আল্লাহর কুদরতের আলোচনা || দাওয়াত ও তাবলীগের বয়ান || জুবায়ের সাহেবের বয়ান ||

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 6 พ.ค. 2023

ความคิดเห็น • 2

  • @user-Huzaifaneel612
    @user-Huzaifaneel612 ปีที่แล้ว +2

    -------->> *আমাদের সাথেও আলেম আছে!*
    এক অপরিচিত শূরাপন্থী ভাইয়ের সাথে কথা হলো। সালাম-মুসাফার পরে জানতে চাইলেন: আপনি তাবলীগে কতদিন সময় লাগিয়েছেন? ওলামায়ে কেরামের সাথে আছেন কিনা?
    আমি বললাম: ভাই, আমিতো নিজামুদ্দিন মার্কাজের মাতাহাতে সময় লাগাইছি। তাই নিজামুদ্দিন মার্কাজের ওলামায়ে কেরামকে মেনেই মেহনত করার চেষ্টা করি।
    তিনি বললেন: দেখুন ভাই! ওলামায়ে কেরাম হলো নবীর ওয়ারিশ। ওলামায়ে কেরামদের সাথে থাকতে হবে। তাই আমরা আলেমদের সাথে আছি।
    আমি বললাম: দেখেন ভাই! আমাদের সাথেও ওলামায়ে কেরাম আছেন। আর ফেরাউন যখন মুসা (আঃ) এর পিছু নেয়, তখন কিন্তু মুসা (আঃ) একথা বলেনি যে, আামি আল্লাহর সাথে আছি। বরং তিনি একথা বলেছিলেন যে, আল্লাহ আমার সাথে আছেন। আবার রসুল (সাঃ) যখন আবু বকর (রাঃ) কে নিয়ে গুহার মধ্যে আশ্রয় নেন, তখন রসুল (সাঃ) ও কিন্তু একথা বলেনি যে, আমরা আল্লাহর সাথে আছি। বরং একথা বলেছিলেন যে, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। এই দুই ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, যারা কমজোর, দূর্বল, সাহায্যের মুখাপেক্ষী, তারা কখনো একথা বলেনা যে, আমরা সবল ও শক্তিশালীদের সাথে আছি। বরং একথা বলেন যে, আমাদের সাথে সবল, অমুখাপেক্ষী, শক্তিশালীরা আছেন। সেই হিসেবে কিন্তু “আমাদের সাথে ওলামায়ে কেরাম আছে” কথাটা একদম সহীহ কথা।
    আর "আলেম বা আওয়াম" এটাতো তাবলীগের এখতেলাফের কোনো বিষয়বস্তুই নয়। আমরা যাকে আমীর মানি, তিনিও একজন বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন। ওনার সাথে এবং ওনার ইমারতের পক্ষেও সারা দুনিয়ার আহলে হক লক্ষাধিক ওলামায়ে কেরাম আছেন। মোটকথা উভয় পক্ষেই ওলামায়ে কেরামগন আছে। বরং বিশ্বব্যাপী হিসেব করলে নিজামুদ্দিন মার্কাজের সাথেই বেশি আলেম পাওয়া যাবে।
    আর আলেম আসলে কাকে বলে? যে ব্যক্তিটা জানা ইলমের উপর আমল করে এবং আল্লাহকে বেশি ভয় করে, সেইতো বড় আলেম।
    সুতরাং "আলেম বা আওয়াম" এর পার্থক্য খাড়া করে শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখার কোনো সুযোগ নাই। মূল বিষয় হলো, ইমারত আর শূরা। আমরা এক আমীরকে মেনে অর্থাৎ, ইমারত ভিত্তিক দ্বীনের কাজ করতেছি। আর আপনারা ইমারতের বিরোধীতা করে আমীরবিহীন শূরা পদ্ধতিতে চলতে চাচ্ছেন। অথচ ইমারতের বিপরীতে আমীরবিহীন শূরা স্পষ্ট হারাম। ইসলামে এর কোনো ভিত্তিই নাই। আপনাদের এসব ধোঁকাবাজী উম্মত আজ দেখতেছে, বুঝতেছে, সবকিছুই আজ সূর্যের ন্যায় সুস্পষ্ট।
    আমরা এক আল্লাহকে মানি,
    এক রাসুল সাঃ কে মানি,
    এক আমীরকে মানি,
    এক মারকাজকে মানি,
    এবং এক নবীওয়ালা ও সাহাবাওয়ালা তরিকায় তাবলীগে দ্বীনের কাজ করার চেষ্টা করছি।
    আল্লাহপাক আমাকে, আপনাকে ও গোটা উম্মতে মুসলিমাকে এই নবীওয়ালা হক মেহনত করার তৌফিক দান করুন, আমীন।
    (ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ)।
    Copy......

