) বর্ষা ও ঢাল নিয়ে খেলা করত। একবার হয় আমি নিজে রসূলকে (সঃ) আরজ করেছিলাম অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেন, তুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাও? আমি বললাম হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে তার পিছনে এমন ভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, আমার গাল ছিল তার গালের ওপর(পাশে)। তিনি তাদেরকে বলছিলেন, হে বনি আরফিদা চালিয়ে যাও। পরিশেষে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। তিনি আমাকে বললেন, তোমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে? আমি বললাম হ্যাঁ । তিনি বললেন, তাহলে যাও (সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায়, 3 খন্ড এবং বিবাহ অধ্যায়, 11 খন্ড। সহিঃ মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ অধ্যায়, 3 খন্ড)।
# ইবনে হিব্বান বলেনঃ হাফসার প্রতিনিধি দল আগমনের পরে ঘটনাটি ঘটেছিল। হাফসার প্রতিনিধিদলের আগমন হয়েছিল সপ্তম হিজরী সনে। (অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার 2 বছর পর) তখন আয়েশার (রাঃ) বয়স ছিল 15 বৎসর( ফাতহুল বারি, 3 খন্ড)
সুতরাং বুঝা গেল মহিলারা পুরুষের খেলা দেখতে পারে এবং ওয়াজ মাহফিলে বক্তাকে না দেখার কোন প্রশ্নই উঠে না। মোবাইল এবং প্রজেক্টর এর ব্যাপারে প্রশ্ন করার কোন সুযোগই থাকেনা
ইসলামে কঠোরতা নিষিদ্ধ। মুসলিম উম্মার অর্ধেক মানুষকে (অর্থাৎ মহিলাদেরকে) মূর্খদের কাতার ভুক্ত করার জন্য ইসলাম আসেনি। মুসলমানদের অর্ধেক মানুষকে মূর্খের কাতার ভুক্ত করতে পারলে শত্রুদের অস্ত্রে শান দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
30 mins kotha bolei jache...alochona kkrben uni quran er ayath , telowath kichu nai...wazz shunaben taile ato power kno apnar...nomro vodro shaliona iman er ongo.
Eita vhule gele iman chole jabay 🤗
হাদিসঃ হযরত আয়েশা( রাঃ) হযরত সালেম( রাঃ) এর সাথে পর্দা করতেন না। কারণ হযরত সালেহ( রা) গোলাম ছিলেন এবং গোলামের সাথে পর্দা করা উম্মুল মু'মিনীনদের জন্য ফরয ছিলনা। একদিন তিনি (সালেম) হযরত আয়েশাকে( রা) এসে জানালেন যে, আল্লাহ পাক তাকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। এ খবর শোনার সাথে সাথে হযরত আয়েশা( রাঃ) তাকে ধন্যবাদ জানালেন এবং পর্দা করলেন। হযরত সালেম( রাঃ) বলেন ঐদিনের পর থেকে আমি আর কোনদিন হযরত আয়েশাকে( রাঃ) দেখিনি ( মেশকাত শরীফ)।
(খ) হাদিসঃ হযরত আয়েশা( রাঃ) থেকে বর্ণিত। আবু হুজাইফার আযাদকৃত দাস সালেম( রাঃ) আবু হুজাইফা ও তার পরিবার পরিজনের সাথে তাদের বাড়িতে থাকতেন। সোহায়েলের কন্যা( আবু হুজাইফার স্ত্রী) নবীর( সঃ) এর কাছে এসে বলল, সালেম প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। সে আমাদের মাঝে যাতায়াত করে। আমার মনে হয়, আবু হুজাইফা এ ব্যাপারটাকে ভালো চোখে দেখে না। রাসূল( সঃ) বললেন তাকে দুধ পান করিয়ে দাও। তাহলে তুমি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে এবং আবু হুজাইফার মনে যে সংশয় রয়েছে তার দূরীভূত হয়ে যাবে। সোহায়েলের কন্যা পরে এসে রাসুলকে ( সঃ) বলল, আমি তাকে দুধ পান করিয়েছি এবং আবু হুজাইফার মনের সংশয় দূরীভূত হয়েছে। (সহিঃ মুসলিম, নীনা বুক হাউজ, হাদীস নং- ৩৪৭৪, ৩৪৭৩, ৩৪৭৫, ৩৪৭৬)।
দুটি ঘটনায়ই হিজাবের পরের ঘটনা। সালেম( রাঃ) স্বাধীন হওয়ার পর মা আয়েশা( রাঃ) যেখানে তার থেকে তৎক্ষণাৎ পর্দা করেন এবং জীবনে আর কখনো সালেম( রাঃ) আয়েশাকে( রাঃ) দেখেননি সেখানে সোহায়েলের কন্যার গৃহে সালেমের( রাঃ) অবাধ যাতায়াত ছিল । দুধ পানকরানোর উদ্দেশ্য আবু হুজায়ফার সন্দেহ দূর করা। এর অতিরিক্ত কিছু নয়।
হযরত সালেম ( রাঃ) এর মর্যাদা সম্পর্কে এতটুকু বলাই যথেষ্ট হবে যে, রসূল( সঃ) যে চারজন সাহাবী থেকে কোরআন শিক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন, তন্মধ্যে হযরত সালেম( রা) এর নাম দুই নম্বরে আছে। ( সহীহ বোখারী, ইসলামী ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ৩৪৮৭) ।
হাদীস দুটো থেকে উম্মুল মুমিনীনদের পর্দা এবং সাধারণ মোমেন নারীর পর্দার পার্থক্য স্পষ্ট।
🏀--------------------
চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা।
(১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল।
(২) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)।
হাদীসটি শক্তিশালী।
আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না।
(৩) কোন কিশোরীর যখন ঋতুস্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দুই হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট হওয়া বিধেয়ো নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, ৩১০ পৃষ্ঠা)
মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা)
তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ--
(১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ)
(৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন)
যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ)।কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না।
ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে জাহেলী যুগের সাজসজ্জার অনুকরণে নেকাব পড়া একটি হাদিস পাবেন, যা এহরামের সময় হারাম ঘোষণা করা হয়। 🏀-----------------
To ae TH-cam to Mayera apnake dekche tar bela. Ajob
মাশাআল্লাহ অসাধারণ বয়ান
জাযাকআল্লাহ