আমি শ্রাদ্ধ বাড়িতে খাই না, শ্রাদ্ধবাড়িতে খেলে পাপ হয়, আমি গুরু দীক্ষিত, তাই শেরাদ্ধের ভোজ খাই না! তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট......... আজকের আলোচনা শ্রাদ্ধ বাড়িতে খাবার কেন খাবেন! আপনার বিশেষ করে জানা দরকার-- অনেকেই বলে থাকেন, আমি গুরুদীক্ষা নিয়েছি তাই শ্রাদ্ধান্ন ভোজন করি না! কেউ বলেন শ্রাদ্ধবাড়িতে খাবার খেলে প্রেতের উদ্দেশ্য অন্ন খাওয়া হয় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই শ্রাদ্ধবাড়ির খাবার খাওয়া উচিত নয়! আবার কেউ এর থেকে ওপরে গিয়ে বলেন, মরার পর ভুরিভোজ খাওয়ানোটা একটা কুপ্রথা এটা বন্ধ করা উচিত............ কেউ কেউ আরও বলেন এসব ব্রাহ্মণদের ব্যাবসা, যে যাবার সে চলে গেল আর তার শ্রাদ্ধের নামে ব্রাহ্মণ পুরোহিতের চালকলা বাঁধার ব্যাবস্থা করে দিয়ে গেল.............…. আজকে সেই সকল প্রশ্নের উত্তর দেব! অবশ্যই শাস্ত্রীয় তথ্য প্রমান অনুসারে........... প্রথমে জানবো শ্রাদ্ধান্ন বলতে কি বুঝায় ? শ্রাদ্ধান্ন বলতে বুঝায়, শ্রাদ্ধবাসরে মৃতব্যক্তির অগ্নিদদ্ধার যে পিণ্ডদান তাকে অন্ন বলা হয়। কেবলমাত্র সেটিই শ্রাদ্ধান্ন যা প্রেতের পিণ্ডদানের পুর্বে দেওয়া হয়। এবং এটি কেবলমাত্র দর্ভময় ব্রাহ্মণ ছাড়া কারো উদ্দেশ্যে দেওয়া হয় না। তাই শ্রাদ্ধবাড়ির যে ভোজন অন্ন তা শ্রাদ্ধান্ন কোনমতেই নয়। সুতরাং, যে গুরু তার শিষ্যদের বলেন যে শ্রাদ্ধান্ন খাবে না, তার ক্ষুরে পেন্নাম জানাই। এবার জানবো প্রেতের উদ্দেশ্য অন্ন কি? প্রেতের উদ্দেশ্য সনাতনধর্মের বর্ণভেদানুসারে সেদ্ধচাল বা কাঁচা চালের গুঁড়ো অথবা আটা বা ময়দা দিয়ে কেবলমাত্র পিণ্ডদান করা হয়, তাকে অন্ন বলা হয় না, তাই যারা শ্রাদ্ধবাড়িতে খান তারা পিণ্ড তো খান না...... বরঞ্চ সেখানে পঙতি ভোজ সারেন। তাহলে শরিরের জন্য ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন কেন! এবার জানবো, শ্রাদ্ধের পর ভুরিভোজ কি কুপ্রথা? ম সমুদ্রায় শিশুমারানালভতে পর্জন্যায় মণ্ডুকান্। অদ্ভ্যো মৎস্যান্ মিত্রায় কুলীপয়ান্ বরুণায় নাক্রান্। (কৃষ্ণ যজুর্বেদের মৈত্রায়ণী সংহিতা, কান্ড - ৩, প্রপাঠক - ১৪ অনুবাক - ২) উক্ত বেদের বচনে প্রমানিত হয় শ্রাদ্ধে মনুষ্যদের ভোজন না করালে প্রেতাত্মা নরকে যাবে ! তাহলে যে মারা গেল তার পরকালের উদ্ধার না করতে চাইলে অবশ্যই এটা কুপ্রথা মনে হবে। এবার জানবো শ্রাদ্ধের নামে ব্রাহ্মণের চালকলা বাঁধা কতটা যুক্তিযুক্ত ? পিতৃদেবাদিশেষশ্চ শ্রাদ্ধে