........ শুনছি , পছন্দের গল্প.... best of luck...👌❤️🙏 ......... এতো শুধু গল্প নয় , বাস্তব জীবন সংসারে নারীর নির্মম অস্তিত্ব হয়তো , আজও নারী বহু ক্ষেত্রেই " অনাদৃতা " ! অর্থ- রুপ এসবের মূল্যে বহু সংসারে আজ ও ভোগের ধ্বজ্জাধারী কিছু নারী ও পুরুষ তাদের ভোগের পরে সেই সব কিছু দেওয়া নারীকেই অলক্ষী, অসতী.…... ইত্যাদির নামে সাংসার থেকে বিতাড়িত করে এক অর্থে ঠেলে দেয়...... সমাজের কামুক পুরুষদের কামনার আগুনে পুড়তে, এর পর সেই নারী হয় পতিতার অপমান নতুবা অকাল মৃত্যুকে বেছে নিতে বাধ্য হয়........! গল্পের ' মালতী 'সহ্যের সীমা ছাড়বার পর সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে সে ও পচে গলেই মরতো ' অনাদৃতা ' হয়ে.....! আজও কি এই রকম নারী অত্যাচার কম হয় ! কে তার হিসাব রাখে......! অতি সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে লেখা তবে, গল্পের আকারে.....কিন্তু, লেখার অনুভূতি কে তোমার সপ্রতিভ কন্ঠে স্পষ্ট অনুভব করলাম.......... সার্থক 🙏 ভালো থেকো....... নতুন দিনের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ভালোবাসা নিও..…👌❤️🙏💐
কি সুন্দর করে পাঠ কর দিদিভাই । মুগ্ধ হয়ে শুনি। তুলনাহীন । খুব ভাল লাগল। গল্পটি বড় বেদনাদায়ক। তবু ভাল ছোটো বউ নিজের স্বরূপ উপলব্ধি করে ঘর ছেড়ে বের হয়ে গেল । এটার ই দরকার আজকের নারীদের।
Undoubtedly, a touching story: thank you so much for selecting and reading it out...💖💖💖 Such a story can hardly be forgotten. Each paragraph of it posseses a profound emotional power.. By the way, it will not at all be an exaggeration to say that it's one of the best stories the audio recording of which you have uploaded until now.
মর্মস্পর্শী একটা গল্প শুনলাম। মুগ্ধ হলাম তোমার দৃপ্ত সুন্দর কন্ঠে পাঠ শুনে। এত ভাল অভিনয় কর তুমি তন্দ্রা বোন, যে বারবার শুনতে ইচ্ছে করে। আমি তোমার থেকে অনেক টাই বড়, তাই তুমি বললাম। অনেক ভালবাসা ❤❤।
গল্পটি কেমন যেন অবাস্তব লাগলো ৷ সত্যেন্দ্রের মতো একজন দয়ামায়ামমতা কর্তব্যহীন একজন কাপুরুষের উপর রাগ বা অভিমান করে মালতা কোন চরম পদক্ষেপ করবে কেন? তার এতদিনের সহিষ্ণুতাও বিশ্বাসযোগ্য লাগছে না। লেখিকা গল্পের মাধ্যমে কি বার্তা দিতে চেয়েছেন তা বোঝা গেল না ৷ আপনার পরিবেশনা যথাযথ ৷