    • @Tablighwala
      @Tablighwala  ปีที่แล้ว

      একটা সময় এমন ছিলো। কেউ তাবলীগ করে শুনলেই তার জন্যে আমাদের অন্তরের সব ভালোবাসা জমা হয়ে যেতো। তাবলীগওয়ালা ডাক্তার, তাবলীগওয়ালা ইঞ্জিনিয়ার, তাবলীগওয়ালা রিক্সাওয়ালা, তাবলীগওয়ালা মুদী দোকানদার আমাদের কাছে প্রাধান্য পেতো। আমরা বলতাম, 'আমাদের তাবলীগি ভাই।' যদিও ঠিক এই মানসিকতার মাঝেও কেমন কেমন সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ। তারপরও আমাদের মানসিকতা তাই ছিলো।
      আজ যে আমাদের কী হলো!
      আমরা কোন দল নই, দলেরও নই। আমাদের জনপ্রিয় উক্তি। সমস্ত দলবাজিকে আমরা ঘৃণা করতাম। আমরা পুরো উম্মতকে এক হওয়ার দাওয়াত দিতাম।
      আমার যে সাথীটা নিজে কর্জ করে চিল্লার সময় আমার জন্যে টাকা পাঠিয়েছে, আমার যে ভাইটি আমি সফরে গেলে আমার পরিবারের বাজার করে দিয়েছে, আমার নুসরতে যাওয়ার জন্যে যে ভাইটি ঘন্টার পর ঘন্টা সফর করেছে, হঠাৎ করে তার দিকেও আমি রক্তচোখে তাকাতে শুরু করেছি।
      অথচ এমন হওয়ার কথা ছিলো না। ঈমানের মেহনত তো পরস্পরকে কাছে নিয়ে আসে। পরকে আপন করে। দুশমনকে বন্ধু বানিয়ে দেয়।
      فاصبحتم بنعمته اخوانا
      'ঈমানের নিয়ামত দিয়ে তিনি তোমাদের ভাই ভাই বানিয়ে দিয়েছেন।'
      আমরা বলতাম, এই মেহনত পাঁচ মহাদেশকে এক করেছে। চার মাজহাবের ভেদাভেদকে দূর করে দিয়েছে। সাদা কালোকে এক প্লেটে বসিয়ে দিয়েছে।
      কিন্তু আজ?
      ঈমানের মেহনত তো মুমিনদের ভাই ভাই বানিয়ে দেয়। তাহলে আমরা কি আজ ঈমানের মেহনতে নেই?
      নইলে আজ আমাদের আখলাকে পঁচন ধরেছে কেন? আমাদের জবান আজ লাগামহীন কেন? কেউ আমাদের বিরুদ্ধে বললেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তোহমত দেয়া আজ হালাল? যে যা কখনও বলে নি, তাই আজ তার নামে চালিয়ে দিতে হবে?
      ইখতিলাফ ছিলো, ইখতিলাফ থাকবে। কিন্তু সে জন্যে ওলামাদের গালি দিতে হবে? মুনাফিক কিংবা কাজ্জাব বলতে হবে?
      নিশ্চয় আমাদের কোথাও ভুল হয়ে গেছে। শত ইখতিলাফ নিয়েই তো আমরা চলি। স্বামী-স্ত্রী শত ইখতিলাফ থাকা সত্ত্বেও পাশাপাশি শুয়ে থাকে। পরিবারের ছোট ছোট বাচ্চাদের মাঝে কত ইখতিলাফ! একজন বলে, ঝোল দিয়ে রান্না করা মাছ আমি খাবো না। অন্যজন বলে, মাছ ভূনা করেছো কেন?
      তারপরও আমাদের চলে যায়। চালিয়ে নিতে হয়।
      শত ইখতিলাফ নিয়েই মানুষ একই সমাজে বাস করে। অথচ আমরা?
      হ্যাঁ! আক্বিদার প্রশ্নে ছাড় দেয়া যায় না। বদদ্বীনির সাথে আপোষ করা যায় না। কিন্তু সে আপোষহীন অবস্থান আখলাকের সাথেও সম্ভব।
      আমাদের এই দিল তো এমন এক স্থান, যা শুধু আল্লাহর মহব্বতের, আল্লাহর মারিফাতের। শুধু এ উদ্দেশ্যই এই দিল। আমি আমার এই দিলকে হিংসা, বিদ্বেষ ও শত্রুতার আখড়া বানাবো কেন? তা ও আমার কোন মুসলমান ভাইয়ের বিরুদ্ধে? কিংবা আমার কোন সাথীর বিরুদ্ধে?
      হে মাওলা! আমার অন্তরকে পাক করো সমস্ত হিংসা থেকে। আমার এই দিলকে তোমার মহব্বত ও মারিফাতের খনি বানিয়ে দাও। যেখানে থাকবে কেবল আমার সমস্ত ভাইয়ের প্রতি নিঃস্বার্থ কল্যানকামনা।
      আমীন।