শুভ নিত্যানন্দ ত্রয়োদশী🌷2021
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 24 ม.ค. 2025
- আজ অভিন্ন চৈতন্যতনু কলিপাবনাবতার পরমদয়াল পতিতপাবন প্রেমদাতা শ্রীমান্ নিত্যানন্দ প্রভুর শুভ আর্বিভাব তিথি নিত্যানন্দ ত্রয়োদশী।
(১৪৭৩ খ্রীঃ) মাঘী শুক্লা- ত্রয়োদশী তিথিতে বীরভূম জেলার একচক্রাধামে বর্তমান নাম বীরচন্দ্রপুর, কলিযুগপাবনাবতার প্রেমদাতা, পরমদয়াল, করুনাময় শ্রীমন নিত্যানন্দ প্রভুর আর্বিভূত হন। পিতার নাম শ্রী হাড়াই পন্ডিত ও মাতা পদ্মাবতী দেবী।
শ্রীশ্রীভক্তমাল গ্রন্থে হাড়াই পণ্ডিতের অন্য নাম শ্রীমুকুন্দ ঠাকুর বলেও উল্লেখ আছো৷ তার মাতা পিতা পদ্মাবতী শ্রীমুকুন্দ। রাঢ়ে স্থিত যাহার গৃহেতে পূর্ণচন্দ্র। বাস্তবিক পক্ষে হাড়াই পণ্ডিত ও মুকুন্দ ঠাকুর যে একই ব্যক্তি সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রেমবিলাসের চতুর্বিংশ বিলাসে বলা হয়েছে " চন্দ্রকেতুর পুত্রে নাম সুন্দরমল্ল নকড়ি বাঁড়ুরী
তার পুত্র হাড়ু ওঝা মুকুন্দ নাম যাঁরি "।।
পিতামহের নাম সুন্দরমল্ল বাড়ুরী। তাঁরা ছিলেন রাঢ়দেশীয়, সাণ্ডিল্য গোত্রীয় ব্রাহ্মণ।
পিতামাতার কোলে সাতটি সন্তানের মধ্যে নিত্যানন্দ ছিলেন জ্যেষ্ঠ। অন্যদের নাম কৃষ্ণানন্দ, সর্বানন্দ, ব্রহ্মানন্দ, পুর্ণানন্দ, প্রেমানন্দ, ও বিশুদ্ধানন্দ। নিত্যানন্দ প্রভুর আর্বিভাব কাল নির্ণয় সম্বন্ধে অদ্বৈতপ্রকাশ গ্রন্থে এই শ্লোকটি পাওয়া যায়
"তেরশত পঁচানব্বই শকে মাঘ মাসে শুক্ল ত্রয়োদশীতে রামের পরকাশে "।।
শ্রীমন নিত্যানন্দপ্রভুর জন্মস্থানকে অনেকে একচক্রা গর্ভাবাস বলে থাকেন। শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনীর ১০/২/৭ স্থানেও গর্ভাবাস নাম পাওয়া যায়।
" ছয় পুত্র হৈল যদি দৈবকির নাশ।
সপ্তমে অনন্ত আসি কৈল গর্ভাবাস। "
শ্রীমৎ দ্বিজপদ গোস্বামী লিখেছেন" প্রবাদ আছে শ্রীমতী পদ্মাবতী ঠাকুরানীর গর্ভকালে আচম্বিতে এক যোগীরাজ হাড়াইপণ্ডিতের গৃহে আগমন করে, "এই গর্ভাবাস এই গর্ভাবাস বলে নৃত্য করেছিলেন। তিনিই ছদ্মবেশী গর্গাচার্য্য মুনি।
তার আগমনে এতাদৃশ প্রেমবিকার দর্শনে সকলেই সমবেত হয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন" আপনি কি বলছেন আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। তিনি বলেছিলেন, শ্রীকৃষ্ণের অগ্রজ শ্রীবলরাম আসছেন। ব্রজের রোহিণী দেবীই পদ্মাবতী। বলদেবের এখানেই গর্ভবাস। অতঃপর গর্ভাবাস গর্ভাবাস বলে ছদ্মবেশী গর্গমহাশয় অন্তর্হিত হলেন।
রোহিনী ও বসুদেব এবং সুমিত্রা ও দশরথের মিলিত বিগ্রহই পদ্মাবতী ও মুকুন্দ ঠাকুর। গৌর পরিকর শিবানন্দসেনের আত্মজ কবিকর্ণপুর, তাঁর গৌরগণোদ্দেশদীপিকায় বলেছেন "রোহিনীবসুদেবৌ যৌ পিতরৌ রামকৃষ্ণায়
পদ্মাবতীমুকুন্দৌ তৌ সন্তৌ জাতৌ দ্বিজোত্তমৌ। শ্রীসুমিত্রাদশরথৌ তাবপ্যবিশতামমু " নিত্যানন্দের কৈশরে নাম ছিল কুবের। মাত্র দ্বাদশ বৎসর পর্যন্ত গৃহে ছিলেন।
হঠাৎ একদিন এক জনৈক সন্ন্যাসী এসে পুত্র কুবেরকে ভিক্ষাস্বরুপ প্রার্থনা করলেন। জনমের তরে প্রাণসম প্রিয় পুত্রকে দিয়ে দিতে হবে ভেবে পিতামাতার বুক কেঁপে উঠল। কিন্তু সন্ন্যাসীর অভিসম্পাতের ভয়েই হোক বা পুত্রের অকল্যানের ভয়েই হোক সন্তানকে সন্ন্যাসীর হাতে তুলে দিলেন।
কোন সংকীর্ণতা স্পর্শ করতে পারেনি এই অবধুত সন্ন্যাসীকে। নিত্যানন্দ প্রভু সন্ন্যাসীর সাথেই পর্যটনে প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত তীর্থ ভ্রমন করে বোম্বাই প্রদেশের পাণ্ডারপুর নামক স্থানে মাধবেন্দ্রপুরির নিকট মন্ত্র দিক্ষা নিলেন। বৈদ্যনাথ, গয়া, প্রয়াগ ঋষ্য পর্বত, মহেন্দ্র পর্বত, ধেনুতীর্থ প্রভৃতি বহু দেশ পরিভ্রমন করে বৃন্দাবনে এসে উপস্থিত হলেন। আর গোপবেশে বৃন্দাবনে জনে জনে জিজ্ঞাসু নয়নে খুঁজে বেড়িয়েছেন ভাই কানাইকে।
শুনতে পেলেন নবদ্বীপে ভাই কানাই এসেছে। ছুটতে শুরু করলেন নবদ্বীপ অভিমুখে। নন্দনাচার্য্যের বাড়ীতে প্রথম মিলন হয় ভাই গৌরসুন্দরের। শ্রীবাস অঙ্গন থেকে শুরু হয় প্রেমদাতা নিত্যানন্দের হরিনাম সংকীর্তনের বিজয়যাত্রা। নবদ্বীপ লীলায় ভক্তি তত্ত্বই হলেন শ্রীমান নিত্যানন্দ।