১৯দিন ব্যাপি চুনতি সীরাত মাহফিলে মাওলানা লুৎফর রহমানের আলোচনা

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 15 ธ.ค. 2024
  • ঐতিহাসিক ১৯দিন ব্যাপী ৫২তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী ( ﷺ) এর ১৫তম দিবস
    ১৯দিন ব্যাপি চুনতি সীরাত মাহফিলে আজ
    মাওলানা লুৎফর রহমানের আলোচনার সারসংক্ষেপ :
    কোরআন হচ্ছে ডাইরেক্ট অর্ডার, যা হচ্ছে লিখিত Philosophy. সম্পূর্ন কোরআন রাসূল সা: নিজে ধারণ করেছেন। বাস্তবায়ন করেছেন। নবী ছিলেন Practical Quran.
    উম্মুল মুমিন আয়েশা রদি: এবং উম্মে সালমা রাদি: যখন জিঙেস করা হয়। আমাদের নবী সীরাত কেমন ছিলেন: আপনাদের নবী, আমাদের স্বামী কেমন ছিলেন সেটা কি আপনারা যানেন নাহ? এটা কোরআন জলন্ত প্রমাণ। আল্লাহর রাসূল যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে, মনে হয় ওনিই Practical Quran.
    সকল নবী রাসূল ছাগল ছড়াতেন। এটা এজন্য যে, মরভূমিতে ছাগল পালন আল্লাহ বড় পরিক্ষা (ধৈর্য্য পরিক্ষা জন্য)।
    -এই যুগে জুমার খুৎবায় এই যুগ উপযোগী, খুৎবা হতে হবে।
    দক্ষিণ অঞ্চলে আমি যখন বিচরণ করি, তখন একজন মানুষ ছিলেন তিনি ছিলেন একজন পীর, একজন সমাজ সংস্কারক, একজন আলেম বায়তুশ শরফ গড়ার মডেল শাহ আবদুল জব্বার রহিমাহুল্লাহ।
    তিনটা মানুষ বেশি মহ্বত করতেন, আজও তাদের কথা আমার কানে বাঝতেছে:
    ১. চুনতি শাহ সাহেব
    ২. কুতুবদিয়া মালেক শাহ
    ৩. জংগলী ফকির
    চুনতি শাহ সাহেব কথা বলতে গিয়ে বলেন: আমি স্টেইজে মেরাজের আলোচনা করছি, তখন শাহ সাহেব চেয়ার থেকে লাফ দিচ্ছেন বারবার। আলোচনা বন্ধ করে জিঙেস করলাম। বললেন: লুৎফর রহমান যেন মেরাজ সব দেখে এসে সব বলছেন।
    কুতুবদিয়া মালেক শাহ: ওয়াজ চলাকালিন আমাকে টেনে নিয়ে গেয়ে, বিছনায় শুয়াইলেন। আমি মালেক মারা গেলে, এই লুৎফর রহমানকে খেলাফত দিয়ে গেলাম।
    সাহাবীদের হাদিস সংকলনে কতটা নির্ভুল।
    তা বলতে গিয়ে বলেন:
    ১. জীবনে ১টি মিথ্যা কথা বলেছেন, তার হাদিস বাদ।
    ২. কখনো ওয়াদা খেলাফ করেছে, তার হাদিসও বাদ।
    ৩. মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছে, তার হাদিস ও বাদ।
    ৪. রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে নানান কাজ করেছে (চনাবুট, নানা খাবার খেয়েছে) তাদের হাদিস ও বাদ। (এটা গোনাহ নয়, তাকওয়ার খেলাফ)
    আম্মা আয়েশা রা: বলেন: আল্লাহ রাসূল এশার পর খাবার খেয়ে ঘুমাতে চলে যেতেন। রাত্রে যখন বিছনায় তালাশ করি, পাওয়া যেত না। হাত দিয়ে যখন দেখছি হাত পায়ে স্পর্শ হলো। রাসূল তখন নামাজে। এমনভাবে রাত্রে সালাত পড়তেন পা ফুলে যেত।
    আমাদের দেহ হৃদপিন্ড সহ প্রতিটা জায়গায়, খাবার সাপ্লাই একেকটা রগ আছে। মাথার পশম যদি কেউ ৬০বছরে না কাটে, সেটা সাড়ে ৬হাত লম্বা হবে। যা আমরা প্রতি মাসে কাটতে হয়। চোখের ব্রু, হাতের পশম কতটা লম্বা হয়, কতবার কাটি? সেখানেও খাবারের একেকটি রগ চলমান রয়েছে।
    -আল্লাহ জমিনে দ্বীন কায়েম করা ফরজ।
    আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ ইসলাম গ্রহনের পর, প্রকাশ্যে না বলার জন্য বলা হলো। তিনি কাবা চত্তরে গিয়ে ঘোষনা দিলেন: ইয়া মাশারাল কুরাইশ- আমি ইসলাম গ্রহন করেছি। শুরু হলো তাহার উপর নির্যাতন, বেলাল রা: যুলুম নির্যাতন কথা আপনারা জানেন। দ্বীন এমনে এমনে প্রতিষ্টা হয়নি।
    দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে দেশে বাংলা সীরাত সবছেয়ে জনপ্রিয় এবং সবার কাছে ছিল গোলাম মোস্তাফা রচিত বিশ্বনবী। এর পরবর্তিতে সীরাত জন্য মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন রহি: যে খেদমত করে গেছেন তা স্মরণীয়।
    সবদেশে সব ভাষায় সীরাত নিয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে হবে। এটা এমন সমুদ্র, অনুসন্ধান শেষ নেই।
    কাব্য রচনার সময়ে নাযিল হয়েছে পবিত্র কুরআন। মাক্কি সূরার লক্ষ্য করলে বুঝা যায়, কবিতা কাকে বলে। সাহিত্য কাকে বলে। এরপর সূরা আর রহমান আরেক স্টাইলের। আমরা পুতি পড়তাম পড়ার পর পূর্বের আবার রিফিড হয়। যেমন: ফাবিআইয়ি আলা...
