গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় - Hypertension During Pregnancy - Pregnancy Tips

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 18 ธ.ค. 2021
  • OSTOCAL G (SK+F) নিবেদিত মেডিলাইভের ১২৬৮ তম পর্বের বিষয়ঃ "গর্ভকালীন উচ্চ-রক্তচাপঃ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে করণীয়" এ নিয়ে কথা বলতে সাথে থাকছেনঃ
    অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা
    ইনফার্টিলিটি ও আইভিএফ স্পেশালিষ্ট
    ল্যাপারোস্কোপিক ও হিস্টারোস্কোপিক সার্জন
    সিনিয়র কনসালট্যান্ট, স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিভাগ
    বিআরবি হাসপাতাল লিঃ, পান্থপথ, ঢাকা
    প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
    এনাম মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা
    মিডিয়া পার্টনারঃ মেডিটক ডিজিটাল
    অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। গর্ভাবস্থায় তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করা জরুরি। রক্তচাপ বেশি হলে তার চিকিৎসা নিয়ে অবহেলা করা উচিত নয়।
    গর্ভাবস্থার প্রথম ৫ মাসের মধ্যে রক্তচাপ বেড়ে গেলে সেই মায়ের আগে থেকেই খানিকটা উচ্চ রক্তচাপ ছিল বলে ধরে নেওয়া যায়। যাঁদের আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ আছে এবং ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁরা সন্তান নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। কিছু রক্তচাপের ওষুধ গর্ভাবস্থায় খাওয়া যায় না। তাই প্রয়োজনে চিকিৎসক আগে থেকেই ওষুধ পরিবর্তন করে দিতে পারেন। সেই সঙ্গে রক্তচাপ পুরোপুরি স্বাভাবিক আছে কি না এবং উচ্চ রক্তচাপের কোনো জটিলতা আছে কি না, তা-ও পরীক্ষা করে নেওয়া যাবে।
    গর্ভাবস্থার পাঁচ মাস পর যদি রক্তচাপ বেড়ে যায়, তবে তাকে জেসটেশনাল হাইপারটেনশন বা গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। এটি সন্তান প্রসবের তিন মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু গর্ভকালীন রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। নিয়মিত রক্তচাপ মেপে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে নানা জটিলতা হতে পারে। মায়ের পা ফোলা, শরীরে পানি জমা, মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, শ্বাসকষ্ট, হার্ট ফেইলিউর, রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি ইত্যাদি হতে পারে। প্রি-একলাম্পসিয়া ও একলাম্পসিয়ার প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। যাঁদের ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাঁদের ঝুঁকি বেশি। ওজনাধিক্য, পরিবারে গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস থাকলে বা ২০ বছরের কম বা ৪০-এর বেশি বয়সে মা হলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
    *গর্ভকালীন নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন। রক্তচাপ বেশি থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ নিন। নিয়মিত প্রস্রাবে আমিষ ও অন্যান্য কিছু পরীক্ষা করুন।
    *আলাদা লবণ খাবেন না। অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবারও নয়। যেমন সালাদে বা ফলের সঙ্গে লবণ দেওয়া হয়। আচার, চানাচুর, সয়াসস ও টেস্টিং সল্টযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবারে লবণ থাকে।
    *অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, গরু-খাসির মাংস, ভাজা-পোড়া এড়িয়ে চলুন। কিন্তু প্রচুর তাজা শাকসবজি ফলমূল খান। দুধ, ডিম, মাছ খান।
    * ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খান। দুধ, দই, পনির, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ, শিম, গাজর ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম আছে।
    * চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন। রক্তচাপ ১৫০ (সিস্টোলিক) ও ১০০ (ডায়াস্টোলিক) এর বেশি হলেই ওষুধ লাগবে।
    * ধূমপান, জর্দা, তামাক, অ্যালকোহল একেবারেই নিষিদ্ধ।
    * উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা দেখা দিলে বা রক্তচাপ ১৭০/১১০ বা তার বেশি উঠে গেলে দ্রুত হাসপাতালে যান।

ความคิดเห็น • 1