A few lines from this particular story: [Set-3]-[From the last letter which Malati wrote to Satyendranath]: ....ভাবিয়াছিলাম, চুপ করিয়া সহিয়া থাকিব। কিন্তু কিছুতেই সহিতে পারলাম না। তাই অনেক ভাবিয়া দেখিলাম। কেরাসিন-নায়িকার দলবৃদ্ধি করা অপেক্ষা আমি যে পথ অবলম্বন করিয়াছি, তাহাই আমার কাছে ভাল মনে হইল। আমি সেই পথেই যাত্রা করিলাম। ভগবানের কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন আমাকে ঠিক স্থানে পৌঁছে দেন। তুমি ভ্রমেও ভাবিও না যে, বড়দিদির লাঞ্ছনা অসহ্য হওয়াতে আমি এমন কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছি, বড়দিদির অপরিসীম অত্যাচার আমি সহাস্যমুখে সহ্য করিতে পারিতাম যদি তুমি আমার মান অপমান, সুখ-দুঃখের প্রকৃত সাথী হইতে। তুমি তো এক দিনের জন্য তাহা হও নাই। তুমি সর্বদাই সকলের কাছে আপনার মর্য্যাদা বজায় রাখিতে ব্যস্ত থাকিতে। কিন্তু একথা কখনও ভাবিয়াছ কি যে আমার ও আত্মমর্যাদার জ্ঞান আছে; এবং আমি আকাশ হইতে মাটিতে খসিয়া পড়ি নাই। মা বাপের কোলেই আমি জন্মিয়াছিলাম। এবং তাঁহাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভক্তি তোমার পিতৃ-মাতৃ ভক্তি অপেক্ষা এক তিল কম নহে? যাঁহাদের কন্যাকে পত্নী পদ দিয়াছ, সেই আমার স্বর্গস্থ পিতা মাতার অপমান যখন তোমার পুরুষের প্রাণ স্পর্শ করিতে পারিল না, তখন আমিই বা তোমার পরিবারের কথা ভাবিব কেন? আমার গৃহত্যাগে তোমাদের পারিবারিক সম্মানে আঘাত লাগিবে, এই কথা ভাবিতে আজ আমার ক্রুর আনন্দ হইতেছে। নিজের জীবন বলি দিয়া আমি সকল অপমান অবহেলার চুড়ান্ত করিয়া যাইব। আমার দিক হইতে তোমাদের সমস্ত সুখ সম্মান, সুবিধা অক্ষুণ্ণ রাখা চাই অথচ আমার দিকটা তোমরা একেবারেই ভাবিবে না, এ কথাটা আমি সহ্য করিতে পারি না। মানুষ মাটি বা পাথর নয় যে প্রয়োজন মত তোমরা তাহা হইতে কিছু কাটিয়া লইবে কিন্তু তাহাকে কিছুই ফিরাইয়া দিবে না। নারী দেহেও যে প্রাণ আছে তাহা তোমরা ভুলিয়াছ, নিজে নারী হইয়া আমি তো তাহা ভুলিতে পারি না। হিন্দু রমণী মুখ ফুটিয়া কখন স্বামীকে ভালবাসা জানায় না। স্বামী যদি নিজের সহৃদয়তা দ্বারা স্ত্রীর ভালবাসা না বুঝেন তবে স্ত্রীর সাধ্য নাই সে অনির্বচনীয় ভাব তাঁহাকে জোর করিয়া বুঝাইয়া দিবে। আমি তোমাকে ভালবাসি তা এখন ও যে সে ভালবাসার একবিন্দু হ্রাস হইয়াছে এমন নহে তবু আজ শেষ বিদায় ক্ষণে "বাসি” বলিয়া কোন লাভ নাই, তাই বলিতেছি "বাসিতাম"। প্রতিদানহীন প্রচণ্ড প্রেম দিবারাত্রি আগুনের মত আমার মনের মধ্যে জ্বলিত, সে অসহ্য দহনে আমার ধৈর্য্য, স্থৈর্য্য কর্তব্য বুদ্ধি সব জ্বলিয়া গিয়াছে। আজ আমি আপনার বশে নাই। একদিন ছিল, যখন দেবতার আসনে তোমাকে বসাইয়া আমার তৃপ্তি হইত না। আজ দেখিলাম তুমি সংসারের অপর সাধারণ দশজনের মতই; সমস্ত মলিনতা পঙ্কিলতার বীজ তোমার মধ্যে সুপ্ত আছে তাহা আমি বুঝিয়াছি। আমার দেবতার এই মলিন মূর্তি চোখে দেখিয়া, আমার আর সংসার বাসের প্রবৃত্তি নাই। তোমাকে শ্রদ্ধা করিতে পারিব না- তোমার সঙ্গে মিলিয়া তোমার সংসার করিব কি করিয়া? তোমার সহিত পাছে কপটতা করিতে হয় সেই ভয়ে তোমার জীবনের পথ হইতেই