নবীজির বাবা মা জান্নাতি নাকি জাহান্নামি কঠিন প্রশ্নের দাঁত ভাঙ্গা জবাব। Mustafiz Rahmani

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 12 ธ.ค. 2024

ความคิดเห็น • 446

  • @kanaklata6132
    @kanaklata6132 3 ปีที่แล้ว +183

    হে আল্লাহ,,,,,,,নবীর বাবা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা কে জান্নাতের উচু মাকাম দান করো,, আমিন,,,,

  • @mdabulhossaimdjalaluddi6005
    @mdabulhossaimdjalaluddi6005 ปีที่แล้ว +69

    হে আল্লাহ আপনি আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ)এর মা ও পিতাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন

    • @mdshahadat7525
      @mdshahadat7525 ปีที่แล้ว +2

      আমিন

    • @HujaifaHuraira-w8f
      @HujaifaHuraira-w8f 8 หลายเดือนก่อน

      Min

    • @AbdullahBappi2794
      @AbdullahBappi2794 7 หลายเดือนก่อน

      নবির পিতা মাতা জাহান্নামী সহি মুসলিম ৩৯৪ হাদিস 😊

    • @AbdullahBappi2794
      @AbdullahBappi2794 7 หลายเดือนก่อน

      সহি মুসলিম ৩৯৪ জাহান্নামি।

  • @আল্লাহরগোলাম-স৩গ
    @আল্লাহরগোলাম-স৩গ 3 ปีที่แล้ว +261

    পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মা-বাবা হচ্ছে আমেনা এবং আব্দুল্লাহ। কারণ তাদের ঘর‌ই জন্মগ্রহণ করেছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ 😍

    • @habiburrohaman8788
      @habiburrohaman8788 2 ปีที่แล้ว +7

      ভাই হযরত ইব্রাহিম আঃ এর বাবা মা ও তো ভাগ্যবান

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      @@habiburrohaman8788 ইব্রাহিম আঃ এর পিতা মুমিন ছিলেন!
      ক্বামূস নামক অভিধানে আছে-আযর হলো ইব্রাহিম আঃ এর চাচার নাম।ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহঃও তাঁর 'মাসা-লিকুল হুনাফা' নামক কিতাবের মধ্যে অনুরূপ লিখেছেন।চাচাকে পিতা বলার প্রচলন অনেক দেশেই রয়েছে,বিশেষ করে আরবে।
      আমরাও অনেকে বাবার বড় ভাইকে 'বড় আব্বু' বলি।মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর 'মেঘনাদবধ' কাব্যে চাচাকে 'তাত'(পিতা) বলে সম্বোধন করেছেন;যেখানে অনিন্দম বিভীষণকে বলে,"হায়,তাত,উচিত কি তব এ কাজ,নিকষা সতী তোমার জননী,সহোদর রক্ষঃশ্রেষ্ঠ?..."
      দ্বিতীয়ত,তাফসিরে ইবনে কাসিরের ২য় খন্ড ২৪০পৃ,তাফসিরে মাযহারির ৩য় খন্ড ২৫৬পৃ,তাফসিরে কবির ১৩তম খন্ডের ৩৯পৃ,তাফসিরে তাবারি ৫ম খন্ডের ১৫৮পৃ এবং তাফসিরে বাইদ্বাবি ১ম খন্ডের ৩০৭পৃষ্ঠায় রয়েছে-"ইব্রাহিম আঃ এর পিতার নাম-তারাহ আঃ।"
      তৃতীয়ত,কোনো কোনো বর্ণনায় ইব্রাহিম আঃ এর বাবার নাম আযরও আছে,কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য হবে না,কারণ কুরআনের সূরা শুয়ারার ২১৯নং আয়াতের ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার(রাসুলুল্লাহর) পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস,সূরা শুয়ারা-২১৯ নং এর তাফসির)।আর রাসুল সঃ ছিলেন ইব্রাহিম আঃ এরই বংশধর।ইব্রাহিম আঃ এর বাবা মূর্তিপূজক হলে রাসুলুল্লাহ সঃ এর পূর্বপুরুষ মুশরিক হবেন।নাউজুবিল্লাহ!
      একটা Confusion দূরীকরণঃ-
      মুসলিম শরীফে রাসুল সঃ এক ব্যক্তিকে বলেন,"তোমার পিতা ও আমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"এই হাদিস দিয়ে অনেকে বলতে পারে,রাসুলুল্লাহর পূর্বপুরুষ মুমিন ছিলেন না।নাউজুবিল্লাহ!অথচ বিখ্যাত ইমামগণ হাদিসটিকে মানসুখ(রহিত) বলেছেন।(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২ পৃ;আল হাবিলিল ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।মানসুখ আয়াত হচ্ছে,যে আয়াতটি রহিত হয়ে গেছে বা এটা দিয়ে কোনো দলিল দেয়া যাবে না।অনেকের মতে,হাদিসটিতে 'আমার পিতা' দ্বারা রাসুল সঃ চাচা আবু তালিবকে বুঝিয়েছেন।
      আবারও Confusion দূরীকরণঃ-
      শুধু রাসুল সঃ না,কোনো নবির সন্তান ও মা-বাবা ইমানহীন ছিলেন না।অনেকে বলতে পারেন,নূহ আঃ এর ছেলে কাফের ছিল।নূহ আঃ এর সন্তান কাফের ছিল ঠিক,কিন্তু সে নূহ আঃ এর সরাসরি সন্তান ছিল না।

