"কীভাবে একটি ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালিত হবে? ইবনে তাইমিয়ার বিশ্লেষণ"। Prof. Mokhter Ahmad

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 7 ต.ค. 2024
  • ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার স্বরূপ নিয়ে ইমাম ইবনে তাইমীয়ার (রহ.) আলোচনা বিশদ এবং গভীর। তাঁর চিন্তাধারা মূলত ইসলামী আইন, নীতি এবং শাসন ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ইমাম ইবনে তাইমীয়া একটি ইসলামী রাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য এবং কাঠামোকে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন। এখানে তাঁর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হলো:
    ১. ইসলামী শাসনব্যবস্থার মৌলিক নীতি
    ইবনে তাইমীয়া বিশ্বাস করতেন যে একটি ইসলামী রাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করা এবং জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। ইসলামী রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা কুরআন ও সুন্নাহর উপর নির্ভরশীল হতে হবে। শাসকদের উচিত হবে আল্লাহর বিধান পালন করা এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
    ২. শরীয়াহর প্রয়োগ
    ইমাম ইবনে তাইমীয়া শরীয়াহ আইনকে রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হিসেবে দেখেছেন। তিনি মনে করতেন, শাসকের প্রধান দায়িত্ব হলো শরীয়াহ আইন অনুযায়ী বিচার করা এবং আল্লাহর বিধান মেনে শাসন করা। যেকোনো শাসক যদি শরীয়াহর বাইরে কিছু করে, তাহলে তাকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
    ৩. ন্যায়বিচার ও সমাজের শৃঙ্খলা
    ইমাম ইবনে তাইমীয়া ন্যায়বিচারের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার ছাড়া কোনো রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না। শাসকের দায়িত্ব হলো জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল থাকা এবং তাদের অধিকার রক্ষা করা। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, যদি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় তবে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যাবে, এমনকি যদি শাসক একজন অমুসলিমও হন।
    ৪. শাসকের বৈশিষ্ট্য
    ইমাম ইবনে তাইমীয়া মনে করতেন যে একজন শাসকের মধ্যে তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক:
    দক্ষতা ও যোগ্যতা - শাসককে দক্ষ এবং সুশিক্ষিত হতে হবে।
    ন্যায়পরায়ণতা - শাসকের কাজ হবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
    ধর্মপরায়ণতা - একজন শাসককে আল্লাহভীরু হতে হবে এবং শরীয়াহ মেনে চলতে হবে।
    ৫. শাসকের কর্তব্য ও জনগণের অধিকার
    ইবনে তাইমীয়ার মতে, শাসক ও জনগণের মধ্যে একটি চুক্তি রয়েছে। শাসকের প্রধান কাজ হলো জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। অন্যদিকে, জনগণেরও দায়িত্ব হলো শাসকের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা, যতক্ষণ পর্যন্ত শাসক আল্লাহর আইনের মধ্যে থাকে। তবে শাসক যদি আল্লাহর বিধান থেকে বিচ্যুত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বৈধ।
    ৬. উম্মাহর ঐক্য ও শাসনব্যবস্থা
    ইমাম ইবনে তাইমীয়া উম্মাহর ঐক্যকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন। তিনি বলেছেন, যদি উম্মাহর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়, তবে তা রাষ্ট্রের পতন ডেকে আনতে পারে। তাই শাসকদের উচিত হবে উম্মাহর ঐক্য ধরে রাখা এবং বিভেদের সুযোগ না দেওয়া।
    ৭. জিহাদ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা
    ইমাম ইবনে তাইমীয়া জিহাদের গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, একটি ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো ইসলামের নিরাপত্তা এবং মুসলমানদের রক্ষা করা। তবে জিহাদ পরিচালনার জন্য শাসকের অনুমতি ও নেতৃত্ব প্রয়োজন, এবং এটি সঠিক নিয়ম ও নীতির ভিত্তিতে হতে হবে।
    সার্বিকভাবে, ইমাম ইবনে তাইমীয়া ইসলামি রাষ্ট্রকে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পরিচালিত একটি ন্যায়বিচারপূর্ণ ও কল্যাণমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখেছেন।

ความคิดเห็น • 9