সরিয়া যাইতেছি। তুমি আবার বিবাহ করিবে নিশ্চয়। কিন্তু চিরবিদায়ের দিনে তোমাকে অনুরোধ কবিতেছি আর কাহাকেও এমন দুঃখ দিও না। আর উপার্জনক্ষম হইয়া বিবাহ করিও তাহা হইলে বড়দিদির বাক্যবাণ সহিতে হইবে না। আমাকে বিবাহ করিয়া অনেক সময় বড়দিদির নিকটে অন্যায় কথা শুনিয়াছ- সে সকল হইতে তোমাকে মুক্তি দিয়ে গেলাম। তুমি না কি দেশোদ্ধারের সংকল্প করিয়া কলেজ ত্যাগ করিয়াছ, এখন তুমি কি করিবে সে কথায় আমার আব প্রযোজন নাই। তবে সংসারে আমার ন্যায় হতভাগিনীর সংখ্যা বিরল নহে। তাহাদের জন্য বলিতেছি- অত বড় দেশোদ্ধারের কথা না ভাবিয়া, সেই অভাগিনীদের তাহাদের অন্ধকার জীবন হইতে উদ্ধার করিতে পারিলে দেশের মঙ্গল হয়। যদি নিজের হৃদয় দিয়া কখনও নারীর হৃদয় বুঝিবার চেষ্টা কর তবে দেখিবে, এই চিরলাঞ্ছিত নারী জাতি মনের মধ্যে কত গভীর গোপন দুঃখ বহন করিয়া হাসিমুখে সুব্যবস্থায় তোমাদের সংসার পরিচালনা করে, ঈশ্বর চরণে আমার প্রার্থনা তিনি যেন একদিন তোমার অন্ধ চোখ খুলিয়া দেন।...
A few lines from this particular story: [Set-2] 2. …মালতী শয্যার উপরে উঠিয়া বসিল দুই হাত জোড় করিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে কহিল, "কখনো কিছু চাইনি-আজ জোড় হাত করে বলছি তোমায়, এর একটা প্রতিকার কর তুমি। আমি আমার পিতৃ অপমান আর সইতে পারি না যে। আমি তোমদের বৌ, এই অধিকারে আমার বাপকে শুদ্ধ গিন্নীর গাল খেতে হচ্চে। কিন্তু বৌএর কোন অধিকার আমায় দিয়েছ বল দেখি? তিলে তিলে শুধু আমার বুক ভেঙ্গে দিচ্ছ না?" সত্যেন্দ্র ব্যস্ত হইয়া কহিল- "কি করচ? কেউ শোনে যদি" "এখনো সেই ভয় তোমার? কেউ শোনে যদি, তোমার একটু নিন্দে হবে-এই ত? সেইটুকু সইবার মত তেজ তোমার নেই? তোমার সম্ভ্রম বজায় রাখতে আমার সকল দুঃখে পাথর চাপা দিয়ে রাখব, আর তুমি আমার দিকে ফিরেও চাইবে না, এমন পাষান তুমি-মাগো।"
A few lines from this particular story: [Set-1] 1.. মালতী....লক্ষ্মীর একখানি বিস্তারিত পত্র পাইল, পত্রে প্রথমঅংশ এই রূপ- "….আমাদের দেশের বৌগুলির কি দশা ভাবিয়া আকুল হইতে হয়। আমার মাসতুত ভাই অমলকে জানত? অমল গতবার বি-এ ফেল করিয়াছিল; এবার তো পরীক্ষাই দিল না। নন-কো-অপারেশন করিতেছে। কিন্তু তাহার চোটটা ইংরাজকে বিন্দু মাত্র ও স্পর্শ করিতে পারে নাই; অন্য দিকে সর্ব্বতো ভাবে নিরপরাধ বধূ ও তাহার পিতৃ পরিবারের যন্ত্রণার বিষয় হইয়াছে। অমল পরীক্ষা দেয় নাই; রোজগার করে না, এ সকলই বধূর দোষ বলিয়া গণ্য হইয়াছে। আমার মাসীমারা ছেলের রূপগুণ ও বংশ মর্যাদার জোরে শিক্ষিতা মেয়ে ঘরে আনিয়াছিলেন। সে শিক্ষার মর্য্যাদাটা তাঁহারা খুব দিতেন, উপযুক্ত শিক্ষা যে মানুষের মনে অধিকতর আত্মবোধ ও সম্মান জ্ঞান জাগাইয়া দেয় এই সহজ কথাটি যাহারা না বুঝে, তাহাদের