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว +3

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

    • @tanjim2407
      @tanjim2407 2 ปีที่แล้ว

      @@tahsinhossainstudent5742 অনেক বড় আলেম কমেন্ট করছেন দেখি

    • @mohmmedabdullah6043
      @mohmmedabdullah6043 ปีที่แล้ว

      @@tanjim2407 বুঝতে পারতেছিনা কোনটা বিশশাস করবো

  • @NazrulIslam-jh1gl
    @NazrulIslam-jh1gl ปีที่แล้ว +21

    আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো ছিল।
    হে আল্লাহ আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাঃ এর পিতা-মাতাকে আপনি জান্নাত বাসি করুন।

    • @EliarsHussain-vq4qf
      @EliarsHussain-vq4qf 2 หลายเดือนก่อน

      Tara mushriq silen ebong islamer jug paanni

  • @tongibaribd2907
    @tongibaribd2907 2 ปีที่แล้ว +37

    হে আল্লাহ আমার দয়াল নবী(সঃ)বাবা মাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন-আমিন।

    • @mdmaynul7186
      @mdmaynul7186 4 หลายเดือนก่อน

      Amin

    • @EliarsHussain-vq4qf
      @EliarsHussain-vq4qf 2 หลายเดือนก่อน

      Tara mushriq silen ebong islamer jug paanni

  • @khaledahmed3597
    @khaledahmed3597 8 หลายเดือนก่อน +2

    হুজুরের সুন্দর উপস্থাপনা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর বাবা মা সম্পর্কে।

  • @sakibkhan4u
    @sakibkhan4u ปีที่แล้ว +6

    কি সুন্দর আলোচনা 😢❤ আল্লাহ আপনার জ্ঞ্যানের পরিধি আরো বাড়িয়ে দিন❤

  • @MrBibeks
    @MrBibeks 3 ปีที่แล้ว +37

    ~ কাগজ দিয়ে অনেক কিছু তৈরি হয় 👍🏻 তবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামী 😍 আল-কোরআন 😍

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @mdnuruddin2592
    @mdnuruddin2592 3 ปีที่แล้ว +10

    খোপ ভালো সুন্দর শামাদান। আলহামদুলিল্লাহ।। ❤️

  • @TheQueen-ml8ik
    @TheQueen-ml8ik 2 ปีที่แล้ว +8

    আল্লাহ তুমি আমার প্রিয় নবী মা বাবা কে জানত দান কোরো

  • @islahullisannur1163
    @islahullisannur1163 11 หลายเดือนก่อน +4

    আলহামদুলিল্লাহ সন্দৰ বয়ান কৰছেন

  • @beautifulbangladesh1948
    @beautifulbangladesh1948 ปีที่แล้ว +1

    হুজুরের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট ও খুব ভালো লাগলো আমার কাছে হুজুরের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো

  • @AzimKhan-ou3li
    @AzimKhan-ou3li ปีที่แล้ว +1

    আল্লাহ হুজুররে নেক হায়াত দারাজ করুক হুজুরের যুক্তি টা খুব সুন্দর এবং ভালো লাগলো আকাইম্মা হুজুর গো আল্লাহ জ্ঞান বিদ্যাবুদ্দি দেক ওরা আরো ভালো করে জেনে শুনে মিডিয়ার সামনে আসে

  • @mdazimullha9401
    @mdazimullha9401 2 ปีที่แล้ว +6

    হুজুরের বয়ান শুনে ভালো লাগছে অসাধারণ ধন্যবাদ জানাই আপনাকে সৌদি মদিনা শরিফ থেকে সালাম রইল

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

    • @EliarsHussain-vq4qf
      @EliarsHussain-vq4qf 3 หลายเดือนก่อน

      ​@@tahsinhossainstudent5742qur'aner opobakkha o jaal hadis Tora bidatiraai mene chol. Sohih hadis onujayi Tara jahannamio hote paare. Tobe amra nirob thakbo

  • @RoseMedia-nv7zn
    @RoseMedia-nv7zn ปีที่แล้ว +1

    এতদিনে একটি সুন্দর ওয়াজ পাইলাম যে ওয়াজটি শুনে আমার হৃদয় ঠান্ডা হয়ে গেল আল্লাহ হুজুরকে নেক হায়াত দান করুক

  • @mohammadullah3430
    @mohammadullah3430 ปีที่แล้ว +4

    الحمد الله আমি অনেক দোয়া করি আল্লাহ আমার ভাইর এলেম আরো বাড়িয়ে দেন সুন্দর ফয়সালা আমার মতামত এমনই
    ইমাম ওয়ালী উল্লাহ
    বাইতুল মামুর বাফেলো এমেরিকা

  • @আল্লাহরগোলাম-স৩গ
    @আল্লাহরগোলাম-স৩গ 3 ปีที่แล้ว +16

    ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @rafiqulislam3593
    @rafiqulislam3593 2 ปีที่แล้ว +12

    You are right. Thank You. পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মা-বাবা হচ্ছে আমেনা এবং আব্দুল্লাহ। কারণ তাদের ঘর‌ই জন্মগ্রহণ করেছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ

