নবান্ন ll বিজন ভট্টাচার্য ll অনার্স চতুর্থ বর্ষ নাটক ll Nabanna ll Bijon Bhattacharya ll সাহিত্য

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 24 ก.ย. 2024
  • বিজন ভট্টাচার্য কৃষকদের দুর্দশা পীড়িত জীবন নিয়ে লিখলেন ‘নবান্ন’ নাটক।
    Nabanna is a Bengali language drama written by Bijon Bhattacharya.
    বাংলা নাট‍্যসাহিত‍্যের ইতিহাসে একটা বাঁক বদল ঘটালেন বিজন ভট্টাচার্য।
    গণ-নাট‍্য:
    কোনো একক নায়ক নয়, প্রধান চরিত্র হয়ে থাকবে অনেকগুলো চরিত্র এবং তারা কোনো জনতা, কোনো জাতির প্রতিনিধিস্বরূপ।
    ‘নবান্ন’ নাটকে চারটি অঙ্কে পনেরোটি দৃশ‍্য, গ্রাম বাংলার কৃষকের ছবি আঁকতে গিয়ে এসেছে আমিনপুর গ্রাম। গ্রামীণ কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব করেছে প্রধান সমাদ্দার ও তার পরিবার। আগষ্ট আন্দোলনে ব্রিটিশ পুলিশ মিলিটারির অত‍্যাচার, খাদ‍্যাভাব, মৃত‍্যু, বন‍্যা, লাঠিয়ালদের অত‍্যাচার, বাঁচার তাগিদে কলকাতায় ভিড়, পরিচিতি হারিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা - সেই সময়ের সবকিছুর নিঁখুত চিত্র তুলে ধরেছেন বিজন ভট্টাচার্য ‘নবান্ন’ নাটকে। আর যখন প্রধান সমাদ্দার তার পরিবারকে নিয়ে পরিচয় হারিয়ে কলকাতায় আসছে তখন বুঝে যাই ‘নবান্ন’ নাটক প্রধান সমাদ্দারকে নিয়ে নয়, তার পরিবারকে নিয়ে নয়, তাদের গ্রাম আমিনপুরকে নিয়ে নয় - সমগ্র গ্রাম বাংলার কৃষক সমাজের প্রতিনিধি এরা।
    ‘নবান্ন’ নাটকের প্রেক্ষাপটে আছে - ১৯৪২এর আগষ্ট আন্দোলন, ১৯৪২এর প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং ১৯৪৩ এর মন্বন্তর। তবে ৪২ এর প্রাকৃতিক বিপর্যয়েই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আমিনপুর ওরফে মেদিনীপুর। ইতিহাসের তথ‍্য অনুযায়ী - ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই অক্টোবর এক ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয় এসে পড়ে মেদিনীপুর ও ২৪ পরগণা জেলার সমুদ্র উপকূলের নিকটবর্তী এলাকায়। প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি হতে থাকে এবং তার সঙ্গে আসে উত্তাল সামুদ্রিক তরঙ্গের বন‍্যা। সে বন‍্যা মেদিনীপুরের কাঁথি মহাকুমায় সাগরতীরের বাঁধ ছাপিয়ে বহুদূর পর্যন্ত তার প্রলয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা বিস্তার করে। তার কবলে পড়ে মেদিনীপুর জেলার ৩৬০০ বর্গমাইল এলাকার ২৩ লক্ষ অধিবাসী এবং ২৪ পরগণার ৪০০ বর্গমাইল এলাকার ২ লক্ষ অধিবাসী। নোনা জলে বিস্তীর্ণ এলাকায় কার্তিকের ফসল ভরা ধান খেত বরবাদ হয়ে যায়, সঙ্গে দেখা যায় ব‍্যাপক অঞ্চলে পানীয় জলের অভাব, আরম্ভ হয়ে যায় দুর্ভিক্ষ ও মহামারী। এই তুফান ও তার আনুষঙ্গিক কারণে মারা যায় মোট ১৪, ৫০০ মানুষ আর ১, ৯০,০০০ পশু।
    ‘নবান্ন’ নাটকের প্রথম দৃশ‍্যে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ পরিবেশ, বাঁশের গাঁট ফাটা শব্দের প্রতীকে গুলির আওয়াজ প্রকাশ করে সংগ্রামী জনতার ওপর সাম্রাজ‍্যবাদীদের নির্মম অত‍্যাচার। দ্বিতীয় দৃশ‍্যে মন্বন্তরের ছবি - ছন্নছাড়া গৃহস্থলি, দারিদ্র‍্যের বীভৎস রূপ। ভয়াবহ সাইক্লোন ও বন‍্যার ছবিতে ৩য় দৃশ‍্য পরিপূর্ণ। এরপর নাট‍্যকাহিনি তৎকালীন পরিস্থিতি অনুসারে এগিয়ে পড়েছে নিরন্ন অসহায় জনসমুদ্রের বুকে কলকাতায়।
    বিজন ভট্টাচার্য বলছেন -
    “বাস্তববাদী হলেও আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। উজ্জ্বল এক ভবিষ‍্যৎ জীবনের স্বপ্ন। শ্রেণীহীন সমাজব‍্যবস্থার সেই স্বপ্ন ‘নবান্ন’ নাটক।”
    ‘নবান্ন’ নাটকের গুণ সম্পর্কে চিত্তরঞ্জন ঘোষ জানাচ্ছেন -
    “পেশাদারী মঞ্চে যখন জীবনবিচ‍্যুত নাটকের একচ্ছত্র একঘেয়েমি তখন ‘নবান্ন’ গিয়েছিল জনজীবনের কাছে, তাদের সুখ দুঃখকে বোঝার চেষ্টা করেছিল।”
    (collected)

ความคิดเห็น • 6