জাযাকাল্লাহ উস্তাদ। আজকের এই বয়ানে মনে পড়ে গেল ইউনুস ভাইয়ের প্রতি দারসে হুজুরের যে ভালোবাসা ছিল। আলহামদুলিল্লাহ আমরা আমাদের ওস্তাদদেরকে যা বলতে দেখি তাদের জীবনে এর চেয়ে বেশি কিছু পেয়েছি।
'আমরা আলেমদের সাথে আছি' অথবা ' তাবলীগ আলেমরাই চালাবে ' এই সমস্ত নীতিবাক্য ও শ্রুতিমধুর কথা বলে সুকৌশলে বাংলাদেশের সহজ-সরল আলেম-ওলামাদের কে ভারতের আবিষ্কৃত তাবলীগের দীক্ষায় দীক্ষিত করার প্রয়াস চলছে। জনাব কারি জুবায়ের সাব আর মাওঃ সাদ সাহেব নামে ভীন্ন হলেও নীতি গত ভাবে উভয় ই এক। উভয়েরি নীতি হল তাবলীগে আওয়ামদের এসলাহের জন্য মাত্র ৪ মাস আর আলেমদের এসলাহের জন্য একাধারে ১২ মাস। জুবায়ের সাব এটা করেন নি যে আলেমরা ১৫/২০ বছর মাদরাসায় দ্বীন শিক্ষার পরে ও কেন আবার ১২ মাস এসলাহ হতে হবে বরং ১ ঘন্টা ও উচিত নয়। কিন্তু উনি অনড়। আলেমদের জন্য এই নিয়ম বুঝতে পারার কারণে হাকিমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানবী সহ দেওবন্দ মাদ্রাসার পূর্ব বুজুর্গরা কেউ তাবলীগে সময় দিয়ে নিজেদের কে আওয়ামদের নিচের কাতারে নেননি । বরং এই কামের মোকাবেলায় হযরত আশরাফ আলী থানবী (রহ) ঐ সময় ই আরেকটি কাম চালু করলেন যার নাম রাখলেন ' দাওয়াতুল হক '। ২. সিহা সিত্তা কিতাব বাদ দিয়ে ওলামাদের ও বিতর্কিত ফাজায়েল আমল সাদাকাত এর অধীন হতে হবে যেখানে জয়িফ, জাল অনেক রকম হাদীস ও মনগড়া অনেক ঘটনা রয়েছে । ৩. ছয় নম্বর এর অধীন হতে হবে, এর বাইরে দ্বীনের অন্য কোন বিষয়ের উপর কথা বলা যাবেনা ( অথচ হক্কানী ওলামাকেরাম ছয় নম্বর কেই পরিপূর্ণ দ্বীন মনে করেন না )এই নীতির কারণেই জুবায়ের সাব দেওবন্দ বা হাটহাজারী র কোনো মুহতামিম বা মাওলানা সাহেব কে কোনো ইজতেমা য় বয়ান,এলান বা দোয়া ও করতে দেননা। যেহেতু ইনারা তাবলীগে একাধারে ১২ মাস লাগিয়ে নিজেদের পরিশুদ্ধ করেন নাই। ৪. দেওবন্দ এর নোটিশ বোর্ডে মাস্তুরাত জামাতকে হারাম বলে ফতোয়া দেয়া আছে অথচ জুবায়ের সাব দেওবন্দ কে না মেনে মাস্তুরাতের জামাত এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। ৫. যেই কিতাবে 'এলেমের বিনিময়ে মূল্য গ্রহন করা ওলামাদের আগে যিনাকাররা জান্নাতে যাবে' লেখা আছে সেই কিতাব প্রতিদিন মা্রকাজে পড়া উনি এখনো বাধ্যতামূলক রেখেছেন ( হায়াতুস সাহাবা ৪ থ খন্ড ৬০২ পৃষ্ঠা) । মুফতি আবু সাঈদ, মাওঃ মাহমুদুল হাসান, মুফতি জাফর সাব, মুফতি রেজাউল করিম, মুফতি জুনায়েদ আল হাবীব , মুফতী আব্দুল মালেক, দেওনার হযরত,আল্লামা মামুনুল হকসহ জাঁদরেল জাঁদরেল ওলামা কেরাম বাংলাদেশে আছেন । অথচ ইনাদেরকে বয়ান করতে না দিয়ে ভারতের আবিষ্কৃত তাবলিগের দিক্ষায় দিক্ষিত আলেমদের দিয়ে ই উনি বয়ান করান। ইব্রাহিম দেওলা , আহমদ লাট ইনারা তাবলীগের ভ্রান্ত তরিকা ছয় নম্বরের দীক্ষায় দীক্ষিত নিজামুদ্দিন এর প্রোডাক্ট। সুতরাং ' আমরা আলেমদের সাথে আছি ' এই একটা ধূয়া তুলে বাংলাদেশ এর সমস্ত আলেমদের বিশ্ব ইজতেমায় এনে মাওঃ জুবায়ের সাব বাস্তবে তাবলীগের এজেন্ডা ই বাস্তবায়ন করছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের সমস্ত ওলামাদের কে ভারতের আবিষ্কৃত তাবলীগের নিয়ম নীতির অধীন করতে চাচ্ছেন। এখন বুঝা যাচ্ছে জুবায়ের সাহেব কে মানা মানে প্রকারান্তরে সাদ সাহেব কে ই মানা। মাওঃ সাদ সাহেবের উচিত ইসরাইল থেকে প্রাপ্ত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বড় অংশ কারি জুবায়ের সাব বরাবর হাদিয়া পাঠানো। যেহেতু গত ১০০ বছর ধরে নিজামুদ্দীন যা পারে নাই কারি জুবায়ের সাব মাত্র ৭ বছরে তা করে দেখালেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের ৯৯.