    • @sulaymannomany7492
      @sulaymannomany7492 ปีที่แล้ว

      রাইট

    • @EliarsHussain-vq4qf
      @EliarsHussain-vq4qf 3 หลายเดือนก่อน

      Prithibir shobcheye daami chacha abu lahab o Abu Talibo ontorvukto. Aar nuh as. Er jahannami cheleo onek daami chele

    • @EliarsHussain-vq4qf
      @EliarsHussain-vq4qf 2 หลายเดือนก่อน

      Prithibir shobcheye shou vaagobaan dujon chacha abutalib o abulahab. Nuh ( as. ) er kafir cheleo oti shouvaggobaan shontan. Nuh ( as. ) stri o lut ( as. ) er strio onek shouvaagoboti stri. Kintu ato shotteo Allah eder jonno rohomoter dorja chirotore bondho kore diyesen . Eder upor taar lanot borsito hobe ononto kaal ebong Allah sposhto vaashay taderke jahannami bolesen. Onno dike prithibir shob cheye durvaaggoboti stri holen hojorot Asia ( ra. ) kintu Allah taar jonno jannat wajib kore diyesen . Taar upor Allah chirotore shontushto ebong tini take Qur'an er moddhe muminder moddhe drishtanto shorup uposthapon koresen

  • @siratummustakim9146
    @siratummustakim9146 2 ปีที่แล้ว +13

    মহানবী (সঃ) পিতা মাতা জান্নাতি হোক
    এটাই প্রত্যাশা।
    কে ন না, সবার মুক্তির জন্য তিনি সুপারিশ করবেন,,অথচ মহানবীর গর্ভধারিনী মা,,
    ও পিতা কষ্টে থাকবে এটা কি হয়😭😭😭😭😭
    সুতরাং নবী করিম( সঃ) পিতা মাতা জান্নাতের সুঊচ্চ স্হানে আসিন থাকুক।।
    আমিন।।

  • @SamiaAfrinMou-y7z
    @SamiaAfrinMou-y7z ปีที่แล้ว +1

    হুজুর আপনার বয়ান গুলো খুব ভালো,,, হে আললাহু আপনি আমাদের দয়ার নবি হযরত মুহাম্মদ সাললাআলাহিস সাললাম,,

  • @mdtoslim2234
    @mdtoslim2234 2 ปีที่แล้ว +6

    আল্লাহ আমার প্রিয় নবীর মা-বাবাকে তুমি জান্নাতবাসী করে দিও এবং সকল নবী রাসূলের মা বাবাকে তুমি জান্নাত নসিব করুক আমিন

  • @sumiakter71
    @sumiakter71 2 ปีที่แล้ว +15

    এক এক হাদীসে এক এক কথা
    ইয়া আল্লাহ আপনি আমাদের সবাইকে সঠিক টা বোঝার তৌফিক দান করুন।

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      একেক হাদিসে একেক কথা,তাই মুহাদ্দিসগণ(হাদিসবিদ) কী বলেছেন মানতে হবে।ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি এমন এক মুহাদ্দিস ছিলেন,যিনি ছিলেন ২লক্ষ হাদিসের হাফেজ এবং তিনি তাফসিরে জালালাইন লিখেছিলেন।

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি কে ছিলেনঃ-
      ১.আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি ছিলেন বিখ্যাত মুফাসসির বা তাফসিরবিদ।বিশ্বখ্যাত তাফসিরে জালালাইন শরীফ উনি এবং উনার ওস্তাদের রচনা।তাফসিরে দুররে মান্সুরের লেখকও তিনি।
      ২.ইমাম সুয়ুতি ছিলেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস,যিনি ২লক্ষ হাদিসের হাফেজ ছিলেন।
      ৩.ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি ছিলেন একজন শাফি-ই ফকিহ।
      ৪.তিনি ছিলেন আল্লাহর একজন 'আবদাল' পর্যায়ের অলি।তিনি মিশর থেকে মাত্র ২৭ কদমে হেরেম শরীফ পৌঁছেছিলেন।
      ৫.ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি ছিলেন একজন ইতিহাসবিদ।তারিখুল খোলাফা তাঁর একটি বিখ্যাত ইতিহাসের কিতাব।
      ৬.হাফিজ জালালুদ্দিন সুয়ুতি এমন একজন আলেম ছিলেন,যিনি বলেছেন,"আমার মেধা ভুলকে গ্রহণ করে না।"সুবাহানাল্লাহ।
      ৭.important point:-ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি এমন একজন রাসুল প্রেমিক ছিলেন,যিনি রাসুলুল্লাহকে ৭০ বারের অধিক বার জাগ্রত অবস্থায় দেখেছেন।সুবাহানাল্লাহ।দেওবন্দের হেড মুহাদ্দিস আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী বলেছেন,"ইমাম সুয়ুতি ২২ বার রাসুলুল্লাহকে সরাসরি দেখেছিলেন।"আ'লা হজরত ইমাম আহমদ রেজা খান বেরলভির মতে,ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি ৭৫ বার আল্লাহর হাবিবকে দেখেছেন।সুবাহানাল্লাহ।
      ৮.তিনি ১২শ এরও অধিক কিতাব লিখে গেছেন।

  • @kawsaralam7718
    @kawsaralam7718 ปีที่แล้ว +1

    হে আল্লাহ্! আমাকে প্রিয় নবী পিতা-মাতাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নছিব করেন। আমীন