লইয়া বড় বিপদ। মাসীমার বাড়ী আমাদের বাড়ীর পাশেই। দিবারাত্র তাহাদের বাড়ী অশান্তি কলহ লাগিয়াই আছে। সমস্ত বিষয়ে বাক্যহীন বউটাকে উপলক্ষ দাঁড় করানো হয়। অমল 'নন-কো- অপারেশন' করিতেছে। কিন্তু সে খুব সুবোধ ছেলে, পিতৃ-মাতৃভক্ত; বিবাহিতা ধৰ্ম্মপত্নীকে অন্যায় অত্যাচার হইতে রক্ষা করিবার মত পৌরুষ তাহার একবিন্দু নাই। দেখিয়া শুনিয়া দুঃখও হয় আবার হাসিও পায়। যে ছেলে আপনার সহধর্মিনীকে অযথা অপমানের হাত হইতে বাঁচাইতে পারে না। সে আবার একটা বিশাল দেশকে উদ্ধার করিবার কল্পনা স্বপ্নেও করিয়া থাকে। আমাদের দেশের ছেলেরা বিবাহ করে কেন বল দেখি? ঝি বা রাঁধুনী তো টাকা দিলেই পাওয়া যায়, তাহাই সংগ্রহ করিবার জন্য আমাদের দেশের কলেজে পাশকরা ছেলেগুলো পবিত্র বেদ মন্ত্র উচ্চারণ করে কেন, তাহা আমি বুঝতে পারি না।" এই রকম তীব্র বিদ্বেষে চিঠিখানি আগাগোড়া পূর্ণ। মালতী মনে মনে কহিল, "দেবতার মত স্বামী পেয়েছ- মেজদি তাই অত কথা বলতে পেরেছ; আমি আজ কালের ছেলেদের দোষ দিই কি করে? আমার স্বামী ও তো এ সম্প্রদায়ের বাহিরে নন।
........ শুনছি , পছন্দের গল্প.... best of luck...👌❤️🙏 .........
এতো শুধু গল্প নয় , বাস্তব জীবন সংসারে নারীর নির্মম অস্তিত্ব হয়তো , আজও নারী বহু ক্ষেত্রেই " অনাদৃতা " !
অর্থ- রুপ এসবের মূল্যে বহু সংসারে আজ ও ভোগের ধ্বজ্জাধারী কিছু নারী ও পুরুষ তাদের ভোগের পরে সেই সব কিছু দেওয়া নারীকেই অলক্ষী, অসতী.…... ইত্যাদির নামে সাংসার থেকে বিতাড়িত করে এক অর্থে ঠেলে দেয়...... সমাজের কামুক পুরুষদের কামনার আগুনে পুড়তে, এর পর সেই নারী হয় পতিতার অপমান নতুবা অকাল মৃত্যুকে বেছে নিতে বাধ্য হয়........!
গল্পের ' মালতী 'সহ্যের সীমা ছাড়বার পর সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে সে ও পচে গলেই মরতো ' অনাদৃতা ' হয়ে.....!
আজও কি এই রকম নারী অত্যাচার কম হয় ! কে তার হিসাব রাখে......!
অতি সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে লেখা তবে, গল্পের আকারে.....কিন্তু, লেখার অনুভূতি কে তোমার সপ্রতিভ কন্ঠে স্পষ্ট অনুভব করলাম.......... সার্থক 🙏
ভালো থেকো....... নতুন দিনের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ভালোবাসা নিও..…👌❤️🙏💐
অসাধারণ মতামত দিলে, ভালো থেকো আর সঙ্গে থেকো ♥️
মন ছুঁয়ে গেল ❤
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ♥️♥️
সুন্দর, হৃদয় বিদারক।
একদম ❤
খুবই সুন্দর
অসংখ্য ধন্যবাদ ❤️❤️
মৰ্মস্পৰ্শী কাহিনী। গল্প পাঠ অতি সুন্দৰ হৈছে। আপোনাক ধন্যবাদ জনালো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও 🙏
বেশ ভালো লাগলো
@@bratatighosh1071 আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ❤️
Khub sundar.
