প্রতিমা দেবী র ব্যাক্তিগত জীবনের অজানা কাহিনী | Pratima debi | বাংলা
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 17 ต.ค. 2023
- ১৮৯৩ সালের ৫ নভেম্বর জন্ম প্রতিমা দেবীর। টুকটুকে সুন্দরী শিশু প্রতিমাকে খুব পছন্দ ছিল রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর। তিনি বলেছিলেন, 'এই সুন্দর মেয়েটি কে আমি পুত্রবধূ করব। আশা করি ছোটদিদি তাঁর নাতনীটি আমায় দেবেন।‘ নিতান্ত অসময়ে ১৯০২ সালের ২৩ নভেম্বর মৃণালিনী দেবীর মৃত্যু হলে তাঁর ইচ্ছে অপূর্ণ থেকে যায়।
মাত্র ১১ বছর বয়েসে প্রতিভার বিবাহ হয় গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট বোন কুমুদিনীর ছোট নাতি নীলানাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পূর্ণিমা দেবী লিখেছেন, 'আমার ঠিক মনে নেই, বোধহয় বাংলা ১৩১০ সালের ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি প্রতিমা দিদির ফুলশয্যার নিমন্ত্রণ ছিল। …..আমি গিয়েছিলুম। বেনেপুকুরে ওঁর শ্বশুরবাড়ি ছিল। ‘ফাল্গুন মাসে বিয়ের পর প্রতিমা
জোড়াসাঁকোতেই ছিলেন। বৈশাখ মাসে 'ভালো দিন’ দেখে প্রতিমাকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়া হল। সেখান থেকে সকলে মিলে গঙ্গার ধারে মহারাজা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের বাগানবাড়ি 'সুরধুনী কাননে' বেড়াতে গেলেন। কয়েক দিন সেখানে থাকার পর একদিন কারোর বারণ না শুনে নীলানাথ একটা চাকরকে নিয়ে নদীতে সাঁতার শিখতে গেলেন। হঠাৎ আসা বানে নীলানাথ ডুবে যান।
এই ঘটনাটি প্রতিমা দেবী আর তাঁর এক সঙ্গিনী ছাদ থেকে দেখেছিলেন। অপয়া অপবাদ নিয়ে জোড়াসাঁকোতেই ফিরে এলেন প্রতিমা। বৈধব্যজীবন যাপন করলেন পাঁচটি বছর। মৃণালিনী দেবীর ইচ্ছে অজানা ছিল না রবীন্দ্রনাথের। রথীন্দ্রনাথ বিলেত থেকে ফিরে আসার পর রবীন্দ্রনাথ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বলেছিলেন, 'তোমার উচিত প্রতিমার আবার বিয়ে দেওয়া।বিনয়িনীকে বল যেন অমত না করে।
ওর জীবনে কিছুই হল না। এ বয়সে চারিদিকের প্রলোভন কাটিয়ে ওঠা মুশকিল। এখন না হয় মা-বাবার কাছে আছে, এর পরে ভাইদের সংসারে কৃপাপ্রার্থী হয়ে থাকবে। সেইটাই কি তোমাদের কাম্য? না বিয়ে দেওয়া ভালো, সেটা বুঝে দেখ। ‘গগনেন্দ্রনাথ রাজি করিয়েছিলেন বিনয়িনী দেবী এবং প্রতিমা দেবীকে। বলেছিলেন, 'যা তোর হয়ে গেছে সেটা স্বপ্ন ভেবে নিস।এখন নতুন জীবন আরম্ভ করতে হবে'। ১৯১০ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রতিমা দেবী আর রথীন্দ্রনাথের বিবাহ হল। মৃণালিনী দেবীর ইচ্ছে পূর্ণ হল।
বিয়ের পর প্রতিমা দেবীকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত রথীন্দ্রনাথ ভগ্নিপতি নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে লিখেছিলেন, 'প্রতিমা এখন আমার…..সে যে কী চমৎকার মেয়ে তোমাকে কী করে লিখি।‘ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে এই প্রথম বিধবাবিবাহ। বিয়ের পর নবদম্পতি শান্তিনিকেতনে ছিলেন কয়েকমাস।
সে সব দিনের কথা স্মরণ করে প্রতিমা দেবী বলেছিলেন, "আমার শিক্ষা-দীক্ষা যা কিছু সব আমার স্বামী এবং শ্বশুরের কৃতিত্ব। ….যখন প্রথম এখানে এলাম বাবামশাই শিশু বিভাগের কুড়ি-পঁচিশটি ছোটো ছোটো ছেলে ও আশ্রমের অন্যান্য সকলকে দেখিয়ে বললেন, 'বৌমা এই সব নিয়েই তোমার সংসার'। শৈশব থেকেই আমিও তাই বুঝেছি"।
