পটুয়া কামরুল হাসান জন্মশতবর্ষ-২০২১, Quamrul Hassan

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 19 ก.ย. 2024
  • পটুয়া কামরুল হাসান
    বাংলাদেশের রাজনীতি সচেতন শিল্পী পটুয়া কামরুল হাসান। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের পরেই তাঁর নামটি উচ্চারিত হয়। বাংলার মাটি ও মানুষ ভালোবেসে কাজ করেছেন সারা জীবন। তিনি ১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে কলকাতা আর্ট কলেজ থেকে শিল্পকলা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ছাত্রজীবনে ছবি আঁকার পাশাপাশি শরীরচর্চা, ব্রতচারী আন্দোলন, মুকুল ফৌজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময়ই তাঁর পরিচয় ঘটে ভারতবর্ষের পটচিত্রের সঙ্গে। পরবর্তীতে তাঁর কাজে পটচিত্রের প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। কামরুল হাসান নিজেকে পটুয়া বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন। দেশভাগের পর ঢাকায় চলে আসেন। আমাদের সৌভাগ্য এমন একজন শিল্পী পেয়েছি। তাঁর কাজে বাংলাদেশকে পাওয়া যায়, একেবারে আধুনিক ফর্মে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুজিবনগর সরকারের প্রধান শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব লোগো-নকশা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে জাতীয় সব চিহ্ন ও প্রতীক। আমাদের জাতীয় পতাকার নকশা তাঁর হাতে করা। তিনি আমাদের পিকাসো। তিনি চেয়েছিলেন শিল্পকলাকে জীবনের সঙ্গে একাকার করে দিতে। সেই স্বপ্ন নিয়ে গড়েছিলেন ‘নকশা কেন্দ্র’। সেখান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব উপাদানে শিল্পের ছোঁয়া দিতে শুরু করেছিলেন। যোগ্য লোকের অভাবে কামরুল হাসানের সেই স্বপ্ন এখন বিলীন। নানা কারণে এ দেশের শিল্পকলা জগতে কামরুল হাসান সর্বদা বিরাজমান। কেউ তাঁর একাত্তরে আঁকা ইয়াহিয়ার মুখ ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ এই কাজটুকু বলেই শেষ করে দেন। এটা অবশ্যই তাঁর অসাধারণ সৃষ্টি। মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে করে যাওয়া কাজ ‘দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে’-ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এসব কাজের বাইরে তিনি অগণিত পেইন্টিং ও ড্রইং করেছেন। তাঁর কাজে রেখা, রঙ, ফর্মে অনন্য কামরুলকে পাওয়া যায়। কামরুল হাসান প্রেসিডেন্ট পুরস্কার লাভ করেন ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পদকে ভ‚ষিত হন। তিনি ১৯৮৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কবিতা উৎসবের মঞ্চে মৃত্যুবরণ করেন।

ความคิดเห็น • 1

  • @shasotidey4911
    @shasotidey4911 2 ปีที่แล้ว

    বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো স্যারের জন্য