  • @maishahomeoclinic5510
    @maishahomeoclinic5510 2 ปีที่แล้ว +2

    আসসালামুয়ালাইকুম হুুজর। আপনার ওয়াজ খুব ভালো লাগে।

  • @jithaque3427
    @jithaque3427 2 ปีที่แล้ว +4

    আল্লাহ যেটা ভালো সেটাই করবেন ♥️♥️♥️

  • @masfikhan2382
    @masfikhan2382 7 หลายเดือนก่อน

    আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ,,তিনি অসীম দয়ালু ও মেহেরবান।।। মহান আল্লাহ, আমাদের নবীজির পিতা মাতাকে জান্নাতের উঁচ্চ মাকাম দান করুণ, এবং সম্মানীত করুণ আমিন, আমিন, সুম্মা আমিন।।। আর আমাদেরকে ও সঠিক পথে চলার, বুঝার, এবং আমল করার মতো সঠিক জ্ঞান দান করুণ, আমিন।।

  • @MdSharif-fg2bt
    @MdSharif-fg2bt 3 ปีที่แล้ว +3

    আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগল আলোচনাটা।❤️❤️❤️

  • @amdadullahmiazi3221
    @amdadullahmiazi3221 7 หลายเดือนก่อน +2

    মাশাল্লাহ জাঝাকাল্লাহ্ ধন্যবাদ আপনাকে হুজুর পরিস্কার করে বুঝিয়ে বলার জন্যে ।ইয়া আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত নছিব করুন ।আমীন ।

  • @satiakter1761
    @satiakter1761 3 ปีที่แล้ว +6

    বাবা রানু তোমার প্রতিটি কথা আমার ইমানকে তাজা করে। তোমার কথা গুলোর সাথে আমি একমত যুক্তি দিয়ে বোঝানোর জন্য।আল্লাহ সেই জামানায় ইব্রাহিম নবীর পুত্র ইসমাঈল এর বংশ হতে বনীইশরাইলের সবচেয়ে বড় গোত্র কুরাইশ বংশে এবং হাসেমি পরিবারে জন্মগ্রহণ করিয়েছেন।সুতরাং আমি প্রার্থনা করি আল্লাহ সুবঃ তাআলা নিকটে,তিনি যেনো রাসূল সাঃ এর মাতা-পিতাকে সর্বউচ্চ জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন

  • @MdMasum-i2x1t
    @MdMasum-i2x1t ปีที่แล้ว +1

    হে আল্লাহ আমার রাসুল (সঃ) পিতা মাতা কে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন (আমিন)

  • @mdarobali4174
    @mdarobali4174 ปีที่แล้ว +3

    মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ মারহাবা।

  • @sakibahumed8078
    @sakibahumed8078 2 ปีที่แล้ว +4

    আল্লাহ আপনে নবীর পিতা মাতাকে জান্নাত দান করুন।

  • @ShariarShuvoo
    @ShariarShuvoo 3 ปีที่แล้ว +15

    পৃথিবীর সকল মা বাবাদের শ্রেষ্ঠ মা বাবা হচ্ছেন,, মা আমেনা এবং আবদুল্লাহ্। কারন তাদের সন্তানই হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব,পুরো বিশ্বের রহমত, বিশ্বনবী (সাঃ)♥️

    • @arifbepari120
      @arifbepari120 2 ปีที่แล้ว

      আলহামদুলিল্লাহ

  • @gjhj7316
    @gjhj7316 3 ปีที่แล้ว +5

    ❤❤❤আল্লাহু আকবার সঠিক ❤❤❤SUBAHANALLAH ❤❤❤ALHAMDULILLAH. ❤❤❤

  • @skbangla1757
    @skbangla1757 2 ปีที่แล้ว +6

    হুজুর আপনার কথা শুনে অনেক ভালো লাগলো আলহামদুলিল্লাহ কথা গুলো বুঝিয়ে বলার জন্য

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @dr.armanislam2981
    @dr.armanislam2981 3 ปีที่แล้ว +5

    ধন্যবাদ আপনাকে,আপনার সুন্দর আলোচনার জন্য

  • @ArabiSojib
    @ArabiSojib หลายเดือนก่อน

    আলহামদুলিল্লাহ ❤
    সুবহানাল্লাহ

  • @arifulislam3592
    @arifulislam3592 ปีที่แล้ว +2

    ইসমাইল (আ) থেকে মুহাম্মদ (স) পর্যন্ত তার বংশধর সবাই মুসলমান ছিলেন। এবং আল্লাহ তাদের হেফাজত রেখেছেন।।।

    • @EliarsHussain-vq4qf
      @EliarsHussain-vq4qf 3 หลายเดือนก่อน

      Qabay silo 360 ti murti . Abdul mottalib o taar cheleraa silo qabar mutalli. Abbas ibne Abdul mottalib. Hamja ibne Abdul mottalib o sufiya binte Abdul mottalib islamer jug peye pouttolik dhormo tag kore iman enese. Aar abu lahab o Abu Talib iman naa ene jahannami hoyese. Abu Talib bolesilo ami amar baabar dhormo tag kore vatijar dhormo grohon korbo naa. Ekhanei bujha jachse Abdul mottalib ebong taar poribaarer dhormo ki silo