Sange theko❤❤❤
Awesome ❤
Thank you ❤
Kube sunder laglo golpo ta
Asonkhyo dhonyobad ❤
খুব সুন্দর গল্প ও গল্পপাঠ।
আমার আন্তরিক ধন্যবাদ রইল ❤❤
Golpopath khub sundor
Asonkhyo dhonyobad ❤❤❤
খুব সুন্দর পাঠ ও খুব ভালো লাগলো।
আন্তরিক ধন্যবাদ ।ভালো থেকো ❤❤
অপূর্ব সুন্দর গল্প ও গল্প পাঠ। খুব উপভোগ করলাম।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই,ভালো থাকবেন 🙏🏻❤
এই ঋদয় বিদারক কাহিনী যেন আমাকে নিয়েই লেখা।বাংলার ঘরে ঘরে এমন বাস্তব ঘটনার শেষ নাই ।ধন্যবাদ।
অনেক ভালো থেকো ❤
কি সুন্দর করে পাঠ কর দিদিভাই । মুগ্ধ হয়ে শুনি। তুলনাহীন । খুব ভাল লাগল। গল্পটি বড় বেদনাদায়ক। তবু ভাল ছোটো বউ নিজের স্বরূপ উপলব্ধি করে ঘর ছেড়ে বের হয়ে গেল । এটার ই দরকার আজকের নারীদের।
তোমার এতো ভালো মন্তব্য শুনে আমি খুশিতে ভরে গেলাম সমৃদ্ধ হলাম অবশ্যই এইভাবে সঙ্গে থেকো ❤❤❤❤
চমৎকার একটি আত্মসম্মানিতা নারীর নীরব প্রতিবাদের কাহিনী।অপূর্ব লাগল আপনার গল্প নির্বাচন ও পাঠ
@@sudeshnaroy7255 আমার আন্তরিক ধন্যবাদ রইল ♥️ ❤️
Eto sundar golpo Khub valo lagche Thanks
আন্তরিক ভালোবাসা রইলো ❤
Golpotao khub sundor
Akdom 💓
খুবই ভালো লাগলো গল্পটা । Birbhum থেকে বলছি ।
বীরভূমে থাকেন আপনি ...আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালবাসা রইল 🙏🏻❤❤
Undoubtedly, a touching story: thank you so much for selecting and reading it out...💖💖💖
Such a story can hardly be forgotten. Each paragraph of it posseses a profound emotional power..
By the way, it will not at all be an exaggeration to say that it's one of the best stories the audio recording of which you have uploaded until now.
Thank you so much 💖💖💖
Eta e narijatir jiboner kahini.
Akdomi tai ❤❤
Khub valo❤❤❤
Thanks a lot ❤❤❤
এটা গল্প হলেও সত্যি বাস্তব জীবনেও এই রকম ঘটনা অনকের জীবনে ঘটা কোন অস্ভাবিকতা নয়
একদমই তাই,ভালো থাকবেন ❤❤
মর্মস্পর্শী একটা গল্প শুনলাম। মুগ্ধ হলাম তোমার দৃপ্ত সুন্দর কন্ঠে পাঠ শুনে। এত ভাল অভিনয় কর তুমি তন্দ্রা বোন, যে বারবার শুনতে ইচ্ছে করে। আমি তোমার থেকে অনেক টাই বড়, তাই তুমি বললাম। অনেক ভালবাসা ❤❤।
এত সুন্দর মন্তব্য আমার মাথায় রাখলাম,আমি সমৃদ্ধ হলাম দিদিভাই এইভাবে পাশে থেকো আর খুব ভালো থেকো 🙏🏻❤❤
