বিনা চাষে রসুন চাষ পদ্ধতি A to Z ভিডিও। কৃষি শিক্ষা বিডি। কৃষকের মুখে শুনুন
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 31 ม.ค. 2025
- আধুনিক পদ্ধতিতে রসুন 🧄 চাষ করে স্বাবলম্বী হন।
🧄রসুন চাষের কৌশল
রসুন বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল। এটি রান্নার স্বাদ, গন্ধ ও রুচি বৃদ্ধিতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। প্রতি বছর বিদেশ থেকে আমদানী করে আমাদের দেশের রসুনের ঘাটতি মেটানো হয়ে থাকে, যা দেশের জন্য কাম্য নয়। বাংলাদেশের প্রায় ৬৬ হাজার একর জমিতে রসুনের আবাদ হয় এবং মোট উৎপাদন প্রায় ১০২ হাজার টন কিন্তু তা আমাদের চাহিদার মাত্র ৪ ভাগের এক ভাগ পূরণ করে।
🧄পুষ্টিমূল্য ও ভেষজ গুণঃ রসুনে আমিষ, প্রচুর ক্যালসিয়াম ও সামান্য ভিটামিন ‘সি’ থাকে। রসুন ব্যবহারে অজীণর্তা, পেটফাঁপা, শুলবেদনা, হৃদরোগ, অর্শ, ক্রিমি, সর্দি, কাশি, টাইফয়েড, ডিপথেরিয়া, বাতরোগ, গুরুপাক, বলবর্ধক, শুক্রবর্ধক ও যে কোন প্রকার চর্মরোগ সারে। এছাড়া রসুন থেকে তৈরি ঔষুধ নানা রোগ যেমন-ফুসফুসের রোগ, আন্ত্রিকরোগ, হুপিংকাশি, কানব্যাথা প্রভৃতিতে ব্যবহৃত হয়।
🧄উপযুক্ত জমি ও মাটিঃ পানি জমে না এমন উর্বর দো-আঁশ মাটিতে রসুন ভাল জন্মে তবে এঁটেল দো-আঁশ মাটিতেও চাষ করা যায়। এঁটেল মাটিতে কন্দ সুগঠিত হয় না। জমিতে পানি বের হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা না থাকলে কন্দ বড় হয় না এবং রসুনের রং খারাপ হয়ে যায়। বাংলাদেশের দিনাজপুর, রংপুর, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বরাইগ্রাম, পাবনা জেলার চাটমহর এবং সিরাজগঞ্জ জেলার তারাশ উপজেলায় রসুন বেশি উৎপাদিত হয়।
👉জাত পরিচিতিঃ
🧄বারি রসুন-১: গড় উচ্চতা ২৫ ইঞ্চি, পাতার সংখ্যা (প্রতি গাছে) ৭-৮টি, কোয়ার সংখ্যা (প্রতি কন্দে) ২০-২২টি, কোয়ার দৈর্ঘ্য প্রায় ১ ইঞ্চি, বাল্বের ওজন ২০.০৮ গ্রাম, রোগ ও পোকার আক্রমণ খুব কম, জীবন কাল ১৪০-১৫০ দিন, ফলন (একর প্রতি) ২০০০-৩০০০ কেজি।
🧄বারি রসুন-২: গড় উচ্চতা ২২ ইঞ্চি, পাতার সংখ্যা (প্রতি গাছে) ৯-১০টি, কোয়ার সংখ্যা (প্রতি কন্দে) ২৩-২৪টি, কোয়ার দৈর্ঘ্য প্রায় ১ ইঞ্চি, রোগ ও পোকার আক্রমণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ও সংরক্ষণ ক্ষমতা ভাল, জীবন কাল ১৪৫-১৫৫ দিন, ফলন (একর প্রতি) ৩০০০-৪০০০ কেজি।
🧄বাউ রসুন-১: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ হতে এ নামের একটি রসুনের জাত বের করা হয়েছে। এটি ব্যাকটেরিয়াল সফ্ট-রট প্রতিরোধী, ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কিছু রোগ প্রতিরোধী, উচ্চ ফলনশীল এবং সংরক্ষণ গুন ভাল।
🧄বাউ রসুন-২: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ দীর্ঘদিন যাবত গবেষণা চালিয়ে ভাইরাস প্রতিরোধী এ জাত বের করেছে। এটি উচ্চ ফলনশীল, ভাইরাস রোগ প্রতিরোধী, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম, সংরক্ষণ গুন ভাল এবং ফলন প্রতি একরে ৫০০০-৬০০০ কেজি।
🧄ইটালী (দেশী জাত): গাছগুলো শক্ত, চওড়া, পাতাগুলো উপরের দিকে থাকে এবং ফলন বেশি হয়।
🧄আউশী (দেশী জাত): পাতা অপেক্ষাকৃত ছোট ও চিকন, কন্দ ছোট, ঢলে পড়ে, ফলন কম, বাজারে চাহিদা ও মূল্য কম।
🧄বীজ বপনঃ শুকনো রসুনের বাহিরের সারির কোয়া লাগানো হয়। ১৫ সে.মি. দূরত্বে সারি করে ১০ সে.মি. দূরে ৩-৪ সে.মি. গভীরে রসুনের কোয়া লাগানো হয়। প্রতি হেক্টরে ৩০০-৩৫০ কেজি বীজ রসুনের প্রয়োজন হয়।
