দারিদ্র্য জয় করে, ৭ বছরের চেষ্টায় ৪৩ তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডার।। শিক্ষাই পারে জীবন বদলে দিতে
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 17 ม.ค. 2024
- জনাব শেখ রুবেল
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সুপারিশপ্রাপ্ত)
৪৩ তম বিসিএস
বিসিএস হল সুন্দরী বউ। সে যতই অভিমান করুক না কেন আর যত দেরিতেই আসুক না কেন, তার প্রতি আমার বিন্দুমাত্র অভিমান নেই।
বিসিএস আমার সেই সুন্দরী বউ। অভিমান ভাঙলে সে আমার কাছে আসবেই - এই অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে তার অভিমান ভাঙতে সময় লেগেছে দীর্ঘ ৬ বছর ৯ মাস ২৫ দিন।
২৫ নভেম্বর ২০১৬ সালে যন্ত্রকৌশলে স্নাতক সম্পন্ন করার পর ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে CP Bangladesh Company তে Production Engineer হিসেবে কর্মযাত্রা শুরু করি। মাত্র আড়াই মাস পর ফেব্রুয়ারী,২০১৭ সালে চাকরি থেকে ইস্তফা দিই।
তারপর ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে ম্যাজিস্ট্রেট হবার স্বপ্ন নিয়ে বিসিএসের যাত্রা শুরু করি। প্রথম বিসিএস পাই ৩৮ তম।
ডিসেম্বর,২০১৭ঃ ৩৮তম বিসিএস প্রিলি ফেইল
জানুয়ারী,২০২১ঃ ৪০তম বিসিএস রিটেন ফেইল
৭ ডিসেম্বর,২০২৩ঃ ৪১তম বিসিএস ননক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত
২৬ ডিসেম্বর,২০২৩ঃ ৪৩তম বিসিএস এডমিন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত
[সময়ঃ মার্চ ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ = ৬ বছর ৯ মাস ২৫ দিন]
৪৪তম বিসিএস রিটেন ফলাফল প্রার্থী। মাঝখানে ৩৯তম ও ৪২তম স্পেশাল বিসিএস (ডাক্তারদের জন্য) ছিল।
আমার পুরো জীবনটাই খুব অর্থকষ্টে কেটেছে, একজন কৃষক ও তাঁতীর নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি। মাঝখানে টাকার খুব অভাব ছিল যার জন্য ৪৩তম বিসিএস প্রিলি দিয়ে ২০২২ সালের মার্চে ঢাকায় ABM Water Company তে Assistant Manager হিসেবে জয়েন করেছিলাম।
কিন্তু ৪৩তম বিসিএস রিটেন পরীক্ষায় ছুটি দিবেনা বিধায় মাত্র সাড়ে চারমাস চাকরির মাথায় জবটা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। আমি যার চার্জে ছিলাম তিনি আমার ভার্সিটির বড়ভাই (মেকানিক্যাল-০৭সিরিজ) ছিলেন। চাকরিতে ঢুকতে উনাকে বলেছিলাম ভাই আমাকে ৪৩তম বিসিএস রিটেন পরীক্ষায় ৬ দিন ছুটি দিতে হবে এবং তিনি দিবেন বলে স্বীকারও করেছিলেন। অথচ তিনিই আমাকে রিটেন পরীক্ষার আগে ছুটি দেয়নি যারজন্য জবটা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম।
২০২২ সালের অক্টোবরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবার পরে খুব কষ্টে ডিসেম্বরে ৪৪ তম বিসিএস রিটেন দিয়েছিলাম। রিটেন দিয়েই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত অসুস্থ শরীর নিয়েই নারায়ণগঞ্জে ক্রাউন সিমেন্টে চাকরির ভাইভা দিতে গেছিলাম - সে কি যে কষ্ট। ভার্সিটির বড়ভাই (মেকানিক্যাল-৮৯ সিরিজ) আমার ভাইভা নিয়েছিলেন। বেশ ভালো ভাইভাও দিয়েছিলাম। ক্রাউন সিমেন্টে আমাকে চাকরি দেওয়ার জন্য উনাকে অনেক রিকুয়েস্ট করেছিলাম। এমনও বলেছিলাম যে, স্যার বাড়িতে আমার মা অসুস্থ আর আমি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলাম, এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠিনি স্যার। সত্যিই তখন আমার মার পায়ের হাড় বৃদ্ধির জন্য ডাক্তার মার পায়ে অপারেশান করার কথা বলেছিল, মা হাটতে পারছিলনা। কিন্তু তখন টাকা ছিলনা যারজন্য পরবর্তীতে আমি বন্ধুর কাছে থেকে টাকা ধার নিয়ে মার পায়ের অপারেশান করেছিলাম।
