প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই গ্রাম, মঙ্গলকাব্যের অংশ।
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 10 ก.ค. 2024
- দেবী মনসার কাহিনী, যা মঙ্গলকাব্যের অংশ, একটি দুঃখজনক ও নাটকীয় ঘটনা দিয়ে শুরু হয়। মনসা দেবী, সর্পদেবী হিসেবে পরিচিত, দেবী চণ্ডীর হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এক চোখ হারান। এই ঘটনার পরে চাঁদ বণিক তাকে "চ্যাং মুড়ি কানি" বলে বিদ্রুপ করতে শুরু করেন। চাঁদের স্ত্রী সনকা গোপনে মনসার পূজা করতেন এবং একদিন চাঁদ তা জানতে পেরে তাঁর হেতালের লাঠি দিয়ে পূজার ঘট ভেঙে দেন। এর ফলস্বরূপ, মনসার ক্রোধে চাঁদ একে একে নিজের ছয় পুত্রকে সর্পাঘাতে হারান।
পুত্রশোক ভুলতে চাঁদ বণিক সপ্তডিঙা জাহাজে মধুকর সাজিয়ে বাণিজ্য করতে সমুদ্রে পাড়ি দেন। মাঝ সমুদ্রে ঝড় উঠলে মনসার ক্রোধে তাঁর সাতটি জাহাজই ডুবে যায় এবং চাঁদ ধনসম্পদ ও অনুচরবর্গ হারান। ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত চাঁদ দীর্ঘ যন্ত্রণার পর বাড়ি ফিরে আসেন এবং পুত্র লখিন্দরকে দেখে সব দুঃখ ভুলে যান।
লখিন্দরের বিবাহকাল উপস্থিত হলে উজানী নগরের সাধুর কন্যা বেহুলার সাথে তাঁর বিবাহ হয়। বিয়ের দিন বেহুলা নদীতে স্নান করতে গেলে এক বৃদ্ধার গায়ে জলের ছিটে লাগে। সেই বৃদ্ধা, মনসা স্বয়ং, অভিশাপ দেন, "বিভা রাতে খাইবি ভাতার।" চাঁদবণিক এই অভিশাপে চিন্তিত হয়ে বিশ্বকর্মাকে দিয়ে একটি নিশ্ছিদ্র লোহার বাসরঘর তৈরী করান। তবে মনসার অনুরোধে বিশ্বকর্মা ঘরে একটি ছোট ফুটো রেখে দেন। বেহুলার সতর্ক প্রহরার মাঝেও সেই রাতেই কালনাগিনী ঢুকে লখিন্দরকে দংশন করে।
এরপর বেহুলা স্বামীর মরদেহ নিয়ে কলার ভেলায় উঠে বসেন। এই ভেলা গাঙুড়ে নদীতে ভেসে চলল উত্তরের দিকে, যদিও আমাদের দেশের সব নদীই দক্ষিণবাহিনী। পথিমধ্যে বেহুলা নেতি ধোপানীর সাহায্যে মনসাকে স্বর্গে পৌঁছান। সেখানে দেবতাদের নৃত্য পরিবেশন করে তাদের তুষ্ট করেন। শিবের আদেশে মনসা লখিন্দরের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে রাজি হন।
এই কাহিনী আমাদের সমৃদ্ধ মঙ্গলকাব্যের অংশ, যা বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। মনসার কাহিনীতে রয়েছে বিশ্বাস, প্রতিশোধ, দুঃখ ও অব্যর্থ ভালোবাসার মিশ্রণ, যা পাঠকদের মনকে আকর্ষণ করে।
#MythicalTales
#BengaliCulture
#DivineRetribution
#EpicLoveStory
behula lokhindorer basor ghor
kosba shib mandir
বেহুলার বাসর ঘর
বেহুলা লখিন্দরের লোহার বাসর ঘর
Suparb