👉সার ব্যবস্থাপনাঃ রসুনে হেক্টর প্রতি সারের পরিমাণ হলো-গোবর ১০ টন, ইউরিয়া ২০০ কেজি, টিএসপি ১২৫ কেজি, এমওপি ১০০ কেজি, জিংক সালফেট ২০ কেজি, বোরাক্স ১০ কেজি ও জিপসাম ১০০ কেজি। জমি তৈরির সময় সমুদয় গোবর, টিএসপি, জিংক সালফেট, বোরাক্স ও জিপসাম মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। রসুন লাগানোর ৩০ দিন ও ৬০ দিন পর যথাক্রমে ১ম ও ২য় কিস্তির উপরি সার প্রয়োগ করা হয়। প্রতিবারে প্রতি হেক্টরে ১০০ কেজি ইউরিয়া ও ৫০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করা হয়।
👉চাষের সময় পরিচর্যাঃ
আগাছা দমনঃ রসুন লাগানোর ১৫ দিন পর আগাছা বেশি হলে অর্থাৎ আগাছাগুলো নাড়ার উপর দিয়ে যখন উঠে তখন রনষ্টার ৫০ মিলি প্রতি বিঘাতে ৪০-৫০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। জমিতে আগাছা হলে অবস্থা বুঝে একাধিকবার নিড়ানী দিতে হবে। বন্যা পস্নাবিত এলাকায় জিরো টিলেজে মালচিং এর মাধ্যমে রসুন লাগানো যাবে। তবে কোন কোন সময় বীজ রোপণ হতে রসুন উত্তোলন পর্যন্ত একটি নিড়ানী লাগতে পারে। তবে নিড়ানী নির্ভর করবে রসুন ক্ষেতে আগাছার পরিমাণের উপর।
👉সেচ ব্যবস্থাঃ রসুন লাগানোর পর জমির রস বুঝে সেচ দিতে হয়। রসুনের কোয়া লাগিয়েই একবার সেচ দেওয়া হয়। এর পর চারা বের না হওয়া পর্যন্ত জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকতে হবে। চারা একবার হয়ে গেলে ১০-১৫ দিন অন্তর সেচ দিলেও চলে। রসুনের জমিতে বিশেষ করে, কন্দ গঠনের সময় উপযুক্ত পরিমাণে রস থাকা দরকার। সে জন্য এ সময় অবশ্যই সেচ দিতে হবে। কন্দ যখন পরিপক্ক হতে থাকে তখন সেচ কম দিতে হয়। এই ফসলে মোটামুটি ৪-৫ টি সেচের দরকার হয়। ড্রেনের দু পাশের নালা দিয়ে জমিতে সেচ দেওয়া সুবিধাজনক। নালা দিয়ে জমিতে সমভাবে ও সহজেই পানি সেচ দেয়া এবং জমিতে বেশি পানি থাকলে তা বের করে দেওয়া যায়।
👉গাছের গোড়ায় মাটিঃ চারা গজালে সারির দু’ধার থেকে গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হয়।
👉জমিতে খড় বিছানোঃ বীজ জমিতে বপনের পর পরই জমিতে খড় বিছিয়ে দেয়া যায়।
🐛🪳রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনাঃ
👉পোকার নামঃ থ্রিপস
এ পোকা ছোট কিন্তু পাতার রস চুষে খায় বিধায় গাছ দূর্বল হয়ে পড়ে। সে কারনে ক্ষেতের মধ্যে পাতা বিবর্ণ দেখালে কাছে গিয়ে মনোযোগ সহকারে দেখা উচিৎ, তা না হলে ফলন অনেক কমে যাবে। পোকা আকৃতিতে খুব ছোট। স্ত্রী পোকা সরু, হলুদাভ। পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ গাঢ় বাদামী। বাচ্চা সাদা বা হলুদ। এদের পিঠের উপর লম্বা দাগ থাকে।
👉ক্ষতির নমুনাঃ এরা রস চুষে খায় বলে আক্রান্ত পাতা রূপালী রং ধারণ করে। আক্রান্ত পাতায় বাদামী দাগ বা ফোঁটা দেখা যায়। অধিক আক্রমণে পাতা শুকিয়ে যায় ও ঢলে পড়ে। রাইজোম আকারে ছোট ও বিকৃত হয়।
👉জীবন চক্রঃ স্ত্রী পোকা পাতার কোষের মধ্যে ৪৫-৫০ টি ডিম পাড়ে। ৫-১০ দিনে ডিম হতে নিম্ফ (বাচ্চা) বের হয়। নিম্ফ ১৫-৩০ দিনে দুটি ধাপ অতিক্রম করে। প্রথম ধাপে খাদ্য গ্রহণ করে এবং দ্বিতীয় ধাপে খাদ্য গ্রহণ না করে মাটিতে থাকে। এরা বছরে ৮ বার বংশ বিস্তার করে। এবং স্ত্রী পোকা পুরুষ পোকার সাথে মিলন ছাড়াই বাচ্চা দিতে সক্ষম।
👉 কৃষি সম্পর্কে আরো কিছু জানতে হলে অবশ্যই নিকটস্থ কৃষি
"সংগৃহীত তথ্য"
ভাই আপনার ঠিকানা কোথায় ভাই আমি দুবাই থেকে দেখছি কুমিল্লা কি এগুলো চাষ হবে
👍👍👍
Dada ekhono ki rasun Chas kora jabe
আপনার ঠিকানাটা কোথায়?
এগুলো মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে না
কাঁদা মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে
👍👍👍