গল্পটি কেমন যেন অবাস্তব লাগলো ৷ সত্যেন্দ্রের মতো একজন দয়ামায়ামমতা কর্তব্যহীন একজন কাপুরুষের উপর রাগ বা অভিমান করে মালতা কোন চরম পদক্ষেপ করবে কেন? তার এতদিনের সহিষ্ণুতাও বিশ্বাসযোগ্য লাগছে না। লেখিকা গল্পের মাধ্যমে কি বার্তা দিতে চেয়েছেন তা বোঝা গেল না ৷ আপনার পরিবেশনা যথাযথ ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ ও আন্তরিক ভালোবাসা জানাই 🙏🏻❤❤
A few lines from this particular story:
[Set-3]-[From the last letter which Malati wrote to Satyendranath]:
....ভাবিয়াছিলাম, চুপ করিয়া সহিয়া থাকিব। কিন্তু কিছুতেই সহিতে পারলাম না। তাই অনেক ভাবিয়া দেখিলাম। কেরাসিন-নায়িকার দলবৃদ্ধি করা অপেক্ষা আমি যে পথ অবলম্বন করিয়াছি, তাহাই আমার কাছে ভাল মনে হইল। আমি সেই পথেই যাত্রা করিলাম। ভগবানের কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন আমাকে ঠিক স্থানে পৌঁছে দেন।
তুমি ভ্রমেও ভাবিও না যে, বড়দিদির লাঞ্ছনা অসহ্য হওয়াতে আমি এমন কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছি, বড়দিদির অপরিসীম অত্যাচার আমি সহাস্যমুখে সহ্য করিতে পারিতাম যদি তুমি আমার মান অপমান, সুখ-দুঃখের প্রকৃত সাথী হইতে। তুমি তো এক দিনের জন্য তাহা হও নাই। তুমি সর্বদাই সকলের কাছে আপনার মর্য্যাদা বজায় রাখিতে ব্যস্ত থাকিতে। কিন্তু একথা কখনও ভাবিয়াছ কি যে আমার ও আত্মমর্যাদার জ্ঞান আছে; এবং আমি আকাশ হইতে মাটিতে খসিয়া পড়ি নাই। মা বাপের কোলেই আমি জন্মিয়াছিলাম। এবং তাঁহাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভক্তি তোমার পিতৃ-মাতৃ ভক্তি অপেক্ষা এক তিল কম নহে? যাঁহাদের কন্যাকে পত্নী পদ দিয়াছ, সেই আমার স্বর্গস্থ পিতা মাতার অপমান যখন তোমার পুরুষের প্রাণ স্পর্শ করিতে পারিল না, তখন আমিই বা তোমার পরিবারের কথা ভাবিব কেন? আমার গৃহত্যাগে তোমাদের পারিবারিক সম্মানে আঘাত লাগিবে, এই কথা ভাবিতে আজ আমার ক্রুর আনন্দ হইতেছে। নিজের জীবন বলি দিয়া আমি সকল অপমান অবহেলার চুড়ান্ত করিয়া যাইব। আমার দিক হইতে তোমাদের সমস্ত সুখ সম্মান, সুবিধা অক্ষুণ্ণ রাখা চাই অথচ আমার দিকটা তোমরা একেবারেই ভাবিবে না, এ কথাটা আমি সহ্য করিতে পারি না। মানুষ মাটি বা পাথর নয় যে প্রয়োজন মত তোমরা তাহা হইতে কিছু কাটিয়া লইবে কিন্তু তাহাকে কিছুই ফিরাইয়া দিবে না। নারী দেহেও যে প্রাণ আছে তাহা তোমরা ভুলিয়াছ, নিজে নারী হইয়া আমি তো তাহা ভুলিতে পারি না।