    আল্লাহ রাসূল ২জন ব্যাক্তির জন্য বিশেষ দোয়া করেন। আবু জাহেল ও ওমর। দোয়া কবুল হয়, ওমর ইসলাম গ্রহন করে। ফজর ওয়াক্ত ওমর বলেন, এখন কেমনে নামাজ পড়লে একটি পরিপূর্ণ নামাজ হবে? রাসূল বলেন: কাবার চত্তরে সবাইকে নিয়ে একত্রে জামায়াত করতে পারলে, পরিপূর্ণ হবে। ওমর বলেন চলুন সবাই। আল্লাহ রাসূল বাহিরের পরিস্থিতির কথা বলেন। ওমর বলেন: এতদিন ওমরের ভয়ে মক্কা আতংকে ছিল, ওমর আজ মুসলাম বলে সীদ্বান্ত নিলো। পথে কাফিররা পাথর নিক্ষেপ করতে দাঁড়িয়ে। ওমর বলেন: যে মায়ের পুত্র এতিম হতে চাও সে ওমরের সামনে আসো।
    As a leader, As a father, As a lawer, As a super man of the power. বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তাফা সা:।
    দেশ প্রেমিক কারা?
    -যারা দেশের অর্থ বিদেশে প্রচার করছে তারা? আমি রাজনীতি কথা বলছি না, সীরাত কথা বলছি। সেই টাকা দেশে শীল্পকারখানা করলে, দেশের সম্পদ দেশেই থাকত।
    সর্বশেষ, একটি টপিক বলছি: গোজয়ায়ে হিন্দ সন্নিকটে। ইমাম মাহদী আসবে। তামামি দারিকে দাজ্জালের জিঙেসায় উক্ত হাদিস বলেন: বায়সান খেজুর বাগান (ফিলিস্তিন-জর্ডান মাঝখানে) শেষ হয়ে যাবে, যা বর্তমানে বিলুপ্ত। সিরিয়া পূর্ব দিকে ইমাম মাহদি হেড কোয়াটার ঈসা আ: অবতরণ করবে। ইসরাইলের লুদ শহরে ঈসা আ: দাজ্জালকে হত্যা করবে। (বর্তমান ইসরাইলের ১৮কি.মি উত্তর পূর্ব দিকে সেনা বিমান বন্দর, এই শহরটার নাম লুদ)।
    ২. তাবারিয়া নদী Sea of galili (জর্ডান-সিরিয়া মাঝখানে) পানি শুকিয়ে যাবে। জুগারের কুফের পানি থাকবে না। (২০০কি.মি গভীর Dead sea) দজ্জাল বলে তখন আমি পৃথিবীতে অবতরণ করব।
    দজ্জাল আশার সময় খুব সন্নিকটে। তখন দুনিয়ে চতুর্দিক ফেতনা আর ফেতনা চলবে। সেই সময়ে যে রাসূলে একটি সুন্নত আকড়ে ধরতে গিয়ে শহীদ হয়, সে ১০০ শহীদের সাওয়াব পাবে।
    সর্বশেষ শেষ করছি: যারা দ্বীন কায়েমে বাধা নেই, নিরাপেক্ষ থাকে, সুবিধাবাজ জীন্দাবাদ তারা মোনাফেক। কাফের ছেয়েও খারাপ। তারা কাফেরদের সুযোগ করে দেয়। তাদের শাস্তি আবু জাহেলদের জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্থরে।
    -ওমা তাউফিকি ইল্লাবিল্লা, আসসালামুয়ালাইকুম।
    চুনতি সীরত মাঠ আলোচনা। (২২-১০-২০২২ইং রাত)
    লেখা সংগ্রহঃ Mohammad Sadik Aziz
    মহান আল্লাহ আপনার খেদমত কবুল করুক। আমিন।

ความคิดเห็น •