  • @sksaddamsk282
    @sksaddamsk282 2 ปีที่แล้ว +3

    নামের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই,নামের সাথে ভাষার সম্পর্ক।

  • @rajrubel911
    @rajrubel911 ปีที่แล้ว +3

    সহজ ভাবে বুজানোর জন্য হুজুর কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

  • @mohammadalauddin513
    @mohammadalauddin513 ปีที่แล้ว

    খুব সুন্দর আলোচনা, জাযাকাল্লাহ।।

  • @রাইয়ানজান্নাতমিমফা-ড৯ঞ

    হুজুর অনেক সুন্দর জবাব দিছেন। ওদের খায়দায়ে কোন কাজকাম নেই তাই এগুলো নিয়ে পড়ে থাকে।

  • @mijankhan9429
    @mijankhan9429 ปีที่แล้ว

    মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর বয়ান

  • @mstbeautyakterpoly-pw4ik
    @mstbeautyakterpoly-pw4ik ปีที่แล้ว

    হে আল্লাহ তুমি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতা মাতাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন

  • @mctv895
    @mctv895 2 ปีที่แล้ว +4

    সুন্দর আলোচনা সুবাহানাল্লাহ ধন্যবাদ হুজুরকে

  • @ShamimAhmed-gg5fs
    @ShamimAhmed-gg5fs 3 ปีที่แล้ว +5

    মাশা আল্লা হ অনেক সুন্দর

  • @Mdsojib-nz9oc
    @Mdsojib-nz9oc 3 ปีที่แล้ว +11

    আল্লাহ পাক যেন নবী করিম সাঃ বাবা-মা যেন জান্নততুল ফেরদৌস দান করোক আমিন

    • @md.thandusikder7792
      @md.thandusikder7792 2 ปีที่แล้ว

      আমিন

    • @sakibraz420
      @sakibraz420 2 ปีที่แล้ว

      ভাই আপনি আন্দাজে দোয়া কোরবেন নাহ প্লিজ সঠিক জানুন তারপর।

    • @omarfaruk-hv1zp
      @omarfaruk-hv1zp 2 ปีที่แล้ว +2

      @@sakibraz420 আন্দাজির কি আছে। নবীজির মা বাবা এমনেই জান্নাতি। দোয়ার দরকার নেই

    • @sakibraz420
      @sakibraz420 2 ปีที่แล้ว

      @@omarfaruk-hv1zp vai apni hoy to janen nah ai jonne bolchen...age janun then bolun.

    • @omarfaruk-hv1zp
      @omarfaruk-hv1zp 2 ปีที่แล้ว

      @@sakibraz420 আপনি কি জানেন না!! ইউনুস আঃ কে পেটে রাখার কারনে সেই তিমি মাছ জান্নাতে যাবে আর যে মা আমেনা প্রিয় নবীজিকে ১০ মাস ১০ দিন পেটে ধারণ করেছেন তাকে জান্নাতি বলার জন্য আপনি কিভাবে দলিল খুজেন??আপনি আহালে সুন্নাত ওয়াল জামাতের চশমা লাগান তাহলেই দেখবেন কে জান্নাতি আর কে জাহান্নামি

  • @mdislam4034
    @mdislam4034 3 ปีที่แล้ว +2

    Inso Allah.. Subahan Allah! Alhumdu lillah! Allahu akbar! La Ilaha Illallah Mohammadur Rasul wllah! Amen!

  • @mctv895
    @mctv895 2 ปีที่แล้ว +2

    হে আল্লাহ তাআলা আপনি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিতা মাতার কে। জান্নাতের উচমাকা দান করুন আমিন

    • @abdullahsajib1387
      @abdullahsajib1387 2 ปีที่แล้ว

      Amin

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @mdsifatkhan731
    @mdsifatkhan731 ปีที่แล้ว

    হুজুর কে সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ

  • @mdmohsinkabir4371
    @mdmohsinkabir4371 ปีที่แล้ว

    মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর আলোচনা।

  • @riadhasan9725
    @riadhasan9725 2 ปีที่แล้ว +3

    আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
    জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল। আমার পিতা কোথায় আছেন ( জান্নাতে না জাহান্নামে)? রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, জাহান্নামে। বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি যখন চলে যেতে লাগল, তিনি ডাকলেন এবং বললেন, আমার পিতা এবং তোমার পিতা জাহান্নামে। (ই.ফা. ৩৯৪; ই.সে. ৪০৭)
    সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৮৮
    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
    Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD

  • @mahbubrahman9373
    @mahbubrahman9373 ปีที่แล้ว +2

    আবু তালেবকে মূল্যায়ন করলেই সব উত্তর পাওয়া যায় ৷

  • @mak22852
    @mak22852 ปีที่แล้ว

    অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে।

  • @mdismaelhosan3413
    @mdismaelhosan3413 2 ปีที่แล้ว +1

    হুজুরের বয়ান টা খুব ভালো লাগছে, 👍

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @MdImran-lt2ec
    @MdImran-lt2ec 2 ปีที่แล้ว +2

    তবে তখনকার সময়, ঈসা (আঃ) বা অরিজিনাল খ্রিস্টানরা জান্নাতে যাবে। যারা আল্লাহর পথ অনুসরণ করেছে ও আগত নবি রাসূল দের অনুসরণ করেছে।

  • @mdsani87
    @mdsani87 2 ปีที่แล้ว +1

    What a wonderful explanation That's why I like you jonab May Allah pleased be with you amin

  • @riyadislamicmedia4541
    @riyadislamicmedia4541 3 ปีที่แล้ว +3

    মাশাআল্লাহ দারুণ বয়ান

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @rihanhalder7172
    @rihanhalder7172 3 ปีที่แล้ว +6

    আমি আপনার সব ভিডিও দেখি,,খুব ভালো লাগে ভিডিও গুলা,,,

  • @muzammilhusen633
    @muzammilhusen633 3 ปีที่แล้ว +1

    ধন্যবাদ হুজুর আপনার কথাগুলো খুব সুন্দর।

  • @skbangla1757
    @skbangla1757 2 ปีที่แล้ว +5

    কিন্তু আমাদের মতে. পৃথিবীতে যদি কোন ভাগ্যবান বাবা-মা হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বাবা মা......!!!

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @syedsarifuddin7784
    @syedsarifuddin7784 ปีที่แล้ว

    আমার নবী সাঃ মা বাবা পূর্ন জান্নাতী।

  • @princeshalim2361
    @princeshalim2361 ปีที่แล้ว

    আপনার বোঝানো অনেক অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে

  • @romanred2494
    @romanred2494 9 หลายเดือนก่อน +1

    মূল বিষয়টা কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন,আবেগ আর বাস্তবতা এক না।যতই কাহিনী করেন

  • @Islamic_video_channel-2024
    @Islamic_video_channel-2024 5 หลายเดือนก่อน

    ❤️ প্লিজ মনোযোগ দিন সবাই ❤
    যতটুকু আমি জানি যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহ তালার কাছে তার মায়ের কবর জিয়ারতের জন্য অনুমতি চাইছিলেন আর তারপর আল্লাহ তাআলা অনুমতি দিয়েছিলেন, তারপর নবী করীম সাঃ ১৪০০ সাহাবী নিয়ে তার মায়ের কবর জিয়ারত করছিলেন।
    ♥️♥️

  • @beautifulbangladesh1948
    @beautifulbangladesh1948 ปีที่แล้ว +2

    জান্নাতি জান্নাতি জান্নাতি💜💜💜🤲

  • @mdkawserporamanik2207
    @mdkawserporamanik2207 2 ปีที่แล้ว +2

    আল্লাহ তুমি নবিজির পিতা মাথা জান্নাত দিও

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @BarikBarik-qt9ig
    @BarikBarik-qt9ig 7 หลายเดือนก่อน

    আমার নবীর স এর মা বাবা জান্নতী

  • @Zammat-ry2kr
    @Zammat-ry2kr 9 หลายเดือนก่อน

    ইব্রাহিম নবী কি নবীজির বাপ বার যুগে ইসলামের দাওয়াত দেই নি? হুজুর ভালো করে হাদীস কোরআন পড়ার অনুরোধ রইলো।

  • @akhtarulazad9632
    @akhtarulazad9632 7 หลายเดือนก่อน

    সুন্দর আলোচনা ❤

  • @JordanAbram007
    @JordanAbram007 9 หลายเดือนก่อน

    আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে আরয করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা কোথায়? রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমার পিতা জাহান্নামে। একথা শ্রবণ করে লোকটি দুঃখিত হয়ে ফিরে যাচ্ছিল, তখন রাসূল (ছাঃ) তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বললেন, আমার পিতা এবং তোমার পিতা উভয়েই জাহান্নামী (মুসলিম হা/২০৩; আবুদাঊদ হা/৩৯৪৯; ছহীহাহ হা/২৫৯২)।

  • @MrkichirMichir
    @MrkichirMichir 10 หลายเดือนก่อน

    Nobijir maa,baba jannati atai hoq

  • @gjhj7316
    @gjhj7316 3 ปีที่แล้ว +2

    আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত ও সুস্থ করুন রাখুন আমিন সবাইকে হেদায়েত করুন আমিন

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @mayenuddin1058
    @mayenuddin1058 7 หลายเดือนก่อน

    মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাই

  • @sisirahammed4075
    @sisirahammed4075 2 ปีที่แล้ว +1

    হুজুর সুন্দর উত্তর দিয়েছেন

  • @ramijuddin919
    @ramijuddin919 ปีที่แล้ว

    সুন্দর আলোচনা মারহাবা

  • @hanifali259
    @hanifali259 2 ปีที่แล้ว +1

    আমার কখনো মনে হয় না যে আল্লাহর নবী (সা:) এর বাবা মা জাহান্নামে যাবে। এই ধরনের আরও অনেক কিছু হাদিসে এসেছে। এখন আমার মতো সাধারণ মানুষ পরেছি বিপদে। হাদিসের কথা বিশ্বাস না করলেও বিপদ, আবার কিছু কিছু কথা বিশ্বাস করলেও বিপদ। যার জন্য আমার হাদিসের সব কথা বিশ্বাস হয় না।

  • @islamicmediajs3840
    @islamicmediajs3840 3 ปีที่แล้ว +1

    Khub sondor alocona... Muslim name kichu omanush der dad baga jobab

  • @MdMamun-pg5nk
    @MdMamun-pg5nk ปีที่แล้ว +1

    হুজুরের যুক্তি সঠিক

  • @MdAli-vv1pu
    @MdAli-vv1pu 2 ปีที่แล้ว +1

    মাওলানা সঠিক উত্তর দিয়েছেন আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমি

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      ইব্রাহিম আঃ এর পিতা মুমিন ছিলেন!
      ক্বামূস নামক অভিধানে আছে-আযর হলো ইব্রাহিম আঃ এর চাচার নাম।ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহঃও তাঁর 'মাসা-লিকুল হুনাফা' নামক কিতাবের মধ্যে অনুরূপ লিখেছেন।চাচাকে পিতা বলার প্রচলন অনেক দেশেই রয়েছে,বিশেষ করে আরবে।
      আমরাও অনেকে বাবার বড় ভাইকে 'বড় আব্বু' বলি।মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর 'মেঘনাদবধ' কাব্যে চাচাকে 'তাত'(পিতা) বলে সম্বোধন করেছেন;যেখানে অনিন্দম বিভীষণকে বলে,"হায়,তাত,উচিত কি তব এ কাজ,নিকষা সতী তোমার জননী,সহোদর রক্ষঃশ্রেষ্ঠ?..."
      দ্বিতীয়ত,তাফসিরে ইবনে কাসিরের ২য় খন্ড ২৪০পৃ,তাফসিরে মাযহারির ৩য় খন্ড ২৫৬পৃ,তাফসিরে কবির ১৩তম খন্ডের ৩৯পৃ,তাফসিরে তাবারি ৫ম খন্ডের ১৫৮পৃ এবং তাফসিরে বাইদ্বাবি ১ম খন্ডের ৩০৭পৃষ্ঠায় রয়েছে-"ইব্রাহিম আঃ এর পিতার নাম-তারাহ আঃ।"
      তৃতীয়ত,কোনো কোনো বর্ণনায় ইব্রাহিম আঃ এর বাবার নাম আযরও আছে,কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য হবে না,কারণ কুরআনের সূরা শুয়ারার ২১৯নং আয়াতের ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার(রাসুলুল্লাহর) পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস,সূরা শুয়ারা-২১৯ নং এর তাফসির)।আর রাসুল সঃ ছিলেন ইব্রাহিম আঃ এরই বংশধর।ইব্রাহিম আঃ এর বাবা মূর্তিপূজক হলে রাসুলুল্লাহ সঃ এর পূর্বপুরুষ মুশরিক হবেন।নাউজুবিল্লাহ!
      একটা Confusion দূরীকরণঃ-
      মুসলিম শরীফে রাসুল সঃ এক ব্যক্তিকে বলেন,"তোমার পিতা ও আমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"এই হাদিস দিয়ে অনেকে বলতে পারে,রাসুলুল্লাহর পূর্বপুরুষ মুমিন ছিলেন না।নাউজুবিল্লাহ!অথচ বিখ্যাত ইমামগণ হাদিসটিকে মানসুখ(রহিত) বলেছেন।(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২ পৃ;আল হাবিলিল ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।মানসুখ আয়াত হচ্ছে,যে আয়াতটি রহিত হয়ে গেছে বা এটা দিয়ে কোনো দলিল দেয়া যাবে না।অনেকের মতে,হাদিসটিতে 'আমার পিতা' দ্বারা রাসুল সঃ চাচা আবু তালিবকে বুঝিয়েছেন।
      আবারও Confusion দূরীকরণঃ-
      শুধু রাসুল সঃ না,কোনো নবির সন্তান ও মা-বাবা ইমানহীন ছিলেন না।অনেকে বলতে পারেন,নূহ আঃ এর ছেলে কাফের ছিল।নূহ আঃ এর সন্তান কাফের ছিল ঠিক,কিন্তু সে নূহ আঃ এর সরাসরি সন্তান ছিল না।

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।

  • @ajimulhoque2540
    @ajimulhoque2540 3 ปีที่แล้ว +4

    May Allah Almighty bless you.

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @mdraselislam8570
    @mdraselislam8570 ปีที่แล้ว

    মাশাআল্লাহ খুব শূনদর

  • @MahabubAlam-fm9do
    @MahabubAlam-fm9do ปีที่แล้ว

    আল্লাহ যুযে যুগে অসংখ্য নবী রাসুল পাঠিয়েছেন। এবং104 খানা কিতাব পাঠিয়েছেন। উক্ত নবীদের এবং নাযিলকৃত কিতাব যারা অনুসরন করেছেন , তাঁরা অবশ্যই জান্নাতী এবং মোহাম্মদ (স) এর উপর কোরআন নাজিলের পূর্বে সবশেষ যে নবী এবং কিতাব নাজিল হয়েছিল তা যারা মেনে চলেছেন তারাও জান্নাতী।

  • @sohelrana-vh7wp
    @sohelrana-vh7wp 3 ปีที่แล้ว +1

    নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের সম্পর্কে খুব সাবধানে এবং অত্যন্ত আদব ও শরাফতের সাথে কথা বলতে হবে। হাবিবুল্লাহ্ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা-সম্মানীত পিতা মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা অবশ্যই জান্নাতী ! এবং সম্মানীত জান্নাত উনার মালিক। স্বয়ং জান্নাত উনাদের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে, কখন উনাদের পা মুবারক জান্নাতে পড়বে।
    আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা ফিতরাত যুগের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং উনারা দ্বীনে হানিফের উপর কায়িম ছিলেন।
    পবিত্র কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে।” (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯)
    আলোচ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে হিববান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূর মুবারক সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন।” (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/৪৫)

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว +1

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @ranaislan1052
    @ranaislan1052 2 ปีที่แล้ว

    Subhanallha............amin summa amin................

