জগন্নাথের লীলা !! অনেক পুরান কথা, এক শেঠের কাছে এক ব্যক্তি কাজ করত। শেঠজী ঐ ব্যক্তিকে খুব বিশ্বাস করত। শেঠের যা জরুরী কাজ থাকত সব ঐ ব্যক্তি করত। ঐ ব্যক্তি পরম ভক্ত ছিল। সেই ব্যক্তি সদা ভগবানের চিন্তা, ভজন, কীর্তন, স্মরন, সৎসঙ্গ করত। একদিন সেই ব্যক্তি শেঠজীর কাছে, শ্রীজগন্নাথ ধাম যাত্রার জন্য ছুটি চায়। শেঠজী ছুটি দিল আর সেই ব্যক্তিকে বলল, "ভাই আমি তো সংসারী মানুষ, সবসময়ই ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকি তার কারনে কখনো তীর্থযাত্রার সুযোগ হয় না। তুমি তো যাচ্ছো এই ১০০ টাকা আমার নামে প্রভু জগন্নাথের চরনে সেবায় সমর্পিত করে দিও।" সেই ব্যক্তি টাকাটা নিয়ে জগন্নাথ দর্শনে যাত্রা শুরু করল। অনেকদিন পায়ে হেঁটে যাত্রা করে সে জগন্নাথ পুরী পৌঁছাল। মন্দিরে যাওয়ার সময় সে রাস্তায় দেখল অনেক সাধুসন্ত, ভক্তজন, বৈষ্ণবজন, হরিনাম সংকীর্তনে খুব আনন্দ করছিল। কীর্তনের আনন্দে তাদের চোখ থেকে অশ্রুধারা পড়ছিল। সে দেখল সংকীর্তন করতে করতে তাদের ঠোঁট শুকিয়ে গেছে, দেখে মনে হচ্ছে তারা খুব ক্ষুধার্ত। সে এই ক্ষুধার্ত ভক্তদের দেখে চিন্তা করল, "শেঠজী আমাকে যে টাকা দিল তার থেকে ভক্তদের ভোজনের ব্যবস্থা করি।" সে ব্যক্তি ঐ ১০০ টাকা থেকে ভোজনের ব্যবস্থা করল। সবাইকে ৯৮ টাকা দিয়ে ভোজন করালেন। সকলে খুব তৃপ্ত হলেন। তার কাছে শুধু দুই টাকা আছে, সে ভাবল "এই দুইটাই আমি জগন্নাথের চরনে শেঠজীর নামে সমর্পন করব। যখন আমি শেঠের কাছে পৌছাব। তখন আমি বলব শেঠজীকে আমি টাকা সমর্পন করেছি। শেঠজী তো জিজ্ঞাসা করবে না যে ১০০টাকা আমি জগন্নাথের চরনের সমর্থন করেছি কিনা। শেঠজী বলবে টাকা সমর্পন করলে। আমি হ্যাঁ বললে ওটা তো মিথ্যা বলা হবে না এবং কাজও হয়ে যাবে।" ভক্ত সেই ব্যক্তি আকুল মনে জগন্নাথজীর দর্শন করল মন্দিরে প্রবেশ করল। শ্রীজগন্নাথদেবের এমন অপূর্ব রূপ নয়ন ভরে দর্শন করে নিজে হৃদয়ে তার রূপ মাধুরী বিরাজমান করল। শেষে সে শেঠজীর দেয়া দুই টাকা জগন্নাথজীর চরনে দিয়ে বলল, এই দুইটাকা আমার শেঠজী দিয়েছে। ঐ রাতে শেঠজী, শ্রীজগন্নাথজীকে স্বপ্নে দেখল। জগন্নাথ স্বপ্নে এসে শেঠজীকে বললো, "তোমার ৯৮টাকা আমি পেয়েছি।" এই বলে শ্রী জগন্নাথজী অন্তর্ধান হয়ে গেলেন। শেঠজী জেগে ভাবতে লাগল, "আমার কাজের লোক খুব সৎ, ভক্ত এবং বিশ্বাসী। হঠাৎ ওর কি এমন দরকার পরল যে আমার দেয়া ১০০টাকা থেকে দুই টাকা ভগবানকে কম দিল? সে দুই টাকা কিসে খরচ করল? কি এমন প্রয়োজন পরল?" এসব কথা শেঠজী ভাবতে লাগল। অনেক দিন যাওয়ার পর ভক্ত সেই ব্যক্তি শেঠজীর কাছে ফিরে আসল। শেঠজী তাকে জিজ্ঞাসা করল "আমার টাকা জগন্নাথজীকে সমর্পন করেছ তো?" ভক্ত বলল, "হে শেঠজী টাকা আমি সমর্পন করেছি। শেঠজী বলল, "কিন্তু তুমি ৯৮ টাকা কেন দিলে, দুই টাকা তবে কি কাজে খরচ করলে?" ভক্ত তখন চিন্তা করলছিল শেঠজী কিভাবে কথাটা জানল? তারপর ভক্ত সব কথাই শেঠজীকে খুলে বললো যে, সে ৯৮ টাকা দিয়ে ভক্ত সাধুসন্তদের সেবা করাল, আর দুই টাকা প্রভু জগন্নাথের চরনে সমর্পন করল।" শেঠজী সকল কথা শুনে খুব খুশি হল এবং ভক্ত ব্যক্তির চরনে এসে পড়ল বলল, "তুমি ধন্য তোমার জন্য আমি শ্রীজগন্নাথদেবের দর্শন ঘরে বসে পেলাম।" ভগবানের আসলে তোমাদের ধনের কোন দরকার নেই। ভগবান ঐ ৯৮ টাকা স্বীকার করল যা ভক্তের সেবায় লেগেছে। কারন, ভক্তের হৃদয়ে ভগবানের বাস। যে দুই টাকা চরনে দিল ঐ টাকার কোন মূল্য নেই প্রভুর কাছে। "জগন্নাথ সবাইকে দর্শন দিতে যাত্রা করবে কিছুদিন পরে, রথযাত্রা সবাই জগন্নাথেকে ভক্তি সহকারে দর্শন করবেন ও কৃপা লাভ করবেন।" বিঃদ্রঃ আপনার একটি শেয়ার কমপক্ষে একজন হলেও জগন্নাথের লীলা জানতে পারবে আশা করি। - জয় জগন্নাথ মানব প্রেমের পুজারী প্রসেনজিৎ মোহন দাশ
Joy jagannath pronam nio
Joy jogonath🙏🙏🙏
জয় জয় জয় শ্রী দাসীয়া বাউরী।
জয় জগন্নাথ জয় জগন্নাথ নাথ JOY GOGONATNAT जगननाथा Jai Jagannath Jai Jagannath
জয় জগতের নাথ জগন্নাথ
Apnar sri charane Dandavath pronam probhu🙏🙏🙏
JOY JOGONNATH 🙏🙏🙏
জয় জগন্নাথ,,, জয় বলদেব,,, জয় শুভদ্রা,,🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
জয় জগন্নাথ,বলদেব,শুভদ্রা মহারানী কি
জয়!জয়!জয়!😍
জয় জগতের নাথ🙏🌹🙏
হরে কৃষ্ণ
🌸🙏🌸🌸🙏🌸🙏🙏🌸🙏🌸🙏🌸
জয় জগন্নাথ
Hare Krishna provu amar pronam neben
জয় জয় শ্রী রাধে দন্ডবৎ মহারাজ
Joy jagannath 🙏
❤❤❤❤❤
জগন্নাথের লীলা !!
অনেক পুরান কথা, এক শেঠের কাছে এক ব্যক্তি কাজ করত।
শেঠজী ঐ ব্যক্তিকে খুব বিশ্বাস করত।
শেঠের যা জরুরী কাজ থাকত সব ঐ ব্যক্তি করত। ঐ ব্যক্তি পরম ভক্ত ছিল। সেই ব্যক্তি সদা ভগবানের চিন্তা, ভজন, কীর্তন, স্মরন, সৎসঙ্গ করত।
একদিন সেই ব্যক্তি শেঠজীর কাছে, শ্রীজগন্নাথ ধাম যাত্রার জন্য ছুটি চায়।
শেঠজী ছুটি দিল আর সেই ব্যক্তিকে
বলল, "ভাই আমি তো সংসারী মানুষ, সবসময়ই ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকি তার কারনে কখনো তীর্থযাত্রার সুযোগ হয় না।
তুমি তো যাচ্ছো এই ১০০ টাকা আমার নামে প্রভু জগন্নাথের চরনে সেবায় সমর্পিত করে দিও।"
সেই ব্যক্তি টাকাটা নিয়ে জগন্নাথ দর্শনে যাত্রা শুরু করল। অনেকদিন পায়ে হেঁটে যাত্রা করে সে জগন্নাথ পুরী পৌঁছাল।
মন্দিরে যাওয়ার সময় সে রাস্তায় দেখল অনেক সাধুসন্ত, ভক্তজন, বৈষ্ণবজন, হরিনাম সংকীর্তনে খুব আনন্দ করছিল।
কীর্তনের আনন্দে তাদের চোখ থেকে অশ্রুধারা পড়ছিল। সে দেখল সংকীর্তন করতে করতে তাদের ঠোঁট শুকিয়ে গেছে, দেখে মনে হচ্ছে তারা খুব ক্ষুধার্ত। সে এই ক্ষুধার্ত ভক্তদের দেখে চিন্তা করল, "শেঠজী আমাকে যে টাকা দিল তার থেকে ভক্তদের ভোজনের ব্যবস্থা করি।"