৯৯ ভাগ ওলামা কেরাম কে ভারতের আবিষ্কৃত তবলিগের গোলাম বানিয়ে ফেললেন। মাদ্রাসা ফেলে ওস্তাদ ছাত্র সবাই ভারতের আবিষ্কৃত তবলিগের নিয়ম নীতি প্রসারের জন্য ছুটে আসছেন... আফসোস.... হায়রে বাংলাদেশের সহজ সরল আলেম-ওলামা মাদ্রাসার ছাত্র রা।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুক। আমিন।।
মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুন্দর আলোচনা। যোগপযোগী আলোচনা।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
جزاكم الله أحسن الجزاء في الدارين
মাশাআল্লাহ হুজুর কত জ্ঞানী মানুষ! কত মূল্যবান মূল্যবান কথা বলছেন!! কিন্তু মানুষ ছুটছে অন্ধের মত ভাইরালের পিছনে। আল্লাহ আমাদেরকে অধিকতর যোগ্যদের মূল্যায়ন করার তৌফিক দিন। আমীন
জাজাকাল্লাহ খাইরান
যোগ উপযোগী আলোচনা
জাযাকাল্লাহ উস্তাদ। আজকের এই বয়ানে মনে পড়ে গেল ইউনুস ভাইয়ের প্রতি দারসে হুজুরের যে ভালোবাসা ছিল।
আলহামদুলিল্লাহ আমরা আমাদের ওস্তাদদেরকে যা বলতে দেখি তাদের জীবনে এর চেয়ে বেশি কিছু পেয়েছি।
মাশাআল্লাহ চমৎকার আলোচনা।
আলহামদুলিল্লাহ আমি প্রথম দেখতেছি
জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা ওয়া বারাকাল্লাহু ফীক 💚
মাশাআল্লাহ চমৎকার কিছু কথা এবং নসিহত। আল্লাহ হযরত কে দ্বীনের জন্য কবুর করে নেন
❤❤❤❤❤❤Alhamdulillah
বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
সুন্দর বিশ্লেষন আলোচনা, মাশা আল্লাহ।
জাজাকাল্লাহ্ খাইরন
'আমরা আলেমদের সাথে আছি' অথবা ' তাবলীগ আলেমরাই চালাবে ' এই সমস্ত নীতিবাক্য ও শ্রুতিমধুর কথা বলে সুকৌশলে বাংলাদেশের সহজ-সরল আলেম-ওলামাদের কে ভারতের আবিষ্কৃত তাবলীগের দীক্ষায় দীক্ষিত করার প্রয়াস চলছে।
জনাব কারি জুবায়ের সাব আর মাওঃ সাদ সাহেব নামে ভীন্ন হলেও নীতি গত ভাবে উভয় ই এক। উভয়েরি নীতি হল তাবলীগে আওয়ামদের এসলাহের জন্য মাত্র ৪ মাস আর আলেমদের এসলাহের জন্য একাধারে ১২ মাস। জুবায়ের সাব এটা করেন নি যে আলেমরা ১৫/২০ বছর মাদরাসায় দ্বীন শিক্ষার পরে ও কেন আবার ১২ মাস এসলাহ হতে হবে বরং ১ ঘন্টা ও উচিত নয়। কিন্তু উনি অনড়। আলেমদের জন্য এই নিয়ম বুঝতে পারার কারণে হাকিমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানবী সহ দেওবন্দ মাদ্রাসার পূর্ব বুজুর্গরা কেউ তাবলীগে সময় দিয়ে নিজেদের কে আওয়ামদের নিচের কাতারে নেননি । বরং এই কামের মোকাবেলায় হযরত আশরাফ আলী থানবী (রহ) ঐ সময় ই আরেকটি কাম চালু করলেন যার নাম রাখলেন ' দাওয়াতুল হক '।
২. সিহা সিত্তা কিতাব বাদ দিয়ে ওলামাদের ও বিতর্কিত ফাজায়েল আমল সাদাকাত এর অধীন হতে হবে যেখানে জয়িফ, জাল অনেক রকম হাদীস ও মনগড়া অনেক ঘটনা রয়েছে । ৩. ছয় নম্বর এর অধীন হতে হবে, এর বাইরে দ্বীনের অন্য কোন বিষয়ের উপর কথা বলা যাবেনা ( অথচ হক্কানী ওলামাকেরাম ছয় নম্বর কেই পরিপূর্ণ দ্বীন মনে করেন না )এই নীতির কারণেই জুবায়ের সাব দেওবন্দ বা হাটহাজারী র কোনো মুহতামিম বা মাওলানা সাহেব কে কোনো ইজতেমা য় বয়ান,এলান বা দোয়া ও করতে দেননা। যেহেতু ইনারা তাবলীগে একাধারে ১২ মাস লাগিয়ে নিজেদের পরিশুদ্ধ করেন নাই।