হিন্দু রমণী মুখ ফুটিয়া কখন স্বামীকে ভালবাসা জানায় না। স্বামী যদি নিজের সহৃদয়তা দ্বারা স্ত্রীর ভালবাসা না বুঝেন তবে স্ত্রীর সাধ্য নাই সে অনির্বচনীয় ভাব তাঁহাকে জোর করিয়া বুঝাইয়া দিবে। আমি তোমাকে ভালবাসি তা এখন ও যে সে ভালবাসার একবিন্দু হ্রাস হইয়াছে এমন নহে তবু আজ শেষ বিদায় ক্ষণে "বাসি” বলিয়া কোন লাভ নাই, তাই বলিতেছি "বাসিতাম"। প্রতিদানহীন প্রচণ্ড প্রেম দিবারাত্রি আগুনের মত আমার মনের মধ্যে জ্বলিত, সে অসহ্য দহনে আমার ধৈর্য্য, স্থৈর্য্য কর্তব্য বুদ্ধি সব জ্বলিয়া গিয়াছে। আজ আমি আপনার বশে নাই। একদিন ছিল, যখন দেবতার আসনে তোমাকে বসাইয়া আমার তৃপ্তি হইত না। আজ দেখিলাম তুমি সংসারের অপর সাধারণ দশজনের মতই; সমস্ত মলিনতা পঙ্কিলতার বীজ তোমার মধ্যে সুপ্ত আছে তাহা আমি বুঝিয়াছি। আমার দেবতার এই মলিন মূর্তি চোখে দেখিয়া, আমার আর সংসার বাসের প্রবৃত্তি নাই। তোমাকে শ্রদ্ধা করিতে পারিব না- তোমার সঙ্গে মিলিয়া তোমার সংসার করিব কি করিয়া? তোমার সহিত পাছে কপটতা করিতে হয় সেই ভয়ে তোমার জীবনের পথ হইতেই সরিয়া যাইতেছি। তুমি আবার বিবাহ করিবে নিশ্চয়। কিন্তু চিরবিদায়ের দিনে তোমাকে অনুরোধ কবিতেছি আর কাহাকেও এমন দুঃখ দিও না। আর উপার্জনক্ষম হইয়া বিবাহ করিও তাহা হইলে বড়দিদির বাক্যবাণ সহিতে হইবে না। আমাকে বিবাহ করিয়া অনেক সময় বড়দিদির নিকটে অন্যায় কথা শুনিয়াছ- সে সকল হইতে তোমাকে মুক্তি দিয়ে গেলাম।
তুমি না কি দেশোদ্ধারের সংকল্প করিয়া কলেজ ত্যাগ করিয়াছ, এখন তুমি কি করিবে সে কথায় আমার আব প্রযোজন নাই। তবে সংসারে আমার ন্যায় হতভাগিনীর সংখ্যা বিরল নহে। তাহাদের জন্য বলিতেছি- অত বড় দেশোদ্ধারের কথা না ভাবিয়া, সেই অভাগিনীদের তাহাদের অন্ধকার জীবন হইতে উদ্ধার করিতে পারিলে দেশের মঙ্গল হয়। যদি নিজের হৃদয় দিয়া কখনও নারীর হৃদয় বুঝিবার চেষ্টা কর তবে দেখিবে, এই চিরলাঞ্ছিত নারী জাতি মনের মধ্যে কত গভীর গোপন দুঃখ বহন করিয়া হাসিমুখে সুব্যবস্থায় তোমাদের সংসার পরিচালনা করে, ঈশ্বর চরণে আমার প্রার্থনা তিনি যেন একদিন তোমার অন্ধ চোখ খুলিয়া দেন।...
খুব ভালো ❤
Vison mon choa gàlpo😢
Akdom ❤❤
A few lines from this particular story:
[Set-2]
2. …মালতী শয্যার উপরে উঠিয়া বসিল দুই হাত জোড় করিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে কহিল, "কখনো কিছু চাইনি-আজ জোড় হাত করে বলছি তোমায়, এর একটা প্রতিকার কর তুমি। আমি আমার পিতৃ অপমান আর সইতে পারি না যে। আমি তোমদের বৌ, এই অধিকারে আমার বাপকে শুদ্ধ গিন্নীর গাল খেতে হচ্চে। কিন্তু বৌএর কোন অধিকার আমায় দিয়েছ বল দেখি? তিলে তিলে শুধু আমার বুক ভেঙ্গে দিচ্ছ না?"