সে ব্যক্তি ঐ ১০০ টাকা থেকে ভোজনের ব্যবস্থা করল। সবাইকে ৯৮ টাকা দিয়ে ভোজন করালেন। সকলে খুব তৃপ্ত হলেন।
তার কাছে শুধু দুই টাকা আছে, সে ভাবল "এই দুইটাই আমি জগন্নাথের চরনে শেঠজীর নামে সমর্পন করব।
যখন আমি শেঠের কাছে পৌছাব। তখন আমি বলব শেঠজীকে আমি টাকা সমর্পন করেছি। শেঠজী তো জিজ্ঞাসা করবে না যে ১০০টাকা আমি জগন্নাথের চরনের সমর্থন করেছি কিনা। শেঠজী বলবে টাকা সমর্পন করলে। আমি হ্যাঁ বললে ওটা তো মিথ্যা বলা হবে না এবং কাজও হয়ে যাবে।"
ভক্ত সেই ব্যক্তি আকুল মনে জগন্নাথজীর দর্শন করল মন্দিরে প্রবেশ করল। শ্রীজগন্নাথদেবের এমন অপূর্ব রূপ নয়ন ভরে দর্শন করে নিজে হৃদয়ে তার রূপ মাধুরী বিরাজমান করল।
শেষে সে শেঠজীর দেয়া দুই টাকা জগন্নাথজীর চরনে দিয়ে বলল, এই দুইটাকা আমার শেঠজী দিয়েছে।
ঐ রাতে শেঠজী, শ্রীজগন্নাথজীকে স্বপ্নে দেখল। জগন্নাথ স্বপ্নে এসে শেঠজীকে বললো, "তোমার ৯৮টাকা আমি পেয়েছি।" এই বলে শ্রী জগন্নাথজী অন্তর্ধান হয়ে গেলেন। শেঠজী জেগে ভাবতে লাগল, "আমার কাজের লোক খুব সৎ, ভক্ত এবং বিশ্বাসী।
হঠাৎ ওর কি এমন দরকার পরল যে আমার দেয়া ১০০টাকা থেকে দুই টাকা ভগবানকে কম দিল? সে দুই টাকা কিসে খরচ করল? কি এমন প্রয়োজন পরল?" এসব কথা শেঠজী ভাবতে লাগল।
অনেক দিন যাওয়ার পর ভক্ত সেই ব্যক্তি শেঠজীর কাছে ফিরে আসল। শেঠজী তাকে জিজ্ঞাসা করল "আমার টাকা জগন্নাথজীকে সমর্পন করেছ তো?"
ভক্ত বলল, "হে শেঠজী টাকা আমি সমর্পন করেছি। শেঠজী বলল, "কিন্তু তুমি ৯৮ টাকা কেন দিলে, দুই টাকা তবে কি কাজে খরচ করলে?"
ভক্ত তখন চিন্তা করলছিল শেঠজী কিভাবে কথাটা জানল? তারপর ভক্ত সব কথাই শেঠজীকে খুলে বললো যে, সে ৯৮ টাকা দিয়ে ভক্ত সাধুসন্তদের সেবা করাল, আর দুই টাকা প্রভু জগন্নাথের চরনে সমর্পন করল।"
শেঠজী সকল কথা শুনে খুব খুশি হল এবং ভক্ত ব্যক্তির চরনে এসে পড়ল বলল, "তুমি ধন্য তোমার জন্য আমি শ্রীজগন্নাথদেবের দর্শন ঘরে বসে পেলাম।"
ভগবানের আসলে তোমাদের ধনের কোন দরকার নেই। ভগবান ঐ ৯৮ টাকা স্বীকার করল যা ভক্তের সেবায় লেগেছে।
কারন, ভক্তের হৃদয়ে ভগবানের বাস। যে দুই টাকা চরনে দিল ঐ টাকার কোন মূল্য নেই প্রভুর কাছে।
"জগন্নাথ সবাইকে দর্শন দিতে যাত্রা করবে কিছুদিন পরে, রথযাত্রা সবাই জগন্নাথেকে ভক্তি সহকারে দর্শন করবেন ও কৃপা লাভ করবেন।"
বিঃদ্রঃ আপনার একটি শেয়ার কমপক্ষে একজন হলেও জগন্নাথের লীলা জানতে পারবে আশা করি।
- জয় জগন্নাথ
মানব প্রেমের পুজারী প্রসেনজিৎ মোহন দাশ
🙏🙏🙏💐💐💐🇨🇮
Joy guru🙏🙏🙏
এটার থেকে বোঝা যাচ্ছে ভগবান কি পাওয়ার জন্য কোনো ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করতে হই না .....ভক্তি টাই আসল ।। জয় জগন্নাথ 🙏❣️🙏
জয় জগন্নাথ, বলদেব,শুভদ্রা মহারানী কি
জয়!জয়!জয়!
জয় জগন্নাথ
Joy jaganath 🙏🙏🙏
জয় জগন্নাথ