শেষের কবিতা [] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [] Sheser Kobita [] Rabindranath Tagore [] Bratati Bandopadhyay
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 25 ก.ย. 2024
- শেষের কবিতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?
তারি রথ নিত্য উধাও।
জাগিছে অন্তরীক্ষে হৃদয় স্পন্দন
চক্রে পিষ্ট আঁধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন।
ওগো বন্ধু,
সেই ধাবমান কাল
জড়ায়ে ধরিল মোরে ফেলি তার জাল
তুলে নিল দ্রুত রথে
দু’সাহসী ভ্রমণের পথে
তোমা হতে বহু দূরে।
মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে
পার হয়ে আসিলাম।
আজি নব প্রভাতের শিখর চুড়ায়;
রথের চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায়
আমার পুরানো নাম।
ফিরিবার পথ নাহি;
দূর হতে যদি দেখ চাহি
পারিবে না চিনিতে আমায়।
হে বন্ধু বিদায়।
কোনদিন কর্মহীন পূর্ণ অবকাশে
বসন্ত বাতাসে
অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস,
ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে আকাশ,
সেইক্ষণে খুঁজে দেখো, কিছু মোর পিছে রহিল সে
তোমার প্রাণের প্রাণে, বিস্মৃতি প্রাদোষে
হয়তো দিবে সে জ্যোতি,
হয়তো ধরিবে কভু নামহারা স্বপ্নে মুরতি।
তবু সে তো স্বপ্ন নয়,
সব চেয়ে সত্য মোর সেই মৃত্যুঞ্জয় -
সে আমার প্রেম।
তারে আমি রাখিয়া এলাম
অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশ্যে।
পরিবর্তনের স্রোতে আমি যাই ভেসে
কালের যাত্রায়।
হে বন্ধু বিদায়।
তোমায় হয়নি কোন ক্ষতি।
মর্তের মৃত্তিকা মোর, তাই দিয়ে অমৃত মুরতি
যদি সৃষ্টি করে থাক তাহারি আরতি
হোক তবে সন্ধ্যা বেলা-
পূজার সে খেলা
ব্যাঘাত পাবে না মোর প্রত্যহের ম্লান স্পর্শ লেগে;
তৃষার্ত আবেগ বেগে
ভ্রষ্ট্র নাহি হবে তার কোন ফুল নৈবদ্যের থালে।
তোমার মানস ভোজে সযত্নে সাজালে
যে ভাবরসের পাত্র বাণীর ত’ষায়
তার সাথে দিব না মিশায়ে
যা মোর ধূলির ধন, যা মোর চক্ষের জলে ভিজে।
আজও তুমি নিজে
হয়তো বা করিবে বচন
মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নাবিষ্ট তোমার বচন
ভার তার না রহিবে, না রহিবে দায়।
হে বন্ধু বিদায়।
মোর লাগি করিয়ো না শোক-
আমার রয়েছে কর্ম রয়েছে বিশ্বলোক।
মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই,
শূন্যেরে করিব পূর্ণ, এই ব্রত বহিব সদাই।
উৎকণ্ঠা আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে
সে ধন্য করিবে আমাকে।
শুক্লপক্ষ হতে আনি
রজনীগন্ধার বৃন্তখানি
যে পারে সাজাতে
অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে
সে আমারে দেখিবারে পায়
অসীম ক্ষমায়
ভালমন্দ মিলায়ে সকলি,
এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।
তোমারে যা দিয়েছিনু তার
পেয়েছ নিঃশেষ অধিকার।
হেথা মোর তিলে তিলে দান,
করুণ মুহূর্তগুলি গন্ডুষ ভরিয়া করে পান
হৃদয়-অঞ্জলি হতে মম,
ওগো নিরূপম,
হে ঐশ্বর্যবান
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান,
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।
হে বন্ধু বিদায়।
www.bangla-kob...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আর ব্রততী দির আবৃত্তি আর এই ছবি অদ্ভুত
পুরো উপন্যাস কয়েকবার পড়েছি, মনে হয়েছে শেষে এসে এই একটা কবিতা পুরো উপন্যাসকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
'প্রেম এসেছিল, চলে গেল সে যে খুলি দ্বার,
আর কভু আসিবে না।' এই কবিতাটি দেন অনুগ্রহ করে
কয়েকশ বার শুনেছি এই কবিতা টি , কী গভীর রবিন্দদ্র চিন্তা।
আপনার কণ্ঠে যেন অন্য মাত্রা পেল এই কবিতাটি...
অসাধারণ, অসাধারণ, অসাধারণ কবিতা ও আবৃত্তি।
সত্যিই আজও চক্ষের জলে ভিজি 😘😘
অনেক সুন্দর হয়েছে আবৃতি
এই ছবিটা আসলে এক্কেবারে বেমানান!! এ কবিতার সাথে এই ছবি!! আমার লজ্জা লাগছে।
May be, they tried to prove that a model face and figure is perfectly achievable along with attaining profound depth and understanding of classic literature.
যে ছবিগুলি ব্যাবহার হয়েছে তা যুক্তিযুক্ত নয়
Excellent
ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতায় এমন ছবি ব্যবহার দুঃখজনক
Sotti tai, abilambe eta edit kora hok
একদম ঠিক। কী রুচী
Kader matha theke je beroy.
রুচির বিকৃতি আর কাকে বলে !!!
শেষের কবিতার সঙ্গে এমন ছবি কবিতাটিকে শেষ করে দিয়েছে😅
এই কবিতাটি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে অনবদ্য👌
Do you hear
the rumblings of the wheels of time
Its chariot disappears in a flash
Arousing vibration of heartbeats
in the vast ether
Heartbroken sobs of stars
glistening in trampled darkness
🌹💛🙌
👍❤️
Sh
উচ্চারণ টাতো জানি ক্রন্দন , কিন্তু শুনলাম ক্রোন্দন,,
ব্যাকরণগত কারণে ক্রোন্দন হবে।
এটা কি ছবি? ব্রততী দেখেছেন?মনেহয় না। Sabotage নয়তো?