  • @majormejor4368
    @majormejor4368 ปีที่แล้ว +2

    কেউ কারোর বোঝা বইবে না তাই সাবধান নিজের চিন্তা করো নিজের বংশধরদের চিন্তা করো আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্খীদের চিন্তা করো প্রতিবেশীদের চিন্তা করো। যদি ভালো মনের মানুষ হয়ে থাকো সকল মানুষের জন্য চিন্তা করো জীবনের চেয়ে বাধ্যক্য কঠিন বার্ধক্যের চেয়ে কবর বড় কঠিন কবর বড় ভয়াবহ। সময় গেলে সাধন হবে না তাই সময় থাকতে নিজেকে প্রস্তুত করো ওপারের জন্য।

  • @kalamhalder3496
    @kalamhalder3496 ปีที่แล้ว

    আল্লাহ তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কে কখনো নিরাশ করবেন না । আল্লাহর রাসূল হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতা ও মাতার ধর্মীয় আক্বিদা আল্লাহর উলুহিয়াত সম্পর্কে সঠিক ধারণা ছিল ।এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরগণ প্রত্যেকে আল্লাহর উলুহিয়াত সম্পর্কে মূল আক্বিদা ভিত্তিক জীবন যাপন করেছেন ও প্রচার করে গেছেন। সেই কারণেই আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতা ও মাতা অবশ্যই আল্লাহর উলুহিয়াত এর উপর ম‌ত্যূ বরণ করেছেন।

  • @MdAsif-bk2cd
    @MdAsif-bk2cd 3 ปีที่แล้ว

    আল্লাহ আকবার আমার আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন

  • @clubfootballs621-p7x
    @clubfootballs621-p7x 2 ปีที่แล้ว +3

    ইসলামী সঠিক জ্ঞান না থাকলে এমন বক্তাই এমন বক্তৃতা দেবে এটাই স্বাভাবিক।

    • @MdMohin-mn7to
      @MdMohin-mn7to 2 ปีที่แล้ว

      আপনি কোন বিশব্বিদ্যালয়ের থেকে পিএইচডি করছেন??

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @minarahhussin4287
    @minarahhussin4287 3 ปีที่แล้ว +2

    ماشاءالله تبارك

  • @hanifali259
    @hanifali259 2 ปีที่แล้ว +1

    আজকে ইসলামকে ভাগ ভাগ করেছে, হাদিস। অনেকেই সমালোচনা করেছে এবং নাস্তিক হয়েছে, এই ধরনের কিছু হাদিস নিয়ে বিভ্রান্তিতে পরে। আর যদি কোরআন শরীফ এর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো তাহলে, এরকম হতো না।

  • @SeJibonkimar
    @SeJibonkimar ปีที่แล้ว

    পৃথিবীতে সনাতন ধর্ম সত্য❤❤❤❤

    • @Bd.Mamun.
      @Bd.Mamun. ปีที่แล้ว

      আবাল ভুদা যে কই থেকে আছে বুজি না😂😂

  • @anikrahman1717
    @anikrahman1717 3 ปีที่แล้ว +1

    খুব সুন্দর আলোচনা।

    • @tahsinhossainstudent5742
      @tahsinhossainstudent5742 2 ปีที่แล้ว

      রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন-
      কুরআন থেকেঃ-
      ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)।
      হাদিস থেকেঃ-
      ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭)
      ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা)
      ফেকাহ ও অন্যান্যঃ-
      ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী)
      ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা)
      ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
      ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ)
      Confusion দূরীকরণঃ-
      ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।'
      ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
      DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।

  • @muhammadamirhosain5641
    @muhammadamirhosain5641 2 ปีที่แล้ว

    masaallah hujur apnake allah kobul korun

  • @lalongayen8318
    @lalongayen8318 3 ปีที่แล้ว +1

    I LOVE YOU MUHAMMAD LIKE 😍😍

  • @towheedakhond2202
    @towheedakhond2202 ปีที่แล้ว +2

    রাসুল সাঃ যা বলে গেছেন এবং সাহাবীরা যা বুঝেছেন, আমাদেরকে সেইভাবেই বুঝতে হবে, ইসলাম আবেগ দিয়ে চলেনা,

  • @mdaryanriyaz4359
    @mdaryanriyaz4359 2 ปีที่แล้ว

    আপনার বক্তব্য ভালো লাগলো

  • @tntgamer2482
    @tntgamer2482 7 หลายเดือนก่อน

    জি,, এটা নিয়ে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত তর্ক বিতর্ক না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।।

  • @RabeyaJannat-et1lh
    @RabeyaJannat-et1lh 2 หลายเดือนก่อน

    আমাদের রাসূল (স) তার পিতা মাতা জান্নাতি , তারা শ্রেষ্ঠ পিতা মাতা।

  • @SalamMondal-d5q
    @SalamMondal-d5q ปีที่แล้ว

    Beautiful huzur