৪. দেওবন্দ এর নোটিশ বোর্ডে মাস্তুরাত জামাতকে হারাম বলে ফতোয়া দেয়া আছে অথচ জুবায়ের সাব দেওবন্দ কে না মেনে মাস্তুরাতের জামাত এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন।
৫. যেই কিতাবে 'এলেমের বিনিময়ে মূল্য গ্রহন করা ওলামাদের আগে যিনাকাররা জান্নাতে যাবে' লেখা আছে সেই কিতাব প্রতিদিন মা্রকাজে পড়া উনি এখনো বাধ্যতামূলক রেখেছেন ( হায়াতুস সাহাবা ৪ থ খন্ড ৬০২ পৃষ্ঠা) ।
মুফতি আবু সাঈদ, মাওঃ মাহমুদুল হাসান, মুফতি জাফর সাব, মুফতি রেজাউল করিম, মুফতি জুনায়েদ আল হাবীব , মুফতী আব্দুল মালেক, দেওনার হযরত,আল্লামা মামুনুল হকসহ জাঁদরেল জাঁদরেল ওলামা কেরাম বাংলাদেশে আছেন । অথচ ইনাদেরকে বয়ান করতে না দিয়ে ভারতের আবিষ্কৃত তাবলিগের দিক্ষায় দিক্ষিত আলেমদের দিয়ে ই উনি বয়ান করান। ইব্রাহিম দেওলা , আহমদ লাট ইনারা তাবলীগের ভ্রান্ত তরিকা ছয় নম্বরের দীক্ষায় দীক্ষিত নিজামুদ্দিন এর প্রোডাক্ট।
সুতরাং ' আমরা আলেমদের সাথে আছি ' এই একটা ধূয়া তুলে বাংলাদেশ এর সমস্ত আলেমদের বিশ্ব ইজতেমায় এনে মাওঃ জুবায়ের সাব বাস্তবে তাবলীগের এজেন্ডা ই বাস্তবায়ন করছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের সমস্ত ওলামাদের কে ভারতের আবিষ্কৃত তাবলীগের নিয়ম নীতির অধীন করতে চাচ্ছেন।
এখন বুঝা যাচ্ছে জুবায়ের সাহেব কে মানা মানে প্রকারান্তরে সাদ সাহেব কে ই মানা। মাওঃ সাদ সাহেবের উচিত ইসরাইল থেকে প্রাপ্ত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বড় অংশ কারি জুবায়ের সাব বরাবর হাদিয়া পাঠানো। যেহেতু গত ১০০ বছর ধরে নিজামুদ্দীন যা পারে নাই কারি জুবায়ের সাব মাত্র ৭ বছরে তা করে দেখালেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের ৯৯.৯৯ ভাগ ওলামা কেরাম কে ভারতের আবিষ্কৃত তবলিগের গোলাম বানিয়ে ফেললেন। মাদ্রাসা ফেলে ওস্তাদ ছাত্র সবাই ভারতের আবিষ্কৃত তবলিগের নিয়ম নীতি প্রসারের জন্য ছুটে আসছেন... আফসোস.... হায়রে বাংলাদেশের সহজ সরল আলেম-ওলামা মাদ্রাসার ছাত্র রা।
মাশাআল্লাহ
মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর আলোচনা।আল্লাহ আমাদের সকলকে এই আলোচনা থেকে উপকৃত হওয়ার তৌফিক এনায়েত করুন।আমীন
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক মুলক আলোচনা ধন্যবাদ
মাশা-আল্লাহ
جزاكم الله أحسن الجزاء
এর প্রতিকার সংক্রান্ত আলোচনা যদি উস্তাযে মুহতারাম করে থাকেন, তবে সেটাও আপলোড করার অনুরোধ রইলো
th-cam.com/video/_kuB0hY9CSE/w-d-xo.html
কালো সুন্দর সবি আল্লাহ সৃষ্টি আর আল্লাহ সৃষ্টি নিয়ে কেউ যদি অবহেলা করে আল্লাহ তাকে কঠিন শাস্তি দিবেন।
মাশাআল্লাহ হুজুর ঠিক বলেছেন
মাশাআল্লাহ।
মাশাল্লাহ চমৎকার
❤❤❤❤❤
জী আপনি খুব সত্যি কথা বলছেন সমাজের কোন পরিবর্তন হবে কি?
❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
alhamdulillah
دامت بركاتكم علينا!!
بارك الله في حياتك
❤
قيمتي كلام
এগুলো নিয়ে কেউ কথা বলে না 😢
জাজাকাল্লাহ খইরন
❤❤❤❤❤