সত্যেন্দ্র ব্যস্ত হইয়া কহিল- "কি করচ? কেউ শোনে যদি" "এখনো সেই ভয় তোমার? কেউ শোনে যদি, তোমার একটু নিন্দে হবে-এই ত? সেইটুকু সইবার মত তেজ তোমার নেই? তোমার সম্ভ্রম বজায় রাখতে আমার সকল দুঃখে পাথর চাপা দিয়ে রাখব, আর তুমি আমার দিকে ফিরেও চাইবে না, এমন পাষান তুমি-মাগো।"
🙏🏻❤
A few lines from this particular story:
[Set-1]
1.. মালতী....লক্ষ্মীর একখানি বিস্তারিত পত্র পাইল, পত্রে প্রথমঅংশ এই রূপ- "….আমাদের দেশের বৌগুলির কি দশা ভাবিয়া আকুল হইতে হয়। আমার মাসতুত ভাই অমলকে জানত? অমল গতবার বি-এ ফেল করিয়াছিল; এবার তো পরীক্ষাই দিল না। নন-কো-অপারেশন করিতেছে। কিন্তু তাহার চোটটা ইংরাজকে বিন্দু মাত্র ও স্পর্শ করিতে পারে নাই; অন্য দিকে সর্ব্বতো ভাবে নিরপরাধ বধূ ও তাহার পিতৃ পরিবারের যন্ত্রণার বিষয় হইয়াছে। অমল পরীক্ষা দেয় নাই; রোজগার করে না, এ সকলই বধূর দোষ বলিয়া গণ্য হইয়াছে। আমার মাসীমারা ছেলের রূপগুণ ও বংশ মর্যাদার জোরে শিক্ষিতা মেয়ে ঘরে আনিয়াছিলেন। সে শিক্ষার মর্য্যাদাটা তাঁহারা খুব দিতেন, উপযুক্ত শিক্ষা যে মানুষের মনে অধিকতর আত্মবোধ ও সম্মান জ্ঞান জাগাইয়া দেয় এই সহজ কথাটি যাহারা না বুঝে, তাহাদের লইয়া বড় বিপদ। মাসীমার বাড়ী আমাদের বাড়ীর পাশেই। দিবারাত্র তাহাদের বাড়ী অশান্তি কলহ লাগিয়াই আছে। সমস্ত বিষয়ে বাক্যহীন বউটাকে উপলক্ষ দাঁড় করানো হয়। অমল 'নন-কো- অপারেশন' করিতেছে। কিন্তু সে খুব সুবোধ ছেলে, পিতৃ-মাতৃভক্ত; বিবাহিতা ধৰ্ম্মপত্নীকে অন্যায় অত্যাচার হইতে রক্ষা করিবার মত পৌরুষ তাহার একবিন্দু নাই। দেখিয়া শুনিয়া দুঃখও হয় আবার হাসিও পায়। যে ছেলে আপনার সহধর্মিনীকে অযথা অপমানের হাত হইতে বাঁচাইতে পারে না। সে আবার একটা বিশাল দেশকে উদ্ধার করিবার কল্পনা স্বপ্নেও করিয়া থাকে। আমাদের দেশের ছেলেরা বিবাহ করে কেন বল দেখি? ঝি বা রাঁধুনী তো টাকা দিলেই পাওয়া যায়, তাহাই সংগ্রহ করিবার জন্য আমাদের দেশের কলেজে পাশকরা ছেলেগুলো পবিত্র বেদ মন্ত্র উচ্চারণ করে কেন, তাহা আমি বুঝতে পারি না।" এই রকম তীব্র বিদ্বেষে চিঠিখানি আগাগোড়া পূর্ণ। মালতী মনে মনে কহিল, "দেবতার মত স্বামী পেয়েছ- মেজদি তাই অত কথা বলতে পেরেছ; আমি আজ কালের ছেলেদের দোষ দিই কি করে? আমার স্বামী ও তো এ সম্প্রদায়ের বাহিরে নন।
সত্যি অসাধারণ 🙏🏼💖
আর একটা কথা, আমরা শ্রী কথা টা সাধারণত পুরুষ দের বেলায় ব্যবহার করি। এখানে শুধু অমিয়া চৌধুরী বললেই ঠিক হোত তাই না।
হ্যাঁ দিদিভাই কিন্তু বইতে লেখিকা র নামের আগে শ্রী রয়েছে তাই আমি কি করে সরাই ....🙏🏻❤❤
Khub sundor।
Asankhya dhonyabad ❤️ ♥️