#অফুটন্তসময়েরস্বাধীনতা

লোকে লোকারণ্য
হঠাৎ সাইরেনের ডাক
সাইকেলে পাড়ি জমায়
ঘাস ফুল মাঠ
দূরের কাছের সম্পর্ক
স্বপ্নের বাক্স
হাতের কালি
আর ও পাড়ার শালিক
সব জট পাকানো
ভদ্দর লোকের সারমর্ম
মিথ্যে জমানো
খদ্দের ভুলানো
পাখির ডাক
হারিয়ে যাওয়া
মৌমাছির চাক
থাক, সব পৃষ্ঠার ভাজেই থাক
নষ্ট যন্ত্রের শব্দ
নিজের দেওয়া কাঠগোলাপের নাম
দূরে থাকা ভুলে
মায়া মাখা সানগ্লাসে
চিৎকার করে
গান গেয়ে
ভিক্ষে চেয়ে
সকালের ভয়ে
লুকায় জামার ভিতরে
তাহাদের তারা কিসে?
গল্প তাসের বলতে
ব্যস্ততার আদিক্ষে
সুতোর কালিতে
ছা-পোষা সেলফটাতে
অল্প অল্প টের পাওয়াতে
অধিকার জমাতে
শ খানেক রং দেখাতে
সব মনে মনে
আর গোনে
কি যেন ভুলে
শান্তিতে মাটিতে শুয়ে
খুঁজতে থাকা স্বাধীনতাকে
গলার আওয়াজে
খালি ডাল ভাতে
খালের পাড়ে সন্ধ্যে নামাতে
তিন চাকাতে
হারিকেনের আগুন নেভাতে
উত্তর নাই তাই দক্ষিণে হারাতে
কিসের কি লেখাতে
একা থাকি দেখাতে
আবার খোঁজে
ভুলে থাকার ভয়ে
গল্প করে
জন্মান্তরের জাহান্নামে
নাকি সেই ব্যকারণে
কুঁচকে যাওয়া টাইটাতে
জানিনে বাপু জানিনে বলাতে
যত বারাবারিতে
হাত পাখা ঘুরাতে
জামার হাত গুঁটাতে
মিছিল না মানাতে
ল্যাম্পোস্টের চুমুতে
মিনমিনে গলাতে
চায়ের কাপে বিস্কিট খাওয়াতে
লুকাচুরির দিনগুলাতে
দেড় ফুটের কম্বলে
সরি মাখা মাফলারে
সবকিছুতে স্বাধীনতাই জাগে
পেয়ে যাওয়া ফ্রি টিকেটে
পিছে ফিরে একবার দেখাতে
শিউলি পলাশ গায়ে মাখাতে
বারবার জন্মাতে
নাক গলাতে
আরও বেশি সাদা হতে
গলা জলে নামাতে
ইনিয়ে বিনিয়ে বলাতে
জারজের জাত
সাত সাতটা গলাকাঁটা দাগ
দিনকে রাত
চোদ্দগুষ্টির লাক
টিয়া পাখির ঝাঁক
সবই তো নাকি নাপাক
চলবে, নাকি লোকে বলবে
আগের লাইনেই থাক
জ্যামিতি খাতার মলাটে
নতুন পেন্সিল জমাতে
সবই স্বাধীনতা
রূপ কথা
আর ডুকরে ডুকরে কাঁদা
সব সব!!
ভুলে থাকার জ্বালা
গলা ভরতি মালা
ঐ স্বাধীনতারেই ডাক
আমাদের বঙ্কিমের নাক
কালি প্রসাদের ছাদ
সব এক কথাই বলে
স্বাধীনতা আগে
তাই তো প্রেম জাগে
ভাদ্র মাসেও ঠাণ্ডা লাগে
নাকের নিচেও পেন্সিল রাখে
সাঁতরে উঠেও আবার লাফ মারে
ঝাঁকে ঝাঁকে সবাই জানে
এসব স্বাধীনতার ফল
তাই দিনে দুপুরে স্ব দলবলে চল
আগুন লাগিয়ে ঘর
কি নারী কী নর
গায়ে সবার স্বাধীনতার জ্বর!