ব্রাহ্মণকাম্যয়া। প্রোক্ষিতঞ্চৌষধার্থঞ্চ খাদন্ মাংসং ন দুষ্যতি।। (মার্কণ্ডেয়পুরাণম্ ৩৫ অধ্যায়) শ্রাদ্ধে পিতৃদেবতাদের উদ্দেশ্য দান করার পর যা শেষ বা অবশিষ্ট থাকবে তা গ্রহন করলে বা খেলে ব্রাহ্মণ দোষী হবে না। সর্বশেষে বলবো, শ্রাদ্ধবাড়িতে খাবার খেলে কি হবে! পৈতৃকর্মে মাংস ভক্ষণমাত্রেণ সাক্ষান্নারায়ণো ভবেৎ। তদা মৎস্যভক্ষণমাত্রেণ কালী প্রত্যক্ষতানিয়াৎ।। (নির্ব্বাণতন্ত্র ১১ পটল) শ্রাদ্ধ বাড়ির ভোজনে মাংস ভক্ষণ দ্বারা সাক্ষাৎ নারায়ণ তুল্য হওয়া যায় আর মৎস্য (মাছ)ভক্ষণ দ্বারা কালীর দর্শন করা যায়।। তাহলে ভেবে দেখুন বর্তমানের ------ বাবাজীরা কেন শ্রাদ্ধবাড়িতে খেতে নিষেধ করেন..
খুব ভালো ভিডিও, জানার দরকার ছিলো
জয় শ্রী কৃষ্ণ জয় নিতাই জয় গৌর
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ 🙏🏻🙏🏻🙏🏻
হরে কৃষ্ণ 🙏🙏🙏 জয় নিতাই খুব সুন্দর ভালো লাগলো অনেক কিছু জানতে পারলাম খুব সুন্দর হরে কৃষ্ণ 🙏🙏🙏 জয় নিতাই
Bhalo laglo
Hare krishna
Joy Radhe Radhe 🙏🙏🙏🙏🙏
Radhe radhe 🙏
রাধে রাধে 🙏
Hare Krishna mataji 🙏
Sardho barita khela সরীর খারাপ করে। আমার ও হয়। দৈ মিষটী খাই। একাদসীর বেপারটা ভাল বলেছেন।
🌸 হরে কৃষ্ণ মাতাজি 🌸
আমি সৃজিকা বলছি জিরাট থেকে।
গোপাল সোনা কে প্রতিদিন কীভাবে পূজ দেবো?
আর গোপাল সোনা কে কি রোজ স্নান করাতে হয়?
মাতাজী ক্রিস্টালের কচ্ছপ বাড়িতে কিভাবে রাখব একটু জানাবেন বা এই নিয়ে একটা ভিডিও করবেন দয়া করে তাহলে উপকৃত হই।
🙏🙏🌹
আমি শ্রাদ্ধ বাড়িতে খাই না, শ্রাদ্ধবাড়িতে খেলে পাপ হয়, আমি গুরু দীক্ষিত, তাই শেরাদ্ধের ভোজ খাই না!
তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট.........
আজকের আলোচনা শ্রাদ্ধ বাড়িতে খাবার কেন খাবেন!
আপনার বিশেষ করে জানা দরকার--
অনেকেই বলে থাকেন, আমি গুরুদীক্ষা নিয়েছি তাই শ্রাদ্ধান্ন ভোজন করি না!
কেউ বলেন শ্রাদ্ধবাড়িতে খাবার খেলে প্রেতের উদ্দেশ্য অন্ন খাওয়া হয় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই শ্রাদ্ধবাড়ির খাবার খাওয়া উচিত নয়!
আবার কেউ এর থেকে ওপরে গিয়ে বলেন, মরার পর ভুরিভোজ খাওয়ানোটা একটা কুপ্রথা এটা বন্ধ করা উচিত............
কেউ কেউ আরও বলেন এসব ব্রাহ্মণদের ব্যাবসা, যে যাবার সে চলে গেল আর তার শ্রাদ্ধের নামে ব্রাহ্মণ পুরোহিতের চালকলা বাঁধার ব্যাবস্থা করে দিয়ে গেল.............….
আজকে সেই সকল প্রশ্নের উত্তর দেব!
অবশ্যই শাস্ত্রীয় তথ্য প্রমান অনুসারে...........
