আমেরিকায় সুন্দর বাড়িগুলোর দাম কেমন হয়?॥ United States Home Prices
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 7 ก.ย. 2024
- আমেরিকায় সুন্দর বাড়িগুলোর দাম কেমন হয়?॥ Prices of House of USA
অধিকাংশ মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত বাড়ি কেনার সময়ে নিতে হয়। অভিবাসীরা আমেরিকায় এসে স্বাভাবিকভাবেই নিজের একটি বাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখেন। বাংলাদেশিরাও স্বপ্নপূরণের তালিকার শুরুতেই রাখে বাড়ি কেনার বিষয়টিকে।
আমেরিকার অন্যান্য অঙ্গরাজ্যগুলোর তুলনায় নিউইয়র্কে বাড়ি কেনা ব্যয়বহুল এবং এ জন্য প্রয়োজন হয় সঠিক পরিকল্পনার। নিউইয়র্ক সিটিতে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যবিমার সহজলভ্যতা ও বাসা ভাড়ার ব্যাপক চাহিদার কারণে বাড়ির দাম বেড়েই চলেছে। অভিবাসীরাও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় প্রথম পছন্দের তালিকায় নিউইয়র্ক সিটিকেই রাখে। কিন্তু ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির কারণে এ শহরে বাড়ি কিনতে থাকা প্রয়োজন পূর্বপ্রস্তুতি ও আর্থিক সংগতি। বাড়ি ক্রয়ের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াটি তাই সবার জানা প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রে হু-হু করে বাড়ছে বাড়ির দাম। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির দাম গত বছর একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২৩ শতাংশ। একটি সিঙ্গেল ফ্যামিলি থাকতে পারে এমন বাড়ির দাম গড়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯শ ডলার। ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রিয়েলটরস এ তথ্য দিয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটিতে বাড়ির দামও এখন আকাশচুম্বি। ২০০৬ সালের পর বাড়ির দামে কিছুটা পতন হয়েছিল। কিন্তু এখন তা এতটাই আমেরিকায় হু-হু করে বাড়ছে বাড়ির দাম উর্ধ্বগতি যে গত দুই বছরে নিউইয়র্ক সিটির বাড়ির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আগামী দুই বছর দাম আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন নিউইয়র্কের রিয়েল এস্টেট খাতের বিনিয়োগকারীরা।
তারা বলছেন, ক্রেতাদের কাছে এখন পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। নানান উৎস থেকে এই অর্থ তাদের হাতে এসেছে। বিশেষ করে একটি পরিবারে স্বামী-স্ত্রী যে আয় করেন, তার সঙ্গে সাম্প্রতিককালে হোমকেয়ার থেকে আরো একটি আয়, অর্থাৎ তৃতীয় একটি ডব্লিউ-টু যোগ হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাড়ি কেনাবেচায়। ক্রেতাদের হাতে অর্থ থাকলেও বিক্রির জন্য সেই পরিমাণে বাড়ি নেই। যা আছে তার দামও আকাশচুম্বি।
ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রিয়েলটরস এ তথ্য অনুযায়ী- আমেরিকায় এক বছর তুলনায় বাড়ির দাম গড়ে বেড়েছে ৬৬ হাজার ৮শ ডলার। অর্থাৎ ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাড়ি ক্রেতারা একটি বাড়ি কিনতে রীতিমত গলদঘর্ম হচ্ছেন। বাড়ি বিক্রির হারও কমে গেছে। এ নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত টানা বাড়ি বিক্রির হার কমলো।
তবে গত জুনে মোটের ওপর বাড়ি বিক্রির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। যা অর্থে ৫ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলার। রিয়েলটরস গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ লরেন্স ইয়ান বলেন, বাড়ির দাম বৃদ্ধি ও আবাসন সম্পদ আহরণ গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে বাড়ি বিক্রি হ্রাস পেয়েছে। যদিও বাড়ির চাহিদা বেড়েছে। এ ধরনের বাড়ির দাম বৃদ্ধি ২০২২ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করছেন লরেন্স ইয়ান। তবে আবাসন শিল্পে আরো বাড়ি নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলেও জানান তিনি।
ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রিয়েলটরস-এর তথ্য অনুসারে, ১৮৩টি মেট্রোপলিটন এলাকায় ৯৪ শতাংশ বাড়ির দাম বেড়েছে ডাবল ডিজিটে। এ ধরনের বৃদ্ধি পায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে। প্রথম ত্রৈমাসিকে এ হার ছিল ৮৯ শতাংশ। ১২টি শহুরে এলাকায় বাড়ি বিক্রি বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশ। তবে ইলিনয়ের স্প্রিংফিল্ডে বাড়ির দাম কমেছে ৭ শতাংশ। অথচ ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এখন সুদের হার সর্বনিম্নে অবস্থান করছে। মাসে ১০ শতাংশ আমানতসহ বন্ধকী ঋণ পরিশোধ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ২১ শতাংশ ছিল। একক-পরিবারে মাসিক বন্ধকীর পরিমাণ ১ হাজার ২১৫ ডলার বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের বাড়ি ক্রয়ে সামর্থ্যের ন্যুনতম আয় ৫৮ হাজার ৩১৪ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
তবে গত জুনে বাড়ি বিক্রির পরিমাণ ৩১ শতাংশে পৌঁছে, যা গত বছর ৩৫ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। করোনা মহামারির কারণেই বাড়ি ক্রয়ে ক্রেতাদের আগ্রহ ব্যাপক হারে কমে যায়। বিশেষ করে সম্প্রতি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের নতুন বিস্তারে মার্কিন ক্রেতাদের মধ্যে ক্রয়ের ইচ্ছা এতটাই হ্রাস পেয়েছে, যা গত বছর এপ্রিলের সময়ের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
মিশিগান ইউনিভার্সিটি বলছে- কনজুমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স জুলাই থেকে আগস্টে হ্রাস পেয়েছে সাড়ে ১৩ শতাংশ। যা ২০১১ সালের ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন।
নিউইয়র্কে রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মো. আনোয়ার হোসেন-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঠিকানাকে বলেন, নিউইয়র্কের কুইন্স ভিলেজ, সাউথ জ্যামাইকা, সেইন্ট অ্যালবানস, স্প্রিংফিল্ড গার্ডেন এবং লরেলটন এলাকায় বাড়ির দাম বেড়েছে অবিশ্বাস্য হারে। এসব এলাকায় ক্ষেত্রবিশেষ ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। তবে এই মুহূর্তে ব্যাংক লোনের ইন্টারেস্ট রেট সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। আগে যেখানে ইন্টারেস্ট রেট ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ, এখন তা সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ। এ কারণে ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ আছে, তাদের হাতে অর্থও আছে। কিন্তু বিক্রির জন্য পর্যাপ্ত বাড়ি নেই। যে বাড়ির দাম কিছুদিন আগে ৪ লাখ ডলার ছিল, এখন তা মিলিয়ন ডলার হয়ে গেছে। দাম বাড়ার উর্ধ্বগতির কারণে কেনাবেচায় এখন ভাটা পড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
#আমেরিকার_বাড়ি #আমেরিকার_বাড়ির_দাম #house_price_USA