নিজ হাতে লাগানো সারি সারি তালগাছ ঘুরে দেখলেন খাদ্যমন্ত্রী|| GHUGHUDANGA|| নিয়ামতপুর ঘুঘুডাঙ্গা||2021
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 2 เม.ย. 2021
- #GHUGHUDANGA_SALAUDDIN_AHAMMED
দৈনিক ইত্তেফাক
নিয়ামতপুরে সারিবদ্ধ শত শত তাল গাছ
তন্ময় ভৌমিক, নওগাঁ প্রতিনিধি২০ মার্চ, ২০১৭ ইং
কালের বিবর্তনে তালগাছ হারিয়ে গেলেও নওগাঁর নিয়ামতপুরে এখন কালের সাক্ষী হয়ে শত শত তালগাছের সারি রাস্তার দুই ধারে সৌন্দর্যবর্ধন করে যাচ্ছে। উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম ‘ঘুঘুডাঙ্গা’। হাজিনগর গ্রাম থেকে ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামে যাওয়ার পথে হাজিনগরের মজুমদার মোড় থেকে ঘুঘুডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার দুই ধারে প্রায় ছয়শ’ তালগাছ দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিদিন ৫০ থেকে একশ’ জন বৃক্ষপ্রেমী ও ভ্রমণ পিয়াসী আসেন এই তালগাছ দেখতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঠাঠা বরেন্দ্র ভূমি নিয়ামতপুর, সাপাহার ও পোরশায় পানি সংকটের মধ্যেও আগে প্রচুর বড় বড় তালগাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনে সেইগুলো কেটে ফেলেন। এক সময় তালগাছগুলো বরেন্দ্র এলাকা থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে স্থানীয় জনসাধারণ ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) সহযোগিতায় তালগাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে প্রকৃতি। আকাশে মেঘ জমলে মানুষ আতঙ্ক হয়ে পড়ে। উঁচু গাছ না থাকায় বজ্রপাতে মানুষের প্রায় মৃত্যু হচ্ছে। পরিবেশ থেকে তালগাছ হারিয়ে যাওয়ায় এ বজ্রপাত বেড়ে গিয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, মাটির ক্ষয়রোধ, অনাবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে তালগাছ রোপণের গুরুত্ব অপরিসীম। সাধারণত বজ্রপাত বেশি আঘাতহানে সাধারণত উঁচু গাছে। এ দিক থেকে তালগাছ বজ্রপাতের ঝুঁকি কমায়।
নওগাঁ বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশের পরম বন্ধু তালগাছ রক্ষায় জেলায় রাস্তাগুলোর দুই পাশ জুড়ে সারি সারি তালগাছ লাগান হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সেখানে ৩০ লাখের বেশি তালগাছ রোপণ করেছে বিএমডিএ। শক্ত-মজবুত আর দীর্ঘজীবী হওয়ায় শিশু, আম, জাম গাছের পরিবর্তে ৯ বছর ধরে বিভিন্ন রাস্তার পাশে এসব গাছ লাগানো হয়েছে এবং হচ্ছে।
বিএমডিএ ছাড়াও জেলা মহাদেবপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মৃত গহের আলী ২০ বছর ধরে একক প্রচেষ্টায় নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের নওহাটা থেকে বেলি ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তাসহ আশেপাশে রাস্তায় প্রায় ১২ হাজার তাল গাছ রোপণ করেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ২০০৯ সালের ৫ জুন জাতীয় পরিবেশ পদক-২০০৯ প্রদান করা হয়। গহের আলী পরিবেশ সংরক্ষণ ক্যাটাগরিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
বিএমডিএ এর চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী জানান, ২০০৮ সাল থেকে জেলার বিভিন্ন রাস্তা ও খাড়ির পাশে প্রায় ৭২০ কিলোমিটারের বেশি জায়গা জুড়ে লাগানো হয়েছে ৩০ লাখের বেশি তালগাছ। বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত নওগাঁর নিয়ামতপুর, পোরশা, বদলগাছী, পত্মীতলা ও ধামুইরহাট, রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, রহনপুর উপজেলার রাস্তার দুইপাশে লাগানো হয়েছে এসব তালগাছ। তারপরেও তালগাছগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই তালগাছ হারিয়ে গেলেও নিয়ামতপুর উপজেলায় এখন কালের সাক্ষী হয়ে তালগাছের সারি রাস্তার দুই ধারে সৌন্দর্য বন্ধন করে যাচ্ছে।
