দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি | Delduar Zamindar Bari | টাঙ্গাইল
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 23 ส.ค. 2022
- দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্ভুক্ত দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।দেলদুয়ার জমিদার বাড়িটি অনেকের কাছে নর্থ হাউজ নামেও পরিচিত। তবে জমিদার বাড়িটি কবে বা কখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থাপত্যশৈলীঃ
প্রায় সাত ফুট দেয়ালে ঘেরা মূল একতলা ভবনটি ইংরেজ ঔপনিবেশিক স্থাপত্যশৈলীর আদলে তৈরি করা। গাঢ় খয়েরি রঙের দেয়াল ও কারুকাজ করা সাদা রঙের দরজা-জানালা ভবনটিকে বহুগুণ আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ভবনের ছাদ চারদিক থেকে ছোট ছোট মিনার দিয়ে ঘেরা। জমিদার বাড়ির সামনে একদিকে সবুজ ঘাসের লন অন্যদিকে বাড়ির পারিবারিক গোরস্থান।
পূর্ব পাশে বসার জন্য রয়েছে লোহার গার্ডেন চেয়ার, গোল টেবিল এবং পাশেই রয়েছে কৃত্রিম পানির পেয়ারা। বাড়ির পিছন দিকে রয়েছে আম বড় একটি বাগান এবং বাগানের মাঝখানে রয়েছে টালি দেয়া একটি বাগানঘর। । ধারণা করা হয় এটি ছিল বাড়ির মহিলাদের জন্য আড্ডাখানা।
বাড়ির পুর্ব পাশে সুন্দর কারুকাজ করা তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে। প্রায় দুই ফুট উঁচু ভিত্তির উপর স্থাপিত বর্তমান মসজিদটি ১৮৯০ সালের দিকে নির্মাণ করেন আবদুল করিম গজনবী।
আমরা সচারচর যা দেখি তা হল বেশীরভাগ জমিদাররাই ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। কিন্তু এই জমিদররা ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। যাদের পূর্ব পুরুষরা এখানে আফগানিস্তান থেকে এসেছেন। জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা হলেন ফতেহদাদ খান গজনবী লোহানি। যেহেতু তারা আফগানিস্তানের গজনী থেকে আশেসিলেন সে কারণে তাদের নামের শেষে গজনবী লোহানি খেতাবটি ব্যবহার করতেন। জমিদার বাড়ির জমিদারদের মধ্যে দুজন ছিলেন খুবই আলোচিত স্বনামধন্য জমিদার। যারা ছিলেন দানবীর, উচ্চশিক্ষিত ও ব্যবসায়ী। তারা হলেন স্যার আবদুল করিম গজনভি এবং স্যার আবদুল হালিম গজনভি। আব্দুল হাকিম খান গজনবী ও করিমু নেসা খানম চৌধুরানীর সন্তান ছিলেন তারা দুইজন। তাদের মাতা করিমুন নেসা ছিলেন বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত ও কবি বেগম রোকেয়ার বোন। তখনকার সময় তারা ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত।
জমিদার স্যার আবদুল করিম গজনভি ১৮৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইংল্যান্ড এবং জার্মানিতে পড়ালেখা করেন। ১৮৯৪ সালে তিনি জমিদারির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি ব্রিটিশ ভারত শাসনামলে ব্রিটিশ সরকারের দুইবার মন্ত্রী হয়েছিলেন এবং ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে নাইট ১৯২৮ ও নবাব বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হন ১৯৩৩ সালে। তিনি ১৯৩৯ সালে মারা যান।
জমিদার স্যার আবদুল হালিম গজনভি বড় ভাই জমিদার স্যার করিম গজনবীর মতই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। তিনি ১৮৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্যবসা ও রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ইন্ডিয়া স্টিমশিপ কোম্পানির চেয়ারম্যান ও কলকাতার মুসলিম চেম্বার অব কমার্স এবং ইন্ডিয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি The Musolman এবং The Star of India পত্রিকার প্রকাশের সাথে জড়িত ছিলেন। স্যার আব্দুল হালিম গজনবীও বড় ভাইয়ের মত ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ১৯৩৫ সালে নাইট উপাধি পান। মৃত্যুর চার বৎসর আগে তিনি কলকাতা থেকে দেলদুয়ার জমিদার বাড়িতে ফিরে আসেন এবং সেখানেই ১৯৫৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এই জমিদার বাড়ির জমিদারির সমাপ্তি ঘটে।
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী যে কোন বাসে চড়ে পাকুল্লা বাইপাসে নেমে যাবেন। সেখান থেকে অটোরিকশায় মাত্র দশ মিনিটেই চলে যেতে পারবেন দেলদুয়ার জমিদারবাড়ি। ভাড়া ঢাকা থেকে জমিদারবাড়ি পর্যন্ত ২০০-২৫০ টাকা।
এছাড়া ঢাকার কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে টাঙ্গাইলগামী যে কোন ট্রেনে চড়ে মাহেরা স্টেশনে নেমে যাবেন। মাহেরা স্টেশন থেকে মাহেরা জমিদারবাড়ি দেখে সরাসরি দেলদুয়ার জমিদারবাড়ি যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেনঃ
টাঙ্গাইল জেলা বিভিন্ন জমিদারবাড়ি এবং পুরাকীর্তিতে সমৃদ্ধ। তাই আপনি এখানে আসলে অন্তত দু-দিন সময় নিয়ে আসবেন। টাঙ্গাইলে রাত্রিযাপনের জন্য ভালমানের সরকারি বেসরকারি বেশ কিছু রেস্ট হাউজ, বাংলো ও হোটেল রয়েছে। এছাড়াও যমুনা রিসোর্ট, এলেঙ্গা রিসোর্টসহ বেশ কিছু বেসরকারি রিসোর্ট রয়েছে। যেখানে রাত যাপনের পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।
টাঙ্গাইল ঘুরতে গেলে অবশ্যই এখানকার বিখ্যাত পোড়াবাড়ির চমচম খেতে ভুলবেন না। এছাড়া টাঙ্গাইলের দই ও মিষ্টি খেতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ তোমাকে জমিদার বাড়ির ভিডিও দেওয়ার জন্য
Thank You for your comment...Keep watching our Channel....
Great....
দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি
স
দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি অনেকের কাছে কি নামে পরিচিত
Nice video,bro
Thanks for the visit
Excellent bro......
Thank you very much...Bro
Excellent work bro
Thank you so much 😀
Beautiful
Thank you
Its Really Beautiful Place👍
আপনাকে ধন্যবাদ মমিন ভাই ।
Woow....
Thank you
ইতিহাস বিষয়টি খুবই ব্যাপক। তারপরও অতি অল্প সময়ে গুছিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ। যেহেতু বিষয়টা ইতিহাস সেহেতু আমাদের জিজ্ঞাসা বা চাওয়া পাওয়া থাকাটাই স্বাভাবিক। কোনো কিছু জানার চাহিদা থেকেই আমার প্রশ্ন---- তাদের পরবর্তী বংশধররা কে কোথায় অবস্থান করছেন?
আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। দেলদুয়ার জমিদার বাড়ির পরবর্তী বংশধররা এখন কে কোথায় অবস্থান করছেন, সে বিষয়ে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।
তারা আছে কিছু আখন জিবিত,বাকি সদস্য রা ঢাকা থাকেন,কিছুদিন আগে তাদের আকজন ফেমেলি মেম্বার মারা গেছে,এইখানেই সমাহিত করা হয়েছে,আজকে ২৯-১১-২৩ আমি ঘুরে আসলাম।