প্রথমে জানবো শ্রাদ্ধান্ন বলতে কি বুঝায় ?
শ্রাদ্ধান্ন বলতে বুঝায়, শ্রাদ্ধবাসরে মৃতব্যক্তির অগ্নিদদ্ধার যে পিণ্ডদান তাকে অন্ন বলা হয়।
কেবলমাত্র সেটিই শ্রাদ্ধান্ন যা প্রেতের পিণ্ডদানের পুর্বে দেওয়া হয়।
এবং এটি কেবলমাত্র দর্ভময় ব্রাহ্মণ ছাড়া কারো উদ্দেশ্যে দেওয়া হয় না।
তাই শ্রাদ্ধবাড়ির যে ভোজন অন্ন তা শ্রাদ্ধান্ন কোনমতেই নয়।
সুতরাং, যে গুরু তার শিষ্যদের বলেন যে শ্রাদ্ধান্ন খাবে না, তার ক্ষুরে পেন্নাম জানাই।
এবার জানবো প্রেতের উদ্দেশ্য অন্ন কি?
প্রেতের উদ্দেশ্য সনাতনধর্মের বর্ণভেদানুসারে সেদ্ধচাল বা কাঁচা চালের গুঁড়ো অথবা আটা বা ময়দা দিয়ে কেবলমাত্র পিণ্ডদান করা হয়, তাকে অন্ন বলা হয় না, তাই যারা শ্রাদ্ধবাড়িতে খান তারা পিণ্ড তো খান না......
বরঞ্চ সেখানে পঙতি ভোজ সারেন।
তাহলে শরিরের জন্য ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন কেন!
এবার জানবো, শ্রাদ্ধের পর ভুরিভোজ কি কুপ্রথা?
ম সমুদ্রায় শিশুমারানালভতে পর্জন্যায় মণ্ডুকান্।
অদ্ভ্যো মৎস্যান্ মিত্রায় কুলীপয়ান্ বরুণায় নাক্রান্।
(কৃষ্ণ যজুর্বেদের মৈত্রায়ণী সংহিতা, কান্ড - ৩, প্রপাঠক - ১৪ অনুবাক - ২)
উক্ত বেদের বচনে প্রমানিত হয় শ্রাদ্ধে মনুষ্যদের ভোজন না করালে প্রেতাত্মা নরকে যাবে !
তাহলে যে মারা গেল তার পরকালের উদ্ধার না করতে চাইলে অবশ্যই এটা কুপ্রথা মনে হবে।
এবার জানবো শ্রাদ্ধের নামে ব্রাহ্মণের চালকলা বাঁধা কতটা যুক্তিযুক্ত ?
পিতৃদেবাদিশেষশ্চ শ্রাদ্ধে ব্রাহ্মণকাম্যয়া।
প্রোক্ষিতঞ্চৌষধার্থঞ্চ খাদন্ মাংসং ন দুষ্যতি।।
(মার্কণ্ডেয়পুরাণম্ ৩৫ অধ্যায়)
শ্রাদ্ধে পিতৃদেবতাদের উদ্দেশ্য দান করার পর যা শেষ বা অবশিষ্ট থাকবে তা গ্রহন করলে বা খেলে ব্রাহ্মণ দোষী হবে না।
সর্বশেষে বলবো, শ্রাদ্ধবাড়িতে খাবার খেলে কি হবে!
পৈতৃকর্মে মাংস ভক্ষণমাত্রেণ সাক্ষান্নারায়ণো ভবেৎ।
তদা মৎস্যভক্ষণমাত্রেণ কালী প্রত্যক্ষতানিয়াৎ।।
(নির্ব্বাণতন্ত্র ১১ পটল)
শ্রাদ্ধ বাড়ির ভোজনে মাংস ভক্ষণ দ্বারা সাক্ষাৎ নারায়ণ তুল্য হওয়া যায় আর মৎস্য (মাছ)ভক্ষণ দ্বারা কালীর দর্শন করা যায়।।
তাহলে ভেবে দেখুন বর্তমানের ------ বাবাজীরা কেন শ্রাদ্ধবাড়িতে খেতে নিষেধ করেন..
Jana ba sekhar sesh nei,tobe na jene bhul bolata aporadh ....porun sikhun janun..
আমিও এরম দেখেছি
;