যাইহোক আমার একটা চাকরি দরকার, বাড়িতে খুব টাকার দরকার। কিন্তু উনি আমাকে চাকরিটা দেননি কারণ আমি বিসিএস পরীক্ষা দিচ্ছি এইজন্য।
হাত খরচের জন্য, মেসের খরচের জন্য অনেক বন্ধু, বড়ভাই, ছোটভাইয়ের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলাম যাদেরকে এখনো দিতেই পারিনি। আমার এই দীর্ঘ সংগ্রামের পথে সেসকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের সর্বোচ্চ উন্নতি দান করেন, আর আল্লাহ যদি আমাকে তাওফিক দান করেন অবশ্যই অবশ্যই আমি তাদেরকে আমার মেধা, শ্রম, বুদ্ধি বা অর্থ দিয়ে উপকার করবো, ইনশাআল্লাহ।
দীর্ঘ ৬ বছর ৯ মাস ২৫ দিন খুবই কষ্টে কেটেছে আমার। নিম্নবিত্ত গরীব পরিবারে জন্ম নেওয়ায় খুব টাকার কষ্টে আমি বড় হয়েছি, কোনোদিন চাহিদামত টাকা আমাকে আমার পরিবার দিতে পারেনি। ভালো জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য কোনোদিন বায়নাও ধরিনি, জানিই আব্বা কিনে দিতে পারবেনা। যাইহোক, বারংবার কি পরিমাণ যে হতাশ হয়েছি তা বলে শেষ করতে পারবোনা। পিছিয়ে পড়েছি আবার ঘুরে দ্বাড়ানোর জন্য নতুন উদ্যোমে পরিশ্রম করেছি। এই দীর্ঘ সংগ্রামের পর গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হই।
আল্লাহর কাছে সবসময় চেয়েছি আল্লাহ তুমি আমাকে ম্যাজিস্ট্রেট বানিয়ে দিও আর তোমার খাস গোলাম হিসেবে কবুল করিও। মালিক, তুমি আমাকে যে সম্মান দিয়েছো তার শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবোনা। ইহকাল-পরকাল তোমার খাস গোলামি করে যেতে চাই আল্লাহ।
আহা কষ্টের জীবন আমার 😥😥😥
ভাইদের জন্য অনেক দোয়া রইলো❣। এমন মেধাবী পরিশ্রমী মানুষ গুলো কর্মক্ষেত্রে এলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বুঝবে, অন্যায়কে ন্যায় বলবে না।
প্রত্যেকটা সাফল্যের পেছনের হাজারো দুঃখগাঁথা গল্প থাকে। রুবেল ভাইয়ের কথা গুলো মুগ্ধ হয়ে শুনলাম। পরিশ্রম বিফলে যায় না। অভিনন্দন রুবেল ভাই❤❤❤
Victors এর সবাই একেক টা masterpiece ❤❤❤
২০১৭ ঠিক মার্চে আমি রাজশাহী এন্ট্রি করেছিলাম, রুবেল মামা আর আমি একই মেসে থাকতাম।দেখা হয়েছে কথা হয়েছে,মামা অনেক হাসিখুশি থাকতেন।মামার পরিশ্রম করা দেখেছি কিন্তু পিছনের গল্পটা জানতাম না।
অসাধারণ জীবনের গল্প।
RUET❤
অভিনন্দন, রুবেল ভাই।
ডিস্ক্রিপশনে দেওয়া লেখাটা আমি পড়লাম।
পড়ার পর, আপনার প্রতি সম্মানটা আরো বেড়ে গেল।
আপনার আগামী দিনের জন্য, অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আজমাইন ভাইয়ের কাহিনীটা শুনতে পাই
ইনশাআল্লাহ আপনাদের মাঝে একদিন নিজের সফলতার গল্প বলবো, দোয়া করবেন 🤲
💟
উনি কি bute student
আজমাইন ভাই এর কাহিনি শুনতে চাই ভাই
মাহিন ভাই৷ আপনি কি ৪৩ এ জয়েন করবেন?
বলবো কেন?
-শ্রদ্ধেয় জায়েদ খান
@@victorsbcs-bank😂😂
Funny man!