হযরত ইসা (আ.) এর মৃত্যুর প্রমান কি?

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 16 ต.ค. 2024
  • একটি ঐশী নেয়ামতের সংবাদ সবার কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কয়েকটি কথা বিনীতভাবে উপস্থাপন করছি। আল্লাহ্ তা’লা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বনবী অর্থাৎ সমগ্র জগদ্বাসীর জন্য নবী করে পাঠান, যিনি শরীয়তকে পূর্ণ করে যান। তবলীগকে পূর্ণ করা অর্থাৎ বিশ্ববাসীকে তবলীগ করে মুসলমান করার দায়িত্ব ছিল তাঁর উম্মতের উপর। কিছুকাল যাবৎ মুসলমানরা এই কর্তব্য পালন করে ও কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে। পরবর্তীতে ক্রমাগত তাঁরা আদর্শচ্যুত হতে থাকে। ফলে তাঁরা হীনবল, ক্লান্ত, শ্রান্ত এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন ও বিভ্রান্ত হয়ে যায়। একদিন ছিল, যখন সকল জাতি ইসলামের শিক্ষা ও মুসলমানদের ভ্রাতৃত্ব-বোধ ও আদর্শে মুগ্ধ হয়ে মুসলমান হত। অথচ হিজরী ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ইসলামের উপর এমন এক অমনিশা নেমে আসে যখন তারাই নাস্তিকে পরিণত হল, অথবা খৃষ্টান বা শুদ্ধ হয়ে হিন্দু হতে লাগলো। ঐ সময়ে কেবল ভারতবর্ষেই প্রায় ১৩ লক্ষ মুসলমান খৃষ্টান হয়ে যায়। খৃষ্টান জগৎ উৎসাহে উল্লসিত হয়ে ঘোষণা করেছিল যে, ১০০ বছরের মধ্যে তারা ইসলামকে ধরা-পৃষ্ঠ হতে মুছে ফেলবে। মক্কা মদীনায় পর্যন্ত তারা ক্রুশের পতাকা উড়াবার ঘোষণা করেছিল। কোনদিকে উদ্ধারের পথ দেখা যাচ্ছিল না।ঠিক এমন সময় আল্লাহ্ তা’লা মহানবী (সা.) এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী (আ.)-কে কাদিয়ানে আবির্ভূত করেছিলেন। অজানা স্থানে, অজানা সহায়-সম্বলহীন এক দুর্বল ব্যক্তি একটি কলম নিয়ে বিভিন্ন ধর্মের শক্তিশালী দুর্মুখ পন্ডিত, পুরোহিত ও ধর্ম-যাজকগণের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হয়েছিলেন। তাঁর লেখনীর আঁচড়ে জ্ঞান, যুক্তি ও শক্তির অপূর্ব ঝলকে এবং দোয়া ও আধ্যাত্মিকতার অস্ত্রের কাছে সকল ধর্ম পরাজিত হল। মুসলমানদের ধর্মত্যাগী হওয়ার স্রোত থেমে গেল। মুসলমানগণ তাদের হারানো ঈমান ও আমল ফিরে পেল এবং অমুসলমানগণ আবার মুসলমান হতে লাগল। অন্যান্য সব মুসলমানের মত আমরাও হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.)-এর উম্মত হিসাবে ইমাম মাহদী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-এর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিলাম। আমরা পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে তাঁকে যাঁচাই করে সত্য মাহদী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ হিসাবে গ্রহণের তৌফিক লাভ করেছি। কুরআনের ভবিষ্যদ্বাণী ও সহীহ্ হাদীসের আলোকে একথা সুস্পষ্ট, খাতামান্নাবীঈন (সা.)-এর আধ্যাত্মিক কল্যাণে ও তাঁর আনুগত্যে তাঁরই উম্মত হতে ইমাম মাহদী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্’র চতুর্দশ শতাব্দীর শিরোভাগে আগমনের কথা। হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.) তদনুযায়ী সঠিক সময়ে আগমন করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত জামাতের নাম আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত। ১৯০৮ সনে তাঁর মৃত্যুর পর রসূল করীম (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তে নবুওয়তের পদ্ধতিতে খিলাফত পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জামা’তের বর্তমান খলীফা হলেন হযরত মির্যা মাসরূর আহমদ (আই.)। খিলাফত ব্যবস্থার কল্যাণে এই জামা’ত এখন বিশ্বের ২১৪টি দেশে হাজার হাজার শাখায় বিস্তৃত। কোটি কোটি মানুষ ইতোমধ্যে এই ঐশী জামা’তে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। এছাড়া এ জামা’ত স্যাটেলাইট চ্যানেল MTA (মুসলিম টেলিভিশন আহ্‌মদীয়া)-এর মাধ্যমে দিবারাত্র বিশ্বের প্রধান প্রধান ৮টি ভাষায় ইসলামের সৌন্দর্য এবং শান্তিপূর্ণ শিক্ষা প্রচার করে যাচ্ছে। সুধী পাঠক! আপনাদের কাছে বিনীত আবেদন, আহ্‌মদীয়াত সম্বন্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে অনুগ্রহপূর্বক এর সত্যতা যাচাই করুন।

ความคิดเห็น • 1