রবীন্দ্রনাথ তাঁকে গ্রহণ করেছিলেন গভীর স্নেহে।পতিসর থেকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন - “আমার সংসারকে তুমি তোমার পবিত্র জীবনের দ্বারা দেবমন্দির করে তুলবে এই আশা প্রতিদিনই আমার মনে প্রবল হয়ে উঠচে"। এর কিছু পরে রথীন্দ্রনাথ- প্রতিমা গেলেন শিলাইদহে।
সেখানে মিস বুর্ডেটের কাছে সেলাই শেখার পাশাপাশি ইংরেজিতে কথাবার্তা শুরু করতে বললেন রবীন্দ্রনাথ। জানতে চাইলেন রথীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘সেই অ্যাস্ট্রোনমির বই পড়ে’ শোনাচ্ছেন কী না। এত আয়োজন সত্ত্বেও রথীন্দ্রনাথ - প্রতিমা দেবী সম্পর্কে এল ভাটা। জীবনের শেষ পর্যন্ত যাতে আর কখনও জোয়ার লাগল না।
#biography
#viralvideo
#jiboni
#bangla
#pratimadebi
#rathindranathtagore
#rabindranaththakur
#information - บันเทิง
দাদা শুভ বিজয়া দশমীর প্রণাম গ্রহন করবেন 🙏🙏🙏। খুব সুন্দর লাগলো অনেক অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম আপনাকে ধন্যবাদ জানাই নমস্কার ❤️❤️❤️🙏🙏🙏
ধন্যবাদ
শুভ বিজয়া
Khub bhalo legechhe.Apnake shubho bijoyar onek shubhechchha roilo.
শুভ বিজয়ার প্রণাম নেবেন
Khub valo laglo
ধন্যবাদ
আপনার আলোচনা আমাকে সমৃদ্ধ করলো।অনেক অজানা তথ্য জানতে পারছি। নমস্কার।
ধন্যবাদ।
চ্যানেল ভিসিট করুন আমার
ভালো লাগল প্রতিবেদন।
Thanks
Khub sundor uposthapona.
Thanks
Realy excellent presentation. 🙏
Thanks
অত্যন্ত সমৃদ্ধ আলোচনা।
আপনার প্রতিটি ভিডিও আমি দেখার চেষ্টা করি।
আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ, বিস্মৃতপ্রায় সঙ্গীতশিল্পী চন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করবেন প্লিজ।
ধন্যবাদ দাদা
অবশ্যই চেষ্টা করবো
Anek jana ajana tathho tomar video theke jante pari bhalo laglo ..tumi bhalo theko r khub bhalo pujo katio bhai
Thanks
Esob bole lav nei. Onno, bostro, basostaner chinta na thakle onek protivar nozir paua jai,abar jodi jomidar barir moto standard manusder songo paua jai.
বুঝলাম
Learning English can't be the measurement of education. This concept is purely colonial mentality. In that case, any sweeper in England or in Scotland is a super educated person. But fact is not that. They're really uneducated persons, if they don't have any academic qualification.
Similarly, during colonial Bharat as well as post-colonial Bharat, education is quite different from learning only the colonial language.
Still we are in hangover of colonial mentality even after 76 years' long journey.
So why Bharat Government has accepted English, being a foreign language, as an official language.
You can see the same hangover syndrome in Pakistan, in Bangladesh, in Mayanmar, in Sri Lanka, in Hongkong and other parts of the Bharat Subcontinent where British ruled.
ঠিক বলেছেন
Kindly try to analyse why English is so important for education, you yourself will get the answer.