নিয়ামতপুর হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৮৩ সালে পরিষদের দায়িত্ব পালনকালে হাজিনগরের মজুমদার মোড় থেকে ঘুঘুডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার দুই ধারে প্রায় সাতশ তাল বীজ রোপণ করেন। বেশ কিছু গাছ বিভিন্নভাবে মারা গেলেও এখনো প্রায় ছয়শ তালের গাছ বেঁচে আছে। সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদারের রোপিত সেই তালগাছগুলো বর্তমানে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। আজ সেই তালগাছগুলো বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ ফিট লম্বা হয়ে কালের সাক্ষী হয়ে রাস্তার দুই ধারে শোভাবর্ধন করে আসছে। এই তালগাছগুলো প্রতিদিন দেখতে অনেক দর্শক ও বৃক্ষপ্রেমীরা দেখতে আসেন।
হাজিনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামে। আমি যখন ইউনিয়ন পরিষদ যাই তখন ঐ তালগাছ সমৃদ্ধ রাস্তায় আসলে নিজেকে অন্যরকম মনে হয়।
নওগাঁর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, তাল বীজ রোপণের মধ্য দিয়ে এ এলাকায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি তাল উত্পাদন ও রস সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এলাকার সামাজিক উন্নয়ন হবে।
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দুর্যোগ ও প্রশমন দিবসে তালগাছ রোপণের ওপর জোর তাগিদ দেন। কারণ তালগাছই ভূমিক্ষয়, ভূমিধস রোধ, ভূ-গর্ভস্থ পানির মজুদ বৃদ্ধি ও মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়ায়। তালগাছ মেঘ আকর্ষণ করে এবং বৃষ্টিপাত হয়। তালগাছ পরিবেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু। তালগাছ না থাকায় আগের তুলনায় এখন অধিকহারে বজ্রপাত ঘটছে। বজ্রপাতের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এবং শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে বাস্তবে বাস্তবায়ন করতে বরেন্দ্র অঞ্চলে তালবীজ রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান জানান, জেলায় তালের গাছ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলেও একসাথে বড় বড় এতোগুলো তালগাছ কোথাও নেই। যে কাউ সারিবদ্ধ তালগাছগুলো দেখলে মন ভরে যাবে। সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে তালগাছ রোপণে এগিয়ে আসতে হবে।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
--------------------------------------------------
01723-626053
মিথ্য কথা এইগাছ লাগিয়েছে গহের আলী
আলহামদুলিল্লাহ। চমৎকার দেখতে
ভাই কেমন আছেন। আমার মনের মাধুরী তে রাঙানো একটি স্থান, এই জায়গাটা অনেক ভালো লাগে কিন্তু অচেনা এলাকা বলে যেতে সাহস পায়নি। তবে একদিন যাব আপনি কি ওই এলাকারই ছেলে তাহলে কমেন্ট একটু জানাবেন।
Very amazing act.. May Allah bless him.
Congratulations great minister and daughter,ctg
কে লাগাছে আর কার নাম হচ্ছে
গহেরআলী
ধন্যবাদ
nc
গয়ের আলি
কে লাগিয়েছে, আর নাম হচ্ছে কার
সঠিক তথ্য না জেনে ভিডিও বানাইস কেন, তালগাছ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জান তারপর ভিডিও বানা,
Oni lagainai
ভুল তথ্য
লাগে আওয়ামী লীগের চামচাগুলা দেখা যাচ্ছে