কোরবানির পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়সমূহ
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 8 ธ.ค. 2024
- কোরবানির পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়সমূহ
পশু নির্বাচনের কিছু মৌলিক বিষয় জানা থাকলে উৎকৃষ্টমানের পশু কেনা সম্ভব হবে। গরু হাটে গিয়ে প্রথমে দেখতে হবে গরু কান, লেজ নাড়ছে কি না। চোখ উজ্জ্বল ও তুলনামূলক বড় আকৃতির কি না। অবসরে পান চিবানোর মতো সব সময় জাবর কাটছে কি না। আর গরু গায়ে হাত দিলে চামড়াতে একটু কাঁপুনি দিয়ে মাছি তাড়ানোর মতো করে লেজ নাড়াচ্ছে কি না। বিরক্ত করলে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সহজেই রেগে যাবে। গোবর স্বাভাবিক থাকবে, পাতলা হবে না। নাকের নিচে লোম বিহীন অংশে (মাজল) ভেজা ভাব থাকবে। এছাড়া গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি সঙ্গে সঙ্গে জিহ্বা দিয়ে টেনে নেয় তাহলেও বোঝা যায় গরুটি সুস্থ, কারণ অসুস্থ পশু খাবার খেতে চায় না। ওষুধ দেওয়া গরুর গা ‘পানি নামা’ রোগীর শরীরের মতো ফুলে থাকে। এই গরুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ঐ স্থানের মাংস দেবে যায় এবং আগের অবস্থায় ফিরে আসতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে মোটা করা পশুর গায়ে চাপ দিলে মাংস খুব বেশি দেবে যাবে না এবং যতটুকু দেবে যাবে, তা সঙ্গে সঙ্গে আগের অবস্থায় চলে আসবে। এসব গরু অসুস্থতার কারণে সব সময় নীরব থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না।
পশুর মুখে ক্ষত থাকলে, খাদ্যের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলে মুখ দিয়ে লালা ঝরে, মাথা নিচের দিকে রেখে ঝিমায় এবং কান নিচের দিকে ঝুলে থাকে। সব গরুই অবৈধভাবে মোটাতাজা করা নয়। গরু মোটাতাজা করার বৈজ্ঞানিক ও বৈধ পদ্ধতিও আছে। সেটি হচ্ছে ‘ইউরিয়া মোলাসেস’ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে গরু প্রাকৃতিকভাবেই মোটাতাজা হয়ে ওঠে। অনেক খামারিই এ পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। প্রশ্ন হলো, গরুকে ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হব কী করে? এজন্য গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস দেখতে হবে। ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, মনে হয় যেন হাঁপাচ্ছে আর প্রচণ্ড ক্লান্ত দেখাবে। রোগাক্রান্ত হলে তার কানের গোড়ায় হাত দিয়ে স্পর্শ করলে জ্বরের মতো অস্বাভাবিক গরম অনুভূত হতে পারে।