ইমাম শরফুদ্দিন আল-বুসিরি | Imam Sharfuddin Al-Busiri

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 17 ต.ค. 2024
  • ইমাম শরফুদ্দিন আল-বুসিরি | Imam Sharfuddin Al-Busiri
    আল-বুসিরি বা ইমাম বুসিরি (১২১১-১২৯৪) (আরবি: البوصيري) ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ বুজুর্গ, ফকিহ বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও বহু ভাষাবিদ ব্যক্তিত্ব; মুসলিম লেখক, শিক্ষক, গণিতবিদ এবং মিশরীয় একজন সুপ্রসিদ্ধ কবি। তিনি প্রচুর কবিতা রচনা করেছিলেন। সেই যুগে তার মতো স্বভাবসিদ্ধ কবি আর কেউই ছিলোনা। তৎকালীন জামানার আলেম সমাজ ও শাসকগোষ্ঠীর নিকট ইমাম আল-বুসিরি যথেষ্ট সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তাকওয়া ও পরহেজগারীর জন্যও তিনি ছিলেন খ্যাতিমান। তিনি ছিলেন সানহাজি জাতিগোষ্ঠীর লোক। শাজিলিয়া তরিকায় শেখ আবুল আব্বাস আল-মুরসির একজন সরাসরি শিষ্য ছিলেন তিনি।
    তার পূর্ণ নাম ও নসব হল শরফুদ্দিন আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন সাঈদ বিন হাম্মাদ বিন মহসিন বিন আবদুল্লাহ আল-সানহাজি আল-বুসিরি। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি বুসির-এ অতিবাহিত করায় তাকে আল-বুসিরি' বা ইমাম বুসিরি নামে ডাকা হয়। পরে তিনি মিশরেও বসবাস করেছিলেন, যেখানে তিনি উজিয়ার ইবনে হিন্নার তত্ত্বাবধানে কবিতা রচনা করেছেন।
    তিনি শা ৬০৮ বা ৬১০ হিজরির ১লা শওয়াল মুতাবেক ইংরেজি ১২১৩ সালের ৭ই মার্চ দুলাস কসবার সানহাজিয়া কবিলায় জন্ম গ্রহণ করেন। উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল-বুসিরি আলজেরিয়ার ডালাস (ডিলাস) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
    আল-বুসিরি তার ব্যক্তি জীবনে সুপরিচিত হওয়ার বিশেষ কারণ ও একটি ঘটনা রয়েছে যা মুসলিম বিশ্ব তিনি আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি ইসলামের নবি মুহাম্মদের প্রশংসায় একটি কবিতা রচনা করেছিলেন এবং এটি একটি উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি রচনা করেছিলেন। আল-বুসিরি একজান রোগাক্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন অসহনীয় সময় যাপন করছিলেন। একসময় তার মনে উদয় হল যে নবি মুহাম্মদ-এর প্রশংসায় তিনি গভীর হৃদ্যতা মিশিয়ে একটি কবিতা লিখবেন এবং বিনিময়ে মহান আল্লাহ যেন তাকে আরোগ্য দান করেন।
    তাঁর বিখ্যাত রচনা, কাসিদা-ই-বুরদা মুসলিম বিশ্ব সাহিত্যে জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত, নবি মুহাম্মাদ-এর প্রশংসায় লিখিত সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামি কবিতাগুলোর মধ্যে এটি একটি অন্যতম ও শ্রেষ্ঠ কবিতা হিসেবে এটি পরিগণিত হয়। বিশেষ করে এর জন্যই তিনি এখনও সুপরিচিত হয়ে আছেন। এটি তিনি আরবি ভাষায় রচনা করেন।
    তার লিখিত বিখ্যাত কাসিদা আল-বুরদা-এ, তিনি দাবি করেছেন যে তার স্বীয় ধর্মের নবি মুহাম্মদ তাকে স্বপ্নে দেখা দিয়েছেন এবং তার গায়ে একটি চাদর মুড়িয়ে দেন। যার দরুন প্যারালাইসিস থেকে সে নিরাময় লাভ করেছিলেন। মুসলিম বিশ্বে তার রচিত এই কবিতাটির একটি অনন্য ইতিহাস রয়েছে। (cf. I. Goldziher in Revue de l'histoire des religions, vol. xxxi. pp. 304 ff.) এমনকি কবির জীবদ্দশায়ও এটিকে পবিত্র বলে গণ্য করা হতো। বর্তমান সময় পর্যন্ত এর আয়াতগুলো তাবিজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়; এটা মৃতদের জন্য বিলাপ নিযুক্ত করা হয়। এটি প্রায়শই সম্পাদনা করা হয়েছে এবং অন্যান্য কবিতার ভিত্তি তৈরি করা হয়েছে। আর মূলের প্রতিটি লাইনের পর চার-ছয় লাইন জুড়ে দিয়ে নতুন কবিতা তৈরি করা হয়েছে। এটি ফয়জুল্লাভাই (বম্বে, ১৮৯৩ ) কর্তৃক ইংরেজি অনুবাদ; রেনে বাসেট (প্যারিস ১৮৯৪) -এর ফরাসি অনুবাদ, সি. এ রাফস (ভিয়েনা, ১৮৬০) কর্তৃক জার্মান অনুবাদ সহ, এবং অন্য কোথাও অন্যান্য ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।
    রচনাবলি
    আল-কাওয়াকিবুদ দুরিয়াহ ফি মাদহি খাইরিল বারিয়্যাহ
    আল-কাসিদাতুল হামজিয়্যাহ
    আল-মাদরিয়্যাহ ফি মাদহি খাইরিল বারিয়্যাহ
    জুখিরুল মা'আদ
    আল-মাখরাজু ওয়াল মারদুদু আলান নাসারা ওয়াল ইয়াহুদ
    তাহজিবুল আলফাজিল আমিয়্যাহ
    ইমাম বুসিরীর মৃত্যুর বছর নিয়ে মতভেদ রয়েছে।তিনি ৬৯৪ হিজরি বা ৬৯৫ হিজরি বা ৬৯৬ হিজরি ১২৯৪ খ্রিস্টাব্দে মারা যান।

ความคิดเห็น •