বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ এর দাম্পত্য জীবনে র অজানা কাহিনী | Arabinda Ghosh | বাংলা
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 21 มิ.ย. 2024
- Join this channel to get access to perks:
/ @amiavijitbolchi
সে ছিলো এক আশ্চর্য বিবাহ। অনেকটা রূপকথার মত। পাত্র শ্রী অরবিন্দ ঘোষ, প্রখ্যাত ডাক্তার শ্রী কৃষ্ণধন ঘোষের স্বনামধন্য পুত্র। ১৮৯৩ সালে বিলাত থেকে দেশে ফিরে বরোদা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল। বয়স ২৮ _২৯ বৎসর। পাত্রী সরকারী কৃষিবিভাগের অন্যতম উচ্চপদাধিকারী শ্রী ভূপালচন্দ্র বোসের জ্যেষ্ঠা কন্যা মৃণালিনীদেবী। বয়স ১৪বৎসর। ১৯০১ সালের মে মাসে কলিকাতার শিয়ালদহের সন্নিকটে বৈঠকখানা রোডে একটি দ্বিতল বাড়ীতে বসেছে বিবাহবাসর। সারা বাড়ী দেবদারু পাতা দিয়ে সুসজ্জিত। বিবাহ মন্ডপে সুচারু আল্পনা, তোরণের দুই পাশে জলপূর্ণ মঙ্গল ঘট,কলাগাছ। অন্দর থেকে ঘনঘন ভেসে আসছে শঙ্খধ্বনি ও উলু। কন্যার মাতা গোপালকামিনী দেবী ব্যস্ত জামাই বরণের আয়োজনে। আত্মীয় স্বজনদের ব্যস্ততা...ঠিক যেরকম হয় কোনো হিন্দু বাঙালী বিবাহে।
বাড়ীর পূর্বদিকের একটি কক্ষে বসানো হয়েছে কিশোরী মৃণালিনীকে। বিবাহের মহার্ঘ শাড়ী ও মহামূল্য অলংকারে তাঁকে রাজেন্দ্রানীর মতো লাগছে। কিন্তু তাঁর ভিতরে কি চলছে সে নিজেই জানে না। ভাবী স্বামী একজন স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষিত বলিষ্ঠ রূপবান যুবক। তাঁর কি স্ত্রী হিসাবে মৃণালিনীকে পছন্দ হবে? সঙ্গিনী ও সহপাঠিনী সুধীরা বোস তাঁর গাল টিপে বললেন "ওলো সই ভয় পাস না। তিনি যে তোকে একবার দেখেই পছন্দ করেছেন।"
একথা সত্যি যে তখনকার দিনে এই বিবাহের যোগাযোগ হয়েছিল সম্পূর্ণ অন্যভাবে। সেইসময় ঘটককুলই ছিলেন বৈবাহিক যোগাযোগের একমাত্র সূত্র। কিন্তু বিলাত থেকে ফিরে এসে প্রথামত ঘটকালি নয় শ্রী অরবিন্দ সাহেবি ফ্যাসানে তখনকার বিখ্যাত কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। বিজ্ঞাপনের বিশেষত্ব ছিল যে তিনি একটি হিন্দু পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করবেন হিন্দু আচার অনুসারে। হিন্দু নারীদের সম্পর্কে শ্রী অরবিন্দের ছিল অতি উচ্চ ধারণা। তাঁর প্রথম যৌবনে প্রত্যক্ষ ভাবে হিন্দু নারীদের সাথে তেমন পরিচয় ছিল না।
#bangla #information #biography #arabindaghosh
তথ্যসূত্র: নবনীতা মিত্র
প্রভাত ফেরী পত্রিকা
তথ্যসূত্র:
শ্রী অরবিন্দের সহধর্মিনী মৃণালিনী দেবি/ নীরদবরন
শ্রী অরবিন্দের সহধর্মিনী মৃণালিনী দেবীর স্মৃতিকথা/ শ্রী শৈলেন্দ